ঘর থেকে বাইরে পা বাড়ালেই প্রয়োজন এক জোড়া জুতা। এ ছাড়াও মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে তার জুতায়। সেজন্য জুতা হওয়া চাই মানানসই। কারণ, বেমানান জুতা মুহূর্তেই নষ্ট করে দিতে পারে আপনার পুরো স্টাইল স্টেটমেন্ট। তাই আপনার পোশাকের সাথে জুতাও হওয়া চাই মানানসই।
জুতা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আপনি যে পরিবেশেই থাকুন না কেন আপনার পায়ে যদি আরামদায়ক জুতা না থাকে তবে আপনি কোথাও আরাম করে সময় কাটাতে পারবেন না। অনেক সময় দেখা যায় কোন পোশাকের সঙ্গে কেমন জুতা পরতে হবে (wiki) , তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের জুতা সম্পর্কে।
কখন কি জুতা
বছরজুড়ে থাকে নানান উৎসব। অন্যদিকে বাসা, পার্টি, অফিস- সব জায়গায় এমন জুতা ব্যবহার করা উচিত যেন নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানায়। জুতা আপনার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের মর্যাদার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় কোন পোশাকের সঙ্গে কেমন জুতা পরতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। জুতা পরার আগে জেনে নিন কোন ইভেন্টে কোন জুতা পড়বেন।
ভ্রমণের জন্য পারফেক্ট জুতা
ভ্রমণের সময় অবশ্যই স্বাচ্ছন্দ্যের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ সময় কাপড়ের জুতা অথবা আরামদায়ক কেডস নির্বাচন করা যেতে পারে, তবে তা ভ্রমণ উপযোগী ও পরিষ্কার কি-না, মুল্যায়ন করে নেওয়া ভালো। ভ্রমণের অবস্থা, সময় এবং ধরণ বুঝে জুতা নির্বাচন করুন।
পার্টি ও অনানুষ্ঠানিক পরিবেশের উপযুক্ত জুতা
পার্টি ও অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে রেশমী অথবা ভেলভেট পরা হয়। সেই সাথে পোশাকের ধরন ও ব্যাগের রঙের সাথে মিল রেখেও জুতা নির্বাচন করা যেতে পারে।
কর্মপরিবেশ অনুযায়ী জুতা
কনজারভেটিভ কর্মপরিবেশে বিশেষ করে আইন ফার্ম, ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান অথবা অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলোতে ফ্যাশনেবল জুতা পরা একটু বেমানান। তাই মেয়েদের বাদামি রঙ বা কালো রঙের ২ বা আড়াই ইঞ্চির উঁচু নরম লেদারের হিল পরা ভালো। বিশেষ করে আপনি যদি বিজ্ঞাপন ফার্ম অথবা ফ্যাশন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, ট্রাভেল এজেন্সি কিংবা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম ইত্যাদির প্রতিনিধি হন তাহলে আপনার পোশাকের সাথে ফ্যাশনেবল জুতা আপনার ব্যক্তিত্বকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলবে। অনেক অফিসে মেয়েরা যদি শাড়ি অথবা পায়ের গোড়ালি ২ ইঞ্চি উপর পর্যন্ত স্কার্ট পরে তাহলে তারা ‘পিপ টোড’ জুতা পরতে পারে।
খেলার সময় কোন জুতা
খেলার সময় কেডস জাতীয় জুতা পরা ভালো। তবে খেলার ধরন অনুযায়ী জুতা নির্বাচন করতে হয়। যেমন: ব্যডমিন্টন ও টেনিস খেলার জন্য টেনিস ‘সু’, ফুটবল খেলার সময় বুট জাতীয় জুতা, প্রাতভ্রমণের সময় কেডস, রানিং ‘সু’ অথবা টেনিস ‘সু’ পরা যেতে পারে।
বৃষ্টি দিনের জুতা
জুতা পরার সময় অবশ্যই আবহাওয়ার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। চারদিকের পরিবেশ বুঝে বৃষ্টির দিনে জুতা নির্বাচন করুন। পানি ও কাদার সঙ্গে যুদ্ধ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে বের হতে পারাটা আপনার জন্য কৃতিত্বের। প্রয়োজনে আপনার সাথে একজোড়া রেইন বুট রাখতে পারেন। তবে অফিসে এসে ভারী জুতা পাল্টে নিন। শীতল আবহাওয়ার জন্য, উলের টাইট জুতা বা হাইনেক রাইডিং জুতা পরতে পারেন।
স্যান্ডেল জুতা
রাবারের স্যান্ডেল অথবা স্পঞ্জ পরে অফিস করা উচিত নয়। এই জুতা গুলো সাধারণত বাসায়, ওয়াশরুম অথবা পরিচ্ছন্নতার কাছে পরা হয়। গরমের দিনে যদি অফিসে স্যান্ডেল পরতেই হয় তাহলে অফিসের অনুমতি নিয়ে পরা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মান সম্পন্ন, মানানসই লেদারের স্যান্ডেল পরা উত্তম।
আড্ডা বা ঘোরাঘুরি প্রিয় জুতা
স্টাইলিস্টদের মতে, আধুনিকতা ও রুচির প্রমাণ পাওয়া যায় জুতার ব্যবহার দেখে, যা নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সমান। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই বলে থাকেন, ‘প্রতিটা সফল নারীর পেছনে তার জুতার কৃতিত্ব বিদ্যমান।’ আবার অনেকে এটাও বলেন যে, ‘একজন নারীকে সঠিক জুতাটা দাও, তাহলে সে তার পুরো দুনিয়া উদ্ধার করে দেখাবে।’ জুতা এমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান স্টাইল ও ফ্যাশনের ক্ষেত্রে। আজকের এই আর্টিকেল জুড়ে আমি চেষ্টা করেছি মেয়েরা কোন ইভেন্টে কোন জুতা পড়বেন সে বিষয়টি স্পষ্ট করে তোলার। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে, সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Leave a Comment