বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড ২০২৪

বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড ২০২৪

সুপ্রিয় পাঠক, স্বাগত জানাচ্ছি বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কিত আজকের এই আর্টিকেলে। বাংলাদেশের অসংখ্য পর্যটন স্থান রয়েছে, যেখানে সারা বছরই দেশি-বিদেশী পর্যটকদের ভীর লেগেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সমূহ। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-

বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

আর্টিকেলটির সূচিপত্র

বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি আমাদের এই দেশ। এ দেশে যেমন সুন্দর সুন্দর গ্রাম বাংলা রয়েছে ঠিক তেমনি পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্যও রয়েছে। অসংখ্য সৌন্দর্যের মাঝে বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান নির্বাচন করে ছোট্ট একটি তালিকা করা খুবই কঠিন একটি কাজ। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই সব জায়গায় ঘুরতে যেয়ে বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান গুলো মিস করতে চাইবেন না। তাই আমি আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান নির্বাচন করেছি, যেখানে আপনার একবার হলেও যাওয়া উচিৎ।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার

বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে প্রথম স্থানে রয়েছে কক্সবাজার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, যার আয়তন ১৫৫ কিলোমিটার বা (৯৬ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত।

নীল জলরাশি আর সাগরের শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, বাংলাদেশের এমন একটি দর্শনীয় স্থান যেখানে সারা বছরই ঘুরতে যেতে পারবেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দেশি বিদেশী পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করতে আসেন।

কক্সবাজারের পাশাপাশি এখানে ভ্রমণের জন্য আরও কয়েকটি বিখ্যাত ভ্রমণ স্পট রয়েছে; লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানী সি বিচ। সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র। ছুটিতে বেড়িয়ে আসার জন্য পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের তুলনাই হয় না। মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহপরী, সেন্টমার্টিন কক্সবাজারকে করেছে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়।

কক্সবাজার কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকা হতে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪১৪ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে তিনটি উপায়ে যাওয়া যায়; সড়ক, রেল ও আকাশ পথ। সড়ক পথে ঢাকার ফকিরাপুল, আরামবাগ, মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি স্থান হতে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে নন এসি গাড়ী আছে অনেকগুলো। শ্যামলী, টিআর, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, সৈাদিয়া, ইত্যাদি। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৮০০-১০০০ টাকা।ঢাকার কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে ট্রেনে করে যেতে চাইলে ভাড়া পরবে ৪০০-৮০০ টাকা এবং আকাশ পথে যেতে চাইলে ২০০০ টাকা- ১০০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

কক্সবাজারে কোথায় থাকবেন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে ছোট-বড় সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজারের উপর হোটেল বা পর্যটক মোটেল রয়েছে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ৮০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা কিংবা তার উপরে পর্যন্ত হোটেল ঠিক করে রাত্রী যাপন করতে পারবেন। আর হোটেলের আশেপাশে পুরো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত জুড়েই ভালো রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সাজেক ভ্যালি

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সাজেক ভ্যালি

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্পট হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। যা বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ভ্রমন পিপাসু দেশি-বিদেশী পর্যটকরা সাজেক ভ্যালিকে ভূস্বর্গ নামে অভিহিত করেন। চারপাশে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বিস্তৃন পাহাড়ের সাড়ি, আর তুলর মতো মেঘ, এর মধ্যই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সাজেক ভ্যালি। এখানে প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় প্রকৃতি তার রুপ বদলায়।

সাজেক ভ্যালির নাম শুনলেই যেন চোখের সামনে ভেসে আসে সকালের মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ানো, সবুজ পাহাড়ের হাতছানি দিয়ে ডাকা। সাজেক মানে  সবুজ আর অক্সিজেনের রাজ্য। পাহাড়ের রানী খ্যাত সাজেককে বিভিন্ন উপাদির রঙ্গে সজ্জিত করালেও বোধ সাজানো শেষ হবে না। সাজেকে রয়েছে দুইটি জনপ্রিয় পাড়া যেমন; রুইলুই পাড়া এবং কংলাক পাড়া। এই দুটি পাড়া ছাড়াও সাজেক ভ্যালিতে আরও দেখতে পাবেন; হাজাছড়া ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার ইত্যাদি।

