আপনার পিসির জন্য বেস্ট মনিটর কীভাবে চয়েজ করবেন? [আল্টিমেট গাইড লাইন!]

মনিটর, কম্পিউটারের এমন একটি অংশ, সেটার সাথেই সর্বদা বেশিরভাগ সময়, সময় কাটাতে হয়। আর কোন পেয়েন্টে যদি মনে হয়, আপনার বর্তমান মনিটরটি তেমন একটা ভালো নয়, আর আপনি নতুন একটি মনিটর কেনার কথা চিন্তা করেন, সেক্ষেত্রে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সর্বদিক থেকে সাহায্য করতে পাড়বে। তো চলুন, আপনার সঠিক কাজের জন্য সঠিক মনিটরটি খুঁজে বেড় করা যাক। এই আর্টিকেলে, আমি রাইট মনিটর চয়েজ করার প্রত্যেকটি দৃষ্টি কোন নিয়ে আলোচনা করেছি, আশা করছি আর দ্বিতীয় কোন আর্টিকেল প্রয়োজনীয় হবে না।


কানেকশন টাইপ

চলুন, প্রথমেই কথা বলি মনিটর কানেকশন টাইপ নিয়ে, আপনি যদি পুরাতন পিসি ব্যবহার করে থাকেন বা আপনার জিপিইউ যদি ব্রিটিশ আমলের হয়, সেক্ষেত্রে হয়তো আপনার কম্পিউটারে মডার্ন কানেকশন টাইপ সাপোর্ট করে না, তাই মনিটর কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে, সেটা কম্পিউটারে ঠিকঠাক মতো ফিট হবে কিনা। ডেক্সটপ, ল্যাপটপ বা যেকোনো কম্পিউটিং ডিভাইজের ক্ষেত্রে অনেক টাইপের কানেকশন টাইপ দেখতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সবাইতে কমন কানেকশন টাইপ হচ্ছে ভিজিএ কানেক্টর। যদিও ভিজিএ আজকের দিনে অনেক পুরাতন টেকনোলজি, কিন্তু তারপরেও অনেক নতুন ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, এবং মিড বাজেট কম্পিউটার গুলোতে এই কানেকশন টাইপ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ভিজিএ মূলত এনালগ সিগন্যালের উপর কাজ করে, কিন্তু চিন্তা করার কিছু নেই, আজকের ভিজিএ কানেক্টর অনেক পুরাতন টেকনোলজি হলেও একেবারেই কিন্তু খারাপ টেকনোলজি নয়, এতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যাই হোক, বিশেষ করে ১৯২০x১০৮০ রেজুলেশনের নিচের মনিটর গুলোতে এই কানেক্টর লাগানো থাকে। ভিজিএ কানেকশন শুধু ভিডিও সিগন্যাল সেন্ড করে এতে কোন অডিও সেন্ড করা যায় না। যেহেতু এটি অনেক পুরাতন টেকনোলজি, তাই এতে অনেক লিমিটেশন রয়েছে, যেমন- এই ক্যাবল খুববেশি বড় হয় না, রিফ্রেশ রেটের উপর লিমিটেশন রয়েছে, প্রথমের ভিজিএ কানেক্টর কেবল ৬৪০x৪৮০ রেজুলেশন সাপোর্ট করতো, কিন্তু বর্তমানে এটি বেশি রেজুলেশন সমর্থন করতে পারে।

 

এবার কথা বলি, ডিভিআই কানেক্টর নিয়ে, যেটা অনেকটা ভিজিএ’র মতোই কিন্তু এটি এনালগ সিগন্যাল ব্যবহারের বদলে ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহার করে কাজ করে। ভিজিএর মতো, এটিও অনেক পুরাতন টেকনোলজি, কিন্তু এখনো অনেক মাদারবোর্ড, জিপিইউ, এবং মনিটর এই কানেকশন টাইপ সাপোর্ট করে থাকে। এটিও শুধু ভিডিও সিগন্যাল সেন্ড করতে পারে, অডিও সিগন্যাল সেন্ড করে না। এটি সর্বচ্চ ২৫১৬x১৬০০ রেজুলেশন সাথে ৬০ হার্জ পর্যন্ত রিফ্রেশ রেট সমর্থন করে।

আজকের সবচাইতে মডার্ন কানেকশন টাইপ হচ্ছে এইচডিএমআই, যেটা ১০৮০পি রেজুলেশন মনিটর গুলোর জন্য অত্যন্ত উপযোগী একটি কানেক্টর। শুধু কম্পিউটার মনিটর নয়, ফ্ল্যাট স্ক্রীন টিভি গুলোতেও এইচডিএমআই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি ডিজিটাল সিগন্যালের উপর কাজ করে, সাথে ভিডিও সিগন্যালের পাশাপাশি অডিও সিগন্যালও সেন্ড করতে পারে, মানে আপনার মনিটরে যদি বিল্ডইন স্পীকার থাকে, সেক্ষেত্রে অডিও’র জন্য আলাদা জ্যাক লাগাতে হবে না, এইচডিএমআই কানেক্টর দিয়েই কাজ হয়ে যাবে। লেটেস্ট এইচডিএমআই কানেক্টর সর্বচ্চ ১০,০০০ পিক্সেল ওয়াইড রেজুলেশন সমর্থন করতে পারে, সাথে ১২০ হার্জ পর্যন্ত রিফ্রেশ রেট সমর্থন করে। মানে, হাই রেজুলেশন এবং হাই রিফ্রেশ রেট মনিটরের জন্য এইচডিএমআই গ্রেট চয়েজ হতে পারে।

এবার আসি পিসি ডিসপ্লে পোর্ট কানেক্টর নিয়ে কথা বলতে, পিসি ইউজারদের জন্য এটি বেস্ট কানেক্টর টাইপ। এখানে এইচডিএমআই এর সকল সুবিধা গুলো পাবেন, সাথে যেহেতু এই কানেক্টর স্পেশালভাবে পিসির জন্য ডিজাইন করা, সেক্ষেত্রে এক সিঙ্গেল থেকে থেকেই মাল্টি মনিটর কানেক্ট করা এবং আরো অনেক স্পেশাল ফিচার পেয়ে যাবেন। আপনি যদি বিশেষ করে হাই এন্ড গেমিং করার জন্য মনিটর কেনার কথা চিন্তা করেন, সেক্ষেত্রে আমি বলবো ডিসপ্লে পোর্ট আপনার জন্য বেস্ট চয়েজ হবে। ডিসপ্লে পোর্টে ৪কে রেজুলেশন ২৪০ হার্জে সমর্থন করে এবং ৮কে রেজুলেশনে ৬০ হার্জ পর্যন্ত রিফ্রেশ রেট হান্ডেল করতে পারে, মানে বুঝতেই পাড়ছেন এটি বিশেষ করে গেমারদের জন্য তৈরি।

মার্কেটে বর্তমানে আরো কিছু টাইপের মডার্ন কানেক্টর দেখা যাচ্ছে, ইউএসবি টাইপ-সি এবং থান্ডারবোল্ড। মডার্ন ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোন গুলোতেও ইউএসবি টাইপ সি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ইউএসবি টাইপ সি বা থান্ডারবোল্ড ওয়ালা মনিটর তখনই নেওয়া ঠিক হবে যখন আপনি ঘনঘন ল্যাপটপ বা পোর্টেবল ডিভাইজের সাথে আপনার মনিটর কানেক্ট করবেন। তবে বাজারে ইউএসবি টাইপ-সি বা থান্ডারবোল্ড সাপোর্টেড মনিটরের সংখ্যা অনেক কম।

যাই হোক, বিভিন্ন টাইপের ডিসপ্লে ইন্টারফেস নিয়ে আমার একটি ডেডিকেটেড আর্টিকেল রয়েছে, আরো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি এখান থেকে চেক করে দেখতে পারেন।

রেজুলেশন, স্ক্রীন সাইজ, এবং অ্যাস্পেক্ট রেশিও

প্রথমে যদি কথা বলি স্ক্রীন সাইজ নিয়ে, সেক্ষেত্রে ব্যাপারটি অনেকটা ব্যক্তিগত পছন্দের উপর চলে যায়। আমার কাছে তো যতোবড় স্ক্রীন ততোবেশি সুবিধার মনে হয়। বিশেষ করে আপনি যদি গ্রাফিক্স ওয়ার্ক, যেমন- ফটোশপ, ভিডিও এডিট ইত্যাদি করেন সেক্ষেত্রে বড় মনিটর ব্যবহার করে অনেক সুবিধা পাবেন। গেমারদের জন্য বড় মনিটর অনেক সুবিধার হতে পারে। কিন্তু যদি আপনার ডেস্কে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে সেক্ষেত্রে ছোট মনিটর ব্যবহার করেও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। তবে আমি রেকমেন্ড করবো, আপনি ডেইলি ৭-৮ ঘণ্টার উপরে কম্পিউটার ব্যবহার করলে অবশ্যই বড় সাইজের মনিটরের দিকে যাওয়াটায় ভালো হবে।

এবার কথা বলি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম, অ্যাস্পেক্ট রেশিও (Aspect Ratio) নিয়ে। অ্যাস্পেক্ট রেশিও এর উপর নির্ভর করে আপনার মনিটরটির আকৃতি কেমন হবে, এবং আপনি যে মুভি বা ভিডিও প্লে করতে চান মনিটরটিতে, সেটা আপনার মনিটরে কতোটা সুন্দর ফিট হবে, তাও অ্যাস্পেক্ট রেশিও টার্মটির উপর নির্ভর করে। আজকের বেশিরভাগ প্রশস্ত মনিটর ১৬ঃ৯ অ্যাস্পেক্ট রেশিও ব্যবহার করে থাকে, এমনকি বেশিরভাগ স্মার্টফোন বা পোর্টেবল ডিভাইজ গুলোতেও ১৬ঃ৯ অ্যাস্পেক্ট রেশিও ব্যবহার করা হয়। প্রায় বেশিরভাগ মডার্ন ফ্ল্যাট স্ক্রীন টিভি’তে ১৬ঃ৯ অ্যাস্পেক্ট রেশিও ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। ১৬ঃ১০ অ্যাস্পেক্ট রেশিও নতুন ব্যবহার হতে আরম্ভ করেছে, যেটা একটু বেশি লম্বা, বাট গ্রাফিক্স ওয়ার্কের জন্য বেশি ভালো। ব্রিটিশ আমলের ৪ঃ৩ বা ৫ঃ৪ অ্যাস্পেক্ট রেশিও’র চারকোণা মনিটর এখন দেখা যায় না বললেই চলে। আর আমি চারকোণা মনিটর কিনতে আপনাকে কখনোই রেকমেন্ড করবো না। বর্তমানে ২১ঃ৯ আলট্রা ওয়াইড মনিটর ধীরেধীরে জনপ্রিয়তা হাসিল করছে, হেভি কম্পিউটিং, মাল্টি টাস্কিং, গেমিং এর জন্য আলট্রা ওয়াইড মনিটর গুলো আদর্শ।

এবার কথা বলা যাক, স্ক্রীন রেজুলেশন নিয়ে — পুরাতন আমলের সিআরটি মনিটরের ব্যাপার আলাদা ছিল। কিন্তু মডার্ন ডিসপ্লে গুলো চারকোণা ডট ডট আকারে পিকচার তৈরি করে, আর এই প্রত্যেকটি ডটকে পিক্সেল বলা হয়। আর মনিটরে কতো গুলো পিক্সেল রয়েছে সে অনুসারে মনিটরের রেজুলেশন পরিমাপ করা হয়। যেমন- ১৯২০x১০৮০ রেজুলেশন মনিটরে আসলে ২ মিলিয়নের উপরে পিক্সেল থাকে। সত্যি কথা বলতে, মনিটরের রেজুলেশন যতোবেশি হবে ততোই ভালো। বাট আমি আজকের দিনে কমপক্ষে ১০৮০পি রেজুলেশন মনিটর কেনার জন্য রেকমেন্ড করবো, যদি পারেন বা বাজেট বেশি থাকে ৪কে সকল কাজের জন্য বেস্ট চয়েজ হতে পারে। কোন মনিটরে বেস্ট ইমেজ কোয়ালিটি তখনই পাওয়া যায়, যখন মনিটরের প্যানেল রেজুলেশন এবং পিকচার রেজুলেশন এক হয়ে থাকে, একে নেটিভ রেজুলেশন বলা হয়। তবে আপনার চোখের যদি সমস্যা থাকে, আর ছোট টেক্সট যদি না পড়তে পারেন, সেক্ষেত্রে সুপার হাই রেজুলেশন মনিটর গুলো না কেনায় ভালো হবে।

ডিসপ্লে রেজুলেশন নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আর্টিকেলটি এখান থেকে চেক করতে ভুলবেন না।

মনিটর প্যানেল টাইপ

মনিটর প্যানেল টাইপ নিয়ে পূর্বেই একটি বিস্তারিত আর্টিকেল রয়েছে, যেটা এখান থেকে চেক করে নিতে পারেন। মডার্ন এলসিডি টাইপ মনিটর সাধারণত দুই টাইপের হয়ে থাকে, একটি টিএন এবং আরেকটি আইপিএস — এখন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক টেকনিক্যাল বিষয় সামনে চলে আসবে, যেটা আপনার জানা প্রয়োজনীয় সেটা হচ্ছে, টিএন প্যানেল বিশেষ করে সস্তা মনিটর গুলোতে ব্যবহার করা হয় এবং এতে অনেক ভালো রেসপন্স টাইম পাওয়া যায়, যেটা গেমিং করার জন্য আদর্শ। যদি অপরদিকে কথা বলি আইপিএস প্যানেল নিয়ে, আজকের মার্কেটে কম্পিউটার মনিটরের জন্য বলতে পারেন বেস্ট চয়েজ এটি, কেনোনা এটি টিএন প্যানেল থেকে অনেক বেশি রিচ কালার জেনারেট করতে পারে এবং বেটার ভিউইং অ্যাঙ্গেল প্রদর্শন করতে পারে। তবে আইপিএস’এর একটি ডাউন সাইড হচ্ছে, এর রেসপন্স টাইম অনেক স্লো, যেটা গেমারদের জন্য আদর্শ ব্যাপার নয়।

 

বাজারে আরেক টাইপের কম্পিউটার মনিটর প্যানেল দেখতে পাওয়া যায়, ভিএ — এই প্যানেলে টিএন এবং আইপিএস প্যানেল থেকে এদের গুন গুলো একত্রিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভিএ প্যানেল এ টিএন এর মতো ফাস্ট রেসপন্স টাইম পাওয়া যায় এবং আইপিএস এর মতো বেটার কালার এবং ভিউইং অ্যাঙ্গেল পাওয়া যায়। আজকের দিনে ওলেড প্যানেল বিশেষ করে টিভি এবং স্মার্টফোনের জন্য বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কিন্তু কম্পিউটার মনিটরে ওলেড প্যানেল এখনো খুব একটা ব্যবহৃত হয় না। যে দুই একটা ওলেড প্যানেলের কম্পিউটার মনিটর বাজারে রয়েছে তাদের দাম একেবারেই আকাশ ছোঁয়া।

রিফ্রেশ রেট

মনিটর কেনার ক্ষেত্রে রিফ্রেশ রেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্ম, তবে আপনি যদি একেবারেই বেসিক কম্পিউটার ইউজার হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে রিফ্রেশ রেট আপনার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে না। রিফ্রেশ রেট দ্বারা বুঝানো হয় আপনার মনিটর প্রত্যেক সেকেন্ডে কতো গুলো ইমেজ রিফ্রেশ করতে পারে। এই রেট’কে সাধারণত হার্জ দ্বারা মাপা হয়ে থাকে এবং বেশিরভাগ কম্পিউটার মনিটর ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের হয়ে থাকে। আর সত্যি বলতে এভারেজ কম্পিউটার ইউজারের ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি রিফ্রেশ রেট প্রয়োজনীয় হয় না। যদি আপনি একজন গেমার হোন, সেক্ষেত্রে বেশি রিফ্রেশ রেট মনিটর থাকা উপকারী প্রমানিত হতে পারে, যদিও আপনার চোখ অত্যন্ত হাই রিফ্রেশ রেট তেমন একটা ডিটেক্ট করতে পারে না, কিন্তু তারপরেও আপনি হাই রিফ্রেশ রেট মনিটরে স্মুথ এনিমেশন অনুভব করতে পাড়বেন। গেমিং মনিটর গুলোতে বিশেষ করে ১২০, ১৪৪ এমনকি ২৪০ হার্জ পর্যন্ত রিফ্রেশ রেট থাকে। রিফ্রেশ রেট নিয়ে আরো পরিষ্কার এবং বিস্তারিত জানতে, এই আর্টিকেলটি চেক করে দেখতে পারে।

কিছু মনিটর রয়েছে, যেগুলো ভেরিয়েবল রিফ্রেশ রেটের উপর কাজ করতে পারে, মানে আপনার কম্পিউটার গেম যদি ৫০ ফ্রেম/সেকেন্ড জেনারেট করে সেক্ষেত্রে মনিটর স্বয়ংক্রিয় ৫০ হার্জ রিফ্রেশ রেট সেট করে আবার বেশি ফ্রেম জেনারেট হলে সে অনুসারে মনিটর বেশি রিফ্রেশ রেট আডজাস্ট করে নিতে পারে। বলতে পারেন আপনার কম্পিউটার এবং মনিটর একে অপরের সাথে কথা বলে সিস্টেমটি মেইনটেইন করে। এই ফিচারটি মূলত আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের উপর নির্ভর হয়ে থাকে, এনভিডিয়া এবং এএমডি উভয়েরই আলাদা আলাদা টেকনোলজি রয়েছে, জি-সিঙ্ক বনাম ফ্রী-সিঙ্ক আর্টিকেলটি থেকে আরো বিস্তারিত জানতে পাড়বেন।


অবশ্যই আপনি একটি মনিটরে সবকিছুই বেস্ট পেয়ে যাবেনা। তবে সঠিক দিক এবং আপনার প্রয়োজনীয়তার জ্ঞান মাথায় রাখলে বাজারের সেরা মনিটরটি কিনতে পাড়বেন আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে। প্রথমে ভালো করে স্পেসিফিকেশন দেখে নিন, তারপরে অনলাইন থেকে পর্যাপ্ত রিভিউ দেখে নিন। ইউজার রেটিং এবং ইউজার রিভিউ দেখতে ভুলবেন না, একে আপনার ফিউচার মনিটরটির সম্পর্কে অনেক ভালো জ্ঞান লাভ করতে পাড়বেন। তারপরে ভেবে দেখুন আপনার বাজেট কতো, খুঁজে দেখুন সেই বাজেট অনুসারে কোন মনিটর বেস্ট ফিট হচ্ছে, তারপরে মনিটর কেনার পথে এগুলোতে পারেন।

আর যেকোনো প্রশ্ন বা মতামত শেয়ারে নিচে কমেন্ট তো করতেই পারেন, ওয়্যারবিডি সর্বদা আপনাকে যেকোনো প্রযুক্তি বিষয়ে সহযোগিতা করবে। আপনি চাইলে আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতেই নক করতে পারেন, আমার যথা সাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করবো।

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories