বাংলাদেশে ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বিকাশের ৭ কোটি গ্রাহক আছে। তো সে অনুযায়ী ধরে নিচ্ছি আপনি বিকাশ ব্যবহার করেন, ব্যবহার না করলেও বিকাশের নাম তো নিশ্চয় শুনেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমি বিকাশ কি এবং এর ফিচারগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো। এই আর্টিকেল পুরোটা পড়লে আপনি বিকাশের সবগুলো সুবিধা ও সার্ভিস সম্পর্কে জানতে পারবেন, চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
বিকাশ কি?
বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (MFS) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিকাশ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে এমন ব্যাক্তির কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিকাশের সার্ভিস শুধু টাকা পাঠানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সময়ের সাথে সাথে বিকাশ গ্রাহকের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সার্ভিস সংযুক্ত করেছে। বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত, নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী ভাবে এই সার্ভিসগুলো ব্যবহার করা যায়। আপনি দুইভাবে বিকাশ ব্যবহার করতে পারবেন, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে এবং আপনার ফোন থেকে #২৪৭* ডায়াল করে।
বিকাশ এর ইতিহাস
চলুন সংক্ষিপ্তভাবে বিকাশের ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক। ২০১১ সালে রবি নেটওয়ার্কে বিকাশ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে বিকাশ এর যাত্রা শুরু হয়। আমেরিকার মানি ইন মোশন এলএলসি এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগ বিকাশের যাত্রা শুরু হয়। যাত্রা শুরু করার ১ বছরের মধ্যে ২০১২ সালেই বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহক ২০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২০১৩ সালে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১ কোটিতে এবং সে সময় বিকাশের এজেন্ট পয়েন্ট ছিল ৫০ হাজার।
সময়ের সাথে সাথে যেমন বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি বিকাশ দেশ বিদেশে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। ২০১৬ সালে বিকাশ রেমিটেন্স সেবা চালু করে। বিকাশ অ্যাপ চালু হয় ২০১৮ সালে তখন বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ২০২২ সালে বিকাশ ৪র্থ বার দেশসেরা ব্র্যান্ড ও সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।
বর্তমানে ২০২৩ সালে বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। সময়ের সাথে সাথে বিকাশ বিভিন্ন সেবা সংযুক্ত করেছে, আর আজকের এই আর্টিকেলে আমি সেই সব সেবাগুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
বিকাশ কেন ব্যবহার করবেন?
বিকাশের অনেক সুবিধা আছে, যেমন- সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট, অ্যাড মানি, পে বিল, সেভিংস, লোন, বিকাশ টু ব্যাংক, রিকোয়েস্ট মানি, রেমিটেন্স, এডুকেশন ফি, মাইক্রোফাইন্যান্স, ডোনেশন, ইন্স্যুরেন্স। এই কাজগুলো আগে করার জন্য মানুষের অনেক সময় নষ্ট হতো, ব্যাংকের লাইনে আনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। কিন্তু বিকাশ ব্যবহার করে আপনি সহজেই ও দ্রুত সময়ে যেকোনো জায়গা থেকে এই সুবিধাগুলো নিতে পারবেন।
প্রতিদিনের এই সব প্রয়োজনগুলো এখন আপনি বিকাশ ব্যবহার করে অনেক সহজেই করে ফেলতে পারবেন।
চলুন বিকাশের এই সবগুলো সুবিধা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা নেওয়া যাক-
বিকাশে সেন্ড মানি
আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে অন্য বিকাশ একাউন্টে অথবা অন্য যেকোনো মোবাইল নাম্বারে মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠাতে পারবেন।
সেন্ড মানি ফিচারের কিছু সুবিধা আছে, যেমন-
প্রিয় নাম্বারে সেন্ড মানি ফ্রি!
সবার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫টি প্রিয় নাম্বারে সেন্ড মানি ফ্রি। বিকাশ অ্যাপ থেকে অথবা *247# ডায়াল করে আপনার বিকাশ একাউন্টে ৫টি প্রিয় নাম্বার সেট করলেই প্রতি মাসে মোট ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি ফ্রি। ৫টি প্রিয় নাম্বার সেট করার পরে প্রয়োজন মতো আবার বদলে ফেলতে পারবেন। শুধু তাই নয়, যেকোনো নাম্বারে ১০০ টাকা পর্যন্ত একদম ফ্রিতে সেন্ড মানি করতে পারবেন যত খুশি ততবার।
বিকাশ গ্রুপ সেন্ড মানি
সবাইকে একসাথে টাকা পাঠাতে গ্রুপ সেন্ড মানি ফিচার ব্যবহার করেত পারেন। গ্রুপ সেন্ড মানির মাধ্যমে আপনি একসাথে একাধিক গ্রাহককে তাদের বিকাশ একাউন্টে ভিন্ন ভিন্ন বা একই পরিমাণ টাকা পাঠাতে পারবেন।
সেন্ড মানি টু নন বিকাশ
আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে একাউন্ট নেই এমন যে কাউকে টাকা পাঠাতে পারবেন। প্রাপক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের বিকাশ একাউন্ট খুলে নিলে তার একাউন্টে সেই টাকা পেয়ে যাবেন।
বিকাশ একাউন্ট থেকে মোবাইল রিচার্জ
মোবাইল রিচার্জ সেবার মাধ্যমে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। যেকোনো অপারেটরে কোন প্রকারের ফি ছাড়াই যেকোনো এমাউন্ট রিচার্জ করতে পারবেন।
রিচার্জের সেরা অফার
এই ফিচার ব্যবহার করে আপনি যখন রিচার্জ করতে যাবেন তখন আপনার এমাউন্টের জন্য ভালো কোন অফার আছে তা শো করবে। সহজেই আপনি আপনার পছন্দের অফারটি বেছে নিতে পারবেন।
বিকাশ অটো-রিচার্জ
বিকাশ গ্রাহকরা ব্যালেন্স শেষ হওয়ার আগেই তাদের নিজস্ব বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে অটো-রিচার্জ সুবিধা চালু করতে পারবেন।
অটো-রিচার্জ সুবিধায় রেজিস্ট্রেশনের পর, মোবাইলের ব্যালেন্স ১০ টাকা অথবা তার কম হলেই রেজিস্টার করা নাম্বারে আপনার সেট করা রিচার্জ অ্যামাউন্টটি পৌঁছে যাবে। যেকোনো সময় গ্রাহক প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যামাউন্টটি পরিবর্তন করতে পারবেন। এয়ারটেল, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক এবং রবি গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপ ও *247# ডায়াল করে এই সার্ভিসটি উপভোগ করতে পারবেন।
বিকাশ ক্যাশ আউট
আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে যেকোনো সময় ক্যাশ আউট করতে পারবেন। বিকাশের এজেন্ট এবং এটিএম নেটওয়ার্ক অনেক বড় হওয়ার জন্য প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও আপনি সহজেই এই ক্যাশ আউট সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ক্যাশ আউট এর জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট
আপনার বিকাশ একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকলে আপনি দেশের যেকোনো বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা ক্যাশ আউটের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। এখন তো প্রতিটি পাড়া, অলিগলিতে বিকাশের এজেন্ট আছে। আর প্রিয় এজেন্টের কাছ থেকে হাজারে ১৪.৯০ টাকা ফি দিয়ে ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
এটিএম থেকে ক্যাশ আউট
বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে সারাদেশের নির্দিষ্ট এটিএম বুথ থেকে হাজারে ১৪.৯০ টাকা ফি দিয়ে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। সারাদেশের যেকোনো ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং Q-Cash এটিএম থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবেন খুব সহজেই।
বিকাশ পেমেন্ট
পেমেন্ট সেবার মাধ্যমে, বিকাশ গ্রহণ করে এমন যেকোনো মার্চেন্টকে আপনি পেমেন্ট করতে পারেন আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে। এখন আপনি দেশজুড়ে ৪৭,০০০-এর বেশি দোকানে কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করতে পারবেন। অনলাইন এবং QR স্ক্যান করে মুহূর্তের মধ্যে পেমেন্ট করতে পারবেন।
বিকাশে অ্যাড মানি
আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা কার্ডের মাধ্যমে মুহূর্তেই আপানর বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন।
ব্যাংক টু বিকাশ
আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট থেকে যেকোনো সময়ে বিকাশ কাস্টমার একাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবেন।
মাস্টারকার্ড টু বিকাশ
অ্যাকটিভ বিকাশ একাউন্ট থাকলে বাংলাদেশ এর যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ইস্যু করা ডেবিট, ক্রেডিট অথবা প্রি-পেইড মাস্টারকার্ড থেকে টাকা আনতে পারবেন। এছাড়া লংকাবাংলা ফাইন্যান্স থেকে ইস্যুকৃত মাস্টারকার্ড থেকেও বিকাশ একাউন্টে টাকা আনতে পারবেন।
ভিসা টু বিকাশ
ব্যাংকের ভিসা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে বিকাশ একাউন্টে টাকা আনতে পারবেন অনায়াসে, কোনো চার্জ ছাড়াই। শুধু তাই নয়, একবার ভিসা কার্ড থেকে টাকা আনার পর পরবর্তীতে আরো দ্রুত লেনদেনের সুবিধার জন্য কার্ডের তথ্যও সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
বিকাশের মাধ্যমে পে বিল
আপনার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, টেলিফোন, টিভি, ক্রেডিট কার্ড বিল অথবা যেকোনো সরকারি ফি বিকাশের মাধ্যমে ঘরে বসে পরিশোধ করতে পারবেন। পেমেন্ট করার পরে ডিজিটাল রিসিট পেয়ে যাবেন।
বিকাশ সেভিংস
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকে টাকা জমা করতে পারবেন এবং এর উপরে মুনাফা পাবেন।
বিকাশ অ্যাপে দুই ধরণের সেভিংস সুবিধা আছে-
সাধারণ সেভিংস
আকর্ষণীয় মুনাফাসহ সহজে ও নিরাপদে বিকাশ অ্যাপের সেভিংস সার্ভিসের “সাধারণ সেভিংস” অপশনে টাকা জমা করতে পারবেন। সাধারণ সেভিংস তালিকায় থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকসমূহ-
- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
- আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
ইসলামিক সেভিংস
কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই বিকাশ অ্যাপের ‘সেভিংস’ সার্ভিস থেকে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের সাথে শুরু করতে পারবেন শরিয়াহ মোতাবেক ইসলামিক সেভিংস। এই সেভিংসের আওতায় প্রতিমাসে টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে সিটি ব্যাংক ইসলামিকে জমা হবে। মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ আসল টাকা চলে আসবে আপনার বিকাশ একাউন্টে। মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ সম্পূর্ণ টাকা ক্যাশ আউট করতে কোনো খরচও লাগবেনা।
বিকাশ লোন
বিকাশ গ্রাহকরা সিটি ব্যাংক থেকে কোনো কাগজপত্র ছাড়া লোন নিতে পারবেন।
একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। এই লোনের টাকা সরাসরি আপনার বিকাশ একাউন্টে জমা হবে এবং উত্তোলন করতে পারবেন। একজন গ্রাহক একবারে একটি লোনই নিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্দেশনা অনুযায়ী লোন অ্যামাউন্টের উপর বাৎসরিক ৯% ইন্টারেস্ট রেট দিতে হবে।
বিকাশ টু ব্যাংক
বিকাশ থেকে ভিসা ডেবিট কার্ড বা ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই।
বিকাশ টু ব্যাংক
বিকাশ টু ব্যাংক সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন যেকোনো সময়। বিকাশ টু ব্যাংক দিয়ে শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, এ.বি ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ, ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডে টাকা পাঠাতে পারবেন।
“বিকাশ টু ব্যাংক” করুন ভিসা ডেবিট কার্ডে
ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিতে আর ব্যাংকে যেতে হবে না। বিকাশ অ্যাপ থেকে “বিকাশ টু ব্যাংক” সুবিধা ব্যবহার করে ভিসা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন।
রিকোয়েস্ট মানি
আপনার পরিচিতজনকে মানি রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন যেকোনো সময়। বিকাশ অ্যাপের ‘রিকোয়েস্ট মানি’-তে গিয়ে রিসিভারের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার সিলেক্ট করে টাকার পরিমাণ আর পিন দিলেই আপনার রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়ে যাবে। দৈনিক সর্বোচ্চ ১০ জনকে ১০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত রিকোয়েস্ট করতে পারবেন কোনো চার্জ দিতে হবে না।
বিকাশ একাউন্টের রেমিটেন্স সুবিধা
বিদেশ থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টের রেমিটেন্স সুবিধা ব্যবহার করে নিরাপদে টাকা নিতে পারবেন।
মানি ট্রান্সফার সার্ভিস
বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা খুব সহজে অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত ফরেইন ব্যাংক, মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন এবং মানি এক্সচেইঞ্জ হাউজগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রিয়জনের বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্টের রেমিটেন্স সুবিধা
দেশজুড়ে ফ্রিল্যান্সাররা কোনো অপেক্ষা আর কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা সরাসরি বিকাশ একাউন্টে আনতে পারবে মুহূর্তেই।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন
আপনি বিদেশ থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে গোপন নাম্বার (এমটিসিএন) দিয়ে পাঠানো রেমিটেন্সের টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে নিতে পারবেন এবং প্রতি হাজারে ২৫ টাকা সরকারি বোনাস পাবেন।
বিকাশের মাধ্যমে এডুকেশন ফি
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অথবা অনলাইন কোর্সের যেকোনো ফি এখন বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে সাথে সাথে ডিজিটাল রিসিট নিতে পারবেন।
মাইক্রোফাইন্যান্স (NGO পেমেন্ট)
আপনার মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের লোন, ডিপিএস অথবা সেভিংস এর কিস্তির টাকা এখন বিকাশের মাধ্যমে ঘরে বসে ঝামেলাহীনভাবে পরিশোধ করেত পারবেন।
বিকাশ থেকে ডোনেশন
সুবিধাবঞ্চিতদের জীবনটা সম্ভাবনাময় করে তুলতে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কিংবা যাকাত ফান্ডে বিকাশের মাধ্যমে অনুদান দিতে পারবেন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম, প্রথম আলো ট্রাস্ট সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে বিকাশ থেকে ডোনেশন দেওয়ার সুযোগ আছে।
বিকাশ ইন্স্যুরেন্স
ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম পরিশোধ নিয়ে আর ঝামেলা পোহাতে হবে না। ঘরে বসে সহজেই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
বিকাশ অ্যাপে অটো পে
ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম জমা দেয়ার জন্য ডেট মনে রাখার দরকার নাই। বিকাশ অ্যাপে তারিখ ও টাকার পরিমাণ সেট করে দিলেই প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে অটোমেটিক জমা হয়ে যাবে আপনার ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম।
শেষকথা
বাংলাদেশে যতগুলো মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস আছে তারমধ্যে বিকাশ অন্যতম এবং এর গ্রাহক সংখ্যাও বেশি। এই আর্টিকেলে আমি বিকাশের যতগুলো সার্ভিস বর্তমানে চালু আছে সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে আপানরা বুঝতে পারেন কোন সার্ভিসের কি কাজ এবং এতে করে বিকাশ ব্যবহার করা আপনার জন্য আরও সহজ হবে।
বিকাশের সকল সেবা গুলো এক্সপ্লর করতে ভিজিট করুন।
Leave a Comment