রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মেগা প্রকল্প। প্রায় ২৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে পারমাণবিক বিদ্যুতের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। অনেকেই আছেন যারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইনে শ্রাস করে থাকেন, কিন্তু বিস্তারিত সব রকম তথ্য আশানুরুপ ভাবে খুঁজে পান না, আবার খুঁজে পেলেও অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই আমি আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য আলোচনা করবো। তাই সাথেই থাকুন–
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বাংলাদেশে এই প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইতিহাস অনেক পুরানো। সর্ব প্রথম পাকিস্তান আমলের সময়ে ১৯৬১ সালে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। ষাটের দশকেই ,পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পদ্মা নদী তীরবর্তী রূপপুর-কে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয় এবং প্রকল্পের জন্য ২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ১৯৭০ সালে রূপপুর প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়।
যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবারও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। ১৯৭৭ সালে আবার ফিজিবিলিটি স্টাডি করে একনেকে ১২৫ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্প অনুমোদন হলেও নানা জটিলতায় তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। পরবর্তিতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়তন ও অবস্থান
বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ২’শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গত পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। প্রকল্পটি পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর পাশেই নদীতীরে প্রায় ২৬০ একর জমির উপর অবস্থিত।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ জগতে বাংলাদেশের প্রবেশ
মাননীয় প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ নভেম্বর ২০১৭ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নং ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন করেন। ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর এবং ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যথাক্রমে এই কেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লিপাত্র বা রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন
২০২৪ সালের মার্চে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিটেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সমপরিমাণ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি ভাবে কাজ করে
আমরা অনেকেই জানি না যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিভাবে কাজ করে। কেও কেও আবার কৌতূহল বশত অনলাইনে গিয়ে খুঁজে থাকেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের আরও জানাবো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিভাবে কাজ করে। তার আগে জেনে নিবো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি-
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হল এমন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেখানে পারমাণবিক বিভাজনের মাধ্যমে তাপশক্তি উৎপন্ন করা হয় এবং সেই তাপশক্তি দিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। পারমাণবিক বিভাজন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ভারী নিউক্লিয়াসকে হালকা নিউক্লিয়াসে বিভক্ত করা হয়, যার ফলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। বেশিভারভাগ ক্ষেত্রে ভারী জ্বালানি হিসাবে ইউরোনিয়াম ব্যবহার করা করা।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কাঠামো
শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই না পৃথিবীর প্রায় সকল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়েকটি কাঠামোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। আসুন জেনে নেই কি ভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাজ করে-
রি-অ্যাক্টর
রিঅ্যাক্টর হল সেই অংশ যেখানে পারমাণবিক বিভাজন ঘটে। রিঅ্যাক্টরে একটি নিউক্লিয়ার জ্বালানি, যেমন ইউরেনিয়াম বা থোরিয়াম ব্যবহার করা হয় , আমাদের রূপপুরে ইউরোনিয়াম ব্যবহার করা হচ্ছে।
কুলিং সিস্টেম
রিঅ্যাক্টর হল সেই অংশ যেখানে পারমাণবিক বিভাজন ঘটে। রিঅ্যাক্টরে একটি নিউক্লিয়ার জ্বালানি, যেমন ইউরেনিয়াম বা থোরিয়াম ব্যবহার করা হয় , বর্তমানে আমাদের রূপপুরে ইউরোনিয়াম ব্যবহার করা হচ্ছে।
টারবাইন
টারবাইন হল সেই অংশ যেখানে তাপশক্তি বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়। টারবাইনে পানি বা বাষ্প প্রবাহিত হয়, যা টারবাইনকে ঘোরায়।
জেনারেটর
জেনারেটর হল সেই অংশ যেখানে টারবাইনের ঘূর্ণনশক্তি বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন প্রক্রিয়া
পারমাণবিক জ্বালানি শক্তির মূল উপাদান হলো ক্ষুদ্র আকৃতির ইউরেনিয়াম পেলেট। এ রকম কয়েকশ পেলেট একটি নিশ্ছিদ্র ধাতব টিউবে বা রি-অ্যাক্টরে কৃত্রিম পরিবেশে ঢোকানো হয়। সেখানে ইউরোনিয়াম বা থেরিয়ামের নিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হতে থাকে যাকে চেইন রিয়্যাকশন বলে।
বড় বড় নিউক্লিওয়াস ভেঙ্গে ছোট ছোট পাতলা নিউক্লিওয়াস পরিনত হয়, এবং সাথে সাথে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। তারপর কুলিং সিস্টেম পানি, বাষ্প বা তরল সোডিয়ামের দ্বারা রিয়াক্টরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বিভাজনে উৎপন্ন তাপ দিয়ে পানি বা বাষ্প গরম হয়ে টারবাইনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। টারবাইনের আরেক প্রান্তে থাকে জেনারেটর, যা ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কম বেশি জেনে রাখা প্রয়োজন। কারন আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং সাধারন জ্ঞান অর্জন করতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। আপনারা যারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান জানতে চান তারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
আজকে আমি এই আর্টিকেল থেকে আপনাদের জানাতে চেষ্টা করবো যে, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত, কোন নদীর তীরে অবস্থিত এবং কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কবে উদ্বোধন করা হয় বায এর মেয়াদকাল কবে শেষ ইত্যাদি। এক পলকে জেনে নেওয়া যাক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রশ্ন এবং উত্তর-
১. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্পের নাম কি?
উত্তরঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
২. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ পাবনা জেলা।
৩. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাবনা জেলার কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রামে।
৪. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সর্বমোট কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম?
উত্তরঃ ২৪০০ মেগাওয়াট।
৫. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা কত?
উত্তরঃ ২.৪ গিগা ওয়ার্ড।
৬. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ কত বছর?
উত্তরঃ ১০০ বছর।
৭. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?
উত্তরঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
৮. কোন নদীর তীরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত?
উত্তরঃ পদ্মা নদীর তীরে।
৯. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানির নাম কি?
উত্তরঃ ইউরেনিয়াম U-২৩৫।
১০. কত লাখ পরিবার এই বিদ্যুৎ গ্রহন করতে পারবে?
উত্তরঃ প্রায় ১৮ লাখ।
১১. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের মোট খরচ কত?
উত্তরঃ ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
১২. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের দায়িত্ব কোন সংস্থা কে দেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ রাশিয়ার রসাটমের এটোমস্ট্রোয় একপোর্ট (এএসই) নামীয় সংস্থাকে।
১৩. বাংলাদেশ সরকার রুপপুর প্রকল্প কত সালে গ্রহন করে?
উত্তরঃ ২০০৯ সালে।
১৪. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কত জন লোকের কর্মসংস্থান হবে?
উত্তরঃ প্রায় ২৫০০ জনের।
১৫.রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের মেয়াদকাল কত বছর?
উত্তরঃ জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
১৬. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে কোন কোম্পানি?
উত্তরঃ রাশিয়ান কোম্পানি।
১৭. বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি?
উত্তরঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
১৮. রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন চুল্লি ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ রাশিয়ানvver-1200।
১৯. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিশ্বের কততম?
উত্তরঃ ৩৩ তম।
২০. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কত একর জায়গার উপর অবস্থিত?
উত্তরঃ ২৬০ একর।
২১. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট কত সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে?
উত্তরঃ ২০২৩ সালে।
২২. ঢাকা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত?
উত্তরঃ ২০০ কিলোমিটার।
২৩. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন ইউনিয়নে অবস্থিত?
উত্তরঃ পাকশী ইউনিয়নে।
২৪. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক কে ?
উত্তরঃ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
২৫. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালক কে?
উত্তরঃ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।
২৬. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তাপীয় ক্ষমতা কত?
উত্তরঃ ২ × ৩২০০ মেওতাপীয়
২৭. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন কোন ব্রিজের পাশে অবস্থিত?
উত্তরঃ হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর পাশেই।
২৮. রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি কোথায় নির্মাণ করা হয়েছে?
উত্তরঃ রাশিয়াতে।
২৯. রূপপুর কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কতটি ইউনিট রয়েছে?
উত্তরঃ ২ টি।
৩০. রূপপুর কেন্দ্রে ১ ইউনিট কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে?
উত্তরঃ ১২০০ মেগাওয়াট।
শেষ কথা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশের প্রথম এবং বিশ্বের ৩৩ তম একটি মেগা প্রকল্প। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের কে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা দিতে পেরেছি। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ জানতে পেরেছেন। যদি এই আর্টিকেলটি আ[পনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। এছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ইনশাআল্লাহ্ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে আরও জানতেঃ- ভিজিট করুন।
Leave a Comment