লাইফাই কি? | Li-Fi | এটি ওয়াইফাই থেকে কতটা উন্নত?

কিছু দিন আগে ইন্টারনেটে, বিভিন্ন টেকনোলজি ওয়েবসাইটে, খবরের কাগজে লাইফাই সম্পর্কে তো নিশ্চয় শুনেছেন। এখন লাইফাই কি, এটি কেমন করে ওয়াইফাই এর তুলনায় উন্নতম অথবা কেমন করে লাইফাই আপনার ইন্টারনেট সংযোগকে অনেক দ্রুতগামী করতে সক্ষম এই সকল বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি। তো কথা কম কাজ বেশি 🙂

 


লাইফাই (Li-Fi)

লাইফাই এর পুরো নাম হলো লাইট ফিডালিটি (Light-Fidelity)। এখন শুধু এর পুরো নাম জেনেই এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব নয়। তাই চলুন বিশদভাবে আলোচনা করা যাক। এই প্রযুক্তি প্রথম আবিষ্কার করেন প্রোফেসার হারাল্ড হস (Professor Harald Haas)। ২০১১ সালে তিনি লাইফাইয়ের মূলমন্ত্র জনগন এর সামনে প্রথম প্রকাশ করেন। এবং তিনি দেখিয়েছিলেন যে কিভাবে আপনি লাইট এর সাহায্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। যাই হোক তারপর তিনি এই প্রযুক্তি নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন এবং মোটামুটি ৭ মাস আগে তিনি এই প্রযুক্তিটি পরীক্ষা করেন। এবং পরীক্ষার ফলাফলে লাইফাইকে ওয়াইফাইয়ের তুলনায় বেশি দ্রুতগামী হিসেবে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।

আসলে এই প্রযুক্তি ভিএলসি বা ভিসিবল লাইট কমনিকেশন (VLC- Visible Light Communication) ধারনার উপর কাজ করে। এখন এই ভিএলসি কি, দেখুন আপনি যদি একটি এলইডি বাল্বকে কন্সট্যান্ট ইনপুট পাওয়ার দেন তবে আপনি এর আউটপুটও কন্সট্যান্ট দেখতে পাবেন। যদি আপনি ইনপুট পাওয়ার কিছু পরিবর্তন করে দেন তবে আপনি আউটপুটেও পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আপনি যত দ্রুত ইনপুট পরিবর্তন করবেন আপনি আউটপুটও ততো দ্রুত পরিবর্তন হতে দেখতে পাবেন। এবং এই ধারনার মাধ্যমে আপনি এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবেন।

এখনো ব্যাপারটা পুরোপুরি বোঝেননি তো? আচ্ছা আরো উদাহরণ দিচ্ছি। এইবার টিভি এর রিমোট এর কথা ভাবুন। আসলে টিভি রিমোট এর সামনে একটি ইনফ্রারেড (Infrared) বাল্ব লাগানো থাকে। এবং যখন আপনি রিমোট এর নির্দিষ্ট কোন বাটন চাপেন তখন ওই বাল্বে নিদিষ্ট ভঙ্গীর আলো জলে ওঠে। এইবার আপনার টিভিতে থাকা সেন্সর সেই ভঙ্গিটি অনুধাবন করে তার কাজ সম্পূর্ণ করে। মনে করুন টিভি চানেল পরিবর্তনের জন্য রিমোটের বাল্বটি ২ বার বিপ বিপ করে, তাহলে যখন আপনি রিমোটে চানেল পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেবেন তখন বাল্বটি দুইবার বিপ বিপ করবে। এবং টিভিতে থাকা সেন্সর তা গ্রহন করবে, আপনার টিভিতে আগে থেকেই প্রোগ্রাম করা আছে যে দুইবার বিপ বিপ গ্রহন করার পর চ্যানেল পরিবর্তন করতে হবে। আসা করি এইবার বিষয়টা জলের মত পরিষ্কার।

লাইফাই প্রযুক্তির মূল মন্ত্রটি অনেকটা এই রকমই। কিন্তু টিভি রিমোটের মত লাইফাইয়ে একটি মাত্র বাল্ব না থেকে অনেক গুলো বাল্ব থাকে যাতে আপনি অনেক দ্রুত ডাটা আদান প্রদান এবং একসাথে অনেক ব্যবহারকারি তা ব্যবহার করতে পারেন। আসলে ভিএলসি হলো এই প্রযুক্তি পরিচালনা করার সাধারন মাধ্যম। কিন্তু এই প্রযুক্তি আপনাকে আরো অধিক কিছু দিতে সক্ষম। এমনটা হবে না যে আপনি এলইডি বাল্বের আলো থেকে সরে যাবেন আর আপনার ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি যখনই এক বাল্ব উৎস থকে সরে গিয়ে আরেক উৎসের কাছে যাবেন এই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার সাথে সংযুক্ত হয়ে যাবে। আমরা যে সাধারন বাল্ব অফিস কিংবা বাসাতে ব্যবহার করে থাকি তা শুধু এলইডি বাল্বে পরিবর্তন করে এবং এক প্রকার ড্রাইভার লাগিয়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারব। বাসার ছাঁদ থেকে আলো আসার সাথে সাথে আপনি ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারবেন, তাও আবার অনেক দ্রুতগতিতে। তো এই ছিল এই প্রযুক্তির সম্পর্কে সাধারন ধারনা, এবং এটি কিভাবে কাজ করে তার প্রসঙ্গে। এইবার চলুন দেখে নেয়া যাক এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সুবিধা সমূহ।

লাইফাইয়ের সুবিধা সমূহ

১। এই প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই যা বলতে হয়, তা হলো এর গতি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনি ১০০ জিবিপিএস পর্যন্ত গতি পেতে পারবেন। এবং এটি একদম পরীক্ষিত হয়ে গেছে। তাছাড়াও ওয়াইফাইয়ের তুলনায় লাইফাইয়ের ফ্রিকুয়েন্সি ১০,০০০ গুন বেশি।

২। লাইফাইয়ের ফ্রিকুয়েন্সি ওয়াইফাইয়ের তুলনায় অনেক বেশি হওয়াতে এটি একসাথে অনেক ব্যবহারকারি নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাখে। এর মানে হলো ব্যবহারকারি বৃদ্ধি পেলেও তাদের মাঝে সংযোগের ত্রুটি দেখতে পাওয়া যাবে না। আমরা যদি কথা বলি ওয়াইফাই নিয়ে, তাহলে দেখতে পাবেন যে কোন ব্যবহারকারি যদি বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে তবে অন্য ব্যবহারকারির সংযোগ ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে পরে। কিন্তু এই টেকনোলজি তেএমনটা হবে না।

৩। ওয়াইফাই বা ওয়্যারলেস এর যে সিগন্যাল হয় তা আপনার দেওয়াল ভেদ করে যেতে পারে। তার ফলে আপনি যখন ওয়াইফাই ব্যবহার করেন তার সিগন্যাল আপনার প্রতিবেশীও পেয়ে যায়। আর লাইফাই যেহেতু লাইট টেকনোলজিতে চলে তাই সিগন্যাল আপানার ঘরের দেওয়াল ভেদ করে কোথাও যাওয়ার সম্ভবনা থাকে না। কারন আমরা জানি যে, আলো ঘন বস্তু ভেদ করতে পারেনা। তাই আপনি ঘরে বসে বিন্দাস এই প্রযুক্তি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন আর কারো বাপেরও ক্ষমতা থাকবে না আপনার সিগন্যাল সনাক্ত করার।

৪. ওয়্যারলেস সিগন্যাল আসলে চৌরা হয়। অর্থাৎ আপনি যখন ওয়াইফাই রাউটার চালু করেন তখন এর সিগন্যাল চারিদিকে সমান ভাবে ছড়িয়ে পরে। এখন যদি সেই সিগন্যাল আপনার দিকে না আসে তবে সেটা বৃথা। কেননা যতটা সিগন্যাল আপনার দিকে আসবে ততোটাই সিগন্যাল আপনার চারিদিকেও ছড়াবে। কিন্তু লাইফাই যেহেতু আলো, তাই আপনি এটাকে আপনার পছন্দের দিকে টার্গেট করতে পারবেন। ফলে আপনি সর্বাধিক সিগন্যাল পেতে পারবেন এবং আপনার ডাটা ঘনত্ব ও বেড়ে যাবে। আপনি সর্বাধিক সিগন্যাল এ উচ্চ গতির ডাটা আদান প্রদান করতে পারবেন।

তো এই ছিল এই প্রযুক্তি ব্যাবহারের বিশেষ সুবিধা সমূহ। আসা করি এর চেয়ে আরো অনেক বেশি সুবিধা আপনি পেতে পারবেন যখন আপনি এটি ব্যবহার করবেন। চলুন এইবার আলোচনা করি এই প্রযুক্তি নিয়ে কিছু ভুল ধারনার। প্রযুক্তিটি আসতে না আসতেই ইতি মধ্যে অনেক ভুল ধারনাও ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। দেখে নিন ইতিমধ্যে আপনি নিজেও কোন কোন ভুল ধারনার শিকার হয়ে পড়েছেন।

লাইফাই নিয়ে কিছু ভুল ধারনা

অনেকেই জানেন যে লাইফাই, ওয়াইফাই থেকে ১০০ গুন বেশি দ্রুতগামী। বলতে গেলে আমি নিজেই অনেক জায়গায় এই বিষয়টি দেখেছি। কিন্তু আসলে এটি ভুল ধারনা। কারন বর্তমান ওয়াইফাই এর আধুনিক টেকনোলজি হলো IEEE 802.11ad যা ৭০০ জিবিপিএস পর্যন্ত গতি প্রদান করতে সক্ষম। যেটা লাইফাইয়ের পরীক্ষায় কখনই পাওয়া যায়নি। তাই আপনি যদি মনে করে থাকেন যে এই প্রযুক্তি, ওয়াইফাই থেকে ১০০ গুন বেশি দ্রুতগামী, তবে এটি নির্ঘাত একটি ভুল ধারনা।

আরেকটি ভুল ধারনা হলো, লাইফাইতে মুভি ডাউনলোড করলে ১ সেকেন্ড বা ২ সেকেন্ডে ডাউনলোড হয়ে যাবে। দেখুন, আসলে বিষয়টা মোটেও তা না। আসলে ইন্টারনেট এর যা গতি তা নির্ভর করে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের উপর এবং আপনি যেখান থেকে মুভি ডাউনলোড করবেন তার সার্ভার এর উপর। আমার মনে হয় না যে আজকের দিনে এমন কোন সার্ভার আছে যা ১০০ জিবিপিএস গতি দিতে সক্ষম। তবে আপনি লোকালভাবে ১০০ জিবিপিএস গতিতে ফাইল আদান প্রদান করতে পারবেন।

লাইফাইয়ের ব্যবহার

চলুন এবার আলোচনা করা যাক এই প্রযুক্তি কোথায় কোথায় এবং কেমন করে ব্যবহার করা যেতে পারে তা নিয়ে। আমরা যেমন ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করি তেমনি লাইফাই ব্যবহার করার জন্য ও তো ডিভাইস দরকার, তাই না? তো চলুন দেখে নেয়।

১। এই প্রযুক্তি আলো দিয়ে চলে তাই আপনার গোটা কলোনি বা পাড়া বা রাস্তাকে লাইফাই হটস্পটে পরিনত করতে রাস্তার লাম্প গুলোই যথেষ্ট। এতে আপনি পাব্লিকালি আলোর সাথে অনেক কম খরচে নির্মিত হটস্পট দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি রাতের শহরের বিভিন্ন ঝিকঝাক বাতি, দোকানের লাইটিং বক্স ইত্যাদি কেও হটস্পটে  পরিনিত করতে পারবেন। জীবন আরো কতটা সহজ হয়ে যাবে ধারনা করতে পারছেন তো?

২। বর্তমানের যে সকল আধুনিক ডিভাইস আছে যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি ইত্যাদি কেও আপনি অনেক সহজেই একে অন্যের সাথে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংযুক্ত করতে পারবেন। একে অন্যের সাথে ডাটা আদান প্রদান এর পাশাপাশি সকল প্রকার সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। এবং উচ্চগতি সম্পূর্ণ ডাটা আদান প্রদান ব্যবস্থা তো থাকছেই।

৩। এই প্রযুক্তি আপনি যেকোনো পরিবেশে ব্যবহার করতে পারবেন। কিছু কিছু পরিবেশ যেমন যেখানে মাইনস পোতা থাকে বা পেট্রো কেমিক্যাল প্ল্যান্ট যেখানে ওয়্যারলেস সিগন্যাল কখনো কখনো ক্ষতিকর হতে পারে আপনি সেখানেও লাইফাই ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি এই প্রযুক্তি আপনি বিমানেও ব্যবহার করতে পারবেন। বিমানে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে যাত্রীদের আসনের উপর লাইট বাল্ব লাগানো থাকে, সেখান থেকেই আপনি লাইফাই ব্যবহার করতে পারবেন। সবচাইতে ভালো কথা হলো আপনি পানির নিচেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা জানেন যে পানির নিচে ওয়্যারলেস সিগন্যাল কাজ করে না, কিন্তু আলোতো অবশ্যই দেখা যায়।

৪। আপনারা জানেন যে আজকালকার গাড়িতে অনেক এলইডি বাল্ব থাকে, আর আপনি সেই বাল্বের সাহায্যে গাড়িতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। এবং স্মার্টগাড়িতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একে অন্য গাড়ির সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও করতে পারবেন। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক অংশে কমানো সম্ভব হবে।

লাইফাইয়ের ভবিষ্যৎ

লাইফাই সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রযুক্তি। তাই হয়তো এটি এখনই পাওয়া বা ব্যবহার করার সুযোগ হবে না। হয়তো আগামি ১০ বছরে লাইফাইয়ের ব্যবহার পুরো দমে শুরু হয়ে যেতে পারে। তখনকার স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে লাইফাই ডিভাইস হয়তো আগে থেকেই লাগানো থাকবে। তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি যে আগামি দিনে লাইফাই-ই ওয়াইফাইয়ের জায়গা দখল করে নিতে সক্ষম হবে।

লাইফাইয়ের রেঞ্জ বেশি হবে না। কারন এটি আপনার মাথার উপর থাকবে, তাই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে থেকে লাইফাই ব্যবহার করতে হবে। তবে উচ্চ গতির ডাটা আদান প্রদানের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

শেষ কথা

আজকের পোস্টের একদম শেষে চলে এসেছি। আশা করছি আপনি যা জানবার কামনা নিয়ে এই পোস্টটি পড়তে শুরু করেছিলেন তা সম্পূর্ণভাবে অর্জিত হয়েছে। আপনি জেনেছেন লাইফাই কি তা নিয়ে, জানলেন এর বিশেষ সুবিধা গুলো এবং কোথায় কোথায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন তা নিয়ে। লাইফাই নিয়ে যে সকল ভুল ধারনা আপনার ছিল, আশা করি সেগুলো ও দূর করতে সক্ষম হয়েছি। এবং পরিশেষে জানলেন লাইফাইয়ের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নিয়ে। আশা করি খুব উপভোগ করেছেন এই পোস্টটিকে। তারপরও আপনার কেমন লাগলো তা আমাকে নিজে কমেন্ট করে জানাবেন। আর পোস্টটি শেয়ার করতে একদমই ভুলবেন না যেন 🙂

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories