ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড

ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড

ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনার যারা অনলাইনে খুঁজে থাকেন, অথবা আশানুরূপ সঠিক তথ্য পান না, তাদের জন্যই আমি আজকের এই আর্টিকেলে ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে এই পোষ্টটি সাজিয়েছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক-

ঠাকুরগাঁও জেলা

ঠাকুরগাঁও জেলা

ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। টাংগন, শুক ও সেনুয়া বিধৌত এই জনপদের একটি ঠাকুর পরিবারের উদ্যোগে ব্রিটিশ শাসনমলে বর্তমান পৌরসভা এলাকার কাছাকাছি কোনো এক স্থানে একটি থানা স্থাপিত হয়। ঠাকুর পরিবারের নাম অনুসারে এই থানাটির নাম হয় ঠাকুরগাঁও থানা। ১৭৯৩ সালে ঠাকুরগাঁও অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬০ সালে ঠাকুরগাঁও কে মহকুমা হিসেবে ঘোষিত হয়। ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তিদের জন্য এক অন্যোন্য উপহারস্বরূপ।

পরবর্তিতে ঠাকুরগাঁও মহকুমাকে ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে জেলায় রূপান্তর করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা মোট ৫ টি উপজেলা,৩ টি পৌরসভা, ৫১ টি ইউনিয়ন, ৬৩৮ টি মৌজা, এবং ৬৪১ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ঠাকুরগাঁও জেলার মোট পাঁচটি উপজেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সর্ববৃহৎ (৬৫৪.৯৫ বর্গ কিমি) এবং সবচেয়ে ছোট উপজেলা হরিপুর (২০১.০৭ বর্গ কিমি)।

আয়তন ও অবস্থা

ঠাকুরগাঁও জেলার মোট আয়তন ১৭৮১.৭৪ বর্গ কিলোমিটার। এ জেলার ভৌগলিক অবস্থান; ২৫°৪০´ থেকে ২৬°১২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০৫´ থেকে ৮৮°৩৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। ঠাকুরগাঁও জেলার ভৌগলিক সীমানা; উত্তরে পঞ্চগড় জেলা, পূর্বে পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলা, পশ্চিম ও দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

জনসংখ্যা ও আয়ের উৎস

ঠাকুরগাঁও জেলার মোট জনসংখ্যা ১৩৯০০৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭০১২৮১ জন ও মহিলা ৬৮৮৭৬১ জন। মুসলিম ১০৬৬১৭৬, হিন্দু ৩০৯৪২৩, বৌদ্ধ ২৬৩, খ্রিস্টান ৭৮৯৭ এবং অন্যান্য ৬২৮৩ জন। (আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো)। তাছাড়া এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুন্ডা, মুসহোর, রাজবংশী প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা মূলত কৃষিপ্রধান জেলা। এ জেলার মোট জনসংখ্যার আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৬.৭৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৪%, শিল্প ০.৩৬%, ব্যবসা ৯.০৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৩৪%, চাকরি ৩.৯১%, নির্মাণ ০.৭৬%, ধর্মীয় সেবা ০.১১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৭% এবং অন্যান্য ৩.৭২%।

ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান

ঠাকুরগাঁও একটি প্রাচীন ঐতিহ্যসমৃগ্ধ জনপদ। ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান গুলো হচ্ছে লোকায়ন জীবনবৈচিত্র্য যাদুঘর, জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ, ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, রাজভিটা, হরিপুর রাজবাড়ি, জগদল রাজবাড়ি, নেকমরদ মাজার, মহেশপুর মহালবাড়ি, শালবাড়ি ইমামবাড়া, সনগাঁ মসজিদ মেদিনী সাগর মসজিদ, গেদুড়া মসজিদ, গোরক্ষনাথ মন্দির এবং কূপ, গোবিন্দনগর মন্দির, ঢোলরহাট মন্দির, ভেমটিয়া শিবমন্দির, মালদুয়ার দুর্গ, গড়গ্রাম দুর্গ, গড় ভবানীপুর, গড়খাঁড়ি, সাপটি বুরুজ ও অনেক পুরনো দিঘি। নিচে কয়েকটি বিখ্যাত ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান গুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ অন্যতম। এ মসজিদটি ঠাকুরগাঁও জেলার জামালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। জামালপুর মসজিদটি সেই সময়কার জমিদার জামাল উদ্দিন ১৮৬৭ সালে জমিদার বাড়ির সাথে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত জামালপুর জমিদার বাড়ী জামে মসজিদে একসাথে প্রায় ৩০০-৬০০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে। আপনে যদি ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে চান তবে এটি হবে আপনার প্রথম প্রায়োরিটি।

মূল কক্ষ, ছাদ সহ ও ছাদ বিহীন বারান্দা ও মূল দরজা- এই চারটি অংশে বিভক্ত জামালপুর জামে মসজিদের ৩৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আশিটি মিনার ও তিনটি কারুকার্য মণ্ডিত গম্বুজ আগর দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। বর্তমানে জমিদার পরিবারের বংশধরেরাই জমিদার বাড়ী ও জামালপুর জামে মসজিদের দেখাশুনার দায়িত্বে আছেন।

কিভাবে যাবেন

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে আপনি জামালপুর মসজিদ টি দেখতে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সর্ব প্রথম আপনাকে ঠাকুরগাঁও জেলায় আসতে হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা সদর থেকে জামালপুর জমিদার বাড়ীর দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। ঠাকুরগাঁও হতে পীরগঞ্জ থানায় যাওয়ার পথে শিবগঞ্জ হাট থেকে আরো তিন কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই জামালপুর জমিদার বাড়ী পৌঁছে যাবেন।

বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ

বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ

ঠাকুরগাঁও জেলায় রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় আম গাছ। বিশাল বড় সূর্য্যপূরী আম গাছ টি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার মণ্ডামালা গ্রামে অবস্থিত। প্রায় ২০০ বছরেরও পুরানো এই সূর্য্যপূরী আমগাছটি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ২.৫ বিঘা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। যার কারণে সূর্য্যপূরী আম গাছটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আম গাছের স্বীকৃতি পেয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছটি প্রায় ৮০-৯০ ফুট উঁচু এবং এর পরিধি প্রায় ৩৫ ফুট। আম গাছের ৩ দিক দিয়ে ১৯টি মোটা মোটা ডাল পালা বেড়ে উঠেছে। দূর থেকে দেখে গাছের প্রতিটি ডালকে এক একটি আম গাছ বলে মনে হয়। এত বিখ্যাত এই আম গাছটি কবে লাগানো হয়েছে সেই সম্পর্কে সঠিকভাবে কেউ কোন তথ্য দিতে না পারলেও ধারনা করা হয় বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছটির বয়স ২০০ বছরেরও বেশী। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী এই গাছটি দেখতে আসে।

কিভাবে যাবেন

ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় যাওয়ার বিভিন্ন লোকাল বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী থেকে স্থানীয় যেকোন যানবাহনে হরিণ মাড়ির মুণ্ড মালা গ্রামে অবস্থিত সূর্য্যপূরী আম গাছ টি দেখতে যেতে পারবেন।

আধারদিঘি

আধারদিঘি

ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আর একটি উপভোগযোগ্য হচ্ছে আধারদিঘি। এটি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বড়কোট গ্রামে অবস্থিত। কত বছর আগে এই দিঘিটি খনন করা হয়েছিলো তার সঠিক ইতিহাস কেও বলতে পারেনা। তবে অনুমান করা হয় যে, আধার দিঘিটি প্রায় ৫০০-৬০০ বছর আগে এই দিঘিটি খনন করা হয়েছিলো। জনশ্রুতি আছে পূর্বে এই দিঘির পাড়গুলো ছিল বেশ উঁচু এবং বটবৃক্ষে ঘেরা। নানান জাতের পাখি বিশেষ করে হড়িয়াল পাখির আবাস ছিল এখানে।

আধারদিঘি নিয়ে নানা রকম লোকগাঁথা রয়েছে। কথিত আছে, এলাকাবাসীরা বিবাহ পার্বণ বা কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে মানত করলে টাকা পয়সাসহ বাসন-কোসন এ দিঘি থেকে পাওয়া যেত। হিন্দু সমাজের লোকেরা মনস্কামনা পূরণের জন্য এখনও মানত করে এবং দিঘিতে পূণ্যস্নান করে থাকে। সূদুর অতীতকাল হতে এ দিঘির পাড়ে মেলা হয়ে আসছে। চৈত্রসংক্রান্তি পূজা উপলক্ষ্যে নববর্ষের দিনে আধারদিঘির মেলা বসে। হিন্দু মুসলমান সহ সকল শ্রেণীর মানুষের সমাগমে মেলাটি জমজমাট হয়ে উঠে।

কিভাবে যাবেন

ঠাকুরগাঁও শহরের জিরো পয়েন্ট হতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আধার দিঘি প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্থানীয় লোকাল বাস অথবা সিএনজি করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আসতে হবে সেখান থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশা বা অটোভ্যান করে আধার দিঘি যাওয়া যায়।

বালিয়া মসজিদ

বালিয়া মসজিদ

বালিয়া মসজিদ ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত একটি মসজিদ। বালিয়া মসজিদ বা ছোট বালিয়া জামে মসজিদ ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে পঞ্চগড় এর বোদা উপজেলা যাওয়ার পথে ভূল্লী হাট নামক জায়গা থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ভূল্লী-পাঁচপীর হাট সড়কের পাশে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। স্থানীয়দের কাছে এটি জ্বীনের মসজিদ নামেও পরিচিত। বালিয়া মসজিদ সমতল ভূমি হতে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উঁচু প্লাটফর্মের ওপর পূর্ব-পশ্চিমে ৬২ ফুট ৬ ইঞ্চি ও উত্তর-দক্ষিণে ৬৯ ফুট ২ ইঞ্চি আয়তাকার কমপ্লেক্সে বালিয়া মসজিদটি অবস্থিত।

বালিয়া মসজিদটি তিন অংশে (খোলা চত্বর, মূলভবন, এবং নামাজ ঘর) বিভক্ত এবং ঢাকার বিভিন্ন মোঘল স্থাপনার মিল পাওয়া যায়। মেঝে থেকে প্রায় ১৭ ফুট উঁচু বালিয়া মসজিদের ছাদে ৩টি গম্বুজ এবং ৮টি মিনার রয়েছে। চুন-সুরকি, হাতে পোড়ানো ইট এবং টাইল দ্বারা নির্মিত মসজিদের দেয়ালে লাল ইট কেটে পদ্ম, কলস, ঘণ্টা, আমলকী এবং ডিশ-বাটি আকৃতির বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ইতিহাস হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বালিয়ারডাঙ্গীর জমিদারকন্যা গুলমতি চৌধুরানির স্বামী মেহের বক্স চৌধুরী বালিয়া মসজিদটি নির্মাণ করেন। কিন্তু মসজিদের নির্মাণ কাল বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। মসজিদের গায়ে খোদাকৃত তথ্যানুসারে ১৩১৭ বঙ্গাব্দে (ইংরেজী ১৯১০ সাল) এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আবার মেহের বক্স চৌধুরী ১৩১৭ বঙ্গাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তাই ধারণা করা হয় মেহের বক্স চৌধুরীর মৃত্যুর ফলেই বালিয়া মসজিদের নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ ছিল। (wiki)

কিভাবে যাবেন

ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের জিরো পয়েন্ট হতে পঞ্চগড় মহাসড়ক ধরে ১০ কিলোমিটার উত্তর দিকে এগিয়ে গেলেই রয়েছে ভুল্লিবাজার। ভুল্লিবাজার থেকে বালিয়া গ্রামের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। ঠাকুরগাঁওয়ের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে ভুল্লিবাজার যাওয়ার বাস ও অটোরিক্সা পাওয়া যায়। বাস ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা এবং অটোরিক্সা রিজার্ভ নিতে ১০০ টাকা খরচ হবে। ভুল্লিবাজার হতে ভ্যানে চড়ে বালিয়া মসজিদ যেতে পারবেন।

ফানসিটি শিশু পার্ক

ফানসিটি শিশু পার্ক

দৃষ্টিনন্দন ফানসিটি শিশু পার্ক ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে প্রায় ১০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। ছোট বড় সকল বয়সের মানুষের চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে নির্মিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আধার এই পার্কটি খুবই কম সময়ের ব্যবধানে ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম ভ্রমণ স্পট হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এ পার্কের চমৎকার স্থাপত্য শৈলী এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড আগত দর্শনার্থীদের বিনোদিত করে।

ফানসিটি শিশু পার্কে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলির নিদর্শন, সাম্পান নৌকা, টয় ট্রেন, মিউজিক চেয়ার, মোটরকার, ভিডিও গেমস, দোলনা, দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ, আম ও লিচুর বাগান এবং নিজস্ব কার পার্কিং ব্যবস্থা। আর পার্কের প্রতিটি দেওয়ালে অঙ্কিত রয়েছে বিভিন্ন বরেণ্য কবি-সাহিত্যিক এবং বিজ্ঞানীদের ছবি।

কিভাবে যাবেন

ফানসিটি শিশু পার্কটি পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ রাস্তার উত্তর পার্শ্বে (পুরাতন আরডিআরএস মোড়) অবস্থিত। ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের জিরো পয়েন্ট থেকে বাস বা সিএনজি যোগে রাণীশংকৈল বাস স্ট্যান্ড এসে সেখান থেকেও সড়ক পথে পার্কে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

কোথায় থাকবেন

ঠাকুরগাঁও জেলায় বেশকিছু সরকারি ডাকবাংলো বা রেস্ট হাউস রয়েছে। কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এসব রেস্ট হাউসে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল সালাম ইন্টার ন্যাশনাল, প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল শাহ্ জালাল, হোটেল সাদেক উল্লেখযোগ্য। এসব হোটেলে এক রাত থাকার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এছাড়াও সরকারি ডাকবাংলো তে থাকতে চাইলে আপনাকে ২/৩ দিন আগে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।

কোথায় খাবেন

ঠাকুরগাঁও সদরে মুন্সির হোটেল, উজ্জল হোটেল, বাবুর হোটেল, শহিদুল হোটেল, নিরিবিলি হোটেল, আনসারি হোটেল ও নিউ সুরুচি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মতো বেশকিছু স্থানীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে। কয়েক ধরনের শুঁটকি ও মশলা মিশিয়ে বানানো “সিদল ভর্তা” এবং চালের গুড়ার তৈরী পিঠা ঠাকুরগাঁও জেলার জনপ্রিয় খাবার। এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে খেতে পারবেন।

শেষ কথা

ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড সম্পর্কিত আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো? আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড আর্টিকেলটি আপনি আপনার সোস্যাল সাইটে শেয়ার করতে পারেন। এই রকম আরও বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কিত আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পঞ্চগড় জেলার দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ গাইড