ব্লগার Vs. ওয়ার্ডপ্রেস | কোন ব্লগিং প্লাটফর্মটি আপনার জন্য সেরা?

আপনি যখন নিজের কোন ওয়েবসাইট তৈরির কথা ভাবছেন বিশেষ করে ব্লগ ; তখন আপনার মনে একটি জিজ্ঞাসা নিশ্চয়ই আসে যে , ব্লগার দিয়ে বানাব? নাকি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে? আর যেহেতু ইতিমধ্যে ওয়্যারবিডিে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল এবং টিউটোরিয়াল রয়েছে ; সেহেতু আমার উচিত এই বহু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন নিয়ে একটু বিস্তারিত লেখা। আপনি হয়ত অনলাইনে ব্লগিং বা লেখালেখি নিয়ে ভাবছেন, তবে আপনার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আসলে কোন প্ল্যাটফর্মটি ব্যাবহার করছেন। কেননা এই  প্ল্যাটফর্মটির অপরই নির্ভর করে আপনার নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর ডিজাইন কেমন হবে, আপনার ওয়েবসাইটে আপনি কি কি কনটেন্ট দিতে পারবেন, আপনার ওয়েবসাইটে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন এমনকি আপনার ওয়েবসাইট থেকে উপার্জন করা কতটা সুবিধা হবে। (ওয়ার্ডপ্রেস পরিচিতি)


ব্লগার

ব্লগার গুগল এর একটি ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম । তবে সর্বপ্রথম পায়রা ল্যাব ১৯৯৯ সালে এটি তৈরি করে এবং প্রথমদিকে এর নাম ছিল ব্লগস্পট। এই ব্লগস্পট ছিল ইন্টারনেট এর প্রথমদিককার একটি ফ্রি ব্লগ পোস্টিং প্ল্যাটফর্ম। ২০০৩ সালে গুগল এর ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা চিন্তা করে পায়রা ল্যাব এর থেকে এটি কিনে নেয়। অতঃপর ২০০৬ সালে ব্লগস্পটকে গুগল তাদের নিজস্ব সার্ভার এর আওতায় নিয়ে আসে এবং একে একটি কোন সাবস্ক্রিবশন চার্জ ছাড়া ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে পরিণত করে। গুগল পরবর্তীতে এর নাম ‘ব্লগস্পট’ থেকে ‘ব্লগার’ করে।

ওয়ার্ডপ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি ফ্রি পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল ভিত্তিক ওপেন সোর্স ওয়েব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। মূলত ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ২০০৩ সালের ২৭ মে প্রতিষ্ঠাতা ম্যাট মুলেনওয়েগ এই বিশেষ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘ওয়ার্ডপ্রেস’ কে রিলিজ করেন। যেখানে গুগল ব্লগার গুগলএর সার্ভারেই হোস্টেড ; সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস কে WordPress.org থেকে ডাউনলোড করে নিজস্ব ওয়েব হোস্টিং বা ওয়েব সার্ভারে ইন্সটল করতে হয়। ওয়ার্ডপ্রেসকে বর্তমানে পৃথিবীর সেরা ওয়েব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব মূলত কোন প্ল্যাটফর্মটি আপনার জন্য কতটা ভালো হবে; আর ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস কোনটিতে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন এবং কি কি পাবেন না।

আপনার ওয়েবসাইট এর খরচ

আপনি যখন দুটির ভেতর যেকোনো একটিকে আপনার ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন তখন এখানে আপনার ওয়েবসাইট এর লাইফটাইম কত হবে সে নিয়ে একটি প্রশ্ন থাকে। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনার ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে কতদিন লাইভ থাকবে। ব্লগার এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি অনেক সহজ । কেননা ব্লগারে আপনার ওয়েবসাইটের হোস্টিং এর বাপারে কোন চিন্তা করতে হবে না ; কারন গুগল এখানে সয়ং আপনার ওয়েবসাইট এর হোস্টিং এর দায়িত্ব নিয়েছে। তাই আপনি যদি ব্লগার এর ডিফল্ট ডোমেইন দিয়ে কোন ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখেন ; তবে যতদিন গুগল আসে, যতদিন ব্লগার আছে আপনার ওয়েবসাইট তথা ব্লগ একইরকম অক্ষত থাকবে।

যেহেতু আপনি ব্লগারে কাস্টম ডোমেইনও ব্যাবহার করতে পারবেন সেহেতু আপনার সাইট চিরদিনই একটিভ থাকবেযদি আপনি আপনার ডোমেইনকেও নিয়মিত রিনিউ করতে পারেন। সুতরাং ব্লগার সাইট এর জন্য আপনার বছরে খরচ হবে কেবল ডোমেইন এর জন্য ৭০০-২০০০+ টাকা ; এখানে নির্ভর করে আপনি কোন কি ডোমেইন কিনছেন। ডট কম ডোমেইন এর জন্য আপনার খরচ হবে বছরে ৮০০-৯০০ টাকা।

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে আপনার প্রধান খরচ হবে ডোমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং এর জন্য!

অন্যদিকে ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে ডোমেইন এর পাশাপাশি আপনার ওয়েব হোস্টিং প্ল্যানকেও নিয়মিত রিনিউ করতে হবে তথা আপডেটেড রাখতে হবে। আপনার ডোমেইন অ্যাড্রেস এবং হোস্টিং প্ল্যান এর যেকোনো একটি বন্ধ হয়ে গেলে ওয়েবসাইট পাঠকদের জন্য ওয়েবসাইট আর দৃশ্যমান হবেনা। অনেক সময় ওয়েবসাইট এর জন্য ডেডিকেটেড আইপি নেয়া থাকলে ডোমেইন চলে গেলেও আপনি হয়ত সাইট অ্যাক্সেস করতে পারবেন; তবে পাঠকদের কি হবে? সুতরাং ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ততদিন অ্যাক্টিভ থাকবে যতদিন আপনি ওয়েবসাইট এর পেছনে অর্থ খরচ করছেন।

একই ভাবে এখানে ব্লগার এর মত ডোমেইন এর খরচও হবে; পাশাপাশি এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য এসএসএল সার্টিফিকেটও কিনতে পারবেন, মানে আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য একটি সিকিউর কানেকশন। এসএসএল সার্টিফিকেট সম্পর্কে বিস্তারিত আমাদের এই আর্টিকেল পরতে পারেন।

তবে ক্লাউডফ্লেয়ারের ফ্রী এসএসএল আপনি যেকোনো টাইপ সাইটের ক্ষেত্রে যুক্ত করে নিতে পারেন, বিস্তারিত টিউটোরিয়াল এখান থেকে দেখে নিন!

যাই হোক সেক্ষেত্রে এসএসএল সার্টিফিকেট এর জন্য ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে বছরে,নির্ভর করে আপনি কোন এসএসএল সার্টিফিকেট প্যাক কিনছেন। তবে এখন ‘লেটস এনক্রিপ্টেড‘ নামক একটি ফ্রি এসএসএল সার্ভিস আপনার ওয়েবহোস্টিং প্যানেলে পেয়ে যেতে পারেন; আর এটিও আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট এর জন্য ফ্রি সিকিউরড কানেকশন এর কাজ করবে। যাক এবার আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে খরচটি তা হল আপনার সাইট এর হোস্টিং খরচ ; আর এক্ষেত্রে আপনার সস্তা ৫০০ টাকা থেকে খুবই প্রিমিয়াম মাসে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে প্রথম দিকে। সেলফ হোস্টেড ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ক্ষেত্রে হোস্টিং নির্বাচন!

ওয়েবসাইট এর জন্য থিম

ব্লগার এর ক্ষেত্রে গুগল এর কতগুলো ডিফল্ট থিম রয়েছে তবে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। তবে সমস্যা নেই আপনার জন্য রয়েছে অনেক থার্ড পার্টি থিম যেগুলোকে আপনি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে ব্যাবহার করতে পারবেন; এখানে রয়েছে অনেক ফ্রি থিম আবার অনেক গুলো রয়েছে পেইড। সাধারনত ব্লগার থিমগুলোকে বলা হয় টেমপ্লেট। তবে ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম এর তুলনায় এখানে ফিচার পাওয়া যাই অনেক কম।

ওয়ার্ডপ্রেস এর হিউজ ডেভেলপার বান্ধব পরিবেশ এবং এর ফাংশনালিটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপারদের অনেক বেশি ফিচার  যুক্ত করে দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আর টেকনিকাল দিক থেকেও ব্লগার থিমগুলো প্রধানত এইচটিএমএল,জাভাস্ক্রিপ্ট বেজড হয়ার কারনে ওয়ার্ডপ্রেস থিমগুলির থেকে এগুলোর লোডিং স্পিড অনেক সময় বেশি হয়। ব্যাপারটি আপনারা অনেক থিম রয়েছে  যেগুলো ওয়ার্ডপ্রেস পাশাপাশি ব্লগার এর জন্যেও এভেইলেবল সেসব পরিক্ষা করে দেখতে পারবেন।

ফাংশনালিটি

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করে আপনি ফেসবুক এর মত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বানাতে পারবেন!

ফাংশনালিটি এর দিক দিয়ে গুগল এর ব্লগার থেকে  ওয়ার্ডপ্রেস অনেক এগিয়ে; যেখানে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য ২০০০০ এর বেশি নানারকম প্লাগিন্স পাচ্ছেন; সেখানে ব্লগার এর লেআউট সেকশন থেকে পাওয়া উইজার্ড গুলো  রয়েছে অনেক পিছিয়ে। ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম কাস্টমাইজেশন ,নানা রকম ফিচার কন্ট্রোল এর জন্য রয়েছে অনেক প্লাগিনস । আর এসব নানা প্লাগিনস টুলস ব্যাবহার করে ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যাবহার এক্সপেরিয়েন্স অন্যরকম মাত্রায় নিয়ে যাওয়া যায়। ওয়ার্ডপ্রেসে ইউজার রেজিস্ট্রেশান সিস্টেম রয়েছে; গুগল ব্লগারে যা নেই; এখানে তা ম্যানুয়াল ভাবে অ্যাডমিনকেই করতে হয়।

এখন অনেক ব্লগার থিম এসেছে যেখানে দেখা যায় যে , ইকমার্স এর মত নানারকম ফিচার। তবে তা খুবই সীমিত; এখানে কেবল থিম এর ভেতর যে সব ফিচার রয়েছে কেবল সেসবই। অন্য দিকে ইকমার্স এর মত দারুন কিছু তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে রয়েছে উকমার্স এর মত অফিসিয়াল প্লাগিন। উকমার্স ওয়ার্ডপ্রেস এর ডেভেলপার কোম্পানি এর তৈরি অফিসিয়াল একটি প্লাগিন যেটি কিনা আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কে পুরোপুরিভাবে ইকমার্স রেডি করে তোলে ( ৫ মিনিটে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করুন ই-কমার্স সাইট )। ফাংশনালিটি এর ক্ষেত্রে আরও কিছু যদি বলতেই হই তাহলে বলি, পিপসো নামে একটি নতুন প্লাগিন এসেছে যার মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করে আপনি ফেসবুক এর মত একটি সম্পূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করতে পারবেন!

ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কোনটি ভালো?

এখন কথা হচ্ছে এমন, কেবল ব্লগিং বা লেখালেখি করবেন কোনটি ভালো? তবে সেক্ষেত্রে দুটিই ভালো ভালো। বরং যারা কেবল নিজের লেখাকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটি মাধ্যম খুঁজছেন;  তাদের জন্য আমি বলব ব্লগার ভালো। কেননা এখানে আপনার জন্য তেমন কোন খরচ হবে না; যদি কেবল ডোমেইন নেন সেক্ষেত্রে কেবল ডোমেইন এর খরচ হবে। ব্লগিং এর জন্য অনেক সিম্পলে ডিজাইন এর ওয়েবসাইট হলে ভালো হয়; আর সে জন্য আমি বলব ব্লগারেই আপনি অনেক সিম্পল এবং পুরোপুরি ফ্রি ব্লগার টেমপ্লেট পাবেন, যা ব্যাবহার করে আপনি অনেক সুন্দর একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করে তুলতে পারবেন।

অন্যদিকে কেবল  এই  জন্য ওয়ার্ডপ্রেস আপনার কাছে অনেক সময় বেশি খরচও মনে হতে পারে । তবে আপনি ব্লগিং এর পাশাপাশি আরও অ্যাডিকশনাল ফাংশনালিটি পেতে চাইলে আপনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ভালো। ব্লগিং অর্থাৎ লেখালেখি এর চাইতে বেশি চাহিদা হলে ব্লগার আপনার জন্য নয়; আপনার জন্য তখন ওয়ার্ডপ্রেস।

আয়

গুগল অ্যাডসেন্সের ক্ষেত্রে ব্লগারের তুলনায় ওয়ার্ডপ্রেস বেশি সুবিধাজনক!

তবে আয়ের চিন্তা মাথায় থাকলে আপনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সবচেয়ে ভালো । ব্লগার ব্লগেও আপনি গুঅগ্লে অ্যাডসেন্স পাবেন তবে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইট  গুগল দ্বারা রিভিউ করে যে অ্যাডসেন্স টি পাবেন তা হল ‘হোস্টেড’ অ্যাডসেন্স ; যার মানে হল গুগল এর নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে হোস্ট করা সাইট এর জন্য যে অ্যাডসেন্স দেয়া হয় আরকি। আর মূলত গুগল এখানেই আপনার থেকে অ্যায় করে নেবে; কেননা এখানে আপনার ব্লগার সাইট অ্যাডসেন্স থেকে যত আয় করবে তার থেকে ৪০% এর মত অর্থ নিজেরা নিয়ে নেবে; এবং বাকি টাকা আপনাকে দেবে । তবে অন্যদিকে নিজস্ব হোস্টেড ওয়ার্ডপ্রেস সাইট এর ক্ষেত্রে আপনি যে অ্যাডসেন্স পাবেন তা হল ‘নন-হোস্টেড’ অ্যাডসেন্স। আর এখানে আপনি আপনার আয়ের ৬৮% পাবেন। সুতরাং আয় এর কথা মাথায় থাকলে ওয়ার্ডপ্রেস বেস্ট।

এখানে আরেকটি পয়েন্ট রয়েছে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা শর্ট ফর্মে এসইও, যেটা প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর নিয়ে আনার কিছু কৌশল। ব্লগার সাইট সার্চ ইঞ্জিন বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে তৈরি করা একটু মুশকিল, এতে ম্যানুয়াল সাইট এডিট করার প্রয়োজন পড়তে পারে, কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্লাগিন রয়েছে, তাই জাস্ট সেগুলোকে ইন্সটল করার মাধ্যমেই সহজেই এসইও ঠিক করে নিতে পারবেন।

সিকিউরিটি

গুগল এর ব্লগার নিরাপত্তার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। গুগল এর নিজস্ব ক্লাউড সার্ভারে হোস্টেড হওয়ার কারনে নিরাপত্তার ব্যাপারটা আপনি গুগল এর হাতেই ছেড়ে দিন। সুতরাং গুগল ব্লগার তখনই হ্যাক হওয়া সম্ভব কেবল যদি আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়(গুগল অ্যাকাউন্ট এর নিরাপত্তা) । যদিও ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্মটি যথেষ্ট সিকিউর তবুও সেলফ হোস্টেড হওয়ার কারনে  এখানে নিরাপত্তার জন্য ৩য় পক্ষ নানা  প্লাগিনস ব্যাবহার করে ওয়েবসাইট নিরাপদ করা যায়।

ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস দুটিই নিজ নিজ দিক থেকে খুবই ভালো প্ল্যাটফর্ম । দুটি প্ল্যাটফর্ম এর ভেতর ফিচার নিয়ে যেমন রয়েছে রাত দিন তফাৎ ; তেমনি ভাবে এদের সুবিধা নিয়েও তফাৎ রয়েছে। একটি ব্যাবহার করতে ব্যাবহারকারির তেমন টাকা খরচ করতে হবে না( ডোমেইন ব্যাবহার না করলে টাকা খরচ হবেই না ); আবার আরেকটি ব্যাবহার করতে একটু বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। তবে যদি নিয়মিত মান সম্মত কনটেন্ট দেয়ার ফলে ভবিষ্যতে আপনি অনেক বেশি সংখ্যক পাঠক পান; তবে সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করেই আপনি বেশি সফল হবেন। আর ব্লগিংকে খুবই সিরিয়াসলি নিলেও আপনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হবে সেরা।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর ভেতরকার কিছু পার্থক্য সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনি আসলে কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করবেন তা সম্পর্কে হয়ত আমার এই আর্টিকেলটি আপনাকে সহযোগিতা করবে। ধন্যবাদ!

Images: Shutterstock.com

About the author

তৌহিদুর রহমান মাহিন

Add comment

Categories