নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত । নাটোরের বিখ্যাত স্থান, খাবার ও ব্যক্তি

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত । নাটোরের বিখ্যাত স্থান, খাবার ও ব্যক্তি

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাতঃ রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা হচ্ছে নাটোর। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই জেলা “ক” শ্রেণির পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়। এ জেলাটি আয়তনে প্রায় ১৯০৫.০৫ বর্গ কিমি। এই জেলার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী। যার কারণে নাটোর জেলার ব্র্যান্ডিং নাম করা হয়েছে রাজসিক নাটোর। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে আসলে নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত? আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি এই বিষয়ের উপর।

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এই প্রশ্ন আসলে প্রথমেই যেটি সবার মাথাই আসে সেটি হচ্ছে নাটোর জেলা কাঁচাগোল্লা, বনলতা আর অর্ধ বঙ্গেশ্বরী রানী ভবানী। আমাদের দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই জেলা অবস্থিত। নাটোর রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা শহর। এটি আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের ৩৬ তম জেলা। বিভিন্ন বহমান নদ-নদী, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন, উত্তরা গণভবন, চলনবিল ইত্যাদির জন্য সুপরিচিত এই নাটোর।

নাটোরের বিখ্যাত স্থান

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত নাটোর জেলাটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত। এই জেলাটি অনেক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানের আবাসস্থল। নাটোর জেলার জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান গুলো হলো নাটোর রাজবাড়ী, চলনবিল জাদুঘর, দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, চলন বিল, লালপুরের পদ্মার চর, ধরাইল জমিদার বাড়ি ও বুধপাড়া কালীমন্দির। নিচে নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত তার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

বুধপাড়া কালীমন্দির

বুধপাড়া কালীমন্দির

নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বুধপাড়ায় বুধপাড়া কালীমন্দির অবস্থিত। এই মন্দিরটি প্রায় ৫৩০ বছরের পুরনো মন্দির। মন্দির স্থাপনের সময়কালে এই উপমহাদেশে নবাবী আমল চলছিল। এবং নবাব আলিবর্দি খানের আমলে বর্গীয় হাঙ্গামা শুরু হয়। ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের খাগড়া থেকে বর্গীদের অন্যায় অত্যাচার থেকে বাঁচতে ৬০ ঘর কংস বণিক নাটোরের বুধপাড়ায় এসে বসতি স্থাপন করে। তৎকালীন সময় তারা কালীপূজায় অর্চনার জন্য খড়ের ঘরের একটি মন্দির তৈরি করেন। যা বর্তমানে বুধপাড়া কালীমন্দির হিসেবে পরিচিত।

হালতির বিল

হালতির বিল

নাটোর সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত হালতির বিল অবস্থিত। এই জেলার একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। নাটোর সদর উপজেলার পিপরুল, মাধনগর, খাজুরা ও ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন জুড়ে হালতি বিলের বিস্তৃতি। আত্রাই নদীর সাথে যুক্ত থাকায় প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু মাছের প্রজননস্থল হিসেবে বিখ্যাত এই বিল।

বিশেষ করে বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বিলে আশেপাশের এলাকা ৫ ফুট থেকে ৮ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। তখন বিলের মাঝে অবস্থিত ছোট ছোট গ্রামগুলো দেখতে দ্বীপের মতো মনে হয়। প্রত্যেক ঋতুতে ঋতুতে হালতির বিলের ভিন্ন ভিন্ন রূপের দেখা মিলে। এই বিলের মধ্যে দিয়ে পিপরুলের সাথে খাজুরার সংযোগকারী প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা সাবমারসিবল রাস্তাটি বিলের আরও সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।

চলন বিল

চলন বিল

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিলের নাম চলন বিল। নাটোর, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট অনেকগুলো বিলের সমষ্টি এই চলন বিল। বর্ষায় দ্বীপের মত ভাসমান সবুজ গ্রাম, সুনীল আকাশ, শীতে অতিথি পাখির কলরব এবং শরতে বিলের পাড় ধরে ফোটে থাকা কাশবনের সৌন্দর্য আগত দর্শনার্থীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। শুধুমাত্র ভরা বর্ষায় চলন বিলের প্রকৃত রূপ ধরা পড়ে। বর্ষায় প্রায় ৩৬৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জলে একাকার হয়ে যায়।।

বর্ষাকাল ছাড়াও প্রায় সারাবছরই চলন বিলের বুকে নৌকায় ভেসে বেড়ায়। আর বিলের সেই বৈচিত্রপূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে অসংখ্য পর্যটক ছুটে আসেন। চলন বিলের বুকে মিশে গেছে বড়াল, মরা বড়াল, তুলসী, করতোয়া, আত্রাই, গুড়সহ বেশ কয়েকটি নদী। মাছে সমৃদ্ধ চলন বিলে আছে বোয়াল, টাকি, শোল, মৃগেল, চিংড়ি, টেংরা, কালিবাউশ, রিটা, মৌসি, গজার, বৌ, চিতল, মাগুর, কৈ, শিং, সরপুটি, পুঁটি, গুজা, গাগর, বাঘাইর কাঁটা, তিতপুটি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

গ্রীন ভ্যালী পার্ক

গ্রীন ভ্যালী পার্ক

নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে গ্রীন ভ্যালী পার্ক অবস্থিত। এটি একটি চমৎকার বিনোদন কেন্দ্র। প্রায় ১২৩ বিঘা জায়গার উপর নির্মিত গ্রীন ভ্যালী পার্কটিতে সকল বয়সী দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইডের মধ্যে আছে নাগরদোলা, ম্যারিগো রাউন্ড, পাইরেট শীপ, হানি সুইং, মিনি ট্রেন, বুলেট ট্রেন, স্পীডবোট, প্যাডেল বোট প্রভৃতি।

এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত মনোরম পরিবেশের এই পার্কটিতে প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে একটি নয়নাভিরাম লেক।গ্রীন ভ্যালী পার্কের অন্যান্য সুযোগ সুবিধার মধ্যে আছে শ্যুটিং স্পট, পিকনিক স্পট, ডেকোরেটর, কার পার্কিং, এ্যাডভেঞ্চার রাইডস, কনসার্ট এন্ড প্লে গ্রাউন্ড, সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, ক্যাফেটেরিয়া, শপ, সভা-সেমিনারের স্থান এবং আবাসিক ব্যবস্থা।

নাটোরের বিখ্যাত খাবার

কাঁচাগোল্লা ও বনলতার জন্য বিখ্যাত নাটোর জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। ২০০ বছরের পুরোনো এই জেলায় কাঁচাগোল্লা ছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টির উৎপত্তি হয়েছে। শুধু মিষ্টি নয় বরং এই জেলার সাধারণ মানুষের হাতের স্পর্শে রান্না করা প্রতিটি খাবারই নাটোরের রন্ধন শৈলীকে বেশ সমৃদ্ধ করেছে। নাটোরের বিখ্যাত মিষ্টি ও আঞ্চলিক বেশ কিছু খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

নাটোরের কাঁচাগোল্লা

নাটোরের কাঁচাগোল্লা

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এটি বলতে গেলে নাটোরের কাঁচাগোল্লা প্রথমে আসবে। অনেকের কাঁচাগোল্লার নাম শুনলেই নাটোর জেলার নাম মনে পরে যায়। এই মিষ্টির উৎপত্তি নাটোর জেলায় হলেও বর্তমানে বেশ কিছু জেলায় এই মিষ্টি তৈরি ও বিক্রি করা হয়। কাঁচাগোল্লার উৎপত্তি নিয়ে মজার এক কাহিনি আছে।

নিতান্ত দায়ে পড়ে কাঁচাগোল্লা মিষ্টি তৈরি করা হয়েছিল। নাটোর শহরের লালবাজারের মধুসূদন পালের একটি দোকান ছিল যা শহরের নামকরা মিষ্টির দোকান। প্রতিদিন তার দোকানে ১৫ জনেরও বেশি কর্মচারী কাজ করতেন। তার দোকানে প্রতিদিন অনেক বেশি পরিমানে ছানার পানতোয়া, মিষ্টি, সন্দেশ তৈরি করা হতো।

হঠাৎ একদিন ছানা জ্বাল করার পর দোকান মালিক জানতে পারলেন যে, একজন কর্মচারীও কাজে আসবেন না। মালিক পড়ে গেলেন মহা মুশকিলে। জ্বাল করা সেই ছানা তিনি দিয়ে রেখে দিলেন চিনির সিরায়। হঠাৎ চিনির সিরায় দেয়া ছানা মুখে দিয়ে দেখলেন খেতে দারুণ স্বাদ এবং অন্যান্য মিষ্টির থেকে একদমই আলাদা। বিক্রি শুরু করে দিলেন নতুন নাম দিয়ে ‘কাঁচাগোল্লা’। দাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।

অবাক সন্দেশ

অবাক সন্দেশ

বাংলাদেশের নাটোর জেলার একটি প্রখ্যাত মিষ্টান্ন “অবাক সন্দেশ”। এই সুস্বাদু সন্দেশ শুধুমাত্র নাটোর ও এর পার্শ্ববর্তী কিছু জেলাতেই পাওয়া যায়। এই সন্দেশ দুধ, চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এর স্বাদ এতোটাই বেশি যে, সবারই মন কেড়ে নিতে সক্ষম। সন্দেশের নাম অবাক হওয়ার পেছনের কারন নিয়ে রয়েছে নানা তর্ক বিতর্ক।

কেউ কেউ মনে করেন, অবাক সন্দেশ উদ্ভাবনকারীর নাম ছিল আবাক আর তার নামানুসারে সন্দেশের নাম হয়েছে অবাক সন্দেশ। আবার অনেকে মনে করেন, মজাদার এই সন্দেশের স্বাদ এতোটাই বেশি যে খাওয়ার সাথে সাথে অবাক না হয়ে উপায় নেই। ফলেই এই সন্দেশের নাম হয়েছে অবাক সন্দেশ। নাটোর জেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি গুলোর মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এই অবাক সন্দেশ। দাম প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

কুশালি

কুশালি

নাটোর জেলার আঞ্চলিক খাবারগুলোর মধ্যে সুস্বাদু এক পিঠা ‘কুশালি’। মূলত দুধ পুলি পিঠাকে এ অঞ্চলের মানুষ কুশালি বলে থাকে। শীতের সময় ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় এই কুশালি পিঠা। যেটি খেতে দারুণ মজাদার মুখে লেগে থাকার মতো। ছোট থেকে বৃদ্ধ সবারই খুব পছন্দের খাবার এই পিঠা।

ভাত তেলানি

ভাত তেলানি

এ অঞ্চলের মানুষের সাধারণ জনজীবনের সাথে মিশে থাকা বিশেষ এক খাবার ভাত তেলানি। আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ভাত ফেলে না দিয়ে ভাত তেলানি রান্না করা হয়। খেতেও হয় খুব সুস্বাদু আবার অপচয়ও রোধ হয়। সাধারণত সকাল বেলা যখন দেখা যায় হাড়িতে অনেক ভাত এখনও বেঁচে আছে তখন বাড়ির মহিলারা সেই ভাত ফেলে না দিয়ে ভাত তেলানি রান্না করে। একদম সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে সকালের নাশতা তৈরি হয়ে যায়।

ধুমার তরকারি

ধুমার তরকারি

এ জেলার সাধারণ মানুষের অঞ্চলিক খাবার ধুমার তরকারি। ধুন্দল দিয়ে রান্না করা তরকারিকে মূলত ধুমার তরকারি বলা হয়। গাছ থেকে তাজা ধুন্দল ছিড়ে খোসা ছাড়িয়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয় ধুমার তরকারি। এ তরকারি দিয়ে যে কেউ অনায়াসে পেট পুরে তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারবে।

রাঘব শাহী

রাঘব শাহী

নাটোরের অন্যতম একটি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন হলো রাঘব শাহী। এটি অত্যান্ত মজাদার ও সুস্বাদু। রাঘবশাহী মিষ্টি মূলত উতকৃষ্ঠ মানের দুধী মিষ্টি। নাটোর ছাড়াও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই মিষ্টি পাওয়া যায়। তবে নাটোরেই এই মিষ্টির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এ জেলার প্রায় প্রতিটি স্থানেই এই মিষ্টি পাওয়া যায়। দাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা।

নাটোরের বিখ্যাত ব্যক্তি

রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা নাটোর। এ জেলায় বাংলাদেশের অনেক কৃতি সন্তান জন্মেছেন যারা নাটোরকে বিশ্বের দরবারে যেমন পরিচিত করেছেন, তেমনি বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচিত করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো: মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়, মহারানী ভবানী, মাদার বখশ, সমর পাল, আশরাফুল ইসলাম, এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাসার, শরৎকুমার রায় ও হাসার উদ্দীন কবিরত্ন।নিচে এই জেলার কয়েকটি বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

মহারানী ভবানী

মহারানী ভবানী

মহারাণী ভবাণী ছিলেন ইংরেজ শাসনামলে বর্তমান বাংলাদেশের নাটোরের একজন জমিদার। তিনি ১৭১৬ সালে বগুড়া জেলার তৎকালীন আদমদিঘী থানাধীন ছাতিয়ান নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আত্মারাম চৌধুরী এবং মাতা তমাদেবী চৌধুরী রাণী৷ খুব অল্প বয়সেই তৎকালীন নাটোরের জমিদার রাজা রামকান্তের সাথে তার বিয়ে হয়।

১৭৪৮ সালে ১১৫৩ বঙ্গাব্দে রাণী ভবাণীর স্বামী রামকান্ত ইহলোক ত্যাগ করে। এরপর নবাব ‘আলীবর্দি খাঁ’ রাজা রামকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। তখনকার সময়ে জমিদার হিসাবে একজন মহিলা অত্যন্ত বিরল ছিলেন, কিন্তু রাণী ভবাণী রাজশাহীর বিশাল জমিদার কার্য অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাহ করেন। রাণী ভবানী ১৮০২ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ৮৬ বছর বয়সে নাটোরে পরলোকগমন করেন।

মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়

মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়

মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় বাহাদুর বাংলার নাটোরের জমিদার ছিলেন। তিনি ১৮৬৮ সালের ২০ অক্টোবর নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার স্থাপনদীঘি নামক গ্রামে মাদার বখশ জন্মগ্রহণ করেন। জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংরেজী ও সংস্কৃত সাহিত্যে দক্ষ এবং ক্রীড়ামোদী ছিলেন। ব্রিটিশ ভারতে পুরোপুরি দেশীয় খেলোয়াড় নিয়ে নাটোর ক্রিকেট দল গঠন করেন তিনি এবং এতে বিশেষ অবদান রাখেন।

তিনি কলকাতা টাউন ক্লাব এবং বেঙ্গল জিমখানাসহ শিল্প ও ক্রীড়াগুলির সমার্থক ছিলেন। তিনি একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং সাংবাদিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ১৯২৫ সালে দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।(wiki)

আশরাফুল ইসলাম

আশরাফুল ইসলাম

আশরাফুল ইসলাম ছিলেন সিংড়া থানার আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নাটোর মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি ১৯২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর নাটোরের সিংড়ার তাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৪-১৯৫০ মেয়াদে ইটালী ইউনিয়ন বোর্ড়ের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৬৬-১৯৭১ মেয়াদে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আশরাফুল ইসলাম ৮ মার্চ ১৯৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশার

এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশার

বাশার, এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ খাদেমুল ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান। ১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলাধীন ছাতারবাড়ীয়া গ্রামে তার জন্ম। তিনি ১৯৫৩ সালে বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং বিমান বাহিনী একাডেমী থেকে গ্রাজুয়েশান ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি উইং কমান্ডার পদ লাভ করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তাঁকে ‘‘বীর উত্তম’’ খেতাব প্রদান করা হয়। ১ সেপ্টেমবর, ১৯৭৬ ঢাকা বিমান বন্দরে এক বিমান দুর্ঘটনায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

শেষ কথা

আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এবং এই জেলার বিখ্যাত স্থান, ব্যক্তি ও খাবার সে সম্পর্কে। এই আর্টিকেল জুড়ে আমি চেষ্টা করেছি নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত, এই জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, বিখ্যাত স্থান এবং বিখ্যাত কয়েকটি খাবারের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত স্থান, ব্যক্তি ও খাবার সম্পর্কে জানতে ওয়্যারবিডি ভিজিট করুন

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *