র‍্যান্সমওয়্যার আপনার কম্পিউটারের ডাটা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে পারে

ন্ধুরা হতে পারে আপনি র‍্যান্সমওয়্যার (Ransomware) সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না। তাই আমি আজ এই বিষয়ের উপর আলোচনা করতে চলেছি কেনোনা এর ব্যাপারে আপনার জানাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বন্ধু আমি একটি পোস্ট আগেই লিখেছি যেখানে আমি আলোচনা করেছি আলদা আলদা প্রকারের ম্যালওয়্যার যেমন ভাইরাস, ট্রোজান, এবং ওয়র্মস নিয়ে। আপনি চাইলে সেটিও চেক করে নিতে পারেন। তো চলুন আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।

 


র‍্যান্সমওয়্যার (Ransomware)

 

র‍্যান্সম (Ransom) শব্দের বাংলা অর্থ হলো মুক্তিপন। মুক্তিপন হলো একজন কিডন্যাপার চাহিদা করে থাকে টাকা হিসেবে, কাওকে কিডন্যাপ করার পরে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনি জানেন কি একজন হ্যাকার আপনার কম্পিউটারের সকল ডাটার জন্য আপনার কাছে মুক্তিপন চাহিদা করতে পারে? জি হাঁ বন্ধু, আমি আপনার সাথে কোন মজা করছি না। আর এসব হতে পারে যদি আপনার কম্পিউটারে কোন র‍্যান্সমওয়্যার প্রবেশ করে তো।

র‍্যান্সমওয়্যার একধরনের ম্যালওয়্যার যেটি আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করলে আপনার কম্পিউটারের সকল ডাটাকে ইনক্রিপ্ট করতে পারে। আপনি যদি না জানেন যে ইনক্রিপশন কি বা এটি কীভাবে কাজ করে তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা পোস্টটি পড়তে পারেন। যাই হোক, আপনার কম্পিউটারের সকল ডাটা ইনক্রিপ্ট করার পরে হ্যাকার আপনার কাছে টাকার জন্য চাহিদা করবে। এবং বলবে যে টাকা দিলে তারা আপনাকে একটি কী প্রদান করবে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ডাটা গুলোকে ফেরত পেতে পারেন।

বন্ধুরা আজকাল র‍্যান্সমওয়্যার আক্রমণ অনেক পরিমানে বেড়ে গেছে। বড় বড় কর্পোরেট অফিস, বড় বড় কোম্পানি এবং আজকাল তো এক একটা ইউজারের উপরও র‍্যান্সমওয়্যার আক্রমণ হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় হ্যাকাররা সাধারনত কয়েকশত ডলারের চাহিদা করে। কিন্তু অনেক সময় তারা হাজার ডলার পর্যন্তও চাহিদা করে থাকে। তো এটা নির্ভর করে আপনার ডাটার সাইজের উপর। এবং হ্যাকার জানে আপনার ডাটা সম্পর্কে। তারা আপনাকে টাকা পরিশোধ করার জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় বেধে দেয়, সাধারনত ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়ে থাকে। এমনকি টাকা আগে পরিশোধ করলে ডিস্কাউন্টও নিয়ে থাকে 😀 । কিন্তু আপনি যদি টাকা পরিশোধ না করেন তবে আপনার ডাটা ডিক্রিপ্ট করার কী হ্যাকার সিস্টেম থেকে মুছে ফেলতে পারে, ফলে আপনার ডাটা গুলো কখনোয় ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে না।

আপনি যদি নিজে থেকে আপনার ডাটা গুলো ডিক্রিপ্ট করার কথা ভাবেন তো বলে রাখি বন্ধু আপনি কখনোই তা পেরে উঠতে পারবেন না। কারন এই ইনক্রিপশনটি সাধারনত ২০৪৮ বিট হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটি সাধারন ডেক্সটপ পিসির এই ডাটা রিকভার করতে কয়েক হাজার কোটি বছর লেগে জেতে পারে।

র‍্যান্সমওয়্যার থেকে কীভাবে বাঁচবেন?

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মারাত্মক ম্যালওয়্যার থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব? দেখুন আপনার কাছে একটা অপশন তো আছেই যে হ্যাকারকে টাকা দিয়ে দেওয়া। অনেকে বলে হ্যাকারকে টাকা দেওয়ার দরকার নাই। কিন্তু অনেক সময় কেবল হয়তো একটি ছবি রিকভার করার জন্যই টাকা দেওয়াটা অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে আপনার কাছে। কিন্তু এটা সবসময় ভরসা যোগ্য নয় যে টাকা দিলেই আপনাকে হ্যাকার ডাটা গুলো ফিরিয়ে দেবে। হতে পারে হ্যাকার আপনার কাছে আরো টাকার চাহিদা করতে পারে। তো এই অবস্থায় আমি আপনাকে কিছু টিপস দেবো যেগুলো পালনে আপনি আপনার কম্পিউটারের সকল ডাটা নিরাপদ রাখতে পারবেন এবং যদি আপনার কম্পিউটারে কোন র‍্যান্সমওয়্যার আক্রমণ হয়েও যায় তবেও সেখান থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন।

আপনার সকল ডাটাগুলো ব্যাকআপ করে রাখুন

 

সবচেয়ে প্রথমে আপনার যেটা করা উচিৎ সেটা হচ্ছে আপনি আপনার কম্পিউটারের সকল ডাটার ব্যাকআপ করে রাখুন। আপনি একটি পোর্টঅ্যাবল হার্ডড্রাইভ কিনে রাখুন। সেটা ১ টেরাবাইট বা ২ টেরাবাইট হোক আপনার প্রয়োজন অনুসারে ক্যাপাসিটি কিনে রাখুন। তারপরে আপনার কম্পিউটারের সকল ডাটা গুলো সেখানে নিয়মিত সংরক্ষন করতে থাকুন। আপনি ব্যাকআপ প্রতিদিন নিতে পারেন, দুই দিন অন্তর অন্তর নিয়ে পারেন বা সপ্তাহে একদিন নিতে পারেন, আসলে যেটা আপনার সুবিধা হয়। কিন্তু সকল ডাটার ব্যাকআপ অবশ্যই রাখুন।

কিন্তু একটি কথা মাথায় রাখবেন, কখনোয় আপনার পোর্টঅ্যাবল হার্ডড্রাইভটি একদম কম্পিউটারের সাথে লাগিয়ে রাখবেন না। শুধু তখনই লাগাবেন যখন আপনি ডাটাগুলো ব্যাকআপ করছেন। র‍্যান্সমওয়্যার অনেক চালাক প্রকৃতির ম্যালওয়্যার। যদি আপনার কম্পিউটারে এটি আক্রমণ করে তবে সাথে আপনার পোর্টঅ্যাবল হার্ডড্রাইভটিও ইনক্রিপ্ট করে ফেলতে পারে। তাই অবশ্যই ব্যাকআপ শেষে আপনার হার্ডড্রাইভটি বের করে রাখুন।

আপনি চাইলে কোন অনলাইন ব্যাকআপ সার্ভিস ব্যবহার করেও আপনার কম্পিউটারের সকল ডাটাগুলো ব্যাকআপ করে রাখতে পারেন। এটি পোর্টঅ্যাবল হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করার চেয়েও অনেক বেশি সুবিধা জনক। কারন এতে কোন ঝুঁকি থাকে না। মাত্র কিছু টাকা মাসিক খরচে আপনার ডাটা গুলো নিরাপদে ক্লাউডে সংরক্ষিত থাকবে [ক্লাউড কম্পিউটিং কি? কেন প্রয়োজন?]।

ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট গুলো স্ক্যান করুন

 

আপনার কম্পিউটারে বা ইমেইলে থাকা কোন ফাইলকে ততোক্ষণ পর্যন্ত ওপেন বা ডাউনলোড না করেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ঐ ফাইলটি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না হয়ে যায়। ইমেইল থেকে কিছু ডাউনলোড দেয়ার আগে অবশ্যই চেক করে নিন যে ঐ মেইল আপনাকে কে পাঠিয়েছে এবং তাতে কি রয়েছে।

আপনার ইমেইল থেকে .exe এক্সটেনশন ওয়ালা ফাইল কখনোই ডাউনলোড করবেন না কেনোনা ঐটি একটি র‍্যান্সমওয়্যার হতে পারে। তাছাড়া সাধারন পিডিএফ বা ওয়ার্ড ডকুমেন্টও আপনার কম্পিউটার আক্রমণ করতে পারে। হ্যাকার যেকারো ইমেইল অ্যাড্রেস স্পুফ করতে পারে, ফলে আপনার মনে হবে যে কাঙ্ক্ষিত স্থান থেকেই তো মেইল এসেছে। কিন্তু সেটা হ্যাকার নিজে পাঠাতে পারে। স্পুফ করা ইমেইল অ্যাড্রেস গুলো অবশ্য জিমেইল থেকে এক প্রকারের সতর্কবার্তা দিয়ে থাকে। ঐ অ্যাড্রেসের পাশে লাল চিহ্ন দেওয়া থাকে এবং লেখা থাকে যে জিমেইল এটা নিশ্চিত নয় যে যেখান থেকে মেইলটি এসেছে সেটি সঠিক অ্যাড্রেস। তো এই রকম সতর্কবার্তা কোন মেইলে দেখলে সেখান থেকে দূরে থাকায় ভালো।

তারপর আপনি যদি উইন্ডোজ পিসি ব্যবহার করেন তবে ফাইল এক্সটেনশন অপশন অন করে রাখাটা উত্তম হবে। ফলে আপনি দেখতে পারবেন যে ফাইলটি র‍্যান্সমওয়্যার কিনা। কেনোনা সর্বদা দেখতে পাওয়া গেছে যে ভাইরাস আক্রান্ত ফাইলগুলোতে দুটি এক্সটেনশান থাকে। যেমন .pdf.exe অথবা .mp4.exe অথবা .avi.exe। তো এই অবস্থায় ফাইলগুলো দেখে হয়তো আপনার মনে হতে পারে যে এগুলো সাধারন মিডিয়া বা ডকুমেন্ট ফাইল। কিন্তু ব্যাস্তবিক ভাবে এগুলো এক্সিকিউটঅ্যাবল ফাইল, যা ক্লিক করা মাত্রই আপনার কম্পিউটার আক্রান্ত করতে পারে।

ভালো ফায়ারওয়াল ব্যবহার করুন

 

আপনার অবশ্যই ভালো ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা প্রয়োজনীয়। আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহার করেন তবে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি না জানেন যে ফায়ারওয়াল কি বা কেন ব্যবহার করা প্রয়োজন তবে তার জন্য আগে থেকেই আরেকটি পোস্ট আছে তা চেক করে নিতে পারেন। উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালে শুধু আপনার বিশ্বস্ত সফটওয়্যার গুলোকে নেটওয়ার্ক ব্যবহার অনুমতি দিতে পারেন এবং আলাদা সফটওয়্যার গুলো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে পারেন।

আর যদি পারেন তো কোন তৃতীয়পক্ষ ভালো ফায়ারওয়াল বা অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এবং এটি ব্যাবহারের ফলে আপনি র‍্যান্সমওয়্যার আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারেন। তাছাড়া উইন্ডোজ কম্পিউটারে কখনোই রিমোট শেয়ারিং অপশন চালু করে রাখবেন না। এতে আপনার কম্পিউটার যদি কোন কারণে আক্রান্ত হয় তবে আপনার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকা সকল কম্পিউটার আক্রমের হাতে চলে আসতে পারে। কারন আমি আগেই বলেছি এটি অনেক চালাক প্রকিতির একটি ম্যালওয়্যার। এটি আপনার নেটওয়ার্ক এবং কম্পিউটারের শিরায় শিরায় পৌঁছে যেতে পারে।

বন্ধুরা কোন কারণে যদি আপনার মনে হয় যে আপনার পিসি আক্রমনের হাতে চলে গেছে, যদি আপনি কোন ভাবে বুঝতে পারেন তবে সাথে সাথে আপনার পিসি থেকে ইন্টারনেট কানেকশান বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন। যেহেতু আপনার পুরা কম্পিউটার ইনক্রিপ্টেড হতে সময় লাগে তাই আপনি যদি ইন্টারনেট কানেকশান বিচ্ছিন্ন করে দেন তবে হতে পারে আপনার ডাটা গুলো ইনক্রিপশন হওয়া থেকে উদ্ধার পেয়ে যাবে।

সবসময় লেটেস্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করুন

 

সবসময় লেটেস্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করাটা কিন্তু খুব ভালো আইডিয়া যেকোনো প্রকারের ভাইরাস আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য। সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানিরা সবসময় তাদের সফটওয়্যারের ভুল ত্রুটি খুঁজে বের করে এবং সেগুলো ঠিক করে নতুন ভার্সন রিলিজ করে। এই অবস্থায় আগের কোন ভার্সনের সফটওয়্যার ব্যবহার করলে হতে পারে সেটির মাধ্যমে হ্যাকার আপনাকে আক্রান্ত করাতে পারে।

তাছাড়া কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন সেটা একটি বিশ্বস্ত সোর্স থেকে ডাউনলোড করছেন কিনা। কেনোনা অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস এর মতো আপনার উইন্ডোজ কম্পিউটারে কোন নির্দিষ্ট সফটওয়্যার মার্কেট নেই। এই অবস্থায় হয়তো কোন সফটওয়্যার গুগল করলেন, কিন্তু যেটা ডাউনলোড হলো সেটা ঐ সফটওয়্যার না হয়ে হয়তো অন্য কিছুই ডাউনলোড হয়েছে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন অফিসিয়াল সোর্স থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে। আর পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করায় উত্তম।

অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় যেমন ফেসবুকে বা কোন ওয়েবসাইটে অনেক পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে বলে যে অমুক সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন যেকারো ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারবেন। তমুক সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন ফেসবুক হ্যাক করতে পারবেন। তো বন্ধুরা ভুল করেও কখনো এমন সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না। হতে পারে এগুলো কোন র‍্যান্সমওয়্যার। কারন আপনাকে বলে রাখি ওয়াইফাই হ্যাক করা এতো সহজ কাজ না। শুধু মাত্র কিছু নির্দিষ্ট ওএস এবং অনেক অ্যাডভান্স মেসিন ব্যবহার করেই তা সম্ভব। তাই এই ভুল করে কখনোই ভাব্বেন না যে ২-৪ এমবির সফটওয়্যার দিয়ে ওয়াইফাই হ্যাক হয়ে যাবে।

অটো-প্লে বন্ধ করে রাখুন

আপনার কম্পিউটারে অটো-প্লে অপশন চালু করা থাকলে সেটি বন্ধ করে নিন। কেনোনা এতে কোন ইউএসবি ডিভাইজ বা কোন ডিভিডি প্রবেশ করানো মাত্রই ওপেন হয়ে যায়। ফলে যদি কোন ভাইরাস থাকে তো সহজেই আপনার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যেতে পারে। এটি বন্ধ করে নিন যাতে সেটি ওপেন করার আগে যাচাই করে এবং স্ক্যান নিতে পারেন যে এর ভেতর কি আছে।

তো বন্ধুরা আজকের দিনে বলতে গেলে র‍্যান্সমওয়্যার অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। আমি প্রথমে যে পদক্ষেপ নিতে বলেছি ডাটা ব্যাকআপ রাখা আসলে এটিই হলো সর্বউত্তম ঝুঁকিমুক্ত একটি পন্থা। এতে আপনার কম্পিউটার আক্রান্ত হয়ে পরলেও আপনি ডাটা লস থেকে বেঁচে যেতে পারবেন।

এরকম হাজারো ঘটনা ঘটেছে এই পর্যন্ত যার ফলে অনেক কোম্পানিকে হাজারো ডলার খরচ করতে হয়েছে তাদের ডাটাগুলো ফেরত পাওয়ার জন্য। কেনোনা হ্যাকার আপনার কাছে যেকোনো চাহিদা করতে পারে। এবং আপনার কিছুই করার থাকে না। কিন্তু আগে থেকেই যদি আপনি সতর্ক থাকেন তবে সহজেই এই ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করাতে পারবেন।

শেষ কথা

বন্ধুরা আশা করছি আপনি র‍্যান্সমওয়্যার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে গেছেন এবং এথেকে বাঁচার উপায় গুলো জেনে নিয়েছেন। আশা করবো এরকম আক্রমণ থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন এবং পোস্টটি শেয়ার করে অবশ্যই সকলকে বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিন। আপনার যেকোনো প্রশ্নে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানান। বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার, ভাইরাস, ট্রোজান, এবং ওয়র্মস থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে আমার আগের একটি পোস্ট আছে, আপনি চাইলে সেটি পড়ে তা অনুশীলন করতে পারেন। আপনারা সর্বদা নিরাপদ থাকুন এবং প্রযুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোর উপর আপনাদের বিস্তারিত জ্ঞান থাকুক এটাই ওয়্যারবিডি এর মূল উদ্দেশ্য।

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories