জানলে অবাক হবেন আপনার শরীরের জন্য পেঁপের উপকারিতা কত?

জানলে অবাক হবেন আপনার শরীরের জন্য পেঁপের উপকারিতা কত?

পেঁপের উপকারিতা মানব দেহের জন্য গুরুপ্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে নানা রকমের ফল। যার মধ্য পেঁপে অন্যতম। পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন ক্ষনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারি।

এছাড়াও সবজি ও সালাদের ক্ষেত্রে পেঁপের বেশ কদর রয়েছে। মানব দেহের জন্য পেঁপে অনেক কার্যকরী উপাদান। আজ আমরা পেঁপের গুনাগুন মানব জীবনের জন্য কতটা কার্যকরী সেটি সম্পর্কে জানবো।

পেঁপের উপকারিতা

পেঁপের উপকারিতা মানব দেহের জন্য এত উপকারী যা না জানলে বুঝতে পারবেন না। পেঁপে একটি কার্যকরী ফল। এটি আমাদের রান্নার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। আবার অনেকেই এটি কাঁচা ও পাকা সেবন করে থাকে। তবে মানব দেহের জন্য পেঁপে অনেক কার্যকর একটি ফল। কেননা পেঁপের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন। যা আমাদের দেহের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি পুরনে সহয়তা করে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য চুল ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারি

এবং এটি সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেঁপে আমাদের হজম শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে গ্যাস, বদহজমের প্রকোপ কমবে। এমনকী এড়িয়ে চলা যাবে আইবিএস(wikipedia)-এর ফাঁদও। অনেকেই কাঁচা ও পাকা পেঁপে খেয়ে থাকেন। এই দুই ধরনের উপাদান আমাদের দেহের জন্য বেশ কার্যকরী।

পেঁপের উপকারিতা

পেঁপে আমাদের দেহে কি কি কাজে সহয়তা করে

পেঁপের উপকারিতা আমাদের দেহের জন্য বেশ কার্যকরী। প্রত্যেকটি সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে পেঁপে খাওয়া অধিক গুরুপ্তপূর্ণ। পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-৬, এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিনের উত্‍স রয়েছে। পেঁপে আমাদের শরীরে হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে। এছাড়াও পেঁপেতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পেঁপে আমাদের দেহের আর নানা কাজে সহয়তা করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:-

  • ওজন কমাতে।
  • ডায়াবেটিসে উপকারী
  • চোখের জন্য কার্যকরী।
  • ত্বকের জন্য উপকারি মাধ্যম।
  • হজমের কাজে সহয়তা করে।

এছাড়াও পেঁপে আমাদের ভিটামিনের ঘাটতি পুরনে সহয়তা করে। পেঁপে আমাদের দেহের জন্য এতটা কার্যকরী যা আমাদের কল্পনার বাহিরে। তাই আমাদের খাবারে পেঁপে রাখা অনেক জরুরি।

পেঁপের ভিটামিনের উৎস

পেঁপের ভিটামিনের উৎস

সারাবছর পেঁপে পাওয়া যায়। পেঁপে একদিকে যেমন সবজি, অন্যদিকে ফল। পেঁপেতে নানা ধরনের কার্যকরী ভিটামিনের উপস্থিত থাকে। যা আমাদের দেহের নানা কাজে সহয়তা করে থাকে। কাঁচা থাকতে পেঁপে সবজি—ভর্তা, ভাজি আর রান্না করে খাওয়া যায়। পাকলে পেঁপে হয়ে যায় সুস্বাদু ফল। ১০০ গ্রাম পেঁপেতে শর্করা থাকে ৭.২ গ্রাম। খাদ্যশক্তি থাকে ৩২ কিলোক্যালরি। ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম। সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রোটিন। যা আমাদের শরীরের নানা ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এসকল উপাদান গুলো আমাদের দেহের রক্তনালিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। তাই হৃদস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং উচ্চরক্তচাপ এড়াতে পেঁপে খেতে পারেন নিয়ম করে।

পাকা না কাঁচা, কোন ধরনের পেঁপে বেশি উপকারি?

কাঁচা বা পাকা পেঁপের উপকারিতা উভয় ক্ষেত্রেই অনেক বেশি। পেঁপে খাওয়ার কোন নিদিষ্ট নিয়ম নেই। কেননা এটি আমরা অনেক উপায়ে খেতে পারি। কেও সবজি হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকে। আবার অনেকে ফল হিসেবে কাঁচা অথবা পাকা অবস্থাতে খেয়ে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এটি পাকা বা কাঁচা যেকোনো উপায়ে খেলে আলাদা আলাদা পেঁপের উপকারিতা পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করে কাঁচা অথবা পাকা পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিনের উৎস। তবে এটি সঠিক তথ্য নয়। পেঁপে রান্না করে তরকারির সাথে কিংবা যেকোনো উপায়ে খাওয়া যায়। যার ফলে আমরা যেকোনো ভাবে বিভিন্ন ধাপে নানা ভিটামিনের উৎস পেয়ে থাকি। অতএব পাকা ও কাঁচা পেঁপের মধ্যে কোনও একটিকে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে দুই উপায়েই পেঁপে ডায়াটে রাখা উচিত।

ডায়াবিটিসে পাকা পেঁপে চলবে?​

ডায়াবিটিসে পাকা পেঁপে চলবে?​

অন্যান্য ফলের থেকে ডায়াবিটিদের ক্ষেত্রে পেঁপের উপকারিতা অনেক বেশি। অনেকেই মনে করে পেঁপেতে রয়েছে মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য। যারা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তারা পেঁপে খেতে ভয় পায়। তারা মনে করে পেঁপেতে সুগারের পরিমান বেশি থাকে। তবে এই ধারনাটি ভুল। কেননা পাকা পেঁপেতে খুব একটা ফ্রুকটোজ থাকে না। এবং এটি সকল মানুষ কোন ভয় ছারায় সেবন করতে পারে। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা অনায়াসে পাকা পেঁপেকে ডায়েটে রাখতেই হবে। কারণ এটি দেহের নানা ঘাটতিকে পূরণ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডায়াবিটিস রোগীদের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পুরনে সাহায্য করে। তবে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ১০০ গ্রামের বেশি কাঁঠাল খাওয়া যাবে না। পরিমাণের চেয়ে বেশি সেবন করলে এটি শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই নিয়মটা মেনে চললেই সুগারকে বশে রাখতে পারবেন।

পেঁপের পুষ্টি ও ঔষধি গুন

যেকোনো ফলের দিক দিয়ে পেঁপের উপকারিতা অধিক। সারা বিশ্বের জনপ্রিয় ফলের মধ্যে একটি হলো পেঁপে। পেঁপের আমাদের ঔষধি গুন দিয়ে থাকে। আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাকে দূর করতে পেঁপে গুরুপ্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। অনেকেই হজম শক্তির সমস্যায় ভুগছেন। পেঁপের মাধ্যমে তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও পেঁপে আমাদের নানা ভাবে ওষুধি গুনাগুন দিয়ে থাকে যেমন-

এছাড়াও পেঁপে আমাদের শরীরে আর নানা উপায়ে সাহায্য করতে সক্ষম হয়। এটি সারা বিশ্বে অনেক প্রিয় একটি খাবার। এবং এভাবেই আমরা পেঁপের উপকারিতা থাকে ওষুধি গুনাগুন পেয়ে থাকি।

নিয়মিত পেঁপে খেলে রোগবালাই দুরে থাকে। আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিনের যোগান দেয়। পেঁপে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের দেহকে ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আমাদের সকলের উচিত খাবারের তালিকায় পেঁপেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া।

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *