বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে যত আলোচনা ও সাধারণ জ্ঞান

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে যত আলোচনা ও সাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশের স্যাটেলাইটের নাম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।২০১৮ সালের ১২ মে উৎক্ষেপণ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’। এই স্যাটেলাইটটির নামকরণ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কৃত্রিম উপগ্রহটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের ভূ-কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

অনেকেই আছেন যারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। আবার অনেকেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে সাধারণ জ্ঞান জানতে চান। আজকের এই আর্টিকেলে আমি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন তার আগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ কি

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ কি?

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ হলো এমন একটি বস্তু যা মানুষের দ্বারা নির্মিত এবং এটি পৃথিবীকে চারদিকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরে। অর্থ্যাৎ পৃথিবীকে চারদিকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরে এমন তারবিহীন রিসিভার বা টান্সমিটারের নাম স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। স্যাটেলাইট মূলত আবহাওয়া পূর্বাভাস, রেডিও যোগাযোগ, টেলিভিশন সম্প্রচার, গবেষণা, সামরিক ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্যাটেলাইট মানব জীবনের অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কি

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কি?

‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫,৮০০ কিলোমিটার উপরে Geostationary Earth Orbit’র একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। তাই এটিকে বলা হয় জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট (Geostationary Satellite) বা ভূস্থির উপগ্রহ। জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট (Geostationary Satellite) হলো এমন একটি কৃত্রিম উপগ্রহ যেটি বিষুবরেখা বরাবর ঐ কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে ২৪ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিণ করে। এ প্রদক্ষিণ হবে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে। এর ফলে গ্রাউন্ডস্টেশনের সাপেক্ষে উপগ্রহটি প্রায় স্থির থাকবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর উৎক্ষেপণ ভর ৩,৬০০ কেজি। এই উৎক্ষেপণ ভরের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মিশনের মেয়াদকাল হবে ১৫ বছর। স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে পাঠানো তথ্য (আপ-লিংক) তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ অথবা মাইক্রোওয়েভ সংকেত আকারে গ্রহণ করবে। ঐ সংকেতকে কয়েকগুণ ‘অ্যামপ্লিফাই’ করে এটি আবার পৃথিবীতে ফেরত পাঠাবে (ডাউন-লিংক)।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ব্যয় ও ঋণচুক্তি

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২,৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছিল ১,৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর বাকি ১,৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (HSBC) থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হয়েছিল। এই ঋণ আগামী ১২ বছরে মোট ২০টি কিস্তিতে শোধ করতে হবে। শেষ পর্যন্ত স্যাটেলাইট উড়াতে সর্বমোট ২,৭৬৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর যাত্রা যেভাবে

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর যাত্রা যেভাবে

২০১৮ সালের ১১ মে বা ১৪২৫ বঙ্গাব্দে ২৮ বৈশাখ (শুক্রবার) বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। কারণ এ দিন বাংলাদেশের সময় রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত কেপ কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ (39A) থেকে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশের পথে উড়াল দেয়। এই কৃত্রিম উপগ্রহ ফ্যালকন-৯ রকেটের নতুন সংস্করণের প্রথম সফল উৎক্ষেপণ। উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে রকেটের স্টেজ-১ খুলে যায়।

রকেটের স্টেজ-১ খুলে যাওয়ার সাথে সাথে চালু হয় স্টেজ-২-এর ইঞ্জিন। এরপর আটলান্টিকে ভাসমান ড্রোন শিপে স্টেজ-১ ফিরে আসে। আর স্টেজ-২ স্যাটেলাইটটিকে জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে নিয়ে যায়। সেখানে পেলোড থেকে স্যাটেলাইটটিকে অবমুক্ত করা হয়। এ পুরো প্রক্রিয়া সমাপ্ত হতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। রকেট থেকে উন্মুক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালির তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়। উৎক্ষেপণের ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন এর প্রাথমিক সংকেত গ্রহণ করে।

মহাকাশের নির্ধারিত ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নিজস্ব অরবিটাল স্লটে জায়গা করে নিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কে ৩৫,৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আর এ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।

স্লোগান: ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে বাংলাদেশের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বাংলাদেশের স্যাটেলাইটটিতে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ‘বিবি’ আর রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের লোগো।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সুবিধা

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সুবিধা

স্যাটেলাইট হলো এমন একটি বস্তু যা তার চাইতে বড় কোনো বস্তুকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব যদি এর যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নানা রকম সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক দিক দিয়ে সুবিধা প্রদান করবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে, জলপথে চলাচল ও খনিজসম্পদ অনুসন্ধানে সহায়তা করবে, সামরিক ও প্রতিরক্ষা সুবিধা, দেশের ভাবমূর্তি ও মহাকাশ গবেষণায় এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো সম্ভব।

তথ্যপ্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন

আমাদের টেলিকমিউনিকেশন্স, টেলিভিশন টেওয়ার্ক আর ইন্টারনেটে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আমরা ভারত ও অন্যান্য দেশের উপর নির্ভর করতাম, সেই ব্যবস্থা এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১  নিশ্চিত করবে। আমাদের দেশ থেকে বছরে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা চলে যেত ভিনদেশি স্যাটেলাইট ভাড়া নিতে। টেলিকমিউনিকেন্স, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আর ইন্টারনেটের কানেক্টিভিটির জন্য অন্য দেশের দেয়া সুযোগের উপর আমাদের নির্ভর করতে হতো।

আগে প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার খরচ করতে হতো বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে ফ্রিকোয়েন্সি কিনতে। এ ব্যয় আর করতে হবে না, এখন তার কম দামে দেশের ভেতর থেকেই ফ্রিকোয়েন্সি কিনতে পারবে। ফলে অর্থ সাশ্রয় হবে প্রচুর।

 বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন

দেশের টেলিকমিউনিকেশন, টেলিভিশন আর ইন্টারনেটের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি স্যাটেলাইটের তরঙ্গ ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এই ৪০টির মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, নেপালের কাছে এ স্যাটেলাইট সার্ভিস বিক্রি করে আমরা বছরে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ই-সেবার উন্নয়ন

এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন, ই-রিসার্চ, ই-লার্নিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সব সেক্টরেই ই-সেবা ম্যাসিভ বুস্ট আপ করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে টেরিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল রাখবে, যা এতদিন অনেকটাই সম্ভব ছিলো না।

বিশেষ করে নদী ও হাওর, দুর্গম দ্বীপ এবং পাহাড়ি অঞ্চলে স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা চালুও সম্ভব হবে। অর্থাৎ জলোচ্ছ্বাস, বড় বড় সাইক্লোন, বন্যায় যেমন আগে টেলিফোন, টেলিভিশন, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত, যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ত, সেটা আর এখন হবে না।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে সাধারণ জ্ঞান

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে সাধারণ জ্ঞান

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের স্যাটেলাইট এখন কোথায়?
উত্তরঃ‌ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ ১ অংশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ৩৬০০০ কিলোমিটার উপর থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি প্রায় ৩.৭ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনা করে কোন প্রতিষ্ঠান?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনা করে ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ হচ্ছে টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করা। ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাহায্যে তৈরি করা যাবে। এছাড়াও যেসব জায়গায় অপটিক কেবল বা সাবমেরিন কেবল পৌছায়নি সেসব জায়গায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাহায্যে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হতে পারে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটের নাম কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটের নাম – বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ হয়?
উত্তরঃ ১১ মে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোথায় থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়?
উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত নাসার জন এফ কেনেডি স্পেস সেন্টার কমপ্লেক্সের ৩৯এ লঞ্চপ্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ কোন দেশের তৈরি?
উত্তরঃ ফ্রান্সের থ্যালিস অ্যালেনিয়া স্পেস কর্তৃক নকশা ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ তৈরি করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোন দেশ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যুক্তরাষ্ট্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কয়টি গ্রাউন্ডস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর এটি নিয়ন্ত্রণ করতে গাজীপুরের তেলীপাড়া ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কবে উৎক্ষেপণ করা হয়?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১১ মে ২০১৮ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম থ্যালিস অ্যালেনিয়া স্পেস।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন কয়টি?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন দুটি।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কত তারিখে উৎক্ষেপণ হয়?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১১ মে তারিখে উৎক্ষেপণ হয়।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম থ্যালিস অ্যালেনিয়া স্পেস।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট কততম দেশ?
উত্তরঃ বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট ৫৭ তম দেশ।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে কত সালে প্রেরণ করা হয়?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে ২০১৮ সালে প্রেরণ করা হয়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ কততম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ৫৭ তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটের নাম কি?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটের নাম হচ্ছে – Falcon 9

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মেয়াদ কত বছর?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার কতটি?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার 40 টি।

প্রশ্নঃ কবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অরবিটাল অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অরবিটাল অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।

প্রশ্নঃ উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তরঃ SpaceX।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১১ মে ২০১৮ (বাংলাদেশ সময় ১২ মে ২০১৮)।

প্রশ্নঃ স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটের নাম কী?
উত্তরঃ Falcon9।

প্রশ্নঃ নির্মাতা বা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তরঃ Thales Alenia Space।

প্রশ্নঃ স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন কতটি ও কী কী
উত্তরঃ ২টি– গাজীপুরের তালিবাবাদ ও রাঙামাটির বেতবুনিয়া।

স্যাটেলাইট পরিচালনা করবে কোন প্রতিষ্ঠান

প্রশ্নঃ স্যাটেলাইট পরিচালনা করবে কোন প্রতিষ্ঠান?
উত্তরঃ বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লি. (BCSCL)।

প্রশ্নঃ স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার কতটি?
উত্তরঃ ৪০টি। এর মধ্যে ১৪টি ‘সি’ ব্যান্ডের (C-band) এবং ২৬টি ‘কে-ইউ’ ব্যান্ডের (Ku-band)।

প্রশ্নঃ স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন কতটি ও কী কী?
উত্তরঃ ২টি— সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র গাজী এবং সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র বেতবুনি।

প্রশ্নঃ স্যাটেলাইটের অরবিটাল অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে যত আলোচনা ও সাধারণ জ্ঞান। ভালো লাগলে এই ববঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (wiki) নিয়ে সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এ ধরনের আরও ইনফরমেটিভ পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *