দুধ খাওয়ার উপকারিতা - পুষ্টিগুণ ও সঠিক নিয়ম।

দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা – দুধের পুষ্টিগুণ

আমরা অনেকে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি জানি। দুধ একটি আদর্শ খাবার এবং পুষ্টিবিজ্ঞানে দুধের কোনো বিকল্প নেই। মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব কয়টি উপাদানই দুধে পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ পানি, আমিষ, ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়ামিন, রিবোফ্লাঝি অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড এবং অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি। যা আমদের শরীরকে ভালো ও সুস্থ রাখার পাশাপাশি, শরীরে শক্তির জোগান দেয় এবং ক্লান্তি দূর করে।

দুধ শরীরের জন্য উপকারী খাবারের মধ্যে একটি। সর্বোচ্চ পুষ্টি উপাদান থাকায় দুধকে শ্রেষ্ঠ খাবার বলা হয়ে থাকে। দুধের নানা পুষ্টিগুণ আপনাকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখতে পারে। শিশু ও বাড়ন্ত বয়সে হাড়, দাঁতের গঠন মজবুতের জন্য এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করার জন্য দুধ প্রয়োজন। অর্থাৎ সব বয়সের মানুষের দুধ খাওয়া জরুরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে দুধকে প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আজকে আপনাদের সাথে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও এর পুষ্টিগুণ নিয়ে বিষদ আলোচনা হবে।

দুধের পুষ্টিগুণ

দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি আদর্শ খাবার। এটি এমন একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার, যাতে সব খাদ্য উপাদান উপস্থিত রয়েছে। দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আপনাকে প্রথমে দুধে কি কি উপাদান পাওয়া যায় তা জানতে হবে। বিশেষজ্ঞরা  দুধকে মুল খাদ্য হিসেবে গ্রহন করতে বলেছেন। গরুর দুধে আছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম। গরুর দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস। গরুর দুধের কম্পজিশনে পানি ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ল্যাকটোজ ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, ফ্যাট ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ আছে।

দুধের পুষ্টিগুণ

দুধ খাওয়ার উপকারিতা

মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যেসব উপাদান প্রয়োজন তার মূল উপাদানই হলো দুধ। এটি পৃথিবীর সব খাদ্যের সেরা খাদ্য। আমরা অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করি আবার অনেকের কাছে এটি অপছন্দের একটি খাবার। কিন্তু আমরা অনেকেই দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ভালো মত জানি না। দুধের মধ্যে আছে অনেক পুষ্টিগুন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন মানুষের দৈনিক গড়ে ২৫০ মিলিলিটার (১ গ্রাম) দুধ পান করা উচিত। দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক। দুধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-

  • দুধ হাড় ও পেশিকে শক্তিশালী করেঃ দুধে প্রচুর পরিমানে ক্যাসলিয়াম ও ভিটামিন ডি রয়েছে। যা আমাদের শরীরের হাড় ও পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের হাড় মজবুদ ও শক্তিশালী করতে হলে প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে হবে। এজন্যই ডাক্তাররা প্রতিদিন শিশুদের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • দুধ ফিটনেস ভালো ও সুস্থ রাখেঃ আমরা আমাদের ফিটনেস ঠিক রাখতে জিম থেকে শুরু করে জগিং করার পাশাপাশি কতকিছুই না করে থাকি। কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখার একমাত্র উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে দুধ খুবই উপকারি। তাই আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস দুধ খাওয়া উচিত। নিয়মিত দুধ খেলে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মন ও সতেজ থাকে।
  • শরীরের শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করতে দুধঃ দুধ খেলে শরীরে শক্তির সঞ্চয় হয় এবং ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আমরা প্রতিদিন অনেক কাজেই ব্যস্ত থাকি যার ফলে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। সারাদিনের এই ক্লান্তি দূর করতে পারে এক গ্লাস দুধ। গরুর দুধে আছে ভিটামিন, প্রাটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস সহ নানান পুষ্টিগুন। তাই শরীরে শক্তি যোগাতে দুধের উপকারিতা অনেক।
  • দুধ মানসিক চাপ দূর করেঃ দুধের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। যা আমাদের মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। আমরা মাঝেমধ্যেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরি এবং অনেক দুশ্চিন্তা করে থাকি যার ফলে আমাদের শরীরে একপ্রকার ক্লান্তি ভর করে। কিন্তু আমরা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ খাই তাহলে এই এই ক্লান্তিগুলো দূর হয়ে যাবে এবং শরীর তাজা থাকবে। তাই মানসিক চাপ দূর করতে আমাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়া উচিত।
  • দুধ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ দুধ খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হার্ট ভালো রাখা। প্রতিদিন দুধ খেলে হার্ট ভালো থাকে। আমাদের কম ফ্যাট যুক্ত দুধ পান করতে হবে। কারণ, কম ফ্যাট যুক্ত দুধ খেলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমান বৃদ্ধি পায়। তাই হার্ট ভাল রাখতে আমাদের প্রতিদিন দুধ পান করতে হবে।
  • পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি কমায়ঃ দুধে রয়েছে ক্যাসলিয়াম ও ভিটিমিন ডি। যা আমাদের পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের লো ফ্যাট যুক্ত দুধ খেতে হবে। তাই পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি কমাতে দুধের উপকারিতা অনেক।
  • ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়ঃ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাসলিয়াম ও ভিটিমিন ডি। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা যদি লো ফ্যাট যুক্ত দুধ খায় সেক্ষেত্রে তাদের এই সমস্যা কমবে বলে জানা যাচ্ছে।
  • শরীরের ওজন হ্রাস করেঃ দুধ আমাদের শরীরের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

দুধ খাওয়ার উপকারিতা

  • দুধ দাঁত ভাল রাখতে সাহায্য করেঃ আমাদের প্রায় প্রত্যেকের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই দাঁত ক্ষয় হতে শুরু করে। অনেকের তো আবার এই দাঁত ক্ষয়ের সমস্যা সেই ছোটবেলা থেকেই। আমরা জানি, দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে আর এই ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। কিন্তু এই ক্যালসিয়াম দাঁতের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে। সেই সাথে দাঁত ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করেঃ দুধে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাই আমরা যদি নিয়মিত দুধ খাই তাহলে আমাদের শরীর থেকে নিমিষেই ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হয়ে যাবে।
  • দুধ স্ট্রেস দূর করেঃ গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যারা স্ট্রেসে ভুগছেন তারা নিয়ম করে প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে দুধ পান করার অভ্যাস করুন।
  • দুধ পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে এবং হজম শক্তি বাড়ায়ঃ দুধ পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। কারণ, এটি একটি পানীয় খাবার যার ফলে খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। তাই যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ পান করার অভ্যাস করুন।
  • দুধ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ দুধে রয়েছে ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীরের কোষের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আমাদের নিয়মিত দুধ খাওয়া উচিত।
  • দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুধের উপকারিতা অনেক।
  • দুধ রাতে ভাল ঘুম হইতে সাহায্য করেঃ যাদের রাতে ঘুম হয় না তাদের জন্য গরুর দুধ খুবই উপকারি একটি খাদ্য। তাই ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে খুব ভালো হয়।

দুধ খাওয়ার উপকারিতা

দুধ খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি

দুধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক হলেও এটি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি না জানলে ঠিক মত কাজে লাগবে না। পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় দুধকে শ্রেষ্ঠ খাবার বলা হয়। এক গ্লাস দুধ আপনাকে অ্যাসিডিটির সমস্যা, পিরিয়ডের সময় তীব্র যন্ত্রণা, কাজের স্ট্রেসে অস্থির অবস্থা এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দুধে প্রোটিন, ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ১২, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের মতো জরুরি উপাদান থাকে। দুধকে সুষম আহারও আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।

দুধ খাওয়ার উপকারিতা পেতে চাইলে আপনাকে আগে জানতে হবে কিভাবে দুধ খাওয়া যেতে পারে। আয়ুর্বেদ নিয়ম অনুসারে, আম, কলা,তরমুজ বা টক জাতীয় কোন ফলের সাথে দুধ মিশিয়ে খাওয়া ঠিক না। কলা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তাতে গ্যাস তৈরি হয়, যা অন্ত্রে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং বিষাক্ত পদার্থ গুলো শরীর থেকে বের হতে পারে না। যার ফলে সর্দি-কাশি, অ্যালার্জি ও শরীরে লাল লাল দাগ তৈরির মতো আশঙ্কা থাকে।

দুধ খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি

দুধ খাওয়ার সঠিক সময়

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত। কারণ, শরীরের জন্য উপকারী খাবারের মধ্যে দুধ একটি। দুধকে বলা হয় সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন এ, কে, ডি এবং আই, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়োডিন সহ অনেক পুষ্টি। দুধের এই পুষ্টিগুণ আপনাকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখতে পারে। তবে শুধু দুধ খাওয়ার উপকারিতা জানলেই হবে না, তার জন্য সঠিক সময় মেনে দুধ পান করতে হবে। আপনি যদিই দুধ পানের পূর্ণ লাভ পেতে চান তাহলে জানতে হবে, তা পান করার সঠিক সময়। নিম্নে তা লেখা হলো-

  • শরীরকে শক্তিশালী ও মাংসপেশী মজবুত করতে চাইলে সকালে দুধ পান করা উচিত।
  • এছাড়াও দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো রাত। রাতে দুধ খেলে ঘুম ভালো হয়। যাদের নিদ্রাহীনতার সমস্যা আছে ওই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে রাতে দুধ খেতে পারেন।
  • পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের সকালে দুধ পান এড়িয়ে রাতে খাওয়ার পর শোয়ার আগে তা পান করা উচিত।
  • বাসি দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন। কারণ, বাসি দুধের থেকে টাটকা দুধের গুণগতমান অনেক বেশি। এ ছাড়া বাসি দুধ শরীরে নানাবিধ সমস্যা তৈরি করে। তাই সর্বদা টাটকা এবং ভালো করে ফুটিয়ে দুধ পান করুন।
  • এছাড়া দুধের সাথে লবণাক্ত কোন খাবার যেমন নিমকি খাওয়া বাদ দিতে হবে। সেই সাথে দুধ পানের আগে বা পরে টক জাতীয় ফল বা আচার কিছু খাওয়া যাবে না।
  • রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধ হলুদ মিশিয়ে পান করুন এতে করে আপনার যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তেমনি হজম শক্তির ক্ষেত্রেও সংশোধন হবে।

দুধ খাওয়ার অপকারিতা

আমরা জানি প্রতিটা জিনিসের উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় আছে। তেমনি ভাবে দুধ খাওয়ার উপকারিতা যেমন আছে, এর অপকারিতাও কিছ আছে। সব জিনিস একটা নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে হয় যা স্বাভাবিক একটা মাত্রা থাকে। দুধের ক্ষেত্রেও এর বেতিক্রম কিছু না। তো, দেখা যাক দুধ খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি-

  • যাদের কিডনিতে পাথর আছে তাদের দুধের ব্যাপারে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কিডনির পাথরের একটি উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম। আর দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। যার ফলে এ ধরণের রুগীর দুধ কম খাওয়ায় ভালো বা রাতে দুধ না খোয়া ভালো।
  • যাদের পেটে অপারেশনের ঘা ভালোভাবে শুকায়নি তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত তাহকতে পারেন।
  • যারা পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী, তাদের দুধ না খাওয়ায় ভালো। এই সকল রোগীদের দুধ খেলে পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে।
  • যাদের খুব বেশি এলার্জি তাদের দুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ অনেকের দুধে এলার্জি বেশি প্রভাব ফেলে।
  • অনেকে আছে দিনে অতিরিক্ত দুধ পান করে থাকেন। প্রচলিত একতা কথা আছে অতিরিক্ত যে কোন কিছুই ভালো না। তাই দিনে ১/২ গ্লাসের বেশি দুধ পান না করাই ভালো।

এতক্ষণ দুধ খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে অনেক আলোচনা হলো যার মধ্যে দুধ খাওয়ার উপকারিতার থেকে অপকারিতা অনেক কম। তাই আমরা প্রতিদিন নিয়ম মেনে পরিমাণ মত দুধ পান করব যার ফলে আমাদের শারীরিক অনেক উপকার পাবো।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা দুধের পুষ্টিগুণ, দুধ খাওয়ার উপকারিতা এবং দুধ খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানার পাশাপাশি কখন দুধ খেতে হবে সেই সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। তাই আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। কারণ, দুধে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে ভালো ও সুস্থ রাখার পাশাপাশি, শরীরে শক্তির জোগান দেয় এবং ক্লান্তি দূর করে।

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *