অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটার সকল পদ্ধতি _ wirebd.com

অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটার সকল পদ্ধতি (ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে) ২০২৪

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ট্রেন টিকেট সকলের কাছে অনেক সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলওয়ে সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য দূরপাল্লার যে কোনো ভ্রমণে সবাই ট্রেনে যাতায়াত করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে এখন ট্রেন টিকিট পাওয়া অত্যন্ত দুঃসাধ্য। টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইনে সারাদিন দাঁড়িয়েও অনেক সময় ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায়না। আর ঈদ ও সরকারি ছুটির সময় টিকিট পাওয়া আরও বেশি কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে আপনি এখন খুব সহজে ঘরে বসে আপনার মোবাইল থেকেই ১০ দিনের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে পারেন। আমি আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটার সকল পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেখাবো-

অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটার পদ্ধতিঃ

বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনে ট্রেন টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করছে সহজ ভেঞ্চার লিমিটেড। সহজ ২০২২ সালের ২৬শে মার্চ থেকে বাংলাদেশে ট্রেন টিকিট বিক্রি করে আসছে। সময়ের সাথে সাথে অনলাইনে টিকিট ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতিতে এসেছে অনেক পরিবর্তন, যুক্ত হয়েছে অনেক নিয়ম। যেমন এখন NID কার্ড ভেরিফিকেশন ছাড়া আপনি ইন্টারসিটি ট্রেনের টিকেট কাটতেই পারবেন না, সেটা হোক অনলাইনে বা টিকেট কাউন্টার থেকে।

বর্তমানে ওয়েবসাইট ও রেল সেবা মোবাইল অ্যাপ থেকে অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটা যায়। ইন্টারফেস একই হওয়ার জন্য দুই মাধ্যমেই অ্যাকাউন্ট তৈরি থেকে শুরু করে টিকেট ডাউনলোড পর্যন্ত সব ধাপ প্রায় একই। চলুন দেখে নেই কিভাবে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ থেকে অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটবেন-

ধাপ ১: অ্যাকাউন্ট তৈরি করা

  • প্রথমে eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে “Register” এ ক্লিক করতে হবে।

ট্রেন টিকিট

  • তারপরে আপনার মোবাইল নাম্বার, NID নাম্বার, জন্ম-তারিখ দিয়ে ক্যাপচা ভেরিফাই করে “SUBMIT DATA” তে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপরে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনার G-mail, পোস্ট কোড ও পাসওয়ার্ড দিয়ে “COMPLETE REGISTRATION” এ ক্লিক করতে হবে।

2

  • ক্লিক করার পরে আপনার ফোন নাম্বারে OTP আসবে, OTP Code নিয়ে ওয়েবসাইটে সাবমিট দিলে অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

3

  • অ্যাকাউন্ট তৈরি হলে সরাসরি ওয়েবসাইটে লগইন হয়ে যাবে।

 

4

ধাপ ২: ট্রেন সার্চ করা

  • প্রথমে eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং আপনার অ্যাকাউন্টটি যদি লগইন করা না থাকে তাহলে লগইন করতে হবে।
  • এরপরে হোমপেজে ট্রেন সার্চ করার অপশন পাবেন। আপনার যাত্রার স্থান ও গন্তব্য, যাত্রার তারিখ এবং কোন ক্লাসে যাত্রা করতে চান তা দিয়ে “SEARCH TRAINS” অপশনে ক্লিক করতে হবে।

মনে করেন, আপনি ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে AC ক্লাসে সান্তাহার স্টেশন থেকে ঢাকা যাবেন। এজন্য From এ দিতে হবে Santahar, To তে দিতে হবে Dhaka এরপর Date of Journey তে আপনার যাত্রার তারিখ ও ক্লাস সিলেক্ট করে “SEARCH TRAINS” এ ক্লিক করতে হবে।

 

ধাপ ৩ঃ ট্রেন ও সিট বাছাই করুন

  • ট্রেন সার্চ করার পরে আপনার সামনে ট্রেনের লিস্ট চলে আসবে। এরপরে আপনার সময় ও সিট ফাঁকা থাকার উপরে ভিত্তি করে ট্রেন সিলেক্ট করতে পারেন।

মনে করেন, আপনি CHILAHATI EXPRESS এ ঢাকা যাবেন, এজন্য আপনাকে CHILAHATI EXPRESS এর উপরে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনাকে কোন ক্লাসে কতটি টিকেট অবশিষ্ট আছে সেটা দেখাবে।

  • এরপরে আপনার পছন্দ অনুযায়ী টিকেট এর উপরে “BOOK NOW” অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে, তাহলে ট্রেনের আসন বিন্যাস দেখাবে।
  • যদি ট্রেনে বেশি টিকেট থাকে বা আলাদা আলাদা বগিতে সিট ফাঁকা থাকে তাহলে আপনি বগি (Coach) পছন্দ করার অপশন পাবেন।

  • একটা বিষয় বলে রাখা ভালো শুধু সাদা রং দিয়ে চিহ্নিত সিটগুলো থেকে আপনি পছন্দ করতে পারবেন। কারণ মিষ্টি রং দিয়ে চিহ্নিত সিটগুলো বুক হয়ে যাওয়া।

  • এরপরে আপনি পছন্দমতো সিটের ওপরে ক্লিক করলে তা নীল রঙের হয়ে যাবে এবং ডানপাশে “CONTINUE PURCHASE” অপশন শো করবে।
  • “CONTINUE PURCHASE” এ ক্লিক করলে আপনার ইনফর্মেশন এবং টিকেটের মূল্য দেখাবে। আপনার সাথে ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু থাকলে “PASSENGER TYPE” থেকে “Child” সিলেক্ট করে দিতে পারেন। Child সিলেক্ট করলে ভাড়া কমে যাবে।

 

ধাপ ৪ঃ অনলাইনে ভাড়া পরিশোধ

অনলাইনে টিকেট কাটার পরে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা কার্ডের মাধ্যমে ঘরে বসে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন।

  • মোবাইল ব্যাংকিং এ যদি ভাড়া পরিশোধ করতে চান তাহলে বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় এর অপশন পেয়ে যাবেন।

  • আর যদি কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান তাহলে ভিসা, মাস্টারকার্ড ও DBBL এর অপশন আছে।
  • আপনার পছন্দমতো পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করে “PROCEED TO PAYMENT” অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
  • এরপরে মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে মোবাইল নাম্বার দিয়ে CONFIRM এ ক্লিক করলে আপনার নাম্বারে কোড আসবে। সেই কোড ওয়েবসাইটে সাবমিট দিলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে।
  • কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার জন্য আপনার কার্ড নাম্বার ও পিন দিয়ে সাবমিট দিলে পেমেন্ট হয়ে যাবে।

মনে করেন, আপনি বিকাশে ভাড়া পরিশোধ করবেন। এজন্য বিকাশ সিলেক্ট করে “PROCEED TO PAYMENT” এ ক্লিক করলে আপনার ফোন নাম্বার দিতে বলবে। আপনার যেই নাম্বার এ বিকাশ খোলা আছে সেই নাম্বার দিয়ে “CONFIRM” এ ক্লিক কর‍তে হবে। এরপরে আপনার ফোনে একটি কোড আসবে। সেই কোড ওয়েবসাইটে সাবমিট দিলে পেমেন্ট করা হয়ে যাবে।

  • মনে রাখবেন পেমেন্ট সম্পন্ন করার জন্য আপনি সর্বোচ্চ ৩ মিনিট সময় পাবেন। এর বেশি সময় নিলে পুরো প্রক্রিয়া আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।

ধাপ ৫ঃ ট্রেন টিকিট সংগ্রহ করা

ভাড়া পরিশোধ করার পরে আপানার সামনে টিকেট প্রিন্ট করার অপশন আসবে। এখানে টিকেটের PNR নাম্বার, ট্রেনের নাম, ক্লাস, সিট নাম্বার, যাত্রার স্থান ও তারিখ সব কিছু দেওয়া থাকবে। যদি আপনার কাছে প্রিন্টার থাকে তাহলে “Print your ticket now” অপশনে ক্লিক করলে টিকেট প্রিন্ট এর পেজে নিয়ে যাবে। অথবা আপনি PDF ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

4

অনেক সময় কারিগরি জটিলতার জন্য টিকেটের কনফার্মেশন উইন্ডো থেকে টিকেট প্রিন্ট বা পিডিএফ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি “Purchase History” থেকে আপনার টিকেটের PDF ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়া অ্যাকাউন্ট করার সময় আপনি যেই জিমেইল ব্যবহার করেছেন সেই G-mail এ টিকেটের PDF কপি চলে যাবে।

টিকেটের PDF ডাউনলোড করে নিলে মূলত আপনার অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটার প্রক্রিয়া শেষ। এখন চাইলে আপনি আপনার টিকেটটি ভেরিফাই করে দেখতে পারেন। এজন্য-

  • ওয়েবসাইটের “Verify Ticket” অপশনটিতে ক্লিক করে অনলাইন টিকেট সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপরে আপনার আপনার টিকেটের PNR নাম্বার দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করে “Verify Ticket” এ ক্লিক করলে আপানার টিকেটের ডিটেলস শো করবে। যদি আপনি অন্য কারও থেকে টিকেট কেটে নেন তবে নিজে থেকে টিকেট ভেরিফাই করে দেখে নিতে পারেন।

আশা করি অনলাইনে কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে ট্রেন টিকিট কাটবেন সেটা বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল অ্যাপ থেকে ট্রেন টিকিট কাটার পদ্ধতিঃ

মোবাইলে ট্রেন টিকিট কাটার নিয়ম অনেকটা ওয়েবসাইট থেকে ট্রেন টিকিট কাটার মতোই। তারপরেও আপনাদের সুবিধার জন্য কিভাবে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রেন টিকিট কাটবেন সেই পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক-

ধাপ ১ঃ অ্যাপ ডাউনলোড ও লগইন

  • প্রথমেই প্লে স্টোর থেকে Rail Sheba অ্যাপটি ডাউনলোড দিতে হবে। অ্যাপ ডাউনলোড দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি আসল Rail Sheba অ্যাপ ডাউনলোড দিচ্ছেন, কারণ প্লে স্টোরে Rail Sheba নামে অনেক নকল অ্যাপ আছে।

  • অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে গেলে অ্যাপ ওপেন করে নিতে হবে। অ্যাপ ওপেন হলে LOGIN ও REGISTER দুটি অপশন শো করবে।

কিভাবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন সেই পদ্ধতি আমি আগেই দেখিয়ে দিয়েছি। তাই অ্যাকাউন্ট থাকলে অ্যাপ ওপেন করে LOGIN বাটনে ক্লিক করে আপনার ফোন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন।

আপনি যদি অ্যাপে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে-

  • অ্যাপ ওপেন করার পরে “REGISTER” বাটনে ক্লিক করে আপনার ফোন নাম্বার, NID নাম্বার ও জন্মতারিখ দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করে “VERIFY” বাটনে ক্লিক করবেন।

  • তারপরে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনার G-mail, পোস্ট কোড ও পাসওয়ার্ড দিয়ে “COMPLETE REGISTRATION” এ ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনার ফোন নাম্বারে একটি কোড যাবে। সেই কোড নিয়ে অ্যাপে সাবমিট দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। তারপরে LOGIN অপশনে ক্লিক কর অ্যাকাউন্ট লগইন করে নিবেন।

ধাপ ২ঃ ট্রেন সার্চ

অ্যাপে লগইন করার পরে শুরুতেই আপনি ট্রেন সার্চ করার অপশন পাবেন। এখানে From এ আপনি যেই স্টেশন থেকে যাত্রা করবেন সেই স্টেশন এবং To তে আপনার গন্তব্য স্থানের নাম দিবেন। Class এ আপনি যেই শ্রেণীতে যাত্রা করতে চান সেটা সিলেক্ট করবেন। এরপরে Journey Date এ যাত্রার তারিখ দিবেন। সব ইনফর্মেশন দেওয়ার পরে SEARCH TRAIN এ ক্লিক করবেন।

যেমন ধরেন, আপনি ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে AC-B ক্লাসে সান্তাহার স্টেশন থেকে ঢাকা যাবেন। এজন্য From এ দিতে হবে Santahar, To তে দিতে হবে Dhaka এরপর আপনার Class AC এবং যাত্রার তারিখ ৭ ডিসেম্বর সিলেক্ট করে “SEARCH TRAIN” এ ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৩ঃ ট্রেন ও আসন নির্বাচন

“SEARCH TRAIN” এ ক্লিক করার পরে আপনার সামনে ট্রেন লিস্ট চলে আসবে। এরপরে-

  • লিস্ট থেকে সময় ও সিট ফাকা থাকার উপরে ভিত্তিকরে আপনি ট্রেন সিলেক্ট করে টিকেটের উপরে “BOOK NOW” অপশনটিতে ক্লিক করবেন।
  • এরপরে আপনার সামনে ট্রেনের সিটের তালিকা ওপেন হবে। তালিকার সাদা রং চিহ্নিত সিট দিয়ে খালি সিট এবং মিষ্টি রং দিয়ে চিহ্নিত সিট দিয়ে বুক হয়ে যাওয়া সিটগুলো বুঝায়।

আপনার পছন্দ মতো সিট সিলেক্ট করে “CONTINUE PURCHASE” এ ক্লিক করবেন।

“CONTINUE PURCHASE” এ ক্লিক করার পরে আপনার সামনে ডিটেলস এর পেজ ওপেন হবে। যেখান থেকে আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ইনফর্মেশন পরিবর্তন করতে পারেন, যেমন G-mail বা ফোন নাম্বার। এছাড়া আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় (১৩ বছরের নিচে) সেক্ষেত্রে CHILD অপশন সিলেক্ট করতে পারেন।

সব ইনফর্মেশন ঠিক থাকলে “PROCEED” এ ক্লিক করবেন।

 

ধাপ ৪ঃ অনলাইনে ভাড়া পরিশোধ

অনলাইনে টিকিট কাটার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং বা কার্ডের মাধ্যমে ঘরে বসে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন।

  • আপনি কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন সেটা সিলেক্ট করতে হবে।

ধরেন যদি বিকাশে পেমেন্ট করতে চান তাহলে বিকাশ সিলেক্ট করে “PROCEED TO PAYMENT” এ ক্লিক করতে হবে।

এরপরে আপনার যেই মোবাইল নাম্বারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা আছে সেই ফোন নাম্বার দিতে হবে। নাম্বার দিয়ে “COMFIRM” এ ক্লিক করলে আপনার বিকাশ নাম্বারে একটি কোড যাবে। সেই কোড নিয়ে অ্যাপে সাবমিট দিলে টিকেট কিনা হয়ে যাবে।

  • টিকেট কেনা হয়ে যাওয়ার পরে অ্যাপে সরাসরি PDF ডাউনলোড করার অপশন আসবে। PDF ডাওনলোড করে নিলে আপনার কাজ শেষ। তারপরে যাত্রার আগে টিকেটের PDF নিয়ে যেকোনো কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করে নিতে পারেন।

যদি টিকেট কাটার পরে কোন সহায়তার প্রয়োজন হয় তাহলে [email protected] এই ঠিকানায় মেইল করতে পারেন। আর কারিগরি ত্রুটির কারণে টিকেট ইস্যু না হলে টাকা ফেরত পেতে [email protected] এই ঠিকানায় মেইল করতে পারেন। টিকিট সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় বিকাশের ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করে আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন।

সম্ভব হলে অনলাইনে ট্রেন টিকিট কাটার সময় যাত্রার ৪-৫ দিন আগে টিকিট কাটার চেষ্টা করবেন এতে করে টিকেট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকারঃ

ট্রেনে ভ্রমণের জন্য কিছু নিয়মাবলি আছে যেগুলো জানা ও মেনে চলা জরুরী। আপনাদের সুবিধার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলি উল্লেখ করা হল-

টিকেট ক্রয় সংক্রান্ত নিয়মাবলিঃ

  1. অগ্রিম ১০ দিনের ট্রেন টিকিট কেনা যাবে।
  2. টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে অনলাইন ও কাউন্টারের কোন কোঠা নেই, যে কোন মাধ্যম থেকেই শতভাগ টিকেট কেনা যাবে।
  3. অনলাইনে সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত টিকেট কেনা যাবে।
  4. এক অ্যাকাউন্ট থেকে একবারে সর্বোচ্চ ৪টি টিকেট কেনা যাবে, আর একদিনে সর্বোচ্চ দুইবার টিকেট কেনা যাবে।
  5. ১২-১৮ বছরের নাগরিকরা জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন, তবে ১৮ বছর হয়ে গেলে অবশ্যই NID কার্ড ব্যবহার করতে হবে। আর বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন। তবে এই দুই ক্ষেত্রে সাধারানত ৭২ ঘণ্টা বা ৩ কর্মদিবস সময় লাগে।

ভ্রমণ সংক্রান্ত নিয়মাবলিঃ

  1. একজনের কেনা ট্রেন টিকিট কোন ভাবেই অন্যজনকে হস্তান্তর করা যাবে না, কারণ “টিকেট যার ভ্রমণ তার”।
  2. ভ্রমণের সময় টিকেট ক্রয়কারীকে অবশ্যই টিকেটের ও NID কার্ডের প্রিন্টেড কপি কাছে রাখতে হবে।
  3. স্ট্যান্ডিং টিকেটের যাত্রীরা শুধুমাত্র “শোভন” শ্রেণিতে অবস্থান করতে পারবেন। স্ট্যান্ডিং টিকিট কেনার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করতে হবে না।

অন্যান্য নিয়মাবলিঃ

  1. বাংলাদেশ রেলওয়ে যেকোনো সময় আপনার যাত্রা বাতিলের পূর্ণ অধিকার রাখে।
  2. যাত্রার সময় অতিরিক্ত মালামাল বহন করা যাবে না। তাপানুকুল শ্রেণীর যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৩৭.৫ কেজি, শোভন ও সুলভ শ্রেণীর যাত্রীরা যথাক্রমে ২৬ কেজি ও ২৩ কেজি মালামাল বহন করতে পারবেন।

আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে কিভাবে অনলাইনে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ থেকে ট্রেন টিকিট কাটবেন তা বুঝতে পেরেছেন। আর ঘরে বসে ট্রেন টিকিট কাটার মাধ্যমে যেমন আপনার মূল্যবান সময় বাঁচবে তেমনি দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর বাড়তি ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার যাত্রা নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ হোক।

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *