https://apkgoogle.net/
WiREBD
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও
No Result
View All Result
WiREBD
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও
No Result
View All Result
WiREBD
No Result
View All Result

বিলিয়ন কিলোমিটার যাত্রার কাহিনী! — ভয়েজার ১ [স্পেসের সবচাইতে দূরত্বে মানুষের পাঠানো অবজেক্ট!]

তাহমিদ বোরহান by তাহমিদ বোরহান
March 22, 2018
in বিজ্ঞান, মহাকাশ
0 0
24
ভয়েজার ১ ভয়েজার ২
0
SHARES
Share on FacebookShare on Twitter

এই মহাবিশ্ব আমাদের কল্পনার চাইতেও অনেক বেশি বড়, আর কোন স্কেলেই একে মাপা সম্ভব নয় কেননা মহাবিশ্ব প্রত্যেক সেকেন্ডে আরো বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হয়ে উঠছে। মহাবিশ্বের সাথে তুলনা করতে গিয়ে যদি আমাদের বর্তমান টেকনোলোজির কথা চিন্তা করি সেক্ষেত্রে মহাবিশ্ব এক্সপ্লোর তো পরের কথা, আমরা আমাদের সৌরজগতই পার হতে পারবো না। মানুষের তৈরি অনেক স্পেস ক্র্যাফট মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, এদের ভয়েজার  (Voyager) সবচাইতে অন্যতম। ভয়েজার ১ আমাদের এমন কিছু দেখিয়েছে, বুঝিয়েছে যেগুলোর কল্পনাও ছিল না আমাদের। পৃথিবী থেকে সৌরজগতের প্রত্যেকটি গ্রহের হাই রেজুলেশন ফটো কেবল ভয়েজারের বদৌলতেই সম্ভব হয়েছিল।

৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এই মহাকাশযানটি অফুরন্ত স্পেসের দিকে ছুটে চলছে, আর বিজ্ঞানীদের জন্য আশার চেয়েও বেশি কিছু তথ্য এখনো প্রভাইড করেই চলেছে। এই আর্টিকেলটি থেকে ভয়েজার ১ স্পেস প্রোবটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আসলে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকে জানতে হলে পূর্বে আমাদের চারপাশের পরিবেশ আর মহাবিশ্বকে জানতে হবে। ওয়্যারবিডিের নিয়মিত বিজ্ঞান সিরিজে আপনাকে স্বাগতম। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চমৎকৃত হতে আরম্ভ শুরু করা যাক…

ভয়েজার ১

মহাকাশে মানুষের তৈরি অনেক প্রকারের যান রয়েছে, তাদের প্রধান দুইটি ধরন হচ্ছে, একটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এবং আরেক টাইপের যান পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না। যে রোবটিক মহাকাশ যান গুলো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না, সেগুলোকে স্পেস প্রোব (Space Probe) বলা হয়। তাহলে বুঝতেই পাড়ছেন, ভয়েজার কোন আর্টিফিশিয়াল স্যাটেলাইট নয়, বরং একটি স্পেস প্রোব। ১৯৭৭ সালে প্রোবটিকে পৃথিবী থেকে মহাকাশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আর আজ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যাত্রা অতিক্রম করে প্রোবটি পৃথিবী থেকে প্রায় ২১ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর যানটি ১৭ কিলোমিটার/সেকেন্ড স্পীডে ছুটে চলে আজ পৃথিবী থেকে প্রায় ১৪১ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট (Astronomical Unit) দূরে রয়েছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব অনুসারে অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট মাপা হয়, এখানে একবার সূর্য থেকে পৃথিবীর সমান দূরত্ব (১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার) অতিক্রম করলে ১ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট ধরা হয়।

ভয়েজার ১ ভয়েজার ২
ইলাস্ট্রেশন ক্রেডিট: NASA/JPL

আমাদের সোলার সিস্টেমের সকল দৈত্যাকার গ্রহ গুলোকে অতিক্রম করার পরেও (বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন) প্রোবটি এখনো টিকে রয়েছে এবং মহাকাশের দিকে চলমান রয়েছে, কিন্তু এখানে সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রোবটি এখনো আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছে এবং প্রতিনিয়ত ডাটা সেন্ড করেই চলেছে।

ভয়েজার মিশন

সোলার সিস্টেমের দৈত্যাকার প্ল্যানেট গুলোকে এক্সপ্লোর করার জন্য বিশেষভাবে ভয়েজার মিশন তৈরি করা হয়। ভয়েজার ১ এর যমজ ভাই ভয়েজার ২ কে প্রথমে স্পেসে পাঠানো হয়। আগস্ট ২০, ১৯৭৭ সালে ভয়েজার ২ কে পাঠানোর পরে একই বছর সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখে ভয়েজার ১কে পাঠানো হয়। ভয়েজার ১ এর প্রথম গন্তব্য ছিল বৃহস্পতি গ্রহ বা জুপিটার, যেটা আমাদের সোলার সিস্টেমের সবচাইতে বড় গ্রহ। মার্চ ৫, ১৯৭৯ সালে ভয়েজার ১ জুপিটারে পৌঁছে যায়, আর আমাদের কাছে তথ্য পাঠায় আসলে শনি গ্রহের মতো জুপিটারেরও বেল্ট বা রিং সিস্টেম রয়েছে, সাথে প্রোবটি জুপিটারের বায়ুমন্ডলের উপরের অংশে চলা বিশাল আকৃতির ঝড় সম্পর্কে আমাদের তথ্য সেন্ড করে। জুপিটার মিশনে সবচাইতে বড় আবিস্কার ছিল জুপিটারের চাঁদ গুলো। জুপিটারের চাঁদ আইও (Io) তে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে, এই আগ্নেয়গিরির লাভা অনেক উচ্চতা পর্যন্ত ছুঁড়ে মারে চাঁদটি। জুপিটারের চাঁদ ইউরোপা (Europa) এবং গানিমিড (Ganymede) সার্ফেস পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা অনুমান করতে পেড়েছে, এদের বিশাল মোটা সার্ফেসের ভেতরে বিশাল তরল সমুদ্র রয়েছে।

ভয়েজার থেকে জুপিটারের তোলা ছবি
ইমেজঃ ভয়েজার থেকে জুপিটার | ক্রেডিটঃ NASA/JPL

আমাদের সম্পূর্ণ সৌরজগতের মধ্যে সবচাইতে আশ্চর্যজনক প্ল্যানেট হচ্ছে শনি, পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে আগেই দেখে নিয়েছিলাম এই গ্রহটি দেখতে সম্পূর্ণই আলাদা, এর চার পাশে বিশাল রিং সিস্টেম রয়েছে, যেটা সকল গ্রহ থেকে শনি বা স্যাটার্ন কে আলাদা করে। কিন্তু ১২ নভেম্বর, ১৯৮০ সালে ভয়েজার ১ শনি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যায়। প্রোবটি এই প্রথম আমদের কাছে শনি গ্রহের হাই রেজুলেশন ছবি পৌছিয়ে দেয় যেরকম লুক আমাদের কাছে পূর্বে কখনোই ছিল না। শুধু শনি গ্রহের নয় বরং এর চাঁদ এবং রিং সিস্টেমেরও হাই রেজুলেশন ইমেজ পাঠিয়ে দেয় প্রোবটি। এরপরে প্রোবটি শনির সবচাইতে বড় চাঁদ টাইটানের অত্যন্ত কাছ দিয়ে উড়ে যায়, টাইটান আমাদের সোলার সিস্টেমের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদ এবং একমাত্র চাঁদ যাতে অত্যন্ত ঘন বায়ুমন্ডল রয়েছে। ভয়েজার আবিস্কার করে যে, টাইটানের বায়ুমন্ডল বেশিরভাগ নাইট্রোজেন গ্যাসের তৈরি, আমাদের পৃথিবীর মতো, আর বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব এতোই বেশি যে, স্পেস থেকে টাইটানের সার্ফেস দেখতে পাওয়া অনেক কষ্ট সাধ্যের। টাইটানের সার্ফেস দেখার জন্য বা আরো এক্সপ্লোর করার জন্য স্পেস প্রোব ক্যাসিনির (Cassini) জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তারপরে ভয়েজার ১ শনি গ্রহের বায়ুমন্ডল সম্পর্কিত কিছু ইমেজ সেন্ড করে এবং ২৫ আগস্ট, ১৯৮১ সালে ভয়েজার ২ শনি গ্রহে গিয়ে পৌঁছায় আর গ্রহটি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দেয়। শনির বায়ুমন্ডলের উপরিভাবে যতোটা হিলিয়ামের অস্তিত্ব বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, ভয়েজার ১ নিশ্চিত করে যে ততোটা হিলিয়াম সেখানে নেই। ভয়েজার ২ শনি গ্রহের কেবল ৪১,০০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে যায় আর দুই ভয়েজার মিলে কিছু ইউনিক আবহাওয়া রিপোর্ট আমাদের কাছে সেন্ড করে।

শনি গ্রহ
ইমেজঃ ভয়েজার থেকে শনি | ক্রেডিটঃ NASA/JPL

ভয়েজার ১ শনি গ্রহ সম্পর্কে তথ্য গুলো আমাদের কাছে সেন্ড করার পরে এটির মিশন সমাপ্ত হয় এবং অফুরন্ত স্পেসের দিকে এটি এগিয়ে পড়ে। কিন্তু অপরদিকে ভয়েজার ২র এখনো নতুন প্ল্যানেট আবিস্কার করার মিশন ছিল। ভয়েজার ২ এবার শনি গ্রহের গ্রাভিটি থেকে সাহায্য নিয়ে নিজের স্পীড বাড়িয়ে বরফের দুনিয়া ইউরেনাস (Uranus) এবং নেপচুনের (Neptune) দিকে এগিয়ে পড়ে। জানুয়ারি ২৪, ১৯৮৬ সালে ভয়েজার ২ ইউরেনাস এবং আগস্ট ২৫, ১৯৮৯ সালে এটি নেপচুনের সবচাইতে কাছ দিয়ে উড়ে যায়। ভয়েজার ২ ইউরেনাসের রহস্য আর রুপ সর্ব প্রথম বা বলতে পারেন সর্বশেষের মতো আমাদের কাছে উন্মোচন করে। ইউরেনাসের সবচাইতে বড় আকর্ষণ ছিল এর চাঁদ মিরান্ডা (Miranda) যেটার সার্ফেসে বিশাল বিশাল আঁচর রয়েছে। বিজ্ঞানীরা কল্পনা করছেন পূর্বে এই চাঁদটি কোনভাবে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং পরে আবার ভাঙ্গা টুকরা গুলো থেকে নতুনভাবে তৈরি হয়।

ভয়েজার ২ এর শেষ গন্তব্য ছিল নেপচুন, আর মাত্র ৪,৯৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে যায় এই স্পেস প্রোবটি। ভয়েজার ২ এর বদৌলতে ন্যাসা আবিস্কার করে যে, সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমের মধ্যে নেপচুনে সবচাইতে দ্রুততর গতিতে বায়ুমন্ডল প্রভাহিত হয়। নেপচুনের বায়ু গতি জুপিটার থেকেও ৩ গুন বেশি তাছাড়া ভয়েজার ২ আরো ৬টি নতুন চাঁদ আবিস্কার করে এবং আবিস্কার করে নেপচুনের ও রিং সিস্টেম রয়েছে। নেপচুনকে নানানভাবে আবিস্কার করার পরে ভয়েজার ২ ভয়েজার ১ এর মতোই গভির স্পেসের দিকে যাত্রা শুরু করে দেয়।

ভয়েজার নেপচুন
ইমেজঃ ভয়েজার থেকে নেপচুন | ক্রেডিটঃ NASA/JPL

ভয়েজার মিশনের গন্তব্য অনেক পূর্বেই শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু ভয়েজার এখনো আবিস্কার করা ছেড়ে দেয় নি, এই প্রোব দুইটি এখনো আকাঙ্ক্ষার চেয়ে বেশি কিছু আমাদের প্রদান করেই চলেছে। স্পেস প্রোব দুইটি সূর্য থেকে যতোই দূরে চলে যাচ্ছে এদের চালু রাখতে যে এনার্জির প্রয়োজন, সেটার ততোই ঘাঁটতি দেখা দিচ্ছে। যদিও এখনো স্পেস প্রোব দুইটি পৃথিবীতে সিগন্যাল পাঠাতেই রয়েছে, কিন্তু ন্যাসা কয়েক বছরের মধ্যে ধীরেধীরে সেন্সর গুলো এবং সায়েন্সটিফিক টুল গুলো শাটডাউন করে দেবে, যাতে প্রোব গুলো আরো কিছু পথ অতিক্রম করার এনার্জি পেয়ে যায়। অবশেষে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ভয়েজারের মধ্যে আর এতোটা ইলেক্ট্রিসিটি বজায় থাকবে না, যেটার সাহায্যে স্পেস প্রোবটি কোন প্রকারের অপারেশন চালু রাখতে পারবে।

ভয়েজার সম্পর্কে কিছু মজার ফ্যাক্ট

ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২ সোলার সিস্টেম থেকে যথাক্রমে ৩.৬ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট এবং ৩.৩ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট স্পীডে ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। মহাবিশ্বের গভীর পথে যাত্রা আরম্ভ করেও এটি এখনো কতিপয় সায়েন্সটিফিক কাজ করেই চলেছে, এদের মধ্যে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তদন্ত, লো এনার্জি চার্জড পার্টিকেল তদন্ত, কজমিক রে তদন্ত, প্ল্যাজমা তদন্ত, প্ল্যাজমা তরঙ্গ তদন্ত। ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২ উভয়েই বর্তমানে হেলিওস্ফেয়ার (Heliosphere) এক্সপ্লোর করছে, হেলিওস্ফেয়ারকে সহজ ভাষায় বুঝতে বলতে পারেন, এটি সেই অংশ যেখান থেকে সোলার সিস্টেম এবং বাকী স্পেস আলাদা হয়ে যায়। বলতে পারেন আর মাত্র কয়েক বছরের যাত্রার পরে ভয়েজার সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেম ত্যাগ করে নতুন কোন নক্ষত্রের রাজ্যে প্রবেশ করবে।

হেলিওস্ফেয়ার পার হওয়ার পরে ভয়েজারকে অর্ট ক্লাউড (Oort Cloud) অতিক্রম করতে হবে, যেটা পারি দিতে ৩০,০০০ বছর সময় লেগে যাবে। সামনের ৪০,০০০ বছরের মধ্যে ভয়েজার আমাদের থেকে কতিপয় আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র রাজ্য গ্ল্যাইজা ৪৪৫ (Gliese 445) তে পৌঁছে যাবে এবং নক্ষত্রটিকে অত্যন্ত কাছ থেকে এক্সপ্লোর করবে।

গোল্ডেন রেকর্ড
ইমেজঃ দ্যা গোল্ডেন রেকর্ড ডায়াগ্রাম | ক্রেডিটঃ NASA/JPL

সবচাইতে মজার ফ্যাক্ট হচ্ছে, ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২তে গোল্ডেন রেকর্ড রাখা হয়েছে যেটাতে আমাদের দুনিয়ার অস্তিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। এটি একটি ফোনোগ্রাফ রেকর্ড ডিস্ক যেখানে এলিয়েনদের প্রতি মানুষের পাঠানো ম্যাসেজ এনকোড করা রয়েছে। এই রেকর্ড ডিস্কটি সোনার তৈরি আর এতে অনেক টাইপের সাউন্ড এবং ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, যাতে পৃথিবী, মানুষ আর আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে এলিয়েনদের বুঝানো যেতে পারে। প্লেটটির গায়ে হাইড্রোজেনের সংকেত একে দেওয়া হয়েছে, যেটা মহাবিশ্বের সবচাইতে কমন অংশ, যদি কোথাও কোন বুদ্ধিমান এলিয়েন থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ছাড়া হাইড্রোজেন স্ট্র্যাকচার বুঝতে পারবে। সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন সাউন্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবে। গোল্ডেন প্লেট’টিকে অত্যন্ত কয়েক বিলিয়ন বছর টিকে থাকার মতো করেই তৈরি করা হয়েছে।


তো এই ছিল ন্যাসার ভয়েজার মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বেসিক কাহিনী। আশা করছি আর্টিকেলটি থেকে স্পেসের সবচাইতে দূরত্বে মানুষের পাঠানো অবজেক্ট ভয়েজার সম্পর্কে অনেক অজানা জ্ঞান অর্জন করেছেন, আসলে লেখার মতো আরো অনেক কিছু ছিল, কিন্তু একটি সিঙ্গেল আর্টিকেলে এতো কিছু বর্ণনা করা সম্ভব নয়। ওয়্যারবিডিের সাথে নিয়মিত যুক্ত থাকুন, আশা করছি নিয়মিত অনেক টাইপের সায়েন্স বিষয়ক আর্টিকেল গুলো উপভোগ করতে পারবেন। আর এই আর্টিকেলটি কেমন ছিল, সেটা নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর ভয়েজার স্পেস ক্র্যাফট সম্পর্কে আপনি কি মন্তব্য করেন, সবকিছু আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানান।


WiREBD এখন ইউটিউবে, নিয়মিত টেক/বিজ্ঞান/লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও গুলো পেতে WiREBD ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুণ! জাস্ট, youtube.com/wirebd — এই লিংকে চলে যান এবং সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুণ!

ইমেজ ক্রেডিটঃ By Dotted Yeti Via Shutterstock | NASA/JPL

Tags: বিজ্ঞানভয়েজারভয়েজার ১ভয়েজার ২মহাকাশস্পেস প্রোব
Previous Post

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সিরিজ : ৫ টি বেস্ট এন্ড্রয়েড অ্যাপ ! (পর্ব-৩)

Next Post

চায়নাতে সব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন সার্ভিস কেন নিষিদ্ধ? [বিস্তারিত]

তাহমিদ বোরহান

তাহমিদ বোরহান

প্রযুক্তির জটিল টার্মগুলো কি আপনাকে বিভ্রান্ত করছে? কিছুতেই কি আপনার মস্তিষ্কে পাল্লা পড়ছে না? তাহলে বন্ধু, আপনি এবার সঠিক জায়গায় এসেছেন—কেনোনা এখানে আমি প্রযুক্তির সকল জটিল বিষয় গুলো ভাঙ্গিয়ে সহজ পানির মতো উপস্থাপন করার চেষ্টা করি, যাতে সকলে সহজেই সকল টেক টার্ম গুলো বুঝতে পারে।

Next Post
চায়নাতে সব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন সার্ভিস কেন নিষিদ্ধ? [বিস্তারিত]

চায়নাতে সব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন সার্ভিস কেন নিষিদ্ধ? [বিস্তারিত]

Comments 24

  1. তুলিন says:
    3 years ago

    স্যালুট ভাই ????????????????????
    আজ জেনে গেলাম আপনি শুধু টেক গুরু নয় সায়েন্স এর মস্ত বড় গুরু অনেক কিছু জানতে পারলাম। এই নিয়মিত আর্টিকেল সিরিজ থেকে আর অনেক কিছু জানতে পারবো আশা করছি। বাংলাতে এরকম সায়েন্স টপিক পড়ার অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকমের।

    অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

    Reply
  2. Durlov says:
    3 years ago

    দ্যা গোল্ডেন রেকর্ড somporke jene onek obak laglo. thanks thank thank a lot vai. onek informative chilo. Just WOWOW

    Reply
  3. অর্নব says:
    3 years ago

    অনেক ভালো লেগেছে আপনি অজানা বিষয় গুলোকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বর্ণনা করেছেন। আপনার আর্টিকেল গুলো সুপার বিগেনার ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে।

    Reply
  4. রনি says:
    3 years ago

    অসাধারণ ছিল আর্টিকেল টি।

    Reply
  5. shadiqul Islam Rupos says:
    3 years ago

    দ্যা গোল্ডেন রেকর্ড বিলিয়ন বছর স্থায়ী থাকবে???????
    তাইলে নিশ্চয় চাইনিজ মাল নয় ভাইয়া!! ????

    Reply
  6. Golam sarowaar says:
    3 years ago

    Wow, really surprising Facts.

    Reply
  7. রিপন says:
    3 years ago

    পৃথিবী থেকে এক দূরে থেকেও উপগ্রহ গুলো কিভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আর কিভাবে আমাদের ডাটা পাঠায় সেটা নিয়ে বিস্তারিত একটা পোস্ট লিখলে খুব ভালো হতো ভাই।
    আর এছাড়াও, যদি কখনও যান্ত্রিক কোনো সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে কিভাবে সেটা ফিক্স করা হয়??

    Reply
  8. Tipu says:
    3 years ago

    Vai egulor video ki pavo youtube e? Tahole onak valo hoba.

    Reply
  9. হাসিব says:
    3 years ago

    এগুলো কি রিয়েল ফটো ভাইয়া?

    Reply
  10. Farid k says:
    3 years ago

    Ektai afsus vaiya. Amader jibonkal onek besgi limited. Koto kichu je explore korte parbo na..

    Reply
  11. Suvash says:
    3 years ago

    our life span is just to short for any traveling we want to do in space, there must be another way to travel the cosmos which we don’t know it yet

    Reply
  12. রাহাত says:
    3 years ago

    সুপার…………………:)

    Reply
  13. Wazed khan says:
    3 years ago

    Tahmid vai onek kichu sikhlam. apni sotti great

    Reply
  14. Rakib al sahin says:
    3 years ago

    VAI APNI AWESOME…. ONEK VALO LEKHEN APNI..

    Reply
  15. রাফিম আলসাফ says:
    3 years ago

    ব্রাদার এরকম আরো অনেক পোস্ট চাই!!!!!!!!!
    আসলে স্পেস নিয়ে আমার কল্পনা অনেক আগের। আর এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল কল্পয়ায় করা যায় না ভাই।

    Reply
  16. Sihab says:
    3 years ago

    2030 saler moddhe mongol groho ovijan jaoyar kotha suntechi eniye bistarito article cai. by the ways. awesome artcle.

    Reply
  17. Kasfujjaman says:
    3 years ago

    Khub valo legese.

    Reply
  18. sahajahan alam bijoy says:
    3 years ago

    Apnar jonno space somporke govir vabe jansi

    Reply
  19. Anirban says:
    3 years ago

    Bangla bhashay emon ekti article peye ki j vlo lg6e ta ble bjhate prbo na bhai!!
    W0000000000000000000000000000000WWWWWWWWWWWWWW!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
    SUPER! EXCELLENT! MIND BLOWING! LOVELY! BEAUTIFUL! FANTASTIC!
    r kono word pelam na blar jnno….
    emn article roj chai bhai!

    Reply
  20. Miraz miyaa says:
    3 years ago

    Awesome^100000000000000

    Reply
  21. Salam Ratul says:
    3 years ago

    গ্রহ থেকে গ্রহে বিচরণ করলাম। মজাও পেলাম।

    Reply
  22. ইসরাইল খান says:
    3 years ago

    ভাই ভয়েজার এর জালানি শেশ হয় না?
    এটা কত বছর টিকে থাকবে?

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      3 years ago

      জ্বালানীর কি দরকার ভাই? একবার স্পীড উঠলে তো আর থামবে না! নিউটনের ১ম সুত্র অনুসারে, বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরল পথে অগ্রসর হবে।

      Reply
  23. হিমালয় says:
    2 years ago

    আমার একটা প্রশ্ন ছিল । আপনি বললেন,
    “হেলিওস্ফেয়ার পার হওয়ার পরে ভয়েজারকে অর্ট ক্লাউড (Oort Cloud) অতিক্রম করতে হবে, যেটা পারি দিতে ৩০,০০০ বছর সময় লেগে যাবে। সামনের ৪০,০০০ বছরের মধ্যে ভয়েজার আমাদের থেকে কতিপয় আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র রাজ্য গ্ল্যাইজা ৪৪৫ (Gliese 445) তে পৌঁছে যাবে এবং নক্ষত্রটিকে অত্যন্ত কাছ থেকে এক্সপ্লোর করবে।”
    কিন্তু আবার বললেন যে,” স্পেস প্রোব দুইটি সূর্য থেকে যতোই দূরে চলে যাচ্ছে এদের চালু রাখতে যে এনার্জির প্রয়োজন, সেটার ততোই ঘাঁটতি দেখা দিচ্ছে। যদিও এখনো স্পেস প্রোব দুইটি পৃথিবীতে সিগন্যাল পাঠাতেই রয়েছে, কিন্তু ন্যাসা কয়েক বছরের মধ্যে ধীরেধীরে সেন্সর গুলো এবং সায়েন্সটিফিক টুল গুলো শাটডাউন করে দেবে, যাতে প্রোব গুলো আরো কিছু পথ অতিক্রম করার এনার্জি পেয়ে যায়। অবশেষে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ভয়েজারের মধ্যে আর এতোটা ইলেক্ট্রিসিটি বজায় থাকবে না, যেটার সাহায্যে স্পেস প্রোবটি কোন প্রকারের অপারেশন চালু রাখতে পারবে।” তাহলে আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র রাজ্য গ্ল্যাইজা ৪৪৫ নক্ষত্রটিকে অত্যন্ত কাছ থেকে এক্সপ্লোর করবে কি ভাবে ???

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ADVERTISEMENT
  • আমাদের সম্পর্কে
  • গোপনীয়তা ও নীতিমালা
  • কমেন্ট পলিসি
  • ওয়্যারবিডি টীম
© 2020 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In