সাজেক ভ্যালি কিভাবে যাবেন

সাজেক ভ্যালির অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হয়ে সাজেক ভ্যালিতে যাতায়াত অনেক সহজ। তাই সর্বপ্রথমে আপনাকে দেশের যেকোন জেলা হতে খাগড়াছড়ি আসতে হবে। খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্তর থেকে জীপ বা চাঁন্দের গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়ে সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসতে পারেন। যাওয়া আসা সহ দুই দিনের জন্য ভাড়া নিবে ৯০০০-১২০০০ টাকা। একটি জীপ গাড়িতে এক সাথে ১০-১৫ জন যেতে পারবেন।

সাজেক ভ্যালির কোথায় থাকবেন

রাঙ্গামাটি জেলায় থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ছোট বড় হোটেল ও কটেজ। বনরূপা, দোয়েল চত্বর, তবলছড়ি ও রিজার্ভ বাজারে এসব হোটেল পেয়ে যাবেন। যাওয়ার আগে বুকিং বা যাওয়ার পরে সরাসরিও এসব হোটেলে উঠতে পারেন। সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটির দিনে ভ্রমণের আগে নিজের পছন্দ অনুযায়ী অবশ্যই বুকিং নিশ্চিত করুন। কারণ বাড়তি পর্যটকের চাপে পছন্দের রুম না পেলে আনন্দ ভ্রমণে বিষাদের ছাপ নেমে আসতে পারে। এক রাত থাকার জন্য একটি রুমের ভাড়া সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন

সুন্দরবন বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে অন্যতম। সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। সুন্দরবন তিনটি জেলা যথাক্রমে; সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লবণাক্ত বনভূমি, যার মোট আয়তন ১,৩৯,৫০০ হেক্টর বা (৩,৪৫,০০০ একর)। ১৯৯৭ সালে  ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে সুন্দরবন কে স্বীকৃতি প্রদান করে।

সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া এই বনে প্রচুর পরিমানে সুন্দরী উদ্ভিদ রয়েছে যা অন্য কোন বনে পাওয়া যায় না।

সুন্দরবনের খুব কম অংশই পর্যটকদের দেখার জন্য উন্মুক্ত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পর্যটক স্থান হলো; করমজল, হারবাড়িয়া, কচিখালি, কটকা, জামতলা, হিরন পয়েন্ট ও দুবলার চর ইত্যাদি।

সুন্দরবন কিভাবে যাবেন

সুন্দরবন যেতে চাইলে আপনাকে ঢাকা থেকে প্রথমে খুলনা অথবা মংলায় যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে আপনি সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। তাছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি খুলনার বাস এবং ট্রেন রয়েছে। আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি মংলায় ও যেতে পারবেন। এরপর সেখানে লঞ্চে কিংবা ট্রলারে করে আপনি সুন্দরবন ঘুরতে পারবেন।

সুন্দরবনের কোথায় থাকবেন

সুন্দরবনে জাহাজ বা লঞ্চে করে ঘুরতে গেলে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা থাকে। পাঠক বন্ধু, আপনি যদি ব্যক্তিগত ভাবে ভ্রমণ করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে থাকার জন্য সুন্দরবনের টাইগার পয়েন্টের কচিখালী, হিরণপয়েন্টের নীলকমল এবং কাটকায় বন বিভাগের রেস্টহাউজে রয়েছে। এছাড়াও মংলায় থাকার জন্য পর্যটন কর্পোরেশন হোটেল রয়েছে। আপনি চাইলে সেখানেও থাকতে পারেন। এসব হোটেল গুলোতে এক রাত থাকার জন্য ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান কুয়াকাটা

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান কুয়াকাটা

পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটা সি-বিচ বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় দর্শনীয় একটি স্থান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এখান থেকে একই সাথে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। সূর্যোদয় দেখার জন্য গঙ্গামতির পশ্চিম বাক এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য পশ্চিম সৈকত সবচেয়ে উত্তম। এছাড়াও কুয়াকাটায় দেখার মতো আরও কয়েকটি বিখ্যাত স্থান রয়েছে। যেমন; রাখাইন পল্লী, ক্রাব আইল্যান্ড, শুঁকটি পল্লী, ফাতরার বন, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, সীমা বৌদ্ধ মন্দির ইত্যাদি।

কুয়াকাটা কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য আপনি সরাসরি বাস পাবেন। ট্রেনে যেতে চাইলে খুলনা গামী ট্রেনে যেতে হবে। তারপর ট্রেন থেকে নেমে বাসে চড়ে সরাসরি কুয়াকাটা যেতে পারবেন। লঞ্চে যেতে চাইলে বরিশাল, পটুয়াখালী কিংবা আমতলীগামী লঞ্চে উঠে পড়ুন। এরপর সকালে পৌঁছে সেখান থেকে বাসে চড়ে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।

কুয়াকাটায় কোথায় থাকবেন

কুয়াকাটায় ভালো মানের আবাসিক হোটেল বা রিসোর্ট না থাকলেও মোটামুটি মানের বিভিন্ন ধরণের হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে এক রাত থাকার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ২০০০-৩০০০ টাকা। কম বাজেটে থাকার জন্য দুই জনের রুম পেয়ে যাবেন ১০০০-২০০০ টাকায়। ছুটির দিন গুলোতে হোটেলে রুম পেতে একটু সমস্যা হলেও বাকি সময় কুয়াকাটায় হোটেল রুম সেখানে গিয়েই যাচাই বাছাই করে নিতে পারবেন। তবে ছুটির দিনে অথবা পরিবার নিয়ে গেলে আগে থেকেই বুকিং করে যাওয়া ভালো হবে।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান জাফলং

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান জাফলং

বাংলাদেশে প্রকৃতি কন্যা হিসেবে পরিচিত জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে জাফলং অবস্থিত। সিলেট শহরের জিরো পয়েন্ট হতে ৬২ কিলোমিটার দূরে গোয়াইন ঘাট উপজেলায় জাফলং অবস্থিত। অনেক আগে থেকেই সিলেটের দর্শনীয় স্থান হিসেবে জাফলং পরিচিত। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ গুলো জাফলংকে অপরুপ করেছে। সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড় টিলা। তাছাড়া ও আছে ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরামধারায় নেমে আসা জলপ্রপাত।

ঘন বন জঙ্গল, পাথরের স্তুপ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির শুনশান নিরবতার কারণে দর্শনার্থীদের দারুন ভাবে আকৃষ্ট করে এই স্থানটি।  দেশী-বিদেশী পর্যটকরা এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই এখানে ছুটে আসেন। শীত ও বর্ষা মৌসুমে জাফলং তার আসল রুপ লাবন্য ভিন্ন মাত্রায় ফুটিয়ে তুলতে পারে।

জাফলং কিভাবে যাবেন

সিলেট শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে জাফলং এর দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। সিলেট থেকে সরাসরি বাস, সিএনজি, লেগুনা কিংবা মাইক্রোবাসে চড়ে জাফলং যেতে পারবেন। লোকাল বাসে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৭০ টাকা এবং গেইটলক বিরতীহীন বাস ভাড়া পড়বে ১০০ টাকা।

বাস ছাড়াও জাফলং যাওয়ার লোকাল লেগুনা সার্ভিস রয়েছে। দর্শনীয় স্থান জাফলং যাওয়া-আসা সহ সারাদিনের জন্যে সিএনজি ভাড়া লাগবে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, লেগুনা ২০০০-২৫০০ টাকা এবং মাইক্রোবাস রিজার্ভ নিলে ভাড়া লাগবে ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা।

জাফলং এ কোথায় থাকবেন

জাফলং এ থাকার জন্য মামার বাজার এলাকায় জাফলং ইন হোটেল ও হোটেল প্যারিস সহ আরো বেশ কিছু মোটামুটি মানের রেস্ট হাউজ রয়েছে। তাছাড়া জাফলং স্পটের কাছেই জৈন্তিয়া রিসোর্ট রয়েছে, আপনি চাইলে সেখানেও থাকতে পারেন। আর সরকারী রেস্ট হাউজে থাকতে চাইলে আগে থেকেই অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান রাতারগুল

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান রাতারগুল

রাতারগুল জলাবন (wiki) বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। রাতারগুলে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে সিলেট জেলা হতে কদমতলী বাস স্ট্যান্ডে যেতে হবে, সেখান থেকে ২৬ কিলোমিটার দুরেই রাতারগুলের অবস্থান।

রাতারগুল জলাবনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সারা পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশে আছে দুটি। একটি শ্রীলংকায়, আরেকটি বাংলাদেশের রাতারগুল। রাতারগুল জলাবন বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট পৃথিবীর অন্যতম বড় বন অ্যামাজনের সাথে তুলনা করা হয়।

অ্যামাজনের সাথে তুলনা করার অন্যতম কারণ হল এই বনের বেশির ভাগ গাছ গুলো ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে ডুবে থাকে। এই বনে সাপের বসবাস অনেক বেশি। এছাড়া রয়েছে বানর, গুঁইসাপ, সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি। রাতারগুল জলাবনে আপনি বছরের যেকোন সময়ে ঘুরতে যেতে পারবেন। তবে বর্ষাকালে এ বনের সৌন্দয্য অনেক বেশিই দেখা যায়।

রাতারগুল কিভাবে যাবেন

সিলেট শহরের জিরো পয়েন্ট হতে রাতারগুল এর অবস্থান প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তাই সিলেট থেকে একদিনেই রাতারগুল ভ্রমণ করে ফিরে আসা যায়। এক সাথে ৫/১০ জন হলে সারা দিনের জন্য লেগুনা বা সিএনজি ভাড়া করে রাতারগুল ভ্রমণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সারা দিনের জন্য ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকার মতো লাগতে পারে। আপনি চাইলে রাতারগুলের সাথে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর অথবা  বিছানাকান্দি ঘুরে দেখতে পারেন।

রাতারগুলে কোথায় থাকবেন

রাতারগুল ভ্রমণ স্পটে থাকার জন্য লালা বাজার এলাকা ও দরগা রোডে কম ভাড়ায় মানসম্মত কয়েকটি রিসোর্ট এবং হোটেল রয়েছে, যেখানে আপনি ৫০০ -১০০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনে রুম পাবেন। এছাড়া হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা, কায়কোবাদ ইত্যাদি হোটেলে আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী থাকতে পারবেন। সব হোটেলে থাকতে হলে আপনার খরচ হবে ২,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান শ্রীমঙ্গল চা বাগান

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান শ্রীমঙ্গল চা বাগান

শ্রীমঙ্গল চা বাগান বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা। এ উপজেলাকে আমাদের দেশের চা এর রাজধানী বলা হয়ে থাকে। শ্রীমঙ্গল উপজেলাটি সিলেট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এবং পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা এবং দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমানা। শ্রীমঙ্গল উপজেলা চা ছাড়াও রাবার, আনারস, কাঠ, পান, লেবু শিল্পের জন্যও ব্যাপক পরিচিত।

এ উপজেলায় রয়েছে নানা রকম বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান, যা যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে রেখেছে। দেশের পর্যটকরা সহ অনেক বিদেশী পর্যটকরা সারা বছর এই উপজেলায় ভ্রমণ করতে আসেন। এ উপজেলায় ভ্রমণ করার জন্য উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হলো; লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হাম হাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, বাইক্কা বিল জলাভূমি অভয়ারণ্য, ইকো পার্ক ইত্যাদি।

শ্রীমঙ্গল চা বাগান কিভাবে যাবেন

দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে আপনি শ্রীমঙ্গলে যেতে পারবেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় আসতে হবে। সেখান থেকে স্থানীয় যানবাহনে চড়ে শ্রীমঙ্গলে যেতে পারবেন। শ্রীমঙ্গলে গিয়ে স্থানীয় যানবাহন রিজার্ভ করে নিয়ে সারা দিন বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুর দেখতে পারবেন। একদিনের জন্য গাড়ি রিজার্ভ করতে আপনার ২০০০-৩০০০ টাকা বা তার কিছু বেশি লাগতে পারে।

শ্রীমঙ্গলে কোথায় থাকবেন

শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের হোটেল ও কটেজ পাওয়া যায়। আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী হোটেল বা বা কটেজ বুকিং করে থাকতে পারেন। মোটামুটি মানের হোটেলে এক রাত থাকার জন্য আপনাকে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি লাক্সজারী হোটেলে থাকতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আপনি চাইলে সরকারী ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ভ্রমনের ২/৩ দিন আগে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সেন্টমার্টিন

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সেন্টমার্টিন

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন কক্সবাজার জেলার অর্ন্তগত টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে অবস্থিত। সেন্টমার্টিন উপজেলা নারকেলের জিঞ্জিরা নামে সর্বাধিক পরিচিত। সেন্টমার্টিন পর্যটন কেন্দ্রের মোট আয়তন ১৯৭৭ একর বা ৮ বর্গ কিলোমিটার। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি বিদেশী পর্যটকরা আসেন এই সেন্টমার্টিন বা প্রবাল দ্বীপে ভ্রমণ করার জন্য। এখানে রয়েছে সারি সারি নারকেল গাছ, যা দ্বীপের সৌন্দর্য আরও বহুগুনে বৃদ্ধি করার সাথে সাথে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের দুর্নিবার আকর্ষনে কাছে টেনে নেয়। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত সেন্টমার্টিন দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পর্যটন স্থান হিসাবে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে।

সেন্টমার্টিন কিভাবে যাবেন

সেন্টমার্টিন এ যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই টেকনাফ যেতে হবে। সেখান থেকে জাহাজে অথবা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। টেকনাফ উপজেলার নামারবাজার ব্রিজ বা জেটি ঘাট থেকে ট্রলার, স্পিডবোট ও মালবাহী ট্রলার ছাড়ে। ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাবার ভাড়া জনপ্রতি ২৫০-৩৫০ টাকা। এটা সিজন ও যাত্রীভেদে কম বেশি হয়ে থাকে।

সেন্টমার্টিনে কোথায় থাকবেন

সেন্টমার্টিন পর্যটনকেন্দ্রে রাতে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের রিসোর্ট, হোটেল ও কটেজ রয়েছে। ছুটির দিনে গেলে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া সুবিধাজনক। তবে চাইলে সেখানে গিয়েও পছন্দমত রিসোর্ট ঠিক করতে পারবেন। সেন্টমার্টিনের জনপ্রিয় কয়েকটি রিসোর্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্লু মেরিন রিসোর্ট, প্রাসাদ প্যারাডাইস রিসোর্ট, নীল দিগন্তে রিসোর্ট, প্রিন্স হেভেন রিসোর্ট, দি আটলান্টিক রিসোর্ট, এবং সায়রী ইকো রিসোর্ট ইত্যাদি। এসব হোটেলে এক রাত থাকার জন্য আপনাকে ২০০০-৩০০০ টাকা খরচ করতে হবে। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন কম মানের কটেজ রয়েছে, আপনি চাইলে সেখানেও থাকতে পারেন।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ

বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান স্থানের মধ্যে কাপ্তায় রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ অন্যতম। অপরূপ নয়নাভিরাম বহুরঙা এই ঝুলন্ত ব্রিজ দুইটি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্যে গড়ে দিয়েছে হৃদ্দিক সম্পর্ক। ঝুলন্ত ব্রিজ পারাপারের সময় সৃষ্ট কাঁপুনি আপনাকে এনে দেবে ভিন্ন দ্যোতনা। এখানে দাঁড়িয়েই কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন। কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। ওপারেই রয়েছে আদিবাসী গ্রাম। ইচ্ছে হলেই দেখতে পাবেন আদিবাসী জীবনযাপনের ক্ষয়িষ্ণু চালচিত্র। কাপ্তায় রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে এসে আপনি আরও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র (শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক, শুভলং ঝর্ণা, কাপ্তাই লেক, উপজাতীয় জাদুঘর, ঝুম রেস্তোরা, টুকটুক ইকো ভিলেজ, চিৎমরম গ্রাম ও টাওয়ার, যমচুক) দেখতে পাবেন।

ঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ কিভাবে যাবেন

রাঙ্গামাটি জেলা শহরের তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি কাপ্তায় ঝুলন্ত ব্রিজ পর্যটন স্পটে যাওয়া যায়। এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। যারা ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সার্ভিস বাসে করে আসবেন তাদের তবলছড়িতে নেমে অটোরিক্সা বা সিএনজি রিজার্ভ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জন প্রতি ভাড়া পড়বে ১০০-১২০ টাকা।

রাঙ্গামাটি জেলায় কোথায় থাকবেন

রাঙ্গামাটি জেলায় থাকার জন্য বিভিন্ন মানের গেষ্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। শহরের পুরাতন বাস স্ট্যন্ড ও রিজার্ভ বাজার এলাকায় লেকের কাছাকাছি হোটেল ঠিক করার চেষ্টা করুন। তাহলে হোটেল থেকে কাপ্তাই লেকের পরিবেশ ও শান্ত বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। রাঙ্গামাটি জেলায় থাকার জন্য ভালো মানের উল্লেখযোগ্য কিছু আবাসিক হোটেলে হচ্ছে; হোটেল গ্রিন ক্যাসেল, পর্যটন মোটেল, রংধনু গেস্ট হাউজ ইত্যাদি। এসব হোটেলে থাকার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান ষাটগম্বুজ মসজিদ

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান ষাটগম্বুজ মসজিদ

ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। ষাটগম্বুজ মসজিদটির কোন শিলালিপি না থাকায় এ মসজিদের প্রতিষ্টাতা ও নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মসজিদের স্থাপত্যশৈলী দেখে ধারণা করা হয়, খান-ই-জাহান ১৫০০ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে গম্বুজ মসজিদ অন্যতম। ইউনেস্কো ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।

বিভিন্ন ঐতিহাসিকরা মনে করেন, ৭ টি সারিবদ্ধ গম্বুজ সারি আছে বলে এ মসজিদের সাত গম্বুজ এবং তা থেকে ষাট গম্বুজ নাম হয়েছে। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, গম্বুজগুলো ৬০ টি প্রস্তরনির্মিত স্তম্ভের ওপর অবস্থিত বলেই নাম ষাট গম্বুজ মসজিদ হয়েছে।

ষাট গম্বুজ মসজিদ কিভাবে যাবেন

ষাট গম্বুজ মসজিদে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে খুলনা জেলায় আসতে হবে। খুলনা জেলা থেকে বিভিন্ন লোকাল বাস বা সিএনজি করে ষাট গম্বুজ মসজিদে যাওয়া যায়। খুলনা থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদে আসতে প্রায় ১.৩০ ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা লাগতে পারে।

বাগেরহাট জেলায় কোথায় থাকবেন

বাগেরহাট জেলায় থাকার জন্য তেমন ভাল কোন ব্যবস্থা নেই, তবে মাঝারি মানের কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। রেল রোডে মমতাজ হোটেলে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও সেবার মান তুলনামূলক ভাল, তবে খরচ একটু বেশি।তাছাড়া মমতাজ হোটেলের আশেপাশে অন্য হোটেল গুলোতেও থাকার জন্য খোঁজ নিতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা জেনে নিলেন তো বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সমূহ। আপনি যদি একজন খাঁটি ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক বেশিই ভালো লেগেছে। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে আপনার মতামত জানাতে পারেন আর এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সিলেটের ১০টি দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড

সেন্টমার্টিন দ্বীপ । সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থান ও হোটেল ভাড়া

রাঙ্গামাটি দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড । রাঙ্গামাটি সংক্ষিপ্ত পরিচয়