নতুন লিনাক্স ইউজার? এই বেস্ট লিনাক্স অ্যাপলিকেশন গুলো ট্র্যায় করুণ! [ওয়্যারবিডি লিনাক্স প্যাক]

আপনি হয়তো নতুন কম্পিউটার ইউজার নন, কিন্তু লিনাক্সে নতুন, সেক্ষেত্রে কোন কাজের জন্য বেস্ট অ্যাপলিকেশন খুঁজে পাওয়া একটু মুশকিলের কাজ। লিনাক্সের জন্য লাখো সফটওয়্যার বা অ্যাপ রয়েছে, কিন্তু সঠিক কাজের সঠিক সফটওয়্যার খুঁজে পাওয়া খুব সহজ বিষয় নয়। লিনাক্সের অনেক ডিস্ট্রিবিউশন রয়েছে, আর আলাদা আলাদা ফ্লেভারের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাপ রয়েছে, আর অ্যাপ খোঁজার কাজটা অনেক সময় ঝামেলার তৈরি করতে পারে।

ওয়্যারবিডি লিনাক্স প্যাক থেকে আপনি আপনার কাজ অনুসারে কিছু অপরিহার্য লিনাক্স অ্যাপলিকেশন লিস্ট পেয়ে যাবেন, যেগুলো আপনার নির্দিষ্ট কাজের সহজ রাস্তা খুলতে সক্ষম হতে পারে। লিনাক্স অ্যাপ বলে যে পুরাই আজব হবে এমনটা নয়, এই লিস্টের অনেক সফটওয়্যার উইন্ডোজ, ম্যাক এবং আলাদা ওএস এর জন্যও রয়েছে। তবে এই লিস্টটি বিশেষ করে তাদের খুব উপকারে আসবে যারা সম্পূর্ণ নতুন লিনাক্স ইউজার।

এই সফটওয়্যার প্যাকে বিশেষ করে হাইলাইট করা হয়েছে — লিনাক্স ওয়েব ব্রাউজার গুলোকে, ডাউনলোড ম্যানেজারপ্রোডাক্টিভিটি টুলসমিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলকমুনিকেশন টুলস এবং আরো বোনাস তো থাকছেই!

বেস্ট লিনাক্স অ্যাপলিকেশন

ম্যাক ওএস এবং উইন্ডোজ ওএস থেকে লিনাক্স সম্পূর্ণ আলাদা, লিনাক্সের অনেক ফ্লেভার রয়েছে আর আলাদা আলাদা ফ্লেভারে আলাদা আলাদা অ্যাপ আগে থেকেই ইন্সটল করা রয়েছে, কিন্তু আমি মনে করি, আপনার সেই অ্যাপ ইউজ করা উচিৎ যেগুলো আপনি ইউজ করতে বেশি পছন্দ করেন। যদি সঠিক অ্যাপ লিস্ট থাকে আপনার কাছে সেক্ষেত্রে সহজেই একটি হ্যাপি লিনাক্স মেশিন বানানো যেতে পারে।

এই লিস্টের অ্যাপ গুলো আমি নিজে ইউজ করেছি, আর অনেক অ্যাপের মধ্যে আমার কাছে এই অ্যাপ গুলো সেরা মনে হয়েছে। আর আপনি নিশ্চয় জানেন, লিনাক্স ছোটখাটো কোন জিনিষ নয়, এর লাখো কোটি অ্যাপলিকেশন রয়েছে, তাই আপনার কাছে যদি নির্দিষ্ট কাজের জন্য আরো বেটার অ্যাপ লিস্ট থাকে, অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের সাহায্য করুণ, এই আপনার অ্যাপটি এই আর্টিকেলে যুক্ত করে দেবো।

ওয়েব ব্রাউজার

এমন কম ইউজার রয়েছে আজকের দিনে যাদের ওয়েব ব্রাউজার প্রয়োজন পড়ে না। যদিও লিনাক্সের প্রায় যেকোনো ফ্লেভারের সাথে মোজিলা ফায়ারফক্স বিল্ডইন ভাবে পাওয়া যায়, কিন্তু আপনার পছন্দ আলাদা হতে পারে, আর আপনি এক্ষেত্রে নিরাশ হবে না, কেননা উইন্ডোজ আর ম্যাকের জন্য বেস্ট ওয়েব ব্রাউজার গুলো লিনাক্সের জন্যও লভ্য রয়েছে।

গুগল ক্রোম

আমি জানি, আমার একার পছন্দ নয়, দুনিয়ার সবচাইতে ইউজার পছন্দের ব্রাউজার হচ্ছে এই গুগল ক্রোম, তাহলে বেস্ট লিনাক্স অ্যাপলিকেশন লিস্টে একে তো রাখতেই হবে। ক্রোম যেকোনো ওএস এর জন্য বেস্ট এবং পাওয়ারফুল একটি ব্রাউজার, রেগুলার ইন্টারনেট ইউজার থেকে শুরু করে ওয়েব ডেভেলপার পর্যন্ত, ক্রোম ছাড়া এক দিন ও চলা মুশকিল। যদি আপনি গুগল ইকোসিস্টেমের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ক্রোম ইউজ না করার কোন কারণ নেই। তাছাড়া ক্রোমিয়াম ব্রাউজারও ট্র্যায় করতে পারেন। ক্রোমিয়াম ওপেন-সোর্স এবং বেস্ট ক্রোম অলটারনেটিভ একটি ব্রাউজার।

ক্রোমিয়াম প্রোজেক্ট এবং গুগল ক্রোম ব্রাউজারের মধ্যে পার্থক্য কি?

ফায়ারফক্স

গুগলের প্রাইভেসি উদাসীনতার জন্য যদি ক্রোম ভালো না লাগে, সেক্ষেত্রে মোজিলা ফায়ারফক্স এক বাক্যে ইউজ করতে পারেন। এটি অনেক দিন থেকে রয়েছে এবং নিয়মিত আপডেট প্রদান করে, আর একে আলাদা করে লিনাক্স সিস্টেমে ইন্সটল করারও প্রয়োজন পড়বে না, বেশিরভাগ ফ্লেভারে এটি বিল্ডইনভাবেই ইন্সটল করা রয়েছে।

ভিভাল্ডি

ক্রোমিয়াম প্রজেক্টের উপর তৈরি করা বেস্ট এবং সম্পূর্ণ ফ্রেস লুকিং একটি ব্রাউজার হচ্ছে এই ভিভাল্ডি, আপনি একে একবার ব্যবহার করলেই প্রেমে পড়বেন এতে কোনই দ্বিতীয় কথা নেই। আর লিনাক্স ইউজার বলে এই ব্রাউজার ইউজ করতে পারবেন না, এমনটা প্রশ্নতেই আসে না। ব্রাউজারটি অনেকভাবে ক্যাস্টমাইজ করা যাবে এবং এই লাইটওয়েট তাই লো কনফিগ সিস্টেমেও কম রিসোর্সে স্মুথভাবে চলতে পারে ব্রাউজারটি। উইন্ডোজ ইউজারদের জন্য এখানে বোনাস হিসেবে থাকছে — ৫টি ক্রোমিয়াম নির্ভর ব্রাউজার, সেগুলো গুগল ক্রোম থেকেও ভালো!

ডাউনলোড ম্যানেজার

যদি বলি উইন্ডোজ ইউজারদের কথা, সেক্ষেত্রে প্রায়ই উইন্ডোজ ইউজার’রা আইডিএম ফ্রী চালানোর কায়দায় লেগে থাকেন! লিনাক্সে আইডিএম সরাসরি সমর্থন করে না, কিন্তু আইডিএম অলটারনেটিভ অনেক পাওয়ারফুল ডাউনলোড ম্যানেজার রয়েছে লিনাক্সের জন্য। তো ডাউনলোড পাগলাদের জন্য লিনাক্স মোটেও নিরাশার জিনিষ নয়। লিনাক্স আলাদা ফ্লেভার গুলোর জন্য আলাদা আলাদা ডাউনলোড ম্যানেজার পাওয়া যায়, অনেক সময় আমার মনে হয় উইন্ডোজ থেকেও মনে হয় লিনাক্সের জন্য বেশি ডাউনলোড ম্যানেজার রয়েছে। যাই হোক, আমার কাছে দুইটি লিনাক্স ডাউনলোড ম্যানেজার সেরা মনে হয়েছে।

ইউগেট

লিনাক্সের জন্য ইউগেট ডাউনলোড ম্যানেজার একটি বেস্ট সলিউশন হতে পারে। এটি একটি ওপেন সোর্স ডাউনলোড ম্যানেজার এবং একটি ডাউনলোড ম্যানেজার থেকে আপনি যা যা আশা রাখতে পারেন এর প্রত্যেকটিই রয়েছে এই ইউগেত ডাউনলোড ম্যানেজারে। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে এটি ডাউনলোড করার সময় মাল্টি কানেকশন ইউজ করে ডাউনলোড করে ঠিক আইডিএম এর মতো, তাই এটি অনেক দ্রুত ফাইল ডাউনলোড করতে পারে। অ্যাডভান্স ডাউনলোড অপশন, ফাইল রিজিউম ইত্যাদি সহ সকল প্রকারের সুবিধা পেতে পারবেন এই ডাউনলোড ম্যানেজার থেকে।

এক্সডিএম

লিনাক্স মানেই আপনাকে বেশিরভাগ সময় ওপেন-সোর্স সফটওয়্যারের সাথে ডিল করতে হবে, আর ওপেন-সোর্স = ভালোবাসা! এক্সডিএম বা এক্সট্রিম ডাউনলোড ম্যানেজার একটি ওপেন-সোর্স ও পাওয়ার ডাউনলোড ম্যানেজার। এটিতেও একটি ডাউনলোড ম্যানেজার সফটওয়্যারের সকল বেসিক জিনিষ রয়েছে, ভিডিও গ্রাব করার সুবিধা তো থাকছেই, মানে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়ায়।

প্রোডাক্টিভিটি

আপনি সর্বদায় সে সকল অ্যাপ গুলোকে সবচাইতে বেশি পছন্দ করি, যেগুলো ফাস্ট কাজ করে এবং লাইট ওয়েট হয়ে থাকে। প্রোডাক্টিভিটি সেকশনে কোন অ্যাপলিকেশনকে লাইট ওয়েট হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই এখানে বেস্ট লাইট ওয়েট অ্যাপ গুলোকেই সাজিয়েছি। লিনাক্সের জন্য অনেক প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপলিকেশন রয়েছে যেগুলোর কিছু কিছু আপনি উইন্ডোজ এবং ম্যাক ওএস এর ক্ষেত্রেও দেখতে পাবেন।

লিব্রাঅফিস

এখন আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, “আপনি অফলাইন ওয়ার্ড প্রসেসর হিসেবে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেন?” — তাহলে আমার এক কথার উত্তর হচ্ছে, লিব্রাঅফিস (LibreOffice)। সফটওয়্যারটি এমএস অফিসের মতো এতোবেশি পাওয়ারফুল না হলেও একটি ফ্রী অফিস থেকে যা যা পাওয়ার আশা করা যেতে পারে সবকিছুই রয়েছে এতে। বোনাস হিসেবে সফটওয়্যারটি ওপেন সোর্স এবং লাইট ওয়েট, যেখানে উইন্ডোজের মাইক্রোসফট অফিস সেই পরিমাণে হেভি একটি সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনি ওয়ার্ড প্রসেস, স্প্রেডশিট তৈরি, প্রেজেন্টেশন তৈরি, ডাটাবেজ, ফর্মুলা এডিট, ভেক্টর গ্রাফিক্স এডিট করার কাজ করতে পারবেন, মানে বুঝতেই পারছেন এটি একটি অল-ইন-ওয়ান ফ্রী অফিস সলিউশন!

ডাবলুপিএস অফিস

লিনাক্সে লিব্রাঅফিস চালিয়ে চালিয়ে যদি বোর হয়ে নতুন কিছু চালানোর চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে ডাবলুপিএস অফিস বেস্ট অলটারনেটিভ হতে পারে। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমেও আপনি ওয়ার্ড এডিট, প্রেজেন্টেশন তৈরি, স্প্রেডশিট তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ইউজার’রা হয়তো আগে থেকেই এই সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত রয়েছেন।

মিডিয়া

আমার মনে হয় না কম্পিউটার কখনো এতোটা জনপ্রিয়তা লাভ করতো, বিশেষ করে পার্সোনাল কম্পিউটার, যদি এতে মাল্টিমিডিয়া সুবিধা না থাকতো। অনেকে তো মিউজিক আর মুভি দেখার জন্যই কম্পিউটার ব্যবহার করেন। তৃতীয়পক্ষ মিডিয়া সফটওয়্যার গুলো না থাকলে কম্পিউটারে মাল্টিমিডিয়া আর কখনোই আগের মতো থাকতো না।

ভিএলসি

আমার মনে হয় না, আপনাকে ভিএলসি প্লেয়ারের সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এটি একটি সিম্পল, অসাধারণ, পাওয়ারফুল, লাইট ওয়েট, এবং ফাস্ট প্লেয়ার। ভিএলসি ইন্সটল করার সাথে কোন আলাদা ডিকোডার প্যাক ইন্সটল না করেই এটি প্রায় যেকোনো ফরম্যাট এবং কোডেক গুলো ডিকোড করতে পারে। একজন মুভি লাভার হিসেবে জিবনে অনেক টাইপের মিডিয়া ফরম্যাটের সম্মুখীন হয়েছি, ভিএলসি প্রায় প্রত্যেক ফরম্যাট ফাইলকে মাখনের মতো প্লে করেছে। আপনি উইন্ডোজ ইউজ করুণ আর লিনাক্স, ভিএলসি রয়েছে সবখানে।

ললিপপ

এটি মূলত নতুন একটি মিউজিক প্লেয়ার, কিন্তু অবশ্যই ওপেন সোর্স এবং অসাধারণ সুন্দর ও সাধারণ ইউজার ইন্টারফেসের অধিকারী। এটি একটি সাধারণ ইউজিক প্লেয়ার তাই এতে অনেক অ্যাডভান্স ফিচার তো পাবেন না, কিন্তু অবশ্যই ট্র্যায় করা দরকারি। তাছাড়া মিউজিক প্লেয়ার হিসেবে আপনি রিদমবক্স ও ইউজ করতে পারেন, যদিও প্লেয়ারটি বিশেষ করে GNOME desktop environment এর সাথে কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে কিন্তু এটি যেকোনো desktop environment এই চলতে পারে। বেসিক মিউজিক প্লেয়ার হিসেবে এতে সবকিছুই রয়েছে।

অডাসিটি

এটি কোন মিউজিক প্লেয়ার নয়, বরং একটি অডিও এডিটিং সফটওয়্যার, সফটওয়্যারটি ফ্রী আর ওপেন সোর্স কিন্তু অনেক পাওয়ারফুল একটি