গেমিং এর জন্য কতোটুকু র‍্যাম যথেষ্ট?

পিসিতে গেমস চালানো এবং হেভি ডিউটি টাস্কের জন্য অনান্য পার্টসের মতো র‌্যামও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শক্তিশালি প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ড থাকার পরেও যদি যথেষ্ট পরিমাণে র‌্যাম আপনার পিসিতে না থাকে তাহলে পিসির ১০০% পারফরমেন্স আপনি উপভোগ করতে পারবেন না।

বর্তমানে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম পুরো বিশ্বে স্ট্যার্ন্ডাড OS হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে আর আপনারা জানেনই উইন্ডোজ ১০ নিজেই আপনার পিসির ২ গিগাবাইটের মতো র‌্যাম অধিকাংশ সময়ই দখল করে রাখে। তাই বর্তমানে পিসিতে সাধারণ কাজ করতে গেলেও ৪ গিগাবাইট র‌্যামের প্রয়োজন হয়। আজ আমি আপনাদের সাথে বর্তমানে গেমিং এবং হেভি ডিউটি টাস্কের জন্য কত গিগাবাইট র‌্যাম যথেষ্ট এ ব্যাপারে আলোচনা করবো।

আপনার পিসির প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ডের সাইজের উপর আপনার র‌্যামের ভারসাম্য করা উচিত। ধরুন আপনার প্রসেসর হচ্ছে মান্ধাতা আমলের ২য় প্রজন্মের ডুয়াল কোর প্রসেসর, কোনো এক্সটারনাল গ্রাফিক্স নেই আপনি ইন্টারনাল গ্রাফিক্স দিয়ে কাজ করেন। এই পিসিতে আপনি যদি ৮ গিগাবাইট র‌্যাম লাগিয়ে রাখেন তাহলে সেটা হবে হাস্যকর! কারণ এই পিসিতে ৪ গিগাবাইট র‌্যাম যে পারফরমেন্স দিবে; ৮ গিগাবাইট র‌্যামও তার থেকে তেমন বেশি পারফরমেন্স দিতে পারবে না।

অন্যদিকে আপনার প্রসেসর যদি এ প্রজন্মের শক্তিশালি মডেলের হয়ে থাকে; এবং বেশ কড়া গ্রাফিক্স কার্ড লাগিয়েছেন আপনি। কিন্তু র‌্যামের দিকে কিপটেমি করে মাত্র ৪ গিগাবাইট র‌্যামের উপর ভরসা করলেন। এক্ষেত্রেও আপনি পিসির সম্পূর্ণ পারফরমেন্স পাবেন না। মানে ব্যাপার টা হচ্ছে আপনি হেলিকপ্টার কিনলেন কিন্তু হেলিকপ্টার চালানোই শিখলেন না!

সাধারণ কাজের জন্য র‌্যাম

কম্পিউটার আমরা কেন ব্যবহার করি? শুধু গেমস খেলার জন্য? বা শুধু হেভি ডিউটি টাস্ক করার জন্য? জ্বী না! এই দুটি ক্ষেত্রকে বাদ দিয়ে অনান্য সাধারণ কাজের জন্য বর্তমানে আপনার কত গিগাবাইট র‌্যাম লাগবে? সাধারণ কাজ মানে হচ্ছে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ওর্য়াড প্রসেসিং, ব্রাউজার দিয়ে ডাউনলোড, পিসিতে মুভি দেখা, গানবাজনা প্লে করা, আমার মতো কিবোর্ডে ঝড় তুলে টাইপিং করা ইত্যাদি! এই সকল কাজ করার জন্য বর্তমানে ৪ গিগাবাইট র‌্যামই যথেষ্ট!

৪ গিগাবাইট র‌্যামের কথা বলছি কারণ বর্তমানে উইন্ডোজ ১০ ভালোমতো উপভোগ করতে হলেও ২ গিগবাইট র‌্যামের দরকার হয়। আর বাকি ২ গিগাবাইট র‌্যাম দিয়ে আপনি এইসকল “সাধারণ কাজ” করতে পারবেন। তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার, আপনি এই সাধরণ কাজকেই মাল্টিটাস্ক হিসেবে করেন; মানে একই সাথে একাধিক কাজ করতে চাইলে এই “সাধারণ কাজের” জন্যেও আপনার চাই ৬ গিগাবাইট র‌্যাম।

তাই সাধারণ কাজের জন্য আপনি যদি বর্তমানে নতুন ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ কিনতে যান তাহলে ভূলেও ৪ গিগাবাইটের নিচের কোনো র‌্যাম ব্যবহার করবেন না।

আবার আপনি যদি উইন্ডোজ ৭ বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তাহলে এই সাধারণ কাজগুলো ২ গিগাবাইট র‌্যামের মধ্যেও আপনি সেরে নিতে পারবেন। কারণ লিনাক্স ও উইন্ডোজ ৭ বেশ “হালকা” মানের অপারেটিং সিস্টেম এবং এগুলো ১ গিগাবাইটের কম র‌্যামের উপর কাজ করতে পারে।

আমি এখন যে ল্যাপটপে বসে এই পোষ্টটি লিখছি সেটায় ৪ গিগাবাইট র‌্যাম দেওয়া রয়েছে। টাইপিং, ক্রোমে ইউটিউব ব্রাউজিং, ডাউনলোড এবং টুকিটাকি গেমস খেলার জন্য আমার ল্যাপটপটিই যথেষ্ট। কিন্তু এই একই কাজ আমি ২ গিগাবাইট র‌্যামেও করতে পারতাম কিন্তু সেখানে উইন্ডোজ ১০ এর স্থানে আমাকে উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করতে হবে। আশা করি বিষয়টি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি।

বর্তমানের গেমিংয়ের জন্য র‌্যাম

এবার আসি পোষ্টের মূল বিষয়ে। তার তা হলো গেমিং এবং হেভি ডিউটি টাস্কের জন্য বর্তমানে কত গিগাবাইট র‌্যাম যথেষ্ট। প্রথমে গেমিং নিয়ে কিছু কথা সেরে নেই।

কম্পিউটারে ভিডিও গেমস কিন্তু আর আগের মতো নেই। ভিডিও গেমস সেক্টরটি এখন বেশ উন্নত কোয়ালিটিতে রয়েছে এবং এটা প্রতিনিয়তই ধীরে ধীরে আরো আপগ্রেডের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে কোনো ভিডিও গেমসকে হাই গ্রাফিক্স সেটিংস দিয়ে খেলার সময় এটার সাথে আপনি হলিউডের ছায়াছবির তেমন কোনো পার্থক্য পাবেন না। চোখ ধাঁধানো এইসব হাই গ্রাফিক্সযুক্ত গেমস পিসিতে খেলার জন্য আপনার চাই শক্তিশালি একটি সিস্টেম। আর সেখানে প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ডের সাথে আপনার চাই উপযুক্ত সাইজের র‌্যাম। আর এই উপযুক্ত সাইজের র‌্যাম নিয়ে আজ আলোচনা করছি আমি।

ভিডিও গেমসের জন্য কম্পিউটারে আমরা যত পারি বেশি র‌্যাম ব্যবহার করার চেষ্টা করি। কিন্তু এক পর্যায়ে গিয়ে সেটাও বৃথা হয়ে যায় যখন আপনি আপনার পিসির দরকারের চেয়েও বেশি র‌্যাম লাগিয়ে রাখেন।

গেমিংয়ের জন্য বর্তমানে বাজারে আপনি ৪ গিগাবাইট থেকে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত র‌্যাম ব্যবহারের সাজেশন পাবেন। তো আপনার জন্য কোনটি যথেষ্ট? সেটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরণের গেমস খেলবেন তার উপর।

৪ গিগাবাইট র‌্যামের গেমিং:

উইন্ডোজ ১০ চালিয়ে ৪ গিগাবাইট র‌্যাম দিয়ে বর্তমানে আপনি তেমন কোনো উল্লেখ্যযোগ্য গেমস খেলতে পারবেন না। হ্যাঁ আপনার পিসিতে যদি মিডিয়াম মানের গ্রাফিক্স কার্ড থাকে তাহলে এর উছিলায় বর্তমানের গেমসগুলো আপনার পিসিতে “চলতে” পারে কিন্তু আপনি সেগুলো “খেলতে” পারবেন না।

লক্ষ্য করুন, পিসিতে গেমস চলা এবং খেলতে পারা – এদুটি কিন্তু আলাদা বিষয়। আমার ৪ গিগাবাইটের ল্যাপটপে Farcry 5 আমি “চালাতে” পারি, কিন্তু এটা “খেলতে” পারি না! কারন এই কনফিগারেশনে গেমটি খেলার জন্য যথেষ্ট স্পিড বা FPS বা গতি আমার ল্যাপটপ আমাকে দিতে পারছে না।

৮ গিগাবাইট র‌্যামের গেমিংঃ

বর্তমান যুগের হাই এন্ড গেমসগুলোর মিনিমাম ৮ গিগাবাইট র‌্যাম রেকোমেন্ড দেওয়া থাকে। মানে হলো বর্তমান যুগের গেমসগুলো আপনার পিসিতে খেলার জন্য চাই নূন্যতম ৮ গিগাবাইটের র‌্যাম।  ভালো প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ড থাকলে আপনি ৮ গিগাবাইট র‌্যাম দিয়ে আপনার পিসিতে বর্তমানের গেমসগুলোকে “লো গ্রাফিক্স” সেটিং দিয়ে খেলতে পারবেন।

কিন্তু ভালো প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড থাকা স্বত্বেও আপনি যদি একই সাথে Fallout 4, Adobe Premier CC এবং গুগল ক্রোমে কয়েকটি ট্যাব চালু রেখে মাল্টিটাস্কিং করতে যান তাহলে ৮ গিগাবাইট র‌্যামেও আপনি হালকা পারফরমেন্স ইস্যুর মুখোমুখি হতে পারেন।

১২ গিগাবাইট র‌্যামের গেমিংঃ

ভালো প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ড পিসিতে আপনি ১২ গিগাবাইট র‌্যাম দিয়ে বর্তমানে সকল গেমসগুলোকেই ভালোভাবে চালাতে পারবেন এবং একই সাথে টুকিটাকি মাল্টিটাস্কিংও সেরে নিতে পারবেন। তবে ১২ গিগাবাইটের র‌্যামের কম্বিনেশন করা একটু ঝামেলার কাজ। কারণ গেমিং মাদারবোর্ডে র‌্যাম স্লট থাকে ২টি, ৪টি, ৬টি এভাবে। আপনার মাদারবোর্ডে ২টি র‌্যাম স্লট থাকলে ১২ গিগাবাইট র‌্যামের কম্বিনেশন করতে পারবেন না কারণ বাজারে ৬ গিগাবাইটের র‌্যাম স্টিক নেই।

১৬ গিগাবাইট র‌্যামের গেমিংঃ

ভালো প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ডযুক্ত ১২ গিগাবাইট র‌্যামের পিসি থেকে একই কনফিগারেশনের ১৬ গিগাবাইট র‌্যামের পিসিতে আপনি তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পারফরমেন্সের তফাৎ দেখবেন না। কারণ বর্তমানের ভিডিও গেমসগুলো ৮-৯ গিগাবাইট র‌্যামের উপরে দখল করে না। ১৬ গিগাবাইট র‌্যামের পিসিতে হেভি মাল্টিটাস্কিং এবং এর সাথে হাই গ্রাফিক্সযুক্ত ভিডিও গেমস চালানোর পরেও দেখবেন যে ২/৩ গিগাবাইট র‌্যাম অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।

ভিডিও গেমসে র‌্যাম এবং গ্রাফিক্স কার্ড

ভিডিও গেমসে র‌্যাম এবং গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ হচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা। বর্তমানের হেভি গ্রাফিক্সের একটি ভিডিও গেমসকে আপনি এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া শুধুমাত্র র‌্যাম দিয়ে পিসিতে “চালাতে” পারবেন কিন্তু “খেলতে” পারবেন না। আবার ভিডিও গেমসকে হাই গ্রাফিক্স সেটিংস দিয়ে খেলার জন্য আপনার চাই উন্নত মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড।

র‌্যামের কাজ হচ্ছে আপনার পিসিতে ভিডিও গেমসকে “চালানোর” ব্যবস্থা করা, র‌্যাম বাড়িয়ে আপনি ভিডিও গেমসকে হাই গ্রাফিক্স সেটিংসয়ে খেলতে পারবেন না যতক্ষণ না আপনার গ্রাফিক্স কার্ড সেটা সার্পোট করে। মানে হচ্ছে একটি কম্পিউটারে ভিডিও গেমসের গ্রাফিক্স সেটিংস নির্ভর করে উক্ত কম্পিউটারের এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ডের GDDR মেমোরির উপর।

অন্যদিকে ল্যাপটপের Integrated গ্রাফিক্স কার্ডগুলো আপনার সিস্টেম র‌্যামের কিছু অংশকে ভিডিও মেমোরি হিসেবে বানিয়ে নেয়। কিন্তু এগুলো আপনাকে এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ডের GDDR মেমোরির মতো পারফরমেন্স দিতে পারবে না। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখবেন র‌্যামের প্রজন্ম কোনটি।

DDR3, DDR4,  DDR5 স্ট্যান্ডার্ডের র‌্যাম এখন বাজারে পাওয়া যায়। ডেক্সটপের ক্ষেত্রে যেখানে এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে সেখানে এই DDR3, DDR4,  DDR5 স্ট্যান্ডার্ডের র‌্যামগুলো মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আপনি দেখতে পারবেন না। তবে ল্যাপটপে যেহেতু র‌্যামগুলোর কিছু অংশ ভিডিও মেমোরি হিসেবে কাজ করে তাই ল্যাপটপ কেনার সময় আপনার উচিত DDR4 বা DDR5 র‌্যাম স্ট্যান্ডার্ডের ল্যাপটপ কেনা। কারণ DDR3 এর থেকে DDR4 র‌্যামের স্পিড বেশি এবং DDR4 এর থেকে DDR5 র‌্যামের স্পিড বেশি। আর একই সাথে দামও তুলনামূলক ভাবে বেশি!

হেভি টাস্কের জন্য র‌্যাম

গেমিং বাদ দিয়ে এবার আসি হেভি টাস্কের ব্যাপারে। হেভি টাস্ক বলতে মাল্টিমিডিয়া নিয়ে কাজ করা, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স এডিটিং, এনিমেশন এবং মাল্টিটাস্কিংকে বোঝানো হয়। হেভি টাস্ক করার জন্যেও আপনার চাই শক্তিশালি প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ড। হেভি টাস্কের জন্য ঠিক কতটুকু র‌্যাম আপনার প্রয়োজন হবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর। তবে কম্পিউটারে হেভি টাস্ক যারা করে থাকেন তাদের জন্য সবসময়ই অতিরিক্ত কিছু র‌্যাম ব্যাকআপে থাকা ভালো।

যেমন- আপনার পিসিতে ৮ গিগাবাইট র‌্যাম দেওয়া রয়েছে। এবং এটায় হেভি টাস্ক যেমন গ্রাফিক্স এডিট আপনি করতে পারছেন মোটামুটি ভাবে। কিন্তু কাজের মাঝখানে হঠাৎ গুগল ক্রোমে একটি ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখার প্রয়োজন হলো আর ক্রোম চালু করতেই গিয়েই আপনি ৮ গিগাবাইট র‌্যামের পিসিতে পারফরমেন্স ইস্যুর মুখোমুখি হবে। মানে হলো বাজেট থাকলে হেভি টাস্কিংয়ের জন্য আপনি সরাসরি ৩২ গিগাবাইট র‌্যামে চলে যেতে পারেন।

সারসংক্ষেপ

এতক্ষন পোষ্টে আমি যা আলোচনা করলাম সেটা নিচের টেবিলে সারসংক্ষেপ আকারে দিয়ে দিলাম। আশা করবো নিচের টেবিলটি এক নজর দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন বর্তমানে “স্বাচ্ছন্দ্যে” সাধারণ কাজ, গেমিং এবং হেভি টাস্কিংয়ের জন্য কত গিগাবাইট র‌্যামের দরকার হবে।

স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহারের জন্য র‌্যামের চাহিদা
ব্যবহারের ধরন বিবরণ 2GB 4GB 8GB 16GB 32GB
অফিসের কাজ বেসিক ডকুমেন্ট জাতীয় কাজ
বড় ডকুমেন্ট এবং হেভি মাল্টিটাস্কিং Χ Χ
ওয়েব ব্রাউজিং বেসিক মাল্টি-ট্যাব ব্রাউজিং Χ
হেভি (৩০+ ট্যাবস) Χ Χ
মিডিয়া স্ট্রিমিং অডিও এবং ভিডিও Χ
ফটো  এডিটিং বেসিক (১ থেকে ১০টি ফটো) Χ
হেভি (১০+ ফটো) Χ Χ
গেমিং নিম্ন স্তরের (কোনো GPU নেই) Χ
মধ্য স্তরের (পুরোনো মডেলের GPU) Χ Χ
উচ্চ স্তরের (বর্তমানের GPU মডেল) Χ Χ Χ

বর্তমানে ৪ গিগাবাইট র‌্যামে সাধারণ কাজ করতে পারলেও আপনি এ যুগের গেমসগুলো চালাতে পারবেন না। ৮ গিগাবাইট র‌্যাম দিয়ে অধিকাংশ গেমস চালাতে পারলেও কিছু কিছু গেমস ১২ গিগাবাইট র‌্যাম দখল করে রাখে। তাই বলা যায় বর্তমানের ভিডিও গেমসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড র‌্যাম হচ্ছে ৮ গিগাবাইট। তবে ১৬ গিগাবাইট র‌্যাম হলে ভালো হয়। অন্যদিকে হেভি টাস্কিংয়ের করার জন্য ১৬ গিগাবাইট র‌্যাম হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড মান। তবে বাজেটে থাকলে এক লাফে ৩২ গিগাবাইট র‌্যামে চলে যেতে পারেন এবং আগামী কয়েক বছরের জন্য নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

Image: Shutterstock

About the author

ফাহাদ

Add comment

Categories