অঙ্গীকারনামা কি? অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম [নমুনা সহ]

অঙ্গীকারনামা কি? অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম [নমুনা সহ]

কোন চুক্তির লিখিত রুপকে বলা হয় অঙ্গীকারনামা। এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো কোন লেনদেন বা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা। অঙ্গীকারনামা লেখা হয় সাধারণত একটি কার্যক্রম লেনদেনের ভবিষ্যৎ ফলাফল জাতে সুস্থ হয়। এই চুক্তিপত্র দুটি পক্ষের অনুমতিক্রমে সাক্ষীর উপস্থিতিতে লেখা হয়।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে নানান মানুষের সাথে নানান চুক্তি করতে হয়। অনেক সময় এসব চুক্তির লিখিত রুপ দেওয়া লাগে। মূলত যাকে বলা হয় অঙ্গীকারনামা। আমাদের সকলের উচিত অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম বা কিভাবে একটি চুক্তিপত্র লেখে তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা। কিন্তু অনেকেই জানেন না অঙ্গীকারনামা কীভাবে লিখতে হয় বা এটা লেখার প্রয়োজনীয়তা কি। তাই যারা এই বিষয়ে জানেন না আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে। এখানে আমি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সহ অঙ্গীকারনামার যাবতীয় কিছু বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে শুরু করা যাক-

অঙ্গীকারনামা কি?

অঙ্গীকারনামা কি?

অঙ্গীকারনামা হল একধরনের চুক্তিপত্র বা স্ট্যাম্প। এটি সাধারণত দুই পক্ষের মধ্যে হয়ে থাকে। এবং একটি অঙ্গীকারনামা একটি আইনগতভাবে প্রয়োগযোগ্য লিখিত চুক্তি যা তার পক্ষগুলির মধ্যে পারস্পরিক অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা তৈরি করে, সংজ্ঞায়িত করে এবং পরিচালনা করে।  অঙ্গীকারনামা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের সাথে হয়ে থাকে। যেমনঃ এক সাথে যদি দুইজন মিলে কোনো ব্যবসা করে থাকে তাহলে সাধারণত এই ব্যবসার ক্ষেত্রে দুই পার্টনারের মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামা হয়ে থাকে, এই ক্ষেত্রে দুই পক্ষের পজিশন সমান থাকে।

আবার দেখা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আর শিক্ষার্থীদের মধ্যেও একটি অঙ্গীকারনামা হয়ে থাকে, কিন্তু সেখানে দুই পক্ষের পজিশন সমান থাকেনা। আবার জাতীয় ক্ষেত্রে সরকার আর জনগনের মধ্যে অঙ্গীকারনামা হয়ে থাকে। এই অঙ্গীকারনামা বাংলাদেশের আইন মোতাবেক একটি লিখিত ধারা। এটি যে কোন কাজে একটি প্রমানপত্র হিসেবে কাজ করে, যাতে ভবিষ্যতে কোন ঝামেলায় পড়তে না হয়। এই অঙ্গীকারনামায় দুই পক্ষের পরিচয় থাকে। তার সহিত কে কি করতে চলেছে তার বর্ণনা করা থাকে, স্বাক্ষর করা থাকে টাকা পয়সার বিষয় থাকলে তার পরিমাণ উল্লেখ করা থাকে।

আরও জানতে ভিজিটঃ- copyrightoffice.gov.bd

অঙ্গীকারনামা লেখার প্রয়োজনীয়তা

অঙ্গীকারনামা লেখার প্রয়োজনীয়তা

অঙ্গীকারনামা এক বা একাধিক পক্ষ এবং সাক্ষীর উপস্থিতিতে নির্ধারিত স্টাম্প পেপারে লেখা হয়। এর ভিতর অনেকগুলো জিনিস বর্ণনা করা যেতে পারে। যেমনঃ আপনার কোন ব্যবসায় কার্যক্রমে একজন ব্যক্তিকে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে গ্রহণ করবেন একটি নির্দিষ্ট শর্তাবলী এবং একটি নির্দিষ্ট লভ্যাংশ প্রদানের ভিত্তিতে। চুক্তিপত্রে এই সমস্ত বিষয় গুলো বর্ণনা করে লিখতে হয়।

এছাড়াও আজকাল আমাদের বিভিন্ন কাজে  চুক্তিপত্র অঙ্গীকারনামা লেখার দরকার হতে পারে। একটি উপযুক্ত চুক্তিপত্রের কারণে দুই পক্ষই দায়বদ্ধ থাকে। এতে করে যদি ভবিষ্যতে উক্ত কার্যক্রমের কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে তা থেকে যেনো নিজেকে বা নিজের ব্যবসায় কে বাঁচানো সম্ভব হয়। আর কোন পক্ষ যদি চুক্তিপত্রের আইন ভঙ্গ করে তাহলে দেশে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

যে কোন অঙ্গীকারনামা লেখার আগে আমাদের উচিত অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম বা কিভাবে চুক্তিপত্র লেখে তা সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা রাখা। অঙ্গীকারনামাটি অবশ্যই স্ট্যাম্পে লিখতে হবে এটি অঙ্গীকারনামা লেখার প্রথম শর্ত। স্ট্যাম্প ছাড়া কখনোই অন্য কিছুতে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখা যাবে না। কারণ, চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা স্ট্যাম্পে লেখা বাদে অন্য কিছুতে লিখলে ওই অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র কোনো ভাবেই গ্রহণ যোগ্য হবে না। নিম্নে অঙ্গীকারনামা লেখার আরোও কিছু নিয়ম লেখা হলো-

  • অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম এর মধ্যে, প্রথমেই চুক্তিতে যেসকল পক্ষ অংশগ্রহণ করবে সে সব পক্ষের নাম ঠিকানা স্পষ্ট করতে উল্লেখ করতে হবে। আর যদি কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হয় সে ক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
  • যাদের সাথে চুক্তি করছেন ঐ চুক্তি অনুসারে কার কতটুকু অংশ বা ভূমিকা থাকবে এবং কোন বিষয় নিয়ে কিংবা কাজ নিয়ে চুক্তি হচ্ছে ঐ সকল বিষয় চুক্তি শুরুর তারিখে উল্লেখ থাকতে হবে। আর যদি চুক্তি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে চুক্তি কবে শুরু হচ্ছে আর কবে শেষ হবে তার তারিখ উল্লেখ করে দিতে হবে।
  • চুক্তিপত্রের একটি অনুচ্ছেদে মীমাংসা সংক্রান্ত শর্ত রাখা জরুরি। কারণ, বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই মীমাংসার মাধ্যমে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করা হয়। তাই চুক্তিনামায় সালিস আইন ২০০১-এর মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধানটি রাখা যেতে পারে।
  • যারা যারা চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছেন চুক্তির শেষে সেই সব পক্ষের স্বাক্ষর ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
  • চুক্তি করার সময় নাবালক, পাগল, দেউলিয়া ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, বিদেশি শত্রু ও দেশদ্রোহী ব্যক্তির সঙ্গে কোনো চুক্তি করা যাবে না।

অঙ্গীকারনামায় যেসব বিষয় উল্লেখ করতে হবে তা হলো

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়মএর মধ্যে অনেক কিছুই উল্লেখ করতে হয়। নিম্নে তা লেখা হলো-

  • স্ট্যাম্পে সর্বপ্রথম অঙ্গীকারনামার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। যেমনঃ ১০ জানুয়ারি ২০২১।
  • চুক্তিপত্রে চুক্তি গ্রহণকারী পক্ষগুলোর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম,  ঠিকানা,  মোবাইল নাম্বার এবং ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।
  • অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্রের কারণ অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
  • উক্ত চুক্তিতে চুক্তি গ্রহণকারী কোন পক্ষ কি ভূমিকা পালন করবে সেটি বর্ণনা করতে হবে।
  • অবশ্যই অঙ্গীকারনামার চুক্তির মেয়াদ কাল উল্লেখ করতে হবে। এটি অত্যন্ত অত্যন্ত অত্যন্ত দরকারি। অঙ্গীকারনামায় থাক্তেই হবে চুক্তির মেয়াদকাল।
  • চুক্তির শর্তাবলী উল্লেখ করতে হবে।
  • অঙ্গীকারনামার নিচে উল্লেখিত জায়গায় দুই পক্ষের স্বাক্ষর রাখতে হবে তারিখ এবং নিজ নিজ সাক্ষীর স্বাক্ষর সহ।
  • অঙ্গীকারনামা বা চুক্তি ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারির বিরুদ্ধে কেমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা উল্লেখ করে দিতে হবে এই চুক্তিপত্রে।

যেই শর্তাবলীর ভিত্তিতে অঙ্গীকারনামা আইনগত দিক থেকে কার্যকর হবে

আইনগত দিক থেকে অঙ্গীকারনামা কার্যকর হওয়ার বেশ কিছু শর্তাবলী রয়েছে। যেই শর্তাবলীর ভিত্তিতে অঙ্গীকারনামা আইনগত দিক থেকে কার্যকর হয় নিম্নে সেই শর্তাবলী সম্পর্কে লেখা হলো-

  • সর্বপ্রথম, চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক এবং সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের ব্যক্তি হতে হবে।
  • প্রত্যেক অঙ্গীকারে বা চুক্তিতে একজন অন্যজনকে প্রস্তাব প্রদান করবে।
  • অন্যজন সে প্রস্তাব গ্রহনে সম্মতি দিয়ে প্রতিদান উল্লেখ করবে।
  • প্রতিদান ছাড়া কোনো চুক্তি কার্যকর হবে না।

চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

বর্তমানে চাকরির জন্য চাকরির অঙ্গীকারনামা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চাকরি করতে গেলে আপনাকে চাকরির অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে। তাই আপনারা যারা চাকরির জন্য অঙ্গীকারনামা লিখবেন তারা অবশ্যই অঙ্গীকারনামা কোম্পানির কাছ থেকে কোম্পানি পলিসি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন এতে আপনাদের অনেক উপকার হবে। অঙ্গীকারনামায় চাকরির জন্য নির্দিষ্ট জামানত বা সনদপত্র জমা দিতে হবে কিনা সবকিছুই সেখানে উল্লেখ করা থাকবে। নিম্নে চাকরির অঙ্গীকারনামার নমুনা লেখা হলো-

অঙ্গীকারনামা নমুনা

আমি………….. পিতা…………… মাতা ………………..ঠিকানা……………. স্থায়ী ঠিকানা………… ডাকঘর ……………উপজেলা……….. জেলা………. জাতীয়তা………………..

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর ঢাকা গত তারিখ ………….তারিখের ………….. নাম্বার অফিসে আদেশের আলোকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০২৪ অনুযায়ী (২০,০০০/২২,০০০ বেতন স্কেলে “বাংলাদেশ বেতার রাজস্ব খাতভুক্ত স্টোর কিপার পদে” নিয়োগ পাই। আমার রোল…………..

আমি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতেছি যে, আমি এই চাকরি অবস্থায় কোন রকম খারাপ ও অপরাধমূলক কাজ করবো না। সর্বদাই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারবিধি মোতাবেক যেকোনো শাস্তি গ্রহণ করতে বাধিত থাকবো। আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে, উপরে বর্ণিত অঙ্গীকারনামায় আমি স্ব শরীরে ও সুস্থ মস্তিষ্কে বিবরণ পরিয়া নিম্নে স্বাক্ষর করিলাম।

সাক্ষ‌ীগণের স্বাক্ষর ও ঠিকানা

ব্যবসায়িক অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

ব্যবসায়িক অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

ব্যবসা করতে গেলে আমাদের আর্থিকভাবে অনেক লেনদেন করতে হয়। আর তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে আমাদের একটি চুক্তিপত্রের দরকার হয়ে থাকে। আর সেই চুক্তিপত্রকে অঙ্গীকারনামা বলা হয়। তাই আপনি যদি কারো সাথে টাকা লেনদেন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি অঙ্গীকারনামা করতে হবে। আর এটির জন্য আপনে যদি আগে থেকে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা রাখেন তবে এটি আপনার জন্য অনেক ভালো কাজে দিবে। নিম্নে ব্যবসায়িক অঙ্গীকারনামা বা টাকা ধার দেয়ার অঙ্গীকারনামার নমুনা লেখা হলো-

ব্যবসায়িক অঙ্গীকারনামা বা টাকা ধারের অঙ্গীকারনামা

মোঃ ………………….., পিতাঃ………………………………, মাতা-…………………………., জাতীয় পরিচয়পত্র নং …………….., মোবাইল নং-…………………., বর্তমান ঠিকানাঃ …………………। স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম/মহল্লাঃ …………………, ডাকঘর: …………………, উপজেলাঃ …………………., জেলাঃ ………………….., জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম: ইসলাম, পেশা: ব্যবসায়ী। প্রথম পক্ষ (দাতা)।মোঃ ………………….., পিতাঃ………………………………, মাতা-…………………………., জাতীয় পরিচয়পত্র নং …………….., মোবাইল নং-…………………., বর্তমান ঠিকানাঃ …………………। স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম/মহল্লাঃ …………………, ডাকঘর: …………………, উপজেলাঃ …………………., জেলাঃ ………………….., জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম: ইসলাম, পেশা: চাকুরী। দ্বিতীয় পক্ষ (গ্রহীতা)। প্রথম পক্ষ কর্তৃক আমি দ্বিতীয় পক্ষের টাকা প্রয়োজন হওয়ায় ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা হাওলাত হিসেবে গ্রহণ করিলাম।

উক্ত টাকা আমি দ্বিতীয়পক্ষ ১০/১১/২০২৩ইং তারিখ রোজ বুধবার হইতে আগামী এক মাসের মধ্যে ১০/১২/২০২৩ইং তারিখ রোজ শুক্রবার এর মধ্যে পরিশোধ করিবো। উক্ত তারিখে টাকা পরিশোধ করা না হইলে আমার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইলে আমি দ্বিতীয়পক্ষের কোন আপত্তি থাকিবে না। এই বিবৃতি আমি দ্বিতীয়পক্ষ স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এবং বিনা প্ররোচনায় উপস্থিত স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে নিম্নে আমার সহি সম্পাদন করিলাম।

স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর

১। দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর

ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সবার জন্য লাগেনা। মূলত যারা বেশি বয়সে ভোটার হয় এবং কেনো তারা আগে ভোটার হয়নি এর জন্য তাদের একটি অঙ্গীকারনামা সরকারের নিকট লিখতে হবে। এছাড়াও যারা দেশের বাইরে থাকে এবং দেশে এসে ভোটার হতে চায় বা দেশে এসে বসবাস করতে চায় সরকারের কাছে তাদের একটি অঙ্গীকারনামা দিতে হয়।

ভোটার অঙ্গীকারনামা

আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি ফারুক শেখ, পিতা- ইসমাইল হোসাইন, মাতা- রত্না বেগম, গ্রাম- ফুলতলি, পোস্ট- কাঁঠালবাড়িয়া, উপজেলা- দুর্গাপুর, জেলা- ফেনি, অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় এলাকায় উপস্থিত থেকে ভোটার হতে পারিনি। তাই এখন নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে, ইতোপূর্বে বাংলাদেশের কোথায়ও ভোটার নিবন্ধন করিনি। যেহেতু একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডণীয় অপরাধ সেহেতু আমি ভবিষ্যতে দ্বৈত ভোটার হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমি তা মেনে নিতে বাধ্য থাকবো।

এমতাবস্থায়, আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনার নিকট সবিনয় অনুরোধ করছি।

(স্বাক্ষর)

ফারুক শেখ

পিতা- ইসমাইল হোসাইন

গ্রাম-ফুলতলি, কাঁঠালবাড়িয়া

উপজেলা- দুর্গাপুর, রাজশাহী

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা অঙ্গীকারনামা সম্পর্কে জেনে অনেক উপকৃত হয়েছেন। এখানে আমি আপনাদের জানিয়েছি অঙ্গীকারনামা কি, এটা লেখার প্রয়োজনীয়তা কি, এটা লেখার নিয়ম কি সেইসাথে ব্যবসায়িক, চাকরির কিংবা ভোটার হওয়ার জন্য কীভাবে অঙ্গীকারনামা লিখতে হয় (নমুনা সহ) ইত্যাদি। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন সব ইন্টারেস্টিং এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন

Author

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *