সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বা উইন্ডোজ সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম তো আমরা সবাই চিনি এবং প্রত্যেকদিন ব্যবহারও করি। এসব অ্যাপএবং প্রোগ্রামগুলোই হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রাণ। এগুলো ছাড়া সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমই বৃথা হয়ে যাবে। গান শোনার জন্য একটা এপ্লিকেশন, ভিডিও দেখার জন্য একটা এপ্লিকেশন, ওয়েব ব্রাউজ করার জন্য একটা এপ্লিকেশন, ট্যাক্সি ডাকার জন্য আলাদা এপ্লিকেশন, শপিং করার জন্য আলাদা অ্যাপইত্যাদি স্মার্টফোন এবং পিসিতে আমরা যেসব কাজ করি তার অনেক কাজের জন্যই বিভিন্ন ধরণের অ্যাপএবং প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই ওয়েব অ্যাপ জিনিসটি কি এবং কিভাবেই বা কাজ করে? আর কেনই বা দরকার হয় ওয়েব এপ্লিকেশন? আজকে এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো।
ওয়েব অ্যাপ
এই ব্যাপারটা বুঝতে হলে প্রথমেই এই ওয়েব অ্যাপ টার্মটির দিকে খেয়াল করুন। সহজ কথায় বলতে হলে এটি হচ্ছে সেই ধরণের অ্যাপযেগুলো ওয়েবে রান করে। এই ধরণের এপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করতে হলে আপনাকে সেগুলো আপনাকে আপনার পিসিতে বা স্মার্টফোনে ইনস্টল করার দরকার পড়বে না। এই এপ্লিকেশনগুলো আপনার ওয়েব ব্রাউজারের ভেতরেই রান করবে। এসব ওয়েব অ্যাপআপনার সাধারণ ফোনে ইনস্টল করা এপ্লিকেশনগুলোর মতোই বিহেভ করবে তবে আপনাকে এগুলো ইনস্টল করার দরকার পড়বে না। এই এপ্লিকেশনগুলো রান করবে আপনার ব্রাউজার ইঞ্জিনের ওপরে। আপনার একটি একটিভ ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি এসব ওয়েব অ্যাপব্যবহার করতে পারবেন। হ্যা, এসব এপ্লিকেশনগুলো যেহেতু সাধারণ ইনস্টল করা অ্যাপএর মতোই বিহেভ করবে, তাই এগুলোও আপনার ফোনের প্রোসেসিং পাওয়ারের ওপরেই রান করবে।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে তাহলে এখানে ব্যাবহারিক লাভটা কি হচ্ছে? এখানে লাভটা এটাই হচ্ছে যে আপনাকে এই এপ্লিকেশনগুলো নতুন করে ডাউনলোড করতে হচ্ছেনা, ইনস্টল করতেও হচ্ছেনা। যার ফলে আপনার ইন্টরনেট বেঁচে যাচ্ছে এবং আপনার ফোনের স্টোরেজও বেঁচে যাচ্ছে। আর এই ওয়েব এপ্লিকেশনগুলো মূলত একটি ওয়েবসাইটই, যেটিকে শুধুমাত্র একটি অ্যাপএর বিহেভ করতে অপটিমাইজ করা হয়। যার ফলে ওয়েবসাইটগুলোর কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়। যেমন- ইউজার ইন্টারফেস, রেস্পন্সিভনেস, স্পিড, মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা এবং আরো অনেক বিষয় খেয়াল রেখে একটি ওয়েবসাইটকে ওয়েব অ্যাপহিসেবে অপ্টিমাইজ করা হয়। যেমন, আপনি যদি গুগল ম্যাপস এর ওয়েবসাইট লোড করেন, তাহলে দেখবেন যে ওয়েবসাইটটির ইউজার ইন্টারফেস, ফিচার্স থেকে শুরু করে সবকিছুই প্রায় গুগল ম্যাপস এর স্মার্টফোন এপ্লিকেশনটির মতো। কারণ, গুগল ম্যাপস একটি ওয়েব অ্যাপহিসেবেও কাজ করে। ঠিক তেমনি স্পোটিফাইও একটি ওয়েব এপ্লিকেশন। এই ধরণের ওয়েব এপ্লিকেশনগুলো ওয়েবে ছাড়াও সাধারণ ট্রেডিশনাল স্ট্যান্ডএলোন অ্যাপ হিসেবেও কাজ করতে পারে। কিভাবে? এবার এই বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
ওয়েব অ্যাপ থেকে স্ট্যান্ডএলোন অ্যাপ তৈরী
এবার জানা যাক, একটি ওয়েব এপ্লিকেশনকে আপনি কিভাবে সাধারণ ট্রেডিশনাল অ্যাপহিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এখানে উদাহরণ হিসেবে ওয়্যারবিডিকেই ধরা যাক। কারণ, ওয়্যারবিডিও একটি ওয়েব অ্যাপএর ক্যাটাগরিতেই পড়ে। কিন্তু এই মেথডটি প্রায় সব ধরণের ওয়েব এপ্লিকেশনের ক্ষেত্রেই কাজ করবে। ওয়েব এপ্লিকেশনকে ট্রেডিশনাল অ্যাপহিসেবে ব্যবহার করার জন্য আপনার দরকার হবে গুগল ক্রোম ব্রাউজার এবং আপনার স্মার্টফোন অথবা পিসি।
প্রথমে স্মার্টফোনের ব্যাপারে আসা যাক। আপনি যদি স্মার্টফোনে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ওয়্যারবিডি ভিজিট করেন, তাহলে সাইট ভিজিট করার সময় ক্রোমের ওপরের দিকে টুলবারের একেবারে ডানদিকে লম্বালম্বিভাবে তিনটি ডট দেখতে পাবেন যেখানে ক্লিক করলে আপনাকে কিছু অপশন দেওয়া হয়। সেই অপশনগুলোর থেকে নিচের দিকে একটি অপশন পাবেন যার নাম Add to homescreen। এই অপশনটিতে ক্লিক করলেই আপনাকে এপ্লিকেশনটির নাম সেট করতে বলা হবে। যদি আপনি নিজে থেকে কোনো নাম সেট না করেন, তাহলে ওয়েবসাইটটির নামই অ্যাপনেম হিসেবে থাকবে। অ্যাড করার পরে আপনি আপনার ফোনের অ্যাপড্রয়ার বা অ্যাপলিস্টের মধ্যেই ওয়েব এপ্লিকেশনটি পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনার ফোনের অ্যাপড্রয়ারে ওয়্যারবিডিের লোগোসহ ” ওয়্যারবিডি ” নামের একটি অ্যাপপাবেন।
এই এপ্লিকেশনটি ওপেন করলে আপনার ফোনের অন্যান্য এপ্লিকেশনগুলোর মতোই এই এপ্লিকেশনটি ওপেন হবে। এবং এক্ষেত্রে আপনাকে ব্রাউজারের টুলবার এবং অন্যান্য কোনো অপশনই দেওয়া হবেনা। কারণ আপনি এখন এই ওয়েবসাইটটিকে একটি ওয়েব অ্যাপহিসেবে ব্যবহার করছেন। এসময় এই ওয়েবসাইটটি একটি ট্রেডিশনাল অ্যাপএর মতোই বিহেভ করবে যদি সাইটটি ওয়েব অ্যাপহিসেবে রান করার জন্য অপ্টিমাইজড হয়ে থাকে। এপ্লিকেশনটিকে আপনি যেকোনো সময় অ্যাপড্রয়ার থেকে ওপেন-ক্লোজ করতে পারবেন, আনইনস্টল করতে পারবেন, অ্যাপথেকে নোটিফিকেশন পাবেন এবং একটি ট্রেডিশনাল এপ্লিকেশনে যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন, তার অনেকগুলোই পাবেন।
এবার আসা যাক উইন্ডোজ পিসি বা ডেস্কটপ এর ব্যাপারে। এক্ষেত্রেও আপনার দরকার হবে গুগল ক্রোম ব্রাউজার। ক্রোম ব্রাউজারে ওয়্যারবিডি লোড করে আপনি ক্রোম এর উপরের তিনটি ডট দেওয়া আইকনে ক্লিক করে অপশনস মেনু আনবেন এবং সেখান থেকে More tools অপশনে ক্লিক করবেন। এখানেই আপনি একটি অপশন পেয়ে যাবেন যার নাম Add to desktop। এই অপশনটিতে ক্লিক করলেই আগের মতো আপনাকে এপ্লিকেশনটির নেম সিলেক্ট করতে বলা হবে। এরপর অ্যাড করলেই আপনার ডেস্কটপে এপ্লিকেশনটির আইকন পেয়ে যাবেন যেটিকে ডাবল ক্লিক করে একটি ট্রেডিশনাল ডেস্কটপ প্রোগ্রামের মতো করেই ওপেন করতে পারবেন। আর এই মেথডটি শুধুমাত্র ওয়্যারবিডি নয়, প্রায় সব ওয়েব এপ্লিকেশনের ক্ষেত্রেই কাজ করবে এবং শুধুমাত্র উইন্ডোজ নয়, ম্যাক এর ক্ষেত্রেও কাজ করবে।
WiREBD এখন ইউটিউবে, নিয়মিত টেক/বিজ্ঞান/লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও গুলো পেতে WiREBD ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুণ! জাস্ট, youtube.com/wirebd — এই লিংকে চলে যান এবং সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুণ!
তো এই ছিল ওয়েব অ্যাপকি তার একটি সহজ বর্ণনা এবং কিভাবে আপনি একটি ওয়েব অ্যাপ থেকে একটি ট্রেডিশনাল অ্যাপতৈরী করতে পারেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো ধরণের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।
What a content!!!
Thank You ! 😀
যাকে বলা হয় আলট্রা প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ……!!!
দ্যা বিডী ভার্জ………!!
থ্যাংক ইউ ভাইয়া। 🙂
vai ekbabe ki jekno site app hobe>??
Firefox ki somvob?
naki only chrome?
>>>>> osthirrrr lagse presentesion ta.. mind blowing chila vaiya.
যেসব ওয়েবসাইট ওয়েব অ্যাপ হিসেবে রান করার জন্য অপটিমাইজড, শুধুমাত্র সেসব ওয়েবসাইটই এভাবে স্ট্যান্ডএলোন অ্যাপ হয়ে চলতে পারবে। আর যেসব ওয়েবসাইট অপটিমাইজড না, সেগুলোর শুধুমাত্র একটি শর্টকাট তৈরী হবে আপনার হোমস্ক্রিনে যেটা ক্লিক করলে আপনাকে ব্রাউজারে নিয়ে গিয়ে তারপরে সাইটটি লোড করা হবে। আর আমি এখনো ফায়ারফক্সে ট্রাই করে দেখিনি তাই বলতে পারছিনা। তবে ক্রোমে হবে। ধন্যবাদ। 🙂
Just awesome bro/………… UUUUMMMMMMAHHHAAAA 😀
হাহা। ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
Add to homescreen System ta onek valo.. valo legece…
ar content quality niye na hoy na bollam. baki sobai to sunam korei dilo. dhonnobad dile choto kora hoye jabe.
থ্যাংক ইউ 😀
XOSSS
SILO
WooWW!!!
Thanks. 🙂
খুবই তথ্য বহুল পোস্ট।
বরাবরের মতো ফাটিয়ে দিয়েছেন। ????
থ্যাংকস
ধন্যবাদ ভাইয়া। সাথেই থাকবেন। 😀
carry on bro..
sathe achi amra. with ultimate support. thankxx.
Thank you brother. 🙂
সুন্দর পোস্ট। বলারও কিছুই নাই। ১ টা কথা বলা যায় “অসাধারণ”।
ধন্যবাদ ! 🙂
ভাই আপনি এতো ভালো কিভাবে লেখেন? হা জানি এটা কোন প্রস্ন হলো না ???? কিন্তু আমি যতই আপনার লেখা পড়ি বাস মুগ্ধ হয়ে যাই।
এইতো লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে গেছে ভাইয়া। আশা করি ভবিষ্যতে আরো ভালো লিখবো। 😀
Quality post Brother.
Thank you brother. 🙂
Techubs app banale valo hoyna vaiya…
Vul hole maff korben vai.
হ্যা ভাইয়া, অবশ্যই ভালো হয়। আসলে অ্যাপ বানানোর ব্যাপারটা অনেক আগে থেকেই আমাদের মাথায় আছে। বর্তমানে আমরা কন্টেন্ট লেখা এবং আরও কিছু প্রজেক্ট নিয়ে বেশি ব্যস্ত আছি তাই অ্যাপ নিয়ে এখনই কিছু করতে পারছিনা। তবে খুব দ্রুতই টেকহাবস এর একটি ফুল ফিচারড অ্যাপ আমরা পাবলিশ করবো। ধন্যবাদ। 🙂
Vhai begainer jonno best photo editor software konti? Adobe ps onek kothin mone hoy amar kache. Please help.
ফটো এডিটর বলতে আপনি কি বুঝিয়েছেন সেটা একটা বড় ব্যাপার এখানে। কারণ, ফটোশপ কে একটা ফটো এডিটর না বলে সম্পূর্ণ একটি ডিজিটাল ফটো স্টুডিও বলাটাই বেটার। তাই এটা সহজ হবেনা সেটাই স্বাভাবিক। এখন আপনি যদি প্রফেশনাল কাজের জন্য ফটো এডিট করতে চান, তাহলে ফটোশপের বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে আপনাকে এটাই শিখতে হবে কষ্ট করে হলেও। কিন্তু আপনি যদি সাধারণ টুকটাক হালকা এডিট করতে চান ফটো, তাহলে আপনি চাইলে Picsart বা Snapseed দিয়েও কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি পিসিতে Fotor অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারেন। টুকটাক হালকা ফটো এডিটিং এর জন্য এটা বেশ ভালো। বাই দ্যা ওয়ে, Fotor এর কিন্তু খুবই সহজ এবং সুন্দর একটি ওয়েব অ্যাপ আছে। আপনি সেটাও ব্যাবহার করতে পারেন চাইলে। ধন্যবাদ। 🙂
Haha.. ami to vabsi techubs apps released paice ????
হাহা। এখনো ফুল ফিচারড অ্যাপ রিলিজ হয়নি ভাইয়া। তবে আশা করি খুব দ্রুতই হবে। এই বিষয়ে আমাদের অনেক আগে থেকেই প্ল্যান আছে। 🙂
nice ♥️
Thanks ❤️
Osadhrwn Laglo. Thanks. Very informative vai
Thank You too 🙂
Awesome. Asha kri tratri amdr favourite Techubs app pbo….
thanks you for your advice
খুব ইন্টারেস্টিং টপিকস মজা লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।