যখন কোন কম্পিউটার ইন্টারনেট বা যেকোনো নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়, অবশ্যই একটি ভার্চুয়াল অ্যাড্রেসের প্রয়োজন পরে, যেটাকে আইপি অ্যাড্রেস বলা হয়। প্রত্যেকটি নেটওয়ার্ক ইন্টারফেসের আরেকটি ফিজিক্যাল অ্যাড্রেসও থাকে, যেটাকে ম্যাক অ্যাড্রেস বলে, কিন্তু সেটা আরেক আলাদা কাহিনী।
ধরুন কেউ আপনাকে কল করে খুব বিরক্ত করছে, সেক্ষেত্রে আপনি কলের পেছনের ঐ ব্যাক্তি সম্পর্কে কিছু না জানলেও, কলার নাম্বার থেকে কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো পেয়ে যেতে পারেন। ঠিক তেমনি, যখন আপনার ওয়েবসাইটে বা আপনার কম্পিউটারে, হ্যাকার তার কম্পিউটার থেকে কোন ম্যালিসিয়াস অ্যাক্টিভিটি চালানোর চেষ্টা করে, হ্যাকারের আইপি অ্যাড্রেস আপনার কাছে থেকে যায়।
যখন হ্যাকার আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করে, আপনার সাইট ফায়ারওয়াল সেই আইপি অ্যাড্রেস স্টোর করে রাখে। যদিও আইপি অ্যাড্রেস থেকে সরাসরি কাউকে সেভাবে ট্র্যেস করতে পাড়বেন না, কিন্তু তারপরেও আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং বা তদন্ত করার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেখান থেকে বেড় করে ফেলতে পাড়বেন।
যখন অনেক বড় বড় হ্যাক অ্যাটাক হয়ে যায়, বা হ্যাকার কোন সিস্টেম বা ব্যাংক সার্ভারে প্রবেশ করে অনেক টাকা চুরি করে নিয়ে যায়, পুলিশের কাছে সর্ব প্রথম হ্যাকারের আইপি অ্যাড্রেসই থাকে, আর তার সুত্র ধরেই সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করা হয়। আজকের আর্টিকেলে আমি কমপ্লিট আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং ম্যাথড গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। হ্যাঁ, প্রফেশনাল হ্যাকার বা সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে আরো প্রফেশনাল মানের টুলস থাকে, কিন্তু আপনি ফ্রী টুলস গুলো থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য গুলোকে খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু কীভাবে? — জাস্ট আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন!
আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং
নেটওয়ার্কিং এর নিয়ম অনুসারে, ইন্টারনেটের যেকোনো কম্পিউটার বা যেকোনো ওয়েবসাইটের সাথে কানেকশন তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি ইউনিক এবং ভ্যালিড আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজনীয় হবে এবং আপনার আইপি অ্যাড্রেস সব সময়ই প্রকাশিত থাকবে। বর্তমানে হ্যাকাররা অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে ফেলে, কিন্তু তারপরেও একটি না একটি আইপি অ্যাড্রেস সার্ভার বা কম্পিউটারে স্টোর হয়েই যায়।
ধরুন, আপনি প্রক্সি সার্ভার বা ভিপিএন ব্যবহার করে কোন সার্ভারের সাথে কানেক্টেড হয়েছেন, সেক্ষেত্রে ঐ সার্ভারে আপনার আসল আইপি অ্যাড্রেস না পৌঁছালেও, ভিপিএন সার্ভারের আইপি কিন্তু ঠিকই লগ হয়ে থাকবে, আর ঐ আইপি অ্যাড্রেস থেকেও অনেক তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব। এখন আপনার কম্পিউটারে মূলত দুই টাইপের আইপি থেকে থাকে, একটি লোকাল আইপি অ্যাড্রেস বা প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস এবং আরেকটি পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস বা ইন্টারনেট আইপি অ্যাড্রেস।
আপনার ইন্টারনেট আইপি অ্যাড্রেস অবশ্যই সকলের কাছে প্রদর্শিত হয়, আর এজন্যই এর নাম পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস, সেটা আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার আপনাকে প্রভাইড করে থাকে।

প্রথমে আপনার ওয়েব সার্ভার ফায়ারওয়াল থেকে যে আইপি অ্যাড্রেসটি ম্যালিসিয়াস অ্যাক্টিভিটি করার চেষ্টা করেছিলো বা আপনার সাইটে ডিডস অ্যাটাক চালানোর চেষ্টা করেছিলো, সেটিকে খুঁজে বেড় করুণ। বিশেষ করে ঐ টাইপের আইপি অ্যাড্রেস ফায়ারওয়ালের ব্ল্যাকলিস্ট থেকে পাওয়া যায়। যদি আপনার কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে বলে আপনার মনে হয়, সেক্ষেত্রে ওয়্যারসার্ক সফটওয়্যার টুলটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন, আপনার কম্পিউটার কোন আইপি অ্যাড্রেসে কোন টাইপের ডাটা সেন্ড করছে।
যদি মনে হয়, কম্পিউটার কোন আইপি অ্যাড্রেসে গুরুত্বপূর্ণ কোন ডাটা সেন্ড করছে, তো হতে পারে সেটা হ্যাকারের কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস। তো এভাবেই আপনি হ্যাকারের আইপি অ্যাড্রেস পেয়ে যাবেন। এখন আপনাকে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং বা আইপি অ্যাড্রেস তদন্ত শুরু করতে হবে।
আইপি লোকেশন খুঁজে বেড় করা
একটি আইপি অ্যাড্রেস কিন্তু শুধু মাত্র চার সেট নাম্বার বা এই নাম্বার গুলোকে বিভক্ত করা তিনটি ডট নয়, যদি উপযুক্ত জ্ঞান থাকে, এই নাম্বার গুলো থেকেই অনেক কিছু খুঁজে বেড় করা সম্ভব। আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং করার মাধ্যমে আপনি নিজেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন, যেগুলো কাজে লাগিয়ে ঐ আইপি অ্যাড্রেসের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে পাড়বেন বা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পাড়বেন।
মুভিতে হয়তো দেখে থাকবেন, পুলিশেরা সেলফোন ট্র্যাকিং করে একেবারে সঠিক লোকেশন বেড় করে ফেলে। সেলফোনে অনেকটা সঠিক লোকেশন বেড় করা গেলেও, আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং করার মাধ্যমে সঠিক লোকেশন ট্র্যেস সম্ভব হয় না। মোবাইল নাম্বার, আইএমইআই নাম্বার কোন ব্যাক্তি বা ডিভাইজ অনুসারে জুড়ে দেওয়া থাকে, কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস কখনোই কারো নামে রেজিস্টার করা থাকে না, সেক্ষেত্রে আইপি থেকে কেবল আইএসপি এর নাম বা তদের ঠিকানাই পেতে পাড়বেন।
যদিও আইপি থেকে সরাসরি হ্যাকারের জিওলোকেশন পাবেন না, কিন্তু হ্যাকার কোন আইএসপি থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, হ্যাকারের সম্ভাব্য শহর বা কোন দেশ থেকে এই তথ্য গুলো পেয়ে যেতে পাড়বেন। প্রত্যেকটি আইএসপির আইপি অ্যাড্রেস গুলো জিওলোকেশন ডাটাবেজে যুক্ত করা থাকে, তাই একসাথে অনেক গুলো ডাটাবেজ ক্রস ভেরিফাই করার মাধ্যমে মোটামুটি লোকেশন ধারণা পেয়ে যেতে পাড়বেন। যেমন দেখুন, নিচের চিত্রে infosniper.net থেকে আমার আইপি অ্যাড্রেস চেক করছি, যদিও সঠিক জিওলোকেশন পাওয়া গেলো না, কিন্তু তারপরেও অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।

এরকম অনেক আইপি জিওলোকেশন ফাইন্ডার ওয়েবসাইট রয়েছে অনলাইনে, প্রত্যেকের থেকে আপনি আলাদা আলাদা তথ্য গুলো জানতে পাড়বেন। আর সব তথ্য গুলোকে একত্রিত করে আপনি মোটামুটি একটি ভালো ধারণা অর্জন করতে পাড়বেন।
আমার মতে আইপি জিওলোকেশন খুঁজে বেড় করার বেস্ট অনলাইন টুলস গুলো হচ্ছে, IP2Location, Geobytes IP Address Locator, MaxMind GeoIP, IP Tracer, IP Tracker’s Lookup Tool, What Is My IP Address — এই টুল গুলোর মধ্যে অনেক টুল রয়েছে যারা প্রিমিয়াম সার্ভিস প্রদান করে থাকে, এতে হয়তো আরোবেশি কিছু তথ্য পেয়ে যেতে পারেন।
আপনি গুগল করে লাখো ওয়েবসাইট বা অনলাইন টুল পেয়ে যাবেন, যারা আইপি লোকেশন প্রদান করে, আলাদা টুল গুলোতে অনেক তথ্য একই থাকবে সাথে কিছু নতুন তথ্য পেয়ে যেতে পারেন। যেকোনো আইপি অ্যাড্রেস থেকে সঠিক আইএসপি নাম, সঠিক দেশ, এবং খুব বেশি হলে শহর পর্যন্ত খুঁজে পেতে পাড়বেন, এর বেশি তথ্য পাবেন না, কোন বিল্ডিং বা কোন এলাকায় আইপিটি দেওয়া হয়েছে সেটা জানার জন্য আপনাকে আইএসপির সাথে যোগাযোগ করতে হতে পারে।
আইপি থেকে ভিপিএন বা প্রক্সি ডিটেক্ট
আজকের দিনে হ্যাকাররা এতোটা বোকা নয় যে, রিয়াল আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে সাইবার ক্রাইম করার চেষ্টা করবে। সাধারণত প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে বা ভিপিএন ব্যবহার করে আইপি অ্যাড্রেস হাইড করে, ভার্চুয়াল আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে হ্যাকিং করার চেষ্টা করে।
তবে অনেক সময় হ্যাকার পার্সোনাল কম্পিউটার গুলোকে বা আপনার আমার মতো সাধারণ ইউজাদের কম্পিউটার গুলোকে হ্যাক করার সময় নিজের আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন না করেই কাজ করে, হয়তো হ্যাকার মনে করে আমরা কিছুই করতে পারবো না, বাট যদি আপনি আসল আইপি অ্যাড্রেস পেয়ে যান, ট্র্যাকিং অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
আইপি অ্যাড্রেস পাওয়ার পরে আপনার অবশ্যই সেটা চেক করা প্রয়োজনীয়, সেটা আসল আইপি নাকি প্রক্সি বা ভিপিএন আইপি। প্রক্সি ডিটেক্ট করার জন্য অনলাইন তিনটি বেস্ট টুলস হচ্ছে, IP Intelligence, FraudLab’s IP2Proxy Live Product, এবং IPQualityScore। আইপি ইন্টেলিজেন্স এ আপনাকে জাস্ট আইপি অ্যাড্রেসটি প্রবেশ করতে হবে, তারপরে গুগল রি-ক্যাপচা টেস্ট পাস করতে হবে এবং লুকাপ বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
এখানে আপনি রেজাল্ট হিসেবে, ০-১ এর মধ্যে ভাল্যু পাবেন। তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট গাইড লাইন হিসেবে, রেজাল্ট স্কোর যদি ০.৯৮ এর উপরে চলে যায়, তো সম্ভবত সেটি প্রক্সি বা ভিপিএন আইপি। যদি কম স্ক্রোর হয়, সেক্ষেত্রে সেটা রিয়াল আইপি অ্যাড্রেস হতে পারে।

শুধু একটি রেজাল্টের উপর ভরসা করলে হবে না, আপনাকে অবশ্যই পরপর এই তিনটি টুলেই স্ক্যান করে ভেরিফাই করতে হবে সেটা রিয়াল আইপি অ্যাড্রেস নাকি কোন প্রক্সি, ভিপিএন, বা টর আইপি। আইপিকোয়ালিটি স্কোর রেজাল্ট থেকে আপনি শুধু ভিপিএন বা প্রক্সি আইপি ডিটেক্ট নয়, এটি যেকোনো টেম্পোরারি ইমেইল অ্যাড্রেসও ডিটেক্ট করতে পারে।
তাছাড়া এখানে কোন স্কোর দেখে নিজে বুঝতে হবে না, সুন্দর করে লেখায় থাকবে, এটি রিয়াল আইপি কিনা। নিচে আমার আইপি রেজাল্ট স্ক্রীনশটটি দেখুন।

এখন যদি রেজাল্ট অনুসারে আইপি অ্যাড্রেসটি কোন ভিপিএন বা প্রক্সি সার্ভার অ্যাড্রেস হয়, সেক্ষেত্রে লোকেশন বেড় করে বা সামনের ট্র্যাকিং প্রসেস চালিয়ে লাভ হবে না, তবে হ্যাঁ, আপনি এটুকু অন্তত জানলেন, হ্যাকার আইপি হাইড করে কাজ করেছে।
এখন আপনি আইনের সাহায্য নিয়ে বা অন্য কোনভাবে ভিপিএন প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, কেবল তারায় আপনাকে এর পরের স্টেপে সাহায্য করতে পাড়বে। যদি আইপিটি হ্যাকারের রিয়াল আইপি হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে উপরের স্টেপটি অনুসরণ করে হ্যাকারের আইএসপি, দেশের নাম, শহর ইত্যাদি জেনে নিতে পাড়বেন।
আইপি অ্যাড্রেস থেকে ওয়েবসাইট খোঁজা
সাধারণত, আপনি যখন ওয়েব ব্রাউজারে ডোমেইন নেম প্রবেশ করান, ডোমেইন থেকে আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বেড় করে ওয়েবসাইট’টি আপনার সামনে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। কিন্তু ঠিক উল্টাভাবে আইপি অ্যাড্রেস থেকে এর সাথে কোন কোন ডোমেইন লাগানো রয়েছে এগুলো খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
এক আইপির পেছনে অনেক ডোমেইন লাগানো থাকতে পারে, হ্যাকারের কম্পিউটারে যদি ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকে, সহজেই আপনি সেই ডোমেইন গুলো পেয়ে যেতে পাড়বেন, আর ডোমেইন থেকে হ্যাকার সম্পর্কে অনেক তথ্য খুঁজে পেতে পাড়বেন। আইপি থেকে ডোমেইন খোঁজে পাওয়াকে রিভার্স আইপি লুকাপ।
এক্ষেত্রেও অনেক অনলাইন ফ্রী টুল রয়েছে, যারা আইপি অ্যাড্রেস থেকে এর সাথে লাগানো ডোমেইন নেম খুঁজে বেড় করে দিতে সাহায্য করে। হ্যাকার অনেক সময় রিমোট কম্পিউটার ব্যবহার করে হ্যাকিং করতে পারে, আর রিমোট কম্পিউটারে ডোমেইন লাগানো থাকাটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
বিশেষ করে শেয়ারড হোস্টিং গুলোতে এক আইপি অ্যাড্রেসের পেছনে অনেক গুলো ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে। আমি কিছু বেস্ট ওয়েবসাইটের নাম লিস্ট দিচ্ছি, যেগুলোতে জাস্ট আপনার খুঁজে পাওয়া আইপি অ্যাড্রেসটি বসিয়ে দিতে হবে। তারপরে টুলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেছনের সকল ডোমেইন নাম গুলো বেড় করে দেবে।

রিভার্স আইপি অ্যাড্রেস চেক করার জন্য আপনি ViewDNS.info Reverse IP Lookup, What is my IP Reverse DNS Lookup, Domain Tools Reverse IP Lookup — ইত্যাদি অনলাইন টুল গুলো ব্যবহার করতে পারেন। রেজাল্টকে নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই দুই তিনটি টুল দ্বারা একের পর এক স্ক্যান করবেন, হতে পারে নতুন ডোমেইন গুলো কোন স্ক্যান লিস্টে ধরা পরে নি, তবে একটা না একটাতে ঠিকই ধরা পড়বে। যদি আইপি অ্যাড্রেসটি থেকে ডোমেইন খুঁজে পান, সেক্ষেত্রে ডোমেইন গুলোর হুইজ রেকর্ড চেক করে সহজেই ডোমেইন রেজিস্টারারের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ইমেল অ্যাড্রেস ইত্যাদি খুঁজে পেয়ে যাবেন।
আইপি স্প্যাম/ব্ল্যাকলিস্ট চেক
যখন আপনি আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং করবেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চেক করে নিতে হবে, আইপিটি ব্ল্যাকলিস্টেড বা স্প্যাম আইপি হিসেবে ফ্ল্যাগ করা রয়েছে কিনা। অনেক সময় হ্যাকার নিজের কম্পিউটার বা নিজের সার্ভার থেকে হ্যাক অ্যাটাক না চালিয়ে হ্যাক করা কম্পিউটার থেকে আরো কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য অ্যাটাক চালিয়ে থাকে।
এই হ্যাক করা কম্পিউটার গুলোকে জম্বি কম্পিউটার বা বটনেট বলা হয়। বটনেট থেকে সাধারণত স্প্যাম মেইল পাঠানো হয়, তাই ঐ কম্পিউটার আইপি অ্যাড্রেস গুলো স্প্যাম আইপি হিসেবে ফ্ল্যাগ করা থাকে, আবার কম্পিউটার গুলো থেকে অনেক টাইপের ম্যালিসিয়াস অ্যাক্টিভিটি চালানোর জন্য ঐ আইপি অ্যাড্রেস অনেক কোম্পানি ব্ল্যাকলিস্টেড করে রাখে।

যদি আপনার খুঁজে পাওয়া আইপি অ্যাড্রেস স্প্যাম আর ব্ল্যাকলিস্টেড উভয়ই রেজাল্ট প্রদর্শন করে, তবে হতে পারে সেটা হ্যাকারে কম্পিউটার নয়, বরং বটনেট থেকে আপনাকে হ্যাকার হ্যাক করার চেষ্টা করেছিলো, যতোই হোক সেটা রিয়াল আইপি অ্যাড্রেস, এতে আপনি হ্যাকারকে খুঁজে পাবেন না।
অনেক অনলাইন ফ্রী আইপি ব্ল্যাকলিস্ট/স্প্যাম চেকিং টুল রয়েছে, যেখানে সহজেই আইপি হেলথ চেক করতে পাড়বেন। আমি কিছু টুলের লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি, এগুলো ট্র্যায় করতে পারেন, তবে আপনি চাইলে অনলাইন থেকে আরো অনেক টুল খুঁজে পেতে পাড়বেন। MutiRBL, IPVoid, Metadefender — ইত্যাদি টুল গুলোর সাহায্যে আপনি আইপি অ্যাড্রেস ব্ল্যাকলিস্ট বা স্প্যাম লিস্ট চেক করতে পাড়বেন। এই সাইট গুলো একসাথে অনেক গুলো ডাটাবেজ স্ক্যান করে তারপরে আপনাকে রেজাল্ট প্রদর্শিত করে, বেস্ট রেজাল্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই একাধিক টুল ব্যবহার করুণ।
তাছাড়া আপনার টার্গেটেড আইপি অ্যাড্রেসটিতে কোন ম্যালওয়্যার হোস্ট করা রয়েছে কিনা, সেটা চেক করতে ভাইরাস টোটাল ওয়েবসাইট থেকে স্ক্যান করাতে পারেন।
হ্যাকারের আইপি অ্যাড্রেসে রিপোর্ট করুণ
কোন আইপি অ্যাড্রেস কখন কোথায় কোন ব্যাক্তিকে দেওয়া হয়েছিল, সেটা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার খুব ভালো করেই জানে। আর আপনি উপরের তদন্ত গুলো চালানোর পরে অবশ্যই আইপি অ্যাড্রেসটি সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন।
এবার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আইপি অ্যাড্রেসটির বিরুদ্ধে আইএসপির কাছে রিপোর্ট করা। আপনি আপনার ফায়ারওয়াল লগ এবং আরো অ্যাটাক প্রমাণ পত্রের স্ক্রীনশট নিয়ে আইএসপির কাছে মেইল করতে পারেন। আইপি সংক্রান্ত যোগাযোগ ঠিকানা বিশেষ করে ঐ আইপির হুইজ থেকে পেয়ে যাবেন।

আমি স্ক্রীনশটে ডোমেইন টুলস থেকে সাধারণভাবে আইপি অ্যাড্রেস প্রবেশ করিয়েছি, আর হুইজ রেকর্ড থেকে আইএসপির সাথে যোগাযোগ করার ইমেইল ঠিকানা পেয়ে গেছি। এভাবে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন, আর প্রমাণ পত্র নিয়ে তাদের মেইল করে দিতে পারেন, এতে হ্যাকারের আইপি অ্যাড্রেস ব্যান করে দেওয়া হতে পারে।
অনেক হুইজ রেকর্ডে ফোন নাম্বার পাওয়া যায়, সেখানে কল করে আপনি সরাসরি আইএসপির সাথে কথা বলতে পারেন। যদি আপনার কাছে স্প্যাম মেইল আসে, সেক্ষেত্রে আপনার স্প্যাম মেইলটির লগ ফাইল আট্যাচ করে আইএসপিকে মেইল করতে পারেন। আর বড় হ্যাক অ্যাটাকে তো অবশ্যই পুলিশকে খবর দিতে হবে।
আশা করছি, আজকের স্টেপ বাই স্টেপ প্রসেসে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং বা তদন্ত সংক্রান্ত আর্টিকেলটি আপনার বেশ উপকারে এসেছে, আমি হয়তো অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পেড়েছেন, আর প্রথম আইপি ট্র্যাক করার অভিজ্ঞতাও হয়তো আপনার হয়ে গেলো।
সামনের কোন আর্টিকেলে আরো অ্যাডভান্স ট্র্যাকিং নিয়ে আলোচনা করবো, আরো গভীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করবো, কিন্তু সেই পর্যন্ত আপনাদের ওয়্যারবিডিের সাথেই থাকতে হবে! আপনার যেকোনো প্রশ্নে আমাকে নিচে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কমেন্ট করতে পারেন।
WiREBD এখন ইউটিউবে, নিয়মিত টেক/বিজ্ঞান/লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও গুলো পেতে WiREBD ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুণ! জাস্ট, youtube.com/wirebd — এই লিংকে চলে যান এবং সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুণ!
ইমেজ ক্রেডিটঃ By F8 studio Via Shutterstock
WOWOW!!!! Interesting TOPIC VAI. Ekhon Baire achi. Pocket app e niye Nilam… basay eshe porchi.. But Article Body Dekhei mone hocce awesome and exiting kicu sikhte jabo aj. Thanks.
অবশ্যই অনেক মজার তথ্য রয়েছে এই আর্টিকেলটিতে!! সময় নিয়ে অবশ্যই পড়বেন 😀
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই!!
আর্টিকেলটি এক নিশ্বাসে শেষ করলাম আর বরাবরের মতোই অনেক অনেক অনেক কিছু জানলাম। এবার প্রাকটিকাল করে দেখতে হবে 🙂 অনেক রোমাঞ্চকর একটি আর্টিকেল ছিল। আর আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেছেন… আপনার ব্যাখ্যা পদ্ধতি সত্যি অনেক প্রশংসনীয়। আপনাকে লাখো কোটি ধন্যবাদ না দিয়ে আর পাড়লাম না। অনেক ভালো লেগেছে ভাই। আমি জানতে ভালোবাসি আর আপনি জানাতে ভালোবাসেন তাই আমি আপনাকে ভালোবাসি 🙂 ভালো থাকবেন অনেক ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 🙂
এভাবেই সাথে থাকুন, সাপোর্ট করুণ! আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো সর্বদা !!
onek valo legese via.
but hacker jodi VPN use koer then amader ki ar kicu korar nei? sekhetre kivabe Tracking somvob hobe? eta jodi ektu explained korten via…!! All-in-one Best article via. Thanks.
ভাই ভিপিএন ব্যবহার করলে অনেক মুশকিল হয়ে যায় ট্র্যাকিং, বিশেষ করে আমাদের কাছে, যেহেতু আমাদের কাছে তেমন স্পেশাল টুল থাকে না। তবে পুলিশ বা এফবিআই চাইলে ট্র্যাক করতে পারে।
WoW, Really Great Article Brother. Wants More and more hacking post like that. Sayed pappu bro to ar article likhe na. please apni chaniye jan vai.
সাথেই থাকুন ভাই, আমি তো প্রতিনিয়তই আর্টিকেল পোস্ট করে যাচ্ছি 🙂
আপনার এই আর্টিকেল শুধু টেকনোলজি নলেজ বৃদ্ধি নয় সাথে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলো। অনেক কিছু জানলাম এই আর্টিকেল থেকে বিশেষ করে জানলাম কীভাবে হ্যাকিং হতে পারে এবং আরো অনেক ব্যাপার সাপার। এত জটিল ব্যাপার গুলোকে আপনি অনেক সহজ করে দেন যেটা আমাদের প্রত্যেকের অনেক ভালো লাগে। আপনার সত্যি অনেক বিশাল ক্ষমতা রয়েছে আর আপনি একজন মহা বিজ্ঞ ব্যাক্তি। বছর ৩ ধরে এই ব্লগের সাথে রয়েছি আর আজীবন এই যাত্রা বজায় থাকবে। আপনার অলসবিহীন মানসিকতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি ভাই।
স্যালুট আপনাকে
আপনাদের ভালো লেগেছে, আপনারা উপকৃত হয়েছেন সেটা জেনেই আমি আনন্দিত!! আমি সার্থক !!
apnar post internetlinking method onek vala laga. sokol important article fast find hoy.
THANKS A LOT BHAI.
এই জন্যই তো ইন্টারনাল লিঙ্কিং করা ভাই, যাতে অনেক সহজেই আপনারা রিলেটেড কনটেন্ট গুলো খুঁজে পেতে পারেন!
ধন্যবাদ!
Useful information….
its explained in simple language is really appreciative…………
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 🙂
গ্রেট বস ????????????????????????????????????????
😀
Dude you are awesome
ধন্যবাদ ভাই!! আপনি ও অসাধারণ 🙂
How do I find someone’s real name and street address based on their IP address?
সম্ভব নয়! আইএস্পি ছাড়া কেউ জানবে না!
NIce article 🙂
ধন্যবাদ 🙂
that’s why I always use vpn. it is very good for security. but I never do crime with that. thanks for this helpful article.
হ্যাঁ, সিকিউরিটির জন্য ভিপিএন আবশ্যক, বাট ক্রাইম করার চিন্তা করে লাভ নাই, হয়তো আমরা ট্রেস করতে পারবো না, কিন্তু পুলিশ সবই পাড়বে।
আমার এইচপি ল্যাপটপ হারিয়ে গেছে সেটা কীভাবে ট্র্যাক করবো? কোন ভাবে সম্ভব হলে দয়া করে জানাবেন।
অসাধারণ বস !!
আপনি নাম্বার ১ !! আপনার কাছে এখনো অনেক কিছু জানতে হবে !! আশা করি আমাদের উজার করে সেখাবেন ।
আমি সর্বদা আমার সম্পূর্ণ জ্ঞানই বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি 🙂
খুবই তথ্য বহুল পোস্ট।
বরাবরের মতো ফাটিয়ে দিয়েছেন। ????
থ্যাংকস
আপনাকেও ধন্যবাদ!
বাট, আজাকাল আপনি তো আর কমেন্টই করেন না!
aponi pure genius brother. ekta request ace vai..(ethical hacking course ta plzz druto korun. asolei onek mojar sikhte esob) druto koren plzz.
ভাই কালের মধ্যে এথিক্যাল হ্যাকিং এর নতুন পর্ব চলে আসবে 🙂
i have to say that your blog is the best
ধন্যবাদ ভাই!!
Otuloniyo chilo article ti. Vai
😀
Thanks for sharing.
It was very much informative.
Thanks 🙂
awesome article. thanks. we wants more hacking tutorials. ASAP
অবশ্যই 🙂
ফেসবুকে আমার সাথে কোনো ফ্রেন্ড চেটিং করলে আমি তার আই পি টা কিভাবে বের করবো?
অপরিচিত কোনো নাম্বার থেকে যদি কল আসে তাহলে সেই কলােরের IEMI টা কিভাবে পাবো এবং কিভাবো Track করবো?
লেট রিপ্লাই করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!
ফেসবুকে চ্যাটিং থেকে আইপি অ্যাড্রেস পেতে অবশ্যই আপনাকে তাকে কিছু ফটো বা ফাইল সেন্ড করতে বলতে হবে। তারপরে সেই সময় আপনাকে ওয়্যারসার্ক ব্যবহার করে ট্র্যাফিক রেকর্ড করতে হবে, সেই রেজাল্ট থেকে আইপি অ্যাড্রেস পেয়ে যাবেন। যদি চান আমি এ নিয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল পাবলিশ করি, অবশ্যই এই কমেন্ট রিপ্লাই করবেন।
আর কলারের আইএমইআই পাওয়া সম্ভব নয়, সেটা কলের সাথে যুক্ত হয়ে আসে না, এই সম্পর্কে সেল কোম্পানি ছাড়া আর কেউ জানে না।
~ধন্যবাদ!
তাহমিদ বোরহান ভাইয়া অসম্ভব রকমের ভালো লেগেছে আর্টিকেলটি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই!
তাহমিদ বোরহান ভাইয়া চমৎকার পোস্ট। অনেক তথ্যবহুল সমৃদ্ধ। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Vai amar internet IP jodi sob site ba jar sathe jogajog kori tar kache thake othoba dhorun kew amar IP address ba MAC address anyhow manage korlo tahole se amar computer HDD or amar computer a thaka sign in kora account gulo access korte parbe? Jodi kew access korte pare tahole koronio ki?
ভাইয়া একটা ফেইক ফেইজবুক আইডি হতে আমি প্রতারিত হয়েছি।
ঐ আইডির লোকেশন জানা যাবে??গ
টর ব্যবহার করলে কি সেটা বের করার কোনো সম্ভাবনা আছে?
thanks vai
অনেককিছু জানতে পারলাম। আন্তরিক ধন্যবাদ এবং দোয়া রইল তাহমিদ ভাই।
এক কথায় দারুন।।
ধন্যবাদ
আনেক কিছু শিখতে পারলাম