মেথি কি? মেথির ব্যবহার, উপকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো কি কি

মেথি কি? মেথির ব্যবহার, উপকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মেথি হল একটি ভেজষ ঔষধি। এটি দীর্ঘকালীন ধরে ঔষুধের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মেথির ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি আবার অনেকে তেমন জানি না। তাই অনেকের কাছেই এটি একটি অপছন্দের জিনিস। কিন্তু মেথির অনেক গুণ রয়েছে। এটি দৈনন্দিন খাবারের একটি সাধারণ উপাদান এবং প্রায়শই পরিপূরক হিসাবে আমরা গ্রহণ করতে পারি।

মেথির ব্যবহারে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আমরা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে মেথি খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের অনেক রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। ডাক্তাররা ডায়াবেটিস রোগী থেকে শুরু করে হৃদরোগের রোগী পর্যন্ত প্রায় সবাইকেই বেশি বেশি মেথি খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যেমে আমরা জানবো মেথি কি, এর ব্যবহার, এটি কেন খাবেন, এটি খাওয়ার নিয়ম সেইসাথে মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। তাহলে শুরু করা যাক-

মেথি কি

মেথি কি?

মেথি একটি মৌসুমী গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম (Trigonella foenum-graecum)। মেথির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে “Fenugreek”। এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয়। মেথি শাক গ্রাম বাংলার মানুষের প্রিয় খাদ্য। এটি মশলা হিসাবেও প্রচুর ব্যবহার করা হয়। মেথিকে ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।

মেথি একটি বর্ষজীবী গাছ। এতে একবার মাত্র ফুল ও ফল হয় এবং তিনটি করে পাতা একসাথে জন্মায়। ফুলেও তিনটা করে পাপড়ি থাকে। স্ত্রী এবং পুরুষ দুই ধরনের ফুল হয়। রঙ সাধারণত সাদা ও হলুদ হয়ে থাকে। বাদামি-হলুদ বর্ণের প্রায় চারকোনা আকৃতির বীজ হয়।

মেথির পুষ্টি উপাদান

মেথির পুষ্টি উপাদান

মেথিতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি একটি অতি পুষ্টিকর ঔষধি। খাদ্যতালিকাগত তন্তু (ফাইবার) পরিমাণ খুব বেশি থাকার ফলে মেথি দেহের ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। এক টেবিল চামচ মেথিতে (১১.১ গ্রাম) এ ৩৫ ক্যালরি সহ বেশ কয়েকটি পুষ্টি থাকে। নিম্নে এর বাকি পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে লেখা হলো-

  • প্রোটিনঃ গ্রাম
  • ফ্যাটঃ গ্রাম
  • ফাইবারঃ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেটঃ গ্রাম
  • আয়রনঃ দৈনিক যতটুকু প্রয়োজন তার ২০%
  • ম্যাগনেসিয়ামঃ দৈনিক যতটুকু প্রয়োজন তার ৫%
  • ম্যাঙ্গানিজঃ দৈনিক যতটুকু প্রয়োজন তার ৭%

মেথির ব্যবহার

মেথির ব্যবহার

মেথির স্বাদ তিতা ধরনের হলেও মেথির ব্যবহারে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা। মেথির ব্যবহার মসলা, খাবার ও পথ্য তিনটাই বলা চলে। এর মধ্যে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর এক বিস্ময়কর শক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেউ যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খায় বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করে তাহলে শরীরে যত রোগ-জীবাণু আছে সব মরে যায়। বিশেষত কৃমি মরে ও রক্তের চিনির মাত্রা কমে যায়। সেইসাথে রক্তে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রাও কমে যায়।

গরমের কারণে যাদের ত্বকে ঘা, ফোড়া বা গরমজনিত ত্বকের অসুখ হয় মেথির ব্যবহারে সহজেই সে অসুখগুলো দূর করে থাকে। এছাড়াও বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে মেথির রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ডায়াবেটিক আছে তারা যদি নিয়মিত তাহলে তাদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম। তাই যারা ডায়াবেটিক রোগী আছে মেথি তাদের জন্য শ্রেষ্ঠ পথ্য।

যে কারণে মেথি খাবেন

যে কারণে মেথি খাবেন

মেথিতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। মেথির যে পাতা রয়েছে এটি গ্রাম বাংলার মানুষেরা শাক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এবং এটি তাদের প্রিয় একটি খাদ্য। সেই সাথে মেথিকে মসলা হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। ফলে আমরা যদি মেথি খায় তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে। নিম্নে মেথি খাওয়ার আরোও কিছু কারণ লেখা হলো-

  • ওজন কমাতেঃ মেথি জন্ম নেয় প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে। ফলে এগুলো চিবিয়ে গিলে খাওয়া যায় এরা আমাদের পাকস্থলীর ফাঁকা স্থান পূর্ণ করে। এতে রয়েছে ওজন কমানোর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। স্থূলতা কমাতে প্রতিদিন সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করুন তাহলেই এর উপকার বুঝতে পারবেন।
  • চুল পড়া রোধেঃ মেথি স্বাস্থ্যহীন চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেয়। এটি খেতেও পারেন অথবা বেটে মাথায়ও দিতে পারেন। এতে বিস্ময়কর উপকারিতা মিলবে।
  • জ্বর ও খুসখুসে গলার জন্যঃ এক টেবিল চামচ মেথির সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে চিবিয়ে খেলে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার এতে রয়েছে মুসিলেজ নামের এক ধরনের যৌগ, যা গলার খুসখুসে ভাব দূর করে। মেথিতে রয়েছে সাইটো-ইস্ট্রোজেন, যা নারীদেহে প্রোলাকটিন নামের হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধি ঘটায়।
  • উজ্জ্বল ত্বকের জন্যঃ মেথিকে রূপচর্চায়ও ব্যবহার করা হয়। সারা দেহে বয়ে বেড়ানো নানা ক্ষতিকর উপাদান চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সৃষ্টি করে। মেথি দেহের সব অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেয়।
  • হজমে সহায়কঃ অনেকেরই এসিডের সমস্যা ও বদহজমের সমস্যা রয়েছে। আর এই এসিডের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় মেথি। সেইসাথে বদহজমের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ এক গবেষণায় দেখা গেছে, মেথি রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
  • পুরুষের টেস্টোস্টেরনের ওপর প্রভাবঃ অনেক পুরুষই তাদের সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন বাড়াতে মেথি খেয়ে থাকেন। এক গবেষণায় দেখা যায়, দিনে দুইবার ৩০০ মিলিগ্রাম করে মেথি আট সপ্তাহ ধরে খাওয়ার পাশাপাশি শক্তিবর্ধক ব্যায়াম করলে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।

মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথিকে আমরা সবথেকে বেশি রান্নার মসলা হিসেবে খেয়ে থাকি। কিন্তু মেথিকে রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হলে তিন থেকে চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিৎ। এতে সর্বোচ্চ ফল পাওয়া যায়। আবার, আপনি যদি মেথিকে রান্নায় ব্যব্জহার না করে এমনিই খেতে চান তাহলে এক গ্লাস গরম পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে ১০ মিনিট থিতিয়ে নিন। এবার লেবু আর মধু মিশিয়ে তরলটি পান করে নিন।

মেথির যে পাতা রয়েছে গ্রাম বাংলার মানুষরা এই পাতাটিকে শাক হিসেবে খেয়ে থাকে। এছাড়াও রুটি, পরোটা, রান্নার ঝোল, সালাদ এবং মাছ ভাজাতেও মেথি পাতা দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। এটি যেমন আপনার খাবারের স্বাদ বাড়াবে সেইসাথে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানেরও যোগান দিবে।

মেথির উপকারিতা

মেথির উপকারিতা

মেথি একটি ভেষজ উপাদান। ফলে এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন রোগ ও ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং ভাল স্বাস্থ্য এবং সঠিক শারীরিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য মেথির বীজ প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। নিম্নে মেথির উপকারিতা সম্পর্কে লেখা হলো। যথাঃ

রোগ প্রতিরোধকঃ মেথি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ফলে, চিকিৎসকরা চর্বি এবং ফোলা কমানোর জন্য মেথির পরামর্শ দেন। এতে শরীরে আটকে থাকা শক্তি ভেঙে দেয় যার ফলে ফোলা কমে যায়।

খাদ্যরোগ নিরাময়ে সাহায্য করেঃ মেথি গন্ধ বৃদ্ধির সাথে, ক্ষুধা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। যার ফলে পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং পুষ্টির গুণ পাওয়া যায়। যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বদহজম দূরীকরণের জন্য একটি কার্যকরী চিকিৎসা। এটি পাকস্থলীর আলসার দ্বারা সৃষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করেঃ মেথির মধ্যে রয়েছে ফাইবার। আর এক গবেষণায় দেখা গেছে, মেথির মধ্যে থাকা এই ফাইবার নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। মেথি, সাপোলিন এবং মুসিজ খাবারে বিষাক্ত পদার্থকে এক করে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এই ভাবে কোলোন ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করে।

হজমের সমস্যা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করেঃ মেথি ভেজানো জলে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি নেক ধরণের হজমের সমস্যা, যেমন-পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং তলপেটে প্রদাহ ইত্যাদি থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে। মেথির বীজ রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে পাশাপাশি শরীরে এইচডিএল বৃদ্ধি করে।

স্তন্যপানে দুধের প্রবাহ বৃদ্ধি করেঃ মেথিতে ডায়োসজেনিন নামক এক ধরনের পদার্থ থাকে যা বুকের দুধের উৎপাদন বাড়ায়। একইভাবে এটিতে ভিটামিন, মিনারেল থাকায় মাতৃদুগ্ধের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই স্তনপান করানো মায়েদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি খাওয়া প্রয়োজন।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্যঃ মেথির যে বীজ রয়েছে সেই বীজ চর্বি আহরণ দমন করে এবং ওজন কমানোর জন্য লিপিড এবং গ্লুকোজ বিপাককে উন্নত করে।

কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ Phytotherapy Research– এর তথ্য অনুযায়ী, মেথি ক্যালসিয়াম অক্সালেট এর মতো কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট কার্যকরী। এটি খেলে কিডনির মধ্যে কম ক্যালসিফিকেশন তৈরি হয়। এটি দিয়ে তৈরি চা বা রস পান করলে কিডনি পরিষ্কার থাকে ও মূত্রথলি সুস্থ থাকে।

হার্টের আক্রান্তের ঝুঁকি কমায়ঃ মেথির বীজে ২৫% গ্যালাক্ট‌োম্যানান রয়েছে। যেটি এক ধরনের প্রাকৃতিক দ্রবণীয় ফাইবার যা হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে।

পুরুষের কামশক্তি বৃদ্ধি করেঃ পুরুষদের জন্যও মেথির কিছু উপকার রয়েছে যেমন হার্নিয়া, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি রোগের মতো চিকিৎসা। এছাড়াও মেথি যৌন উত্তেজক এবং টেস্টোস্টেরনের স্তর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

মাসিকের ব্যথা দূরে রাখেঃ পিরিয়ডের বা মাসিক প্রত্যেকটি মেয়ের জন্যই একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এর ব্যাথা একজন মেয়ে ছাড়া কেউই অনুভব করতে পারে না। আর তাই মাসিকের প্রথম ৩ দিন ১৭০০-২৭০০ মিলিগ্রাম মেথির গুঁড়া ও পরবর্তী দিনগুলোয় ৯০০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক ৩ বার মেথির গুড়া খেলে মহিলাদের মাসিকের ব্যাথা উপশম হয়।

মেথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মেথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যেহেতু মেথি একটি ভেষজ উপাদান তাই এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। মেথিকে স্বাস্থ্যকর মানুষের জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ মনে করা হয়। তবে বেশিরভাগ পরিপূরক হিসেবে, ডায়রিয়া এবং বদহজমের মতো কম মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মেথির আরোও যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে নিম্নে সেগুলো লেখা হলো। যথাঃ

  • মেথি মুখের ভেতরে তিতা স্বাদের প্রদাহ তৈরি করে। যার ফলে অনেকেরই বমি বমি ভাব বা মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়।
  • বেশি মাত্রায় মেথি খেলে মেথি তার টেরাটোজেনিক সম্ভাবনার কারণে জন্ম দোষ সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই এর ব্যবহার শুরু করুন।
  • এটির ব্যবহারে রক্তে চিনির পরিমাণ হঠাৎ কমে যেতে পারে যা ডায়বেটিস রোগীদের বিপদজ্জনক।
  • মেথি একটি জরায়ুজ উদ্দীপক তাই অতিরিক্ত পরিমাণে মেথি খেলে এটি গর্ভাশয়ে সংকোচনের কারণ হতে পারে যা প্রারম্ভিক প্রসববেদনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • মুখের মাধ্যমে মেথি বেশি পরিমাণে খেলে তখন তা গ্যাস, পেট ব্যথা ও ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
  • মেথি থেকে হওয়া এলার্জি প্রতিক্রিয়ার সাধারণ লক্ষণ হল ফুসকুড়ি, বাত, শ্বাস এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানলাম মেথি কি, মেথির ব্যবহার, এটি কেন খাবেন, এটি খাওয়ার নিয়ম সেইসাথে মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। মেথি আমাদের সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ, মেথি হল একটি অনন্য ঔষধি যা দীর্ঘকাল ধরে শারীরিকভাবে সুস্থতা প্রদান করতে ঔষধ এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *