মানুষ কি কখনো মঙ্গল গ্রহে বসবাস করতে সক্ষম হবে? কেন সেটা প্রায় অসম্ভব?

আমাদের সোলার সিস্টেমে মোট চারটি পাথুরে প্ল্যানেট রয়েছে — বুধ, শুক্র, পৃথিবী এবং মঙ্গল — বাকী প্ল্যানেট গুলো আকারে অনেক দানবাকার, কিন্তু সেগুলো বেশিরভাগ গ্যাসীয় পদার্থের উপর তৈরি, মানে আপনি সেগুলোতে কোন শক্ত পৃষ্ট পাবেন না, যেখানে নিজের পা রাখবেন। বসবাসের যোগ্য প্ল্যানেটের কথা চিন্তা করতে পৃথিবীর পরে সবচাইতে আকর্ষণীয় প্ল্যানেট’টি হচ্ছে মার্স বা মঙ্গল গ্রহ। যদিও আকৃতির দিক থেকে শুক্র গ্রহের সাথে পৃথিবীর অনেক মিল রয়েছে, কিন্তু এর অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে এই গ্রহকে জাহান্নামের সাথে তুলনা করলে ভুল বলা হবেনা। “কেন মঙ্গল গ্রহে যাত্রা করার স্বপ্ন” — এই আর্টিকেলে আমি মানুষের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে কৌতূহল এবং কেন যাত্রার জন্য মঙ্গল বেস্ট প্লেস সেগুলো আলোচনা করেছিলাম!

কিন্তু আরেকটি প্রশ্ন, আসলে মানুষেরা কি কখনো মঙ্গল গ্রহে বসবাস করতে সক্ষম হবে? এই টপিকের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেই আজকের আর্টিকেলটি লিপিবদ্ধ করলাম।


মঙ্গল গ্রহে বসবাস

মঙ্গল নিয়ে আমাদের কল্পনার শেষ নেই, মঙ্গল থেকে পাঠানো পিকচার গুলো এই লাল প্ল্যানেটের আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলে রয়েছে পাহাড় পর্বত, রয়েছে পা রাখার জন্য জমি, সেখানে বায়ু মণ্ডল রয়েছে, আর টিভি চ্যানেল বা নিউজ পেপার থেকে অবশ্যই জেনেছেন মঙ্গলে পানির ও সন্ধান পাওয়া গেছে। পৃথিবীর পরে মানুষের যাওয়ার যোগ্য এই একটি প্ল্যানেটই রয়েছে বর্তমানে।

তাহলে কি আমরা মার্সে বসবাস করতে সক্ষম হতে পারি? — ওয়েল, এই উত্তরটি একটু মুশকিলের, অন্তত যতোক্ষণ এই আর্টিকেলের বাকী প্যারাগ্রাফ গুলো না পড়বেন। তবে আশা এটা যে, হয়তো ভবিষ্যতে আমরা সম্ভব করতেও পারি, কিন্তু সেটা সুদূর ভবিষ্যতের কথা। তবে অদূর ভবিষ্যতে যদি মঙ্গলে বসবাস করার কল্পনা করে থাকেন, সেটা একেবারেই অসম্ভব।

কেন মঙ্গলে বসবাস সম্ভব নয়?

মঙ্গলে বসবাস সম্ভব না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। মঙ্গলে শুধু পা রাখায় যেতে পারে বা কয়েকদিন থেকে সেখানে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো যেতে পারে, কিন্তু সেখানে পার্মানেন্ট বসবাস করা এক আলাদা কাহিনী। প্রথমেই পৃথিবীর সাথে মঙ্গলকে তুলনা করতে গেলে মার্স একটি বিরাট মরুভূমি, যেখানে নেই পর্যাপ্ত পানির সোর্স, এর মেরু এলাকায় কিছু পানির বরফ রয়েছে এবং হতে পারে সার্ফেসের কিছু অংশে তরল পানি রয়েছে, কিন্তু সেটা একেবারেই যথেষ্ট নয়। সম্পূর্ণ মার্স এক বিশাল শুকনো মরুভূমি যেখানে বালু আর পাথর ছাড়া আর কিছুই নেই।

আরেকটি বিরাট সমস্যা হচ্ছে আমাদের বসবাস করার জন্য চাই সঠিক এবং সহনযোগ্য তাপমাত্রা, সেদিক থেকেও মার্স একেবারেই বসবাসের অনুপযোগী। মঙ্গলের বায়ুমন্ডল অনেক পাতলা, তাই এতে গরম ধরে রাখার মতো ক্ষমতা নেই, তাই মার্স সম্পূর্ণ ফ্রিজিং কোল্ড পরিবেশের। মঙ্গলে গরমের দিনে সবচাইতে গরম প্লেসে সর্বচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যদিও এটা এতোটাও মন্দ নয় কিন্তু এর গড় তাপমাত্রা -৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -১৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেটা সহ্য করা একেবারেই অসম্ভব। তবে ভবিষ্যতে হয়তো মার্সের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে, বা স্পেশাল স্পেস স্যুট এবং স্পেশাল বাসস্থান বানিয়ে তাপমাত্রা থেকে রেহায় পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাপমাত্রায় এক মাত্র সমস্যা নয়।

পূর্বেই বলেছি মঙ্গলের বায়ুমন্ডল অত্যন্ত পাতলা এবং এর বায়ুচাপ অনেক কম, তাই যখন মানুষ ভর্তি স্পেসক্র্যাফট মঙ্গলের পৃষ্ঠে নামার জন্য চেষ্টা করবে, সেটার স্পীড কমানোর জন্য বায়ু যথেষ্ট সাপোর্ট করতে পারবে না। রকেট বুস্টার ব্যবহার করে হয়তো এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে, কিন্তু আরেকটি বিরাট সমস্যা হচ্ছে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের বিরাট কমতি রয়েছে, এর বায়ুমণ্ডলের কেবল ০.১৪% অক্সিজেন রয়েছে, যেখানে পৃথিবীতে ২১% অক্সিজেন রয়েছে।

মঙ্গল গ্রহে বসবাসের আরেকটি বড় এবং বলতে পারেন সবচাইতে বড় ঝুঁকি হচ্ছে রেডিয়েশন। আমাদের প্ল্যানেট আর্থ এ রয়েছে সক্রিয় আইরন কোর, যেটার ফলে তৈরি করে সক্রিয় চৌম্বকক্ষেত্র, আর এই চৌম্বকক্ষেত্র বা ম্যাগেন্টিক ফিল্ড সোলার রেডিয়েশন থেকে বা গভীর স্পেস থেকে আসা যেকোনো রেডিয়েশন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। মঙ্গলের কোর যেহেতু নিভুনিভু, তাই এর চৌম্বকক্ষেত্র অত্যন্ত কম বা বলতে পারেন নেই বরাবর, অর্থাৎ মঙ্গলে স্পেশাল স্পেস স্যুট পরিধান করে বসবাস করার পরেও রেডিয়েশন থেকে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক অংশে বেড়ে যাবে। মঙ্গলে মাত্র কয়েকদিন কাটানো আর কোন নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে ১০ বছরের বেশি সময় কাটানোর সমান রেডিয়েশনে আক্রান্ত হতে পারেন।

মঙ্গলকে কিভাবে বাসের উপযোগী বানানো সম্ভব?

মঙ্গলের বর্তমান অবস্থা থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, এটা বাসের পক্ষে কতোটা অনুপযোগী, কিন্তু অত্যন্ত তুখড় বিজ্ঞানীরা কিছু তত্ত্ব তৈরি করেছেন, যেগুলো অ্যাপ্লাই করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে হয়তো এই বেজান গ্রহে প্রান টিকে রাখানো সম্ভব হতে পারে। মঙ্গলকে বাসের জন্য উপযোগী করে তুলতে অনেক বিষয়ের উপর পরিবর্তন আনতে হবে, আর প্ল্যানেটের মতো বিশাল কোন অবজেক্ট, আর তারপরে আবার আমাদের প্ল্যানেট থেকে শতশত মিলিয়ন দূরের গ্রহের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার গুলোকে পরিবর্তন আনা একেবারেই মুখের কথা নয়।

মঙ্গলকে বাস উপযোগী বানাতে চারটি বিশেষ পরিবর্তন আনতে হবে, প্রথমত, এর তাপমাত্রা বাড়াতে হবে, যাতে ঠাণ্ডায় জমে কুলফি না হয়ে যান। দ্বিতীয়ত, বায়ুমন্ডলের চাপ বাড়াতে হবে, যাতে লিকুইড পানি সেখানে ধরে রাখা যায়। তৃতীয়ত, বায়ু পরিস্কার করতে হবে এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে হবে, যাতে খোলা বাতাসে নিশ্বাস নেওয়া সম্ভব হয় এবং চতুর্থত, ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করতে হবে যাতে সোলার রেডিয়েশন বা ডীপ স্পেস রেডিয়েশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি

বিজ্ঞানীরা কল্পনা করেন, পূর্বে মিলিয়ন বছর আগে কোন এক সময় মঙ্গলের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল, মানে মানুষের বসবাসের উপযোগী, কিন্তু কোন এক কারণে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল নষ্ট হয়ে যায় এবং যেহেতু বায়ুমন্ডল অনেক পাতলা তাই গ্রিন হাউজ ইফেক্ট হয় না, ফলে এর তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে মঙ্গলের বায়ু মন্ডলকে CO2 দ্বারা পূর্ণ করতে হবে, যাতে গ্রিন হাউজ ইফেক্ট হতে পারে এবং তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে।

মঙ্গলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার বেশ কিছু তত্ত্ব রয়েছে, এর মধ্যে বেস্ট কিছু তত্ত্ব শেয়ার করলাম। প্রথমত, মার্সে অনেক ফ্যাক্টরি বানাতে হবে, যেটা থেকে অনেক গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি হবে এবং গ্রিন হাউজ ইফেক্ট শুরু হবে। যেহেতু আমরা এই ভাবেই গ্রিন হাউজ ইফেক্ট তৈরি করে আমাদের গ্রহকে গরম করে তুলছি, তাই এটা একেবারেই কমন আইডিয়া। কিন্তু মঙ্গলে এতো হিউজ অংকের ফ্যাক্টরি তৈরি করা সম্ভব নয়।

দ্বিতীয় তত্ত্বটি হচ্ছে, মার্সে নিউক্লিয়ার বম ফেলা, যাতে গ্রহের তাপমাত্রা বারতে পারে এবং গ্রিন হাউজ ইফেক্ট শুরু হতে পারে, কিন্তু এতো পরিমাণে নিউক্লিয়ার বম ফেলার পরে রেডিয়েশন থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে সেটা এক বিরাট প্রশ্ন। আরেকটি তত্ত্ব হচ্ছে, মার্সের উপরে এক বিরাট আয়না ইন্সটল করা, যেটা সূর্যের আলো আরোবেশি করে রিফ্লেক্ট করে পৃষ্ঠে প্রবেশ করাবে, এতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করানো যেতে পারে। কিন্তু এমন সাইজের আয়না ভবিষ্যতেও তৈরি করা সম্ভব হবে কিনা বলে বিরাট প্রশ্ন থেকেই যায়।

অক্সিজেন উৎপাদন

মঙ্গলে পর্যাপ্ত তাপমাত্রা তৈরি করার পরে দ্বিতীয় টাস্কটি হবে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন উৎপাদন করা, যাতে বায়ু নিশ্বাস নেওয়ার যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। কয়েকভাবে মঙ্গলে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া যেতে পারে, প্রথমত, পৃথিবী থেকে ট্যাঙ্কে করে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যাওয়া, যেটা অনেক ব্যয়বহুল একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। মঙ্গলে যদি অক্সিজেন তৈরি করার ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হয় এটাও অনেক ব্যয়বহুল প্রসেস হবে।

এরপরে আইডিটি হচ্ছে, বৃক্ষ রোপন এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে অক্সিজেন উৎপাদন। বিজ্ঞানীরা অলরেডি এমন এক প্রজেক্টের উপর কাজ করছে, যার মাধ্যমে মঙ্গলে স্পেশাল টাইপের ব্যাকটেরিয়া সেন্ড করা হবে যারা O2 গ্যাস উৎপাদন করবে, এভাবে অনেক বছরের উৎপাদনের ফলে এবং তখন আরো লেটেস্ট কোন পদ্ধতি আবিস্কার করা সম্ভব হলে মঙ্গলের বায়ুকে হয়তো নিশ্বাস নেওয়া উপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি

যেহেতু মঙ্গলের নিজের ম্যাগনেটিক ফিল্ড নষ্ট হয়ে গেছে, তাই এটি সোলার রেডিয়েশন সহ ডীপ স্পেসের রেডিয়েশন গুলোকে থামাতে পারে না। আর এর ম্যাগনেটিক ফিল্ড ফিরে নিয়ে আসা এতোটা সহজ ব্যাপার নয়। ন্যাসার তত্ত্ব অনুসারে যদি মার্সের অরবিটে এক বিশাল শক্তিশালী চম্বুক রেখে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সোলার উইন্ড থেকে মার্সকে রক্ষা করা যেতে পারে এবং মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বায়ুমন্ডলের চাপ প্রায় পৃথিবীর অর্ধেকে আনা সম্ভব হবে, এতে মেরুদেশে জমে থাকা বরফ গুলো গলানো যাবে এবং সার্ফেসে লিকুইড ওয়াটার ধরে রাখানো যাবে।

তবে এতো বড় আকারের আর এতো শক্তিশালী চম্বুক তৈরি করা অনেক চ্যালেঞ্জের কাজ, সেটা ভবিষ্যতে ঠিক কতো বছরের মধ্যে তৈরি করা যেতে পারে এটাও এক বিশাল প্রশ্ন। যদি আজ থেকেও সকল কাজ শুরু করা হয়, তারপরেও কতিপয় বছর লেগে যেতে পারে মার্সকে বাসের যোগ্য গড়ে তুলতে।

উপরের প্যারাগ্রাফ গুলো থেকে আশা করছি সহজেই বুঝে গেছেন কেন মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাস প্রায় অসম্ভব। আমাদের কিছু তত্ত্ব রয়েছে যেগুলো খাটিয়ে হয়তো ভবিষ্যতে সেটা সম্ভব ও হতে পারে কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির কথা চিন্তা করলে তত্ত্ব গুলো পাগলের প্রলাপের মতো শুনতে মনে হবে মাত্র। তবে এটাও সত্য, কল্পবিজ্ঞান আছে বলেই আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারছি, যখন কল্পনা করতে পেরেছি হয়তো একদিন সত্যও হবে, কিন্তু সেটা হয়তো আপনার আমার জীবনকালে সম্ভব হবে না।
Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

1 comment

  • ইলন মাস্ক ইতিমধ্যে 2029 সালে মঙ্গলে কলোনি তৈরির পরিকল্পনা করছে। তাহলে এত প্রতিকুল পরিবেশে থাকা সত্তেও কিভাবে তারা মঙ্গলে যাওয়ার কথা চিন্তা করে?

Categories