মাইক্রোসফট অফিস হচ্ছে মাইক্রোসফটের সবথেকে জনপ্রিয় এবং সবথেকে সাকসেসফুল প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে অন্যতম। ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি, পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড তৈরি, স্প্রেডশিট ইত্যাদি কাজের জন্য মাইক্রোসফটের অফিস সুইট সবথেকে জনপ্রিয় সল্যুশন এবং এটাই সবথেকে ভালো। প্রোফেশনালিটির দিক থেকে মাইক্রোসফটের অফিস সুইটের থেকে ভালো আর কোন সফটওয়্যার বা সফটওয়্যার ফ্যামিলি নেই। তবে মাইক্রোসফট অফিস তুলনামুলকভাবে একটু ভারী প্রোগ্রাম এবং লো এন্ড পিসিতে এটি ভালোভাবে রান করেনা।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাইক্রোসফট অফিস কিনে ব্যবহার করা একটু কষ্টকর এর দামের কারণে। তবে আপনি চাইলে মাইক্রোসফট অফিসের কিছু অলটারনেটিভ অফিস প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো মাইক্রোসফট অফিসের মতো এতো ভালো না হলেও অফিস সুইটের সবধরনের কাজ করে ফেলার জন্য যথেষ্ট ভালো এবং একইসাথে মাইক্রোসফট অফিসের থেকে লাইটওয়েট এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফ্রি অথবা মাইক্রোসফট অফিসের থেকে অনেক অনেক কম দামের। আজকে মাইক্রোসফট অফিসের এমন পাঁচটি অলটারনেটিভ অ্যাপ/প্রোগ্রাম নিয়েই আলোচনা করবো।
Google Office Suite
ক্রস প্লাটফর্ম ক্লাউড সিংকের জন্য Google Office Suit বা G-suite
মাইক্রোসফট অফিসের বেস্ট অলটারনেটিভ বলতে গেলে এটাই। আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ইউজ করেন তাহলে অনেকক্ষেত্রে গুগলের অফিস সুইট অ্যাপসগুলো আপনার জন্য মাইক্রোসফট অফিসের থেকে বেটারও হতে পারে। গুগলের ডক, শিটস এবং স্লাইডস এডিটরে আপনি হয়তো মাইক্রোসফট অফিসের মতো এতো বেশি ফিচারস পাবেন না, তবে যতোটুকু পাবেন তা আপনার প্রায় সবধরনের অফিস সুইট সংক্রান্ত কাজ করে ফেলার জন্য যথেষ্ট। তবে গুগলের অফিস সুইটের সবথেকে হাইলাইটেড ফিচার হচ্ছে, এটি ক্লাউড বেজড এবং সম্পূর্ণ ফ্রি। আপনার একটি অ্যাক্টিভ ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি অ্যাক্টিভ গুগল অ্যাকাউন্ট থাকলেই আপনি গুগলের অফিস সুইটের সব প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া ক্লাউড বেজড হওয়ায় আপনি পিসির যেকোনো মডার্ন ব্রাউজারের সাহায্যেই গুগলের অফিস সুইট অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
এছাড়া গুগল অফিস সুইটে অ্যাক্সেস করার জন্য গুগলের নিজের তৈরি আলাদা আলাদা ডেডিকেটেড অ্যাপসও পাবেন আপনার স্মার্টফোনের জন্য যাতে আপনি যেকোনো সময় আপনার ক্রিয়েট করা যেকোনো কন্টেন্ট যেকোনো জায়গায় এডিট এবং রিড করতে পারেন। এছাড়া ক্লাউড বেজড হওয়ায় আপনার প্রত্যেকটি ডিভাইসের মধ্যে সিংক হবে আপনার কন্টেন্টগুলো। আপনি আপনার তৈরি করা ডকস, স্লাইড এগুলো সবকিছু আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে লগড ইন থাকা যেকোনো ডিভাইস থেকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যেকোনো ডকস এবং অন্য যেকোনো কন্টেন্টকে অফলাইন করেও রাখতে পারবেন যাতে সেগুলো অ্যাক্সেস করার জন্য আপনার ইন্টারনেট কানেকশনের দরকার না পড়ে। এছাড়া আপনি চাইলে আগে থেকে ক্রিয়েট করে রাখা কোন ডক ফাইল আপনার গুগল ড্রাইভে আপলোড করে সেটিকে এডিটও করতে পারবেন।
LibreOffice
ওপেনসোর্স এবং অ্যাডফ্রি সফটওয়্যারের জন্য LibreOffice
এই অফিস সফটওয়্যারটি একটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অ্যাড-ফ্রি অফিস প্রোগ্রাম যেটি একইসাথে ফিচারস এবং স্ট্যাবিলিটির দিক থেকে অনেক উন্নত। গুগল ডকের সাথে এই অফিস সুইটটির পার্থক্য হচ্ছে, গুগল ডক শুধুমাত্র একটি অনলাইন সার্ভিস এবং একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশনের মতো কাজ করে। সেখানে LibreOffice হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিসের মতো একটি ফুল ফিচারড ডেস্কটপ অ্যাপ যেটি আপনি আপনার পিসিতে ন্যাটিভলি একটি অফিস প্রোগ্রাম হিসেবে ইন্সটল করতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন। এই LibreOffice সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ওপেন-সোর্স একটি প্রোগ্রাম। আপনি যদি লিনাক্স ইউজার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য একমাত্র চয়েজ হচ্ছে LibreOffice যদি আপনি একটি অফলাইন ফুল ফিচারড অফিস সুইট এক্সপেরিয়েন্স উপভোগ করতে চান।
হ্যা, এই প্রোগ্রামটি উইন্ডোজ এবং একইসাথে লিনাক্সের জন্যও এভেইলেবল। এই প্রোগ্রামটিতে হয়তো আপনি মাইক্রোসফট অফিসের মতো এতো বেশি অনলাইন বেজড ফিচার এবং মাইক্রোসফটের অন্যান্য প্রোডাক্টের সাথে ইন্টাগ্রেশন সুবিধা পাবেন না, তবে গুগল ডকের মতোই আপনার অফিস সুইটের যেকোনো চাহিদা এটি খুব সহজেই পুরন করতে পারবে। ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, এক্সেল, স্প্রেডশিট এইসবকিছুই আপনি LibreOffice প্রোগ্রামে পাবেন। এছাড়া এই অফিস সুইটটি মাইক্রোসফট অফিসের থেকে অনেক লাইটওয়েট এবং মাইক্রোসফট অফিসের তুলনায় কম রিসোর্স ব্যবহার করে।
WPS Office
লাইটওয়েট এবং ভালো ইউজার ইন্টারফেসের জন্য WPS Office
মাইক্রোসফট অফিসের অলটারনেটিভ হিসেবে এটি অনেক বিখ্যাত এবং মোটামোটি জনপ্রিয় একটি অফিস প্রোগ্রাম। মাইক্রোসফট অফিসের সবথেকে কাছাকাছি এক্সপেরিয়েন্স পেতে চাইলে এই অফিস প্রোগ্রামটিই আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে। এছাড়া এই অফিস প্রোগ্রামটি ক্রস প্লাটফর্ম। এর অর্থ এই প্রোগ্রামটি আপনি উইন্ডোজ পিসি/ল্যাপটপ, ম্যাকবুক, আইফোন/আইপ্যাড, অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট, লিনাক্স সবজায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই WPS অফিস অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেস প্রায় মাইক্রোসফট অফিসের নতুন ভার্শনগুলোর মতোই কালারফুল এবং স্টাইলিশ। এছাড়া যেমনটা আগেরগুলোর ক্ষেত্রেও বলেছি, আপনার অফিস সুইটের সবধরনের চাহিদা এই লিস্টের যেকোনো প্রোগ্রামই ভালোভাবেই পুরন করতে পারবে।
তবে WPS অফিসে আপনি কিছু এক্সট্রা ফিচারসও পাবেন, যেমন- পিডিএফ ক্রিয়েটর, ডক-পিডিএফ কনভার্টার ইত্যাদি। এছাড়া ওয়ার্ড এডিটর, প্রেজেন্টেশন ক্রয়েটর, স্প্রেডশিট ক্রিয়েটর এগুলো তো আছেই। তবে WPS অফিসের সবথেকে বড় অসুবিধাটি হচ্ছে, অ্যাডস। হ্যাঁ, এই প্রোগ্রামটি অ্যাডফ্রি নয়। তবে আপনি যদি ২৫ ডলার প্রতি বছর হিসেবে এটির প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেন, তাহলে আপনি এইসকল অ্যাডস থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া আরও এক্সট্রা অনেক ফিচার যেমন, ক্লাউড স্টোরেজ, ক্লাউড সিংক, একসাথে ৯ টি ডিভাইস সিংক করার সুবিধা এবং এই ধরনের আরও এক্সট্রা সুবিধা পাবেন। আর হ্যা, এই সম্পূর্ণ অফিস সুইটটি মাইক্রোসফট অফিসের থেকে অনেক লাইটওয়েট।
Microsoft Office Online
অরিজিনাল মাইক্রোসফট অফিসের অনলাইন এক্সপেরিয়েন্সের জন্য Microsoft Office Online
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটা মাইক্রোসফট অফিসেরই একটি অনলাইন ভার্শন। এটাকে গুগলের অফিস সুইটের মতোই বলতে পারেন, তবে পার্থক্য হচ্ছে ওটা গুগলের তৈরি এবং এটা মাইক্রোসফট অফিসের নির্মাতা মাইক্রোসফটেরই তৈরি। আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস অনলাইনে আপনি গুগল ডকসের থেকে অনেক ফিচারস বেশি পাবেন এবং এমনকি ফুল ফিচারড মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব ফিচারসই আপনি মাইক্রোসফট অফিস অনলাইনে পাবেন। আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে, মাইক্রোসফট অফিসের ফুল ফিচারড ডেক্সটপ প্রোগ্রামটি লগ্যালি ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে, যেখানে মাইক্রোসফট অফিস অনলাইন বিনামুল্যে ব্যবহার করা যাবে।
মাইক্রোসফট অফিস অনলাইন ব্যবহার করতে হলে আপনার জাস্ট দরকার হবে একটি মডার্ন ওয়েব ব্রাউজার যেমন গুগল ক্রোম বা ফায়ারফক্স বা মাইক্রোসফট এজ এবং একটি অ্যাক্টিভ মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট। তাহলেই আপনি মাইক্রোসফট অফিস অনলাইন ব্যবহার করে আপনার প্রায় সব অফিস সুইটের কাজ করে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি মাইক্রোসফট অফিসের পারমানেন্ট ইউজার হয়ে থাকেন এবং মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমএর অনেকটা ভেতরে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য মাইক্রোসফট অফিস অনলাইন ব্যবহার করাই সবথেকে ভালো সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া গুগল ডকসের মতো আপনি ওয়ানড্রাইভে যেকোনো ডক ফাইল আপলোড করে সেটিকেও এডিট করতে পারবেন এর সাহায্যে। এছাড়া আপনি আপনার স্মার্টফোনেও মাইক্রোসফটের অফিস অ্যাপ্লিকেশানগুলো ডাউনলোড করে আপনার অফিস কন্টেন্টগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
Dropbox Paper
টিমের সাথে কোলাবোরেশনের জন্য Dropbox Paper
এই লিস্টের এটা একটু ব্যাতিক্রমধর্মী অফিস প্রোগ্রাম। সম্পূর্ণ অফিস প্রোগ্রাম বললে ভুল হবে, এটা জাস্ট একটি ওয়ার্ড এডিটর বা ডক প্রোগ্রাম। নাম শুনেই নিশ্চই বুঝতে পারছেন, এটি বিখ্যাত ক্লাউড স্টোরেজ প্রোভাইডার ড্রপবক্সের তৈরি একটি প্রোগ্রাম। আর হ্যা, এটিও একটি ক্লাউড বেজড সার্ভিস, কোন ফুল ফিচারড ডেক্সটপ প্রোগ্রাম নয়। এটিকে অ্যাক্সেস করতে হলেও দরকার হবে একটি মডার্ন ওয়েব ব্রাউজার এবং একটি ড্রপবক্স অ্যাকাউন্ট। এই প্রোগ্রামটি মূলত কোলাবোরেশন টাইপের কাজের জন্য তৈরি করা।
আপনি যদি আপনার টিমমেটদের সাথে কোন ধরনের প্রোজেক্টের অন্তর্ভুক্ত থাকেন এবং সেই কারণে কয়েকজন মিলে একসাথে একটি ওয়ার্ড ডক টাইপ করার দরকার পড়ে, সেক্ষেত্রে এই প্রোগ্রামটি কাজে দিতে পারেন আপনার। ড্রপবক্স পেপার ব্যবহার করে আপনি এবং আরো কয়েকজন ইউজার মিলে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে একটি ওয়ার্ড ডকে কাজ করার সুবিধা পাবেন। এটা খুব কাজের কোন জিনিস নয়, তবে অনেকসময় কাজে দিতে পারে।
WiREBD এখন ইউটিউবে, নিয়মিত টেক/বিজ্ঞান/লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও গুলো পেতে WiREBD ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুণ! জাস্ট, youtube.com/wirebd — এই লিংকে চলে যান এবং সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুণ!
তো এগুলোই ছিল মাইক্রোসফট অফিসের কয়েকটি অলটারনেটিভ, যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটিও আপনাদের ভালো লেগেছে। কোন ধরনের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।
জাতের কাজের জিনিষ পেলাম আজকে। আরো চাই ভাই।
সিয়াম একান্ত ভাইয়া অনেক উপকারী আর্টিকেল। আমার খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
“এমনকি ফুল ফিচারড মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব ফিচারসই আপনি মাইক্রোসফট অফিস অনলাইনে পাবেন।”-এটা একেবারেই ভুল। এর ফিচার খুবই লিমিটেড। একেবারেই বেসিক কাজগুলো করা যায়। শুধু মাইক্রোসফটপ্রেমীদের জন্য, এটা চলতে পারে।
মাইক্রোসফট অফিসের অল্টারনেটিভ হিসেবে তালিকাটা অযোক্তিক মনে হয়েছে। আমার মনে তালিকাটা হতে পারে এরকম-
১। ডব্লুউপিএস অফিস
২। লিব্রে অফিস
৩। ওপেন অফিস
৪। ফ্রি অফিস ২০১৮
৫। মাইক্রোসফট অফিস অনলাইন
উল্লেখ্য, এদের প্রত্যেকটি লিনাক্স, ম্যাক ও উইন্ডোজ সমর্থিত এবং অবশ্যই বিনামূল্যের! এগুলোর মধ্যে প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চমটি লুক ও কাজের দিক দিয়ে মাইক্রোসফট অফিসের মতই। লিব্রে অফিসেও কিছুটা মাইক্রোসফটের মত নোটবুকবার নিয়ে কাজ চলছে, এবং এখন ফিচারটি পরীক্ষণাধীন রয়েছে।
ব্যক্তিগতভাবে, আমি লিব্রে অফিস পছন্দ করি, তবে যেহেতু মাইক্রোসফট অল্টারনেটিভ নিয়ে কথা হচ্ছে, তাই শীর্ষস্থানটি ডব্লুউপিএসকে দিয়েছি। লিব্রে অফিসে বাংলা সাপোর্ট ভালো। এটা অনেক উন্নতমানের অফিস সফটওয়্যার। তবে এটি এমএস অফিসের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন ধরণের, ফলে মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহারকারীদের জন্য অভ্যস্থ হওয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। তাই, এটা দ্বিতীয় স্থানে। ওপেন অফিসের সাথে লিব্রে অফিসের পার্থক্য খুব বেশি নয়। ২০১০ সালে ওরাকল কতৃক ওপেন অফিসের ডেভেলোপমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হলে, অ্যাপাচি ওপেন অফিসের ডেভেলোপমেন্ট শুরু করে। আর লিব্রে অফিসও সেসময় ওপেন অফিসে থেকে ফোর্ক করা। অর্থাৎ, দুটোর মূল একই, তবে ৮ বছরে লিব্রে অফিস এখন যথেষ্ট এগিয়ে আছে মনে করি। ফ্রি অফিস ২০১৮, এটা সফটমেকার অফিসের ফ্রি ভার্সন। তবে ফিচার মোটামুটি পেইড ভার্সনের মতই, তেমন পার্থক্য নেই। পূর্বের ভার্সনের চেয়ে নতুন ভার্সনটি বেশ চমৎকার। তবে এটি বাংলা সাপোর্ট করে না। আরো কিছু কারণে একে চতুর্থ স্থানের আগে রাখা সম্ভব হয়নি। মাইক্রোসফট অফিসের বিকল্পের কথা যেহেতু বলা হয়েছে, তাই এমএস অফিস অনলাইন পঞ্চম স্থানটি দখল করেছে। এর লুক চমৎকার, কিন্তু আমার কাছে কাজের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে এমএস অফিস প্রেমীদের ভালো লাগতেও পারে।