গত কয়েক বছরে দেশে যেমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের দামও। বিশেষ করে থানা ও গ্ৰাম লেভেলের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে ইন্টারনেট বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভরছে। তাই এসব রুখতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের একই দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বিটিআরসির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘এক দেশ, এক রেট’।
উক্ত কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি প্যাকেজে তিন লেভেলের স্পিডের জন্য সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত তিনটি প্যাকেজের প্রথমটির মূল্য হতে পারে মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি হবে ৫ এমবিপিএস (৫১২ কিলোবাইট/সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য হতে পারে মাসিক ৮০০ টাকার মধ্যে, এবং গতি হবে ১০ এমবিপিএস (১.২ মেগাবাইট/সেকেন্ড) এবং তৃতীয় প্যাকেজের দাম হতে পারে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে, যা ২০ এমবিপিএস (২.৫ মেগাবাইট/সেকেন্ড) এর প্যাকেজ হবে।
বিটিআরসির ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচি কার্যকর হলে ঢাকা সহ দেশের বড় বড় শহরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমবে। একই সাথে এই কর্মসূচির আওতায় সবচেয়ে বেশি সুফল পাবে জেলা, থানা এবং গ্ৰাম লেভেলের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীরা। উক্ত কর্মসূচি সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “শহরের মানুষ একরকম দামে ইন্টারনেট পাবে, আর গ্রাম-গঞ্জের মানুষ আরেক দামে পাবে, এটা হতে পারে না। ইন্টারনেট হলো ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক। গ্রামের মানুষকে সেই মহাসড়কে যুক্ত করতে ইউনিয়নগুলোকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হচ্ছে এবং ইন্টারনেটের ‘এক দেশ, এক রেট’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
বিটিআরসির জানিয়েছে, মহামারীর মধ্যে দেশে ১৮ লাখ নতুন ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হয়েছে। যার অধিকাংশই বড় বড় শহরের বাইরে। তাই বলা যায় দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমলে দেশের ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করা উদ্যোক্তাদের ব্যয় কমবে সাথে দেশে ব্রডব্যান্ড ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এটা কবে থেকে কার্যকর হবে বলে মনে হচ্ছে ভাই?