WiREBD
  • সম্পর্কে
  • রিসোর্স
  • ক্লাউড
সাবস্ক্রাইব
WiREBD

লেটেস্ট

ট্রেন্ডিং

ক্যাটাগরি

টেক নিউজ

প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

উইন্ডোজ

লিনাক্স

অ্যান্ড্রয়েড

ইন্টারনেট

সাইবার সিকিউরিটি

হার্ডওয়্যার

নেটওয়ার্কিং

প্রোগ্রামিং

৫টি সেরা

এথিক্যাল হ্যাকিং

ওয়ার্ডপ্রেস

কুইক টেক

ক্লাউড কম্পিউটিং

টিউটোরিয়াল

কিভাবে?

বিজ্ঞান

রিভিউ

ওয়েব হোস্টিং

সফটওয়্যার ও অ্যাপস

অনলাইন সার্ভিস

Home ইন্টারনেট

প্রিজম কি? অনলাইনে আপনার ব্যাক্তিগত ডাটা মোটেও নিরাপদ নয়!

তাহমিদ বোরহানbyতাহমিদ বোরহান
10/01/2022
in ইন্টারনেট, সাইবার সিকিউরিটি
0
প্রিজম কি? অনলাইনে আপনার ব্যাক্তিগত ডাটা মোটেও নিরাপদ নয়!

এই দৃশ্য হয়তো কোন হলিউড মুভি থেকে দেখে থাকবেন, গভর্নমেন্টের নিজস্ব অনেক গোপন প্রোগ্রাম থাকে, আর সেই প্রোগ্রাম গুলোর মধ্যে অনেক ভয়াবহ গল্প লুকিয়ে থাকে। মুভি’তে হয়তো আরো দেখে থাকবেন, গভর্নমেন্টের কাছে দেশের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো ক্যামেরার অ্যাক্সেস থাকে, যেকোনো ইন্টারনেট সার্ভারের অ্যাক্সেস থাকে, এমনকি তারা যেকোনো ফোনেও কল করে তার নাম্বার না জেনে! ব্যাট আপনাকে যদি বলি, এগুলো সম্পূর্ণই সত্য, তাহলে আপনার মনের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? —হ্যাঁ বন্ধু, ইউএস’এর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেসন বা এনএসএ’র কাছে এমন এক প্রোগ্রাম রয়েছে, যেটাকে প্রিজম (PRISM) বলা হয়, এটি ইয়াহু, গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট, স্কাইপ, অ্যাপেল সহ আরো বড় বড় টেক কোম্পানি গুলো থেকে ইউজার ডিটেইলস প্রতিনিয়ত অ্যাক্সেস করছে। অর্থাৎ, এদের কাছে রাখা আপনার কোন প্রাইভেট ডাটাই আর প্রাইভেট নেই।

ADVERTISEMENT

প্রিজম কি?

প্রিজম মূলত একটি কোড নেম, যেটা ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেসন বা এনএসএ’র দ্বারা পরিচালিত একটি গোপন প্রোগ্রাম। আর এই প্রোগ্রামের অভ্যন্তরে এমন একটি স্পাইং টুল ব্যবহৃত হয়, যেটা বড় বড় টেক কোম্পানি গুলো থেকে সকল ইউজার ইনফরমেশনের উপর সরাসরি’ভাবে অ্যাক্সেস রাখে। ওয়াসিংটন পোস্ট —এর এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ খোলাসা করে দেয় যে, এনএসএ’র গুগল, ইয়াহু, মাইক্রোসফট, ইউটিউব, অ্যাপেল, স্কাইপ ইত্যাদি কোম্পানি গুলোর সার্ভারের সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে।

মানে আপনি এদের থেকে কোন সার্ভিস গ্রহন করছেন, কোন ডাটা কোথায় সেভ করছেন, গুগল ড্রাইভে বা ওয়ান ড্রাইভে কি সেভ করে রেখেছেন, কার সাথে কি ভিডিও বা অডিও চ্যাট করেছেন, কাকে কোন ফটো বা মেইল পাঠিয়েছেন, ইউএস গভর্নমেন্ট সবকিছুই জানে। তারা কোম্পানি গুলোর সার্ভারের সাথে সরাসরি অ্যাক্সেস করে রেখেছে, আর কোন সার্ভারে কি ঘটছে সেগুলো এনএসএ’র সার্ভারের সাথে নিয়মিত লাগাতার সিঙ্ক হচ্ছে। শুধু টেক কোম্পানি আর ইন্টারনেট ইউজার ডাটা নয়, এই বিশেষ নজরদারি প্রোগ্রামের আয়তায় ইউএস’এর বড় বড় মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কাস্টমারদের সেলফোন কেউ টাপ করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, তারা কোথায় কোন কথা বলছে, কাকে কি ম্যাসেজ সেন্ড করছে, এমন কি তাদের কলও রেকর্ড করে রাখা হয়। যাই হোক, যদিও ইউএস মোবাইল অপারেটর গুলো ট্যাপ করে রাখাতে আমাদের কোন সমস্যার কারণ নয়, কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, গুগল, আর ফেসবুকের মতো কোম্পানির ইউজার ডাটাবেজের সরাসরি অ্যাক্সেস রয়েছে তাদের কাছে।

মানে সম্পূর্ণ পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষের কোন প্রাইভেসিই আর বজায় নেই। তারা বিশেষ করে অ্যামেরিকার বাহিরের ইউজারদের উপর নজর রাখার জন্য এই প্রোগ্রামকে উন্নতি করেছে। তারা হয়তো অ্যামেরিকাকে আচানক হামলার হাত থেকে বা জঙ্গি হামলা’র হাত থেকে অ্যামেরিকাকে রক্ষা করার জন্য এমনটা করছে। কিন্তু বন্ধু চিন্তা করে দেখুন, আপনার আমার মতো কোটি সাধারণ মানুষের প্রাইভেসির কথা নিয়ে। এই প্রোগ্রামের আওতায়; ভিডিও, অডিও, চ্যাট হিস্ট্রি, ম্যাসেজ, ইমেইল, ফটো, স্টোর থাকা যেকোনো ডাটা (মানে আপনার অনলাইন ড্রাইভে থাকা ডাটা গুলোতে লাল বাতি), ফাইল ট্র্যান্সফার, লগইন টাইম, সোশ্যাল মিডিয়া প্রফাইল—সবকিছুর উপর প্রিজম নজর রাখতে সক্ষম।

সবচাইতে ভয়াবহ ব্যাপার তো তখন ঘটেছে, যখন এই টেক কোম্পানি গুলোকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিলো তাদের অ্যাক্সেস প্রদান করার সত্যতা জানতে, তারা তো পুরাই নাকোজ করে দিয়েছে। অ্যাপেল বলেছে, প্রিজম নামের কোন কিছুর নাম তারা আগে কখনোই শুনেনি। কিন্তু ওয়াসিংটন পোস্ট এর আর্টিকেল থেকে পরিষ্কার জানা যায়, তারা এনএসএ কে ডাইরেক্ট অ্যাক্সেস দিয়ে রেখেছে। শুধু এই কোম্পানি গুলোর উপর তাদের ডাইরেক্ট অ্যাক্সেস রয়েছে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রিজম ইন্টারনেট লাইনের উপরও নজরদারি করে রেখেছে। যেকোনো ইন্টারনেট ট্র্যাফিক যদি ইউএসএর ইন্টারনেট সার্ভারের মধ্যে প্রবেশ করে, তো সেটা সার্ভারের কাছে পৌছার পূর্বে ইন্টারনেট লাইন থেকে তারা ক্যাপচার করে নেবে। আর আমাদের দুর্ভাগ্য বসত এনএসএর কাছে বহু টাইপে এনক্রিপশনকে ডিক্রিপ্ট করার সিস্টেম রয়েছে। অর্থাৎ কোন ডাটাই তাদের নাগালের বাইরে নয়।

ব্যক্তিগত ডাটার উপর প্রভাব

সকল টেক কোম্পানিদের প্রশ্ন করা হলে তারা এই ব্যাপারে পরিষ্কার ভাবে অস্বীকার করে। তাদের মতে তাদের সার্ভারের সাথে কোন সরকারের সরাসরি লিঙ্ক নেই। মাইক্রোসফট বলেছে, যদি কোন ইউজার সম্পর্কে তাদের সন্দেহ থাকে তো পর্যাপ্ত আইনি কাগজপত্র দেখানো হলে তারা ঐ টার্গেট করা ইউজারের ডাটা এনএসএ কে দেবে। গুগল, ইয়াহু ও একই উক্তি প্রদান করেছে। কিন্তু সেটা কতোটুকু সত্য? দেখুন, সরকার যেকোনো কিছু করতে পারে, সরকার যদি চাপ প্রয়োগ করে তো যেকোনো কোম্পানি তাদের ডিটেইলস লিক করতে তারা বাধ্য হবে। যদিও প্রিজম সম্পর্কে খুব কম টেকনিক্যাল ডিটেইলস পাওয়া গেছে সারা অনলাইন তন্যতন্য করে, আর এটা হওয়াই তো স্বাভাবিক তাই না? কেনোনা, এতো গোপন প্রোগ্রামের তথ্য তো এভাবেই খোলাখুলি থাকবে না।

আজকের বেশিরভাগ ডাটা সেন্টার ইউএসএ তে অবস্থিত, এর মানে আপনি এমন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, যেটার ডাটা সেন্টার ইউএসএ তে রয়েছে, হতে পারে এনএসএ সেটার উপরও নজর রেখেছে। আপনার পার্সোনাল তথ্য গুলো হয়তো সেখানেও নিরাপদ নয়। কেনোনা তারা ইন্টারনেটের বড় বড় এবং প্রধান প্রধান কানেকশন গুলোর উপর ঘোঁচর বসিয়ে রেখেছে। আপনি কি কল্পনা করতে পাড়ছেন, আপনার গোপনীয়তা টা কোথায়? দেখুন, অনলাইনে যদি ক্রাইম করার চিন্তা করে থাকেন, তো সেটা স্বপ্ন থেকেও মুছে ফেলুন, কেনোনা আপনার উপর এক অক্লান্ত চোখ সর্বদা নজর ফেলিয়ে রেখেছে। আপনি ভিপিএন ব্যবহার করুণ কিংবা টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুণ, সব কিছু থেকেই আপনাকে ট্র্যাক করা সম্ভব।

তবে একজন সাধারণ ইউজার হিসেবে, যে নিজের গোপনীয়তাকে বজায় রাখতে চান, সেক্ষেত্রে আমি বলবো, ভিপিএন ব্যবহার করা বা টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা ভালো কথা। সাধারণ কথোপকথনের জন্য ভিওআইপি কলিং সার্ভিস ব্যবহার করলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু ভুল করেও কোন অপরাধ করার কথা মনে না নিয়ে আসায় ভালো। সাথে অনলাইন ড্রাইভে যে ডাটা গুলো স্টোর করে রাখছেন, সেগুলো এনক্রিপটেড করে রাখা ভালো বুদ্ধি হবে।

হয়তো এনক্রিপশনও সামান্য মেহেনতের মাধ্যমেই এনএসএ ক্র্যাক করতে পারবে, কিন্তু তারপরেও নিজের প্রাইভেসি আর সিকিউরিটির জন্য সেটা ভালো ব্যাপার হতে পারে। গুগল যতোই ইউজারদের হয়ে কথা বলার চেষ্টা করুক আর যতোই নিজের সাফায় গাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, গুগল যে ইউজারদের প্রাইভেসির একটুও কদর করে না, সেটা আমাদের সকলেরই জানা ব্যাপার।

Images: Shutterstock.com

Tags: ইন্টারনেটএনএসএপ্রিজমসিকিউরিটি
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
তাহমিদ বোরহান

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি! সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Post
আপকামিং স্মার্টফোন : তিনটি বেস্ট স্মার্টফোন যেগুলো ২০১৮ তে রিলিজ হবে!

আপকামিং স্মার্টফোন : তিনটি বেস্ট স্মার্টফোন যেগুলো ২০১৮ তে রিলিজ হবে!

  • যোগাযোগ
  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • আমাদের জন্য লিখুন
© 2015-2021 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • টেক নিউজ
  • মোবাইল ও পিসি
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • উইন্ডোজ
    • লিনাক্স
    • ইন্টারনেট
    • সাইবার সিকিউরিটি
    • নেটওয়ার্কিং
    • হার্ডওয়্যার
    • প্রোগ্রামিং
  • সিরিজ
    • কুইক টেক
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ৫ টি বেস্ট
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • রিভিউ
    • ওয়েব হোস্টিং
    • সফটওয়্যার ও অ্যাপস
    • অনলাইন সার্ভিস
  • আরো
    • প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
    • কিভাবে
    • টিউটোরিয়াল
    • বিজ্ঞান