হার্ড ড্রাইভ এনক্রিপশন করানো কতটা প্রয়োজনীয়? কীভাবে করবেন? [ওয়্যারবিডি ব্যাখ্যা!]

আপনি এই ব্লগের নিয়মিত পাঠক হলে, এনক্রিপশন শব্দটি নিশ্চয় বহুবার শুনেছেন। হার্ডড্রাইভ এনক্রিপ্ট শব্দটি শুনলে মনে হতে পারে, বিশাল এক কম্পিউটিং সিস্টেমে বসে অনেক জটিল অঙ্ক হিসেব করে আর কঠিন সব কোড কম্পিউটার কীবোর্ডে চেপে কাজ করা হয়, শুধু মাত্র আপনার ডিজিটাল ডাটাকে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য। আর আপনি নিশ্চয় ভাবেন যে, আপনার হার্ডড্রাইভ এনক্রিপশন করানো হয়ে গেলে আর আপনার ডাটা কেউই অ্যাক্সেস করতে পারবে না—কেনোনা এনক্রিপশন মানেই নিরাপত্তা আর গোপনীয়তা। কিন্তু ব্যস্তবে আপনার হার্ডডাইভ ইনক্রিপ্ট করানো অনেক সহজ কাজ এবং এটা করার পরে আপনি বুঝতেই পারবেন না এটি কীভাবে কাজ করছে, সবকিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন দ্যা ফ্লাই হয়ে যাবে। আপনি চাইলে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার উভয় ভাবেই এনক্রিপশন করাতে পারেন, আর এগুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।


হার্ডড্রাইভ এনক্রিপশন

তো সর্ব প্রথম কথা হলো, কেন আপনার হার্ডড্রাইভ ইনক্রিপ্ট করবেন? এতে সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি কি? যখন আপনি হার্ডডাইভ ইনক্রিপ্ট করবেন, আপনার হার্ডড্রাইভ বা আপনার কম্পিউটার ফিজিক্যালি চুরি হয়ে যাওয়ার পরেও আপনার ডাটা সুরক্ষিত থাকবে। প্রথমবারের মতো যখন আপনি হার্ডড্রাইভকে এনক্রিপশন করবেন, আপনার ড্রাইভে থাকা সকল ডাটা ইনক্রিপটেড হয়ে যাবে একটি কী ব্যবহার করে। এখন ধরুন আপনার কম্পিউটারটি চুরি হয়ে গেল কিংবা আপনার কম্পিউটার থেকে হার্ডড্রাইভ খুলে কেউ অন্য কম্পিউটারে লাগালো এবং বুট করলো, আপনার ড্রাইভটি ইনক্রিপটেড হলে আপনার সেখানে সংরক্ষিত থাকা ডাটা গুলো কেউই দেখতে পারবেনা এবং ব্যবহার যোগ্য হবে না। কিন্তু আপনি নিজে সেই ডাটা গুলো বা সেই ড্রাইভকে ব্যবহার করবেন?

আপনি যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ড্রাইভকে ইনক্রিপ্ট করবেন, সেই সফটওয়্যার আপনার ডাটা গুলোকে অন দ্যা ফ্লাই ইনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করবে ফলে আপনার কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমকে এই ব্যাপারে আলাদা কোন চিন্তা করতে হবে না। ধরুন আপনার কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম আপনার ড্রাইভ থেকে কোন ফাইলের ডিমান্ড করলো, তখন এনক্রিপশন সফটওয়্যারটি প্রথমে ড্রাইভ থেকে ডাটাটি ডিক্রিপ্ট করবে এবং তা অপারেটিং সিস্টেমের কাছে পৌছিয়ে দেবে, এতে অপারেটিং সিস্টেম বুঝতেই পারবেনা আপনার ডাটাটি পূর্বে কি রূপে ছিল। অনুরুপভাবে, যখন অপারেটিং সিস্টেম আপনার ড্রাইভে কোন ডাটা রাইট করবে, প্রথমে সফটওয়্যারটি ডাটাগুলোকে ইনক্রিপ্ট করবে তারপরে তা ড্রাইভে সেভ করবে। তবে অবশ্যই সফটওয়্যারটি বারবার কাজ করার জন্য আপনার কম্পিউটারের কিছুটা পারফর্মেন্স কমে যেতে পারে। কিন্তু আপনার কম্পিউটার পাওয়ারের উপর নির্ভর করে আপনি হয়তো সেই পারফর্মেন্স লস লক্ষ্য করতেই পারবেন না। তবে আপনার অবস্থার উপর নির্ভর করে এটি আপনার জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, এব্যাপারে পরে আলোচনায় আসছি।

হার্ডড্রাইভ এনক্রিপশন করানোর আরেকটি উপায় হলো হার্ডওয়্যার নির্ভর এনক্রিপশন—এটি সম্পূর্ণ চিন্তা মুক্ত একটি পদ্ধতি যাতে কোন সফটওয়্যারেরও প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনি যদি ল্যাপটপ ব্যবহারকারী হন, তবে আপনার ড্রাইভ এনক্রিপশন করানোটা একেবারে ফরজ হয়ে যায়। কেনোনা ল্যাপটপ চুরি যাওয়ার ভয় থাকে এবং যেকেউ আপনার ডাটা রীড করার ভয় থাকে। কিন্তু ডেস্কটপ চুরি হওয়ার ভয় কম থাকে তবে এক্সট্রা নিরাপত্তার খ্যাতিরে এখানেও এনক্রিপশন ব্যবহার করতে পারেন।

সফটওয়্যার নির্ভর এনক্রিপশন

চলুন প্রথমে সফটওয়্যার নির্ভর হার্ডড্রাইভ এনক্রিপশনের কথা আলোচনা করা যাক। আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তবে আপনার অপারেটিং সিস্টেমের সাথেই ড্রাইভ এনক্রিপশন অপশনটি বিল্ড ইন ভাবে রয়েছে, এর নাম “বিট লকার” (BitLocker)। যদিও এটি পৃথিবীর সবচাইতে সুরক্ষিত এনক্রিপশন অপশন নয়, তারপরেও এটি যথেষ্ট ভালো। আপনার বা আমার কম্পিউটার ডাটা তো আর বড় বড় হ্যাকার বা গভর্নমেন্ট চুরি করবে না, আমাদের ভয় সাধারন চোর অথবা নিজের ব্যক্তিদের প্রতি, তো তাদের থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য বিট লকারই যথেষ্ট উপায় হতে পারে।

বিট লকার ব্যবহার করা এবং সেটআপ করা অনেক সহজ ব্যাপার। আপনার উইন্ডোজ কম্পিউটারের কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সিস্টেম অ্যান্ড সিকিউরিটি অপশনে গেলেই বিট লকার ড্রাইভ এনক্রিপশন নামক ফিচারটি পেয়ে যাবেন। এর পরে সেটআপ উইজার্ড অনুসরন করুন আপনার ড্রাইভ এনক্রিপশন করানোর জন্য পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন এবং এটি আপনাকে একটি ব্যাকআপ কী ফাইল দিয়ে দেবে যাতে পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার পরে আপনি সেটা বাইপাস করে নিতে পারেন। এই কাজ গুলো করার পরে আপনার ড্রাইভটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনক্রিপটেড হয়ে যাবে। ইনক্রিপটেড হয়ে যাওয়ার পরে আপনার সাধারন কম্পিউটার ব্যাবহারের উপর কোন পার্থক্যই আসবে না, কেনোনা সকল ইন্টারনাল ব্যাপার গুলোকে সফটওয়্যার অন দ্যা ফ্লাই হান্ডেল করবে। তবে কম্পিউটার অন করার সময় আপনাকে বিট লকারের জন্য এক্সট্রা পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে, আবার আপনি চাইলে বিট লকারের পাসওয়ার্ড আপনার উইন্ডোজ পাসওয়ার্ডের সাথেই আনলক করতে পারেন।

কিন্তু আগেই জানিয়ে রাখি, প্রত্যেকের কম্পিউটারে কিন্তু বিট লকার ফিচার ব্যবহার করা সম্ভব হবে না—কেনোনা এটি ব্যবহার করতে কিছু সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে।

  • প্রথমত আপনার কম্পিউটারে এমন একটি উইন্ডোজ ভার্সন ইন্সটল থাকতে হবে যাতে বিট লকার রয়েছে। যেমন— উইন্ডোজ ৭ অ্যালটিমেট, উইন্ডোজ ৭ ইন্টারপ্রাইজ, উইন্ডোজ ৮ প্রো, উইন্ডোজ ৮ ইন্টারপ্রাইজ, উইন্ডোজ ১০ প্রো এবং ইন্টারপ্রাইজ। উইন্ডোজের হোম এডিশনে দুর্ভাগ্য বশত বিট লকার অপশন থাকে না।
  • তাছাড়া আপনার কম্পিউটারে ট্র্যাস্টেড প্লাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ফিচার থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এটি মূলত একটি হার্ডওয়্যার চিপ, যা কম্পিউটারের সাথে নিজে থেকেই থাকে। তো আপনার কম্পিউটারে যদি এই চিপ লাগানো না থাকে তবে আপনার ভাগ্য খারাপ, কেনোনা আপনি দুর্ভাগ্য বশত বিট লকার ব্যবহার করতে পারবেন না, তবে নির্দিষ্ট কিছু ড্রাইভ লক করতে পারবেন। তবে খুশির সংবাদ হচ্ছে আজকের বেশিরভাগ ভালো এবং মডার্ন কম্পিউটার মেশিন গুলোতে টিপিএম চিপ অবশ্যই লাগানো থাকে।

আপনি কোন কারণে বিট লকার ব্যবহার করতে সক্ষম না হলেও আপনার জন্য আরো কিছু অপশন রয়েছে। ভেরাক্রিপ্ট ডিস্ক এনক্রিপশন সফটওয়্যার আপনার জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে। এটি বিট লকারের মতোই আপনার সম্পূর্ণ হার্ডড্রাইভ ইনক্রিপ্ট করে এবং কম্পিউটার অন হওয়ার সময় আপনার কাছে এক্সট্রা পাসওয়ার্ড ডিমান্ড করে। তবে আর্টিকেলের শুরুতেই বলেছি সফটওয়্যার নির্ভর এনক্রিপশন আপনার সিস্টেমের পারফর্মেন্স কিছুটা স্লো করতে পারে।

হার্ডওয়্যার নির্ভর এনক্রিপশন

আর্টিকেলের শুরুতেই বলেছি, এনক্রিপশন করানোর আরেকটি পদ্ধতি হলো হার্ডওয়্যার নির্ভর এনক্রিপশন। এই ফিচারটি প্রদান করে সেলফ ইনক্রিপটিং নামক ড্রাইভ। একে তো এটি আপনার কম্পিউটারের পারফর্মেন্সের উপর কোন হস্তক্ষেপ করে না এবং দ্বিতীয়ত এটি আপনার সকল ডাটা গুলোকে নিরাপত্তা প্রদান করে। সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভ একেবারেই আজকের রেগুলার হার্ডড্রাইভ বা সলিড স্টেট ড্রাইভের মতোই। তবে আজকের দিনের বেশিরভাগ সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভ এসএসডির সাথে আসে।

সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভে মূলত একটি বিশেষ চিপ লাগানো থাকে যেটি হার্ডড্রাইভের সকল ডাটা গুলোকে অন দ্যা ফ্লাই ইনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করে।যেখানে সফটওয়্যার ব্যবহার করে হার্ডড্রাইভের ডাটা গুলোকে ইনক্রিপ্ট বা ডিক্রিপ্ট করানো হতো সেখানে হার্ডওয়্যার অপশন বেছে নেওয়ার কারণে এই জবের জন্য একটি নির্দিষ্ট ইউনিট কাজ করবে। আবার আপনি একইভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন। কম্পিউটার অন করার সময় আপনার পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়বে, যদি কেউ পাসওয়ার্ড ছাড়া কম্পিউটার অন করার কথা ভাবে সে আপনার ডাটা গুলো রীড করা থেকে বিরত থাকবে।

তো কোথায় এই অসাধারণ আর লুকায়িত সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভ পাওয়া যাবে? এই ফিচারটি সাধারনত কোন শপ কিপারও উল্লেখ্য করে থাকে না, এমনকি হার্ডড্রাইভ নির্মাতা কোম্পানিরা কোন অ্যাডভারটাইজমেনটেও এটি উল্লেখ্য করে না। তবে এটি সত্যিই একটি সুপার অসাধারণ উপকারী ফিচার এবং বিশেষ করে ল্যাপটপের জন্য। আবার ডেস্কটপের জন্যও একটি ভালো অপশন হতে পারে, যদি আপনি এক্সট্রা নিরাপত্তা পেতে চান। যদি আপনি অলরেডি ভালো কোন এসএসডি ব্যবহার করেন তবে হতে পারে এতে আগে থেকে সেলফ ইনক্রিপটিং অপশন রয়েছে আর আপনি হয়তো তা জানেনই না।

স্যামসাং প্রো সিরিজের এসএসডি গুলোতে বিশেষ করে সেলফ ইনক্রিপটিং ফিচার বিল্ডইন ভাবে থাকে জাস্ট আপনার শুধু এটিকে এনাবল করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদিও অনেক হার্ডড্রাইভ স্পেসিফিকেশনেও সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভ কিনা সেটা উল্লেখ্য করা থাকেনা। শুধু মাত্র ঐ ড্রাইভের কোম্পানি ওয়েবসাইটে হয়তো উল্লেখ্য করা থাকে। তো আপনি যদি সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভ খুঁজে থাকেন তবে লক্ষ্য করে দেখুন এতে এফডিই বা ফুল ডিস্ক এনক্রিপশন ফিচার আছে কিনা অথবা সেটি এসইডি বা সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভ কিনা। অথবা এতে ওপাল (Opal) নামক ফিচার আছে কিনা, এটি মূলত একটি ড্রাইভ সিকিউরিটি ফিচার। তো আপনার ড্রাইভে ওপাল থাকার মানে এটি একটি সেলফ ইনক্রিপটিং ড্রাইভ।

নিরাপত্তা?

এনক্রিপশন সত্যিই খুব ভালো একটি সিকিউরিটি অপশন, তবে আপনি নিশ্চয় জানেন কোন কিছুই হ্যাক প্রুভ নয়। হ্যাকাররা যদি বড় কোন সিস্টেম থেকে আপনার ড্রাইভ ক্র্যাক করার চেষ্টা করে, তবে হতে পারে আপনার ড্রাইভ অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে। আবার একবার আপনি কম্পিউটার অন করলেন এবং পাসওয়ার্ড প্রবেশ করালেন, তো আপনার ড্রাইভ সাধারন ড্রাইভের মতো আচরণ করতে আরম্ভ করে দেবে। এতে আপনি যেমন সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়া ডাটা রীড রাইট করতে পারবেন ঠিক সেভাবেই হ্যাকার যদি আপনার পিসি নিয়ন্ত্রন করে থাকে, সেও আপনার পিসি রেগুলার ইউজারের মতোই ব্যবহার করতে পারবে। আবার কম্পিউটার অন হয়ে পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ইত্তাদিও একইভাবে আরামে কাজ করতে পারবে।

তবে আপনার ড্রাইভ বা কম্পিউটারকে যদি কেউ ফিজিক্যালি চুরি করে অ্যাক্সেস করতে চায়, তবে সে ব্যর্থ হবে। আবার ধরুন আপনার বিশেষ কোন ড্রাইভ এনক্রিপশন করা আছে, যেটা আপনি সিস্টেম অন করার পরেও ডিক্রিপ্ট করেন নি, সেটা কেউ রিমোট ভাবেও অ্যাক্সেস করতে পারবে না। যদি আপনি খুব শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার ড্রাইভ এনক্রিপশন করান তবে কেউ চুরি করে আপনার ড্রাইভ থেকে তথ্য খুঁজে পেতে বেকার হবে।

ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের কাছে এটি প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া ফিচার হিসেবে প্রমানিত হতে পারে। আমরা বেশিরভাগ সময়ে আমাদের ল্যাপটপে ইমেইল, ফেসবুক থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত সকল অ্যাকাউন্ট গুলো লগইন  করেই রেখে দেই। চিন্তা করে দেখুন কেউ আপনার ল্যাপটপ চুরি করে কতো সহজেই আপনার সকল অ্যাকাউন্ট গুলো অ্যাক্সেস করতে পারবে। তাই ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি অতি জরুরী একটি ফিচার।

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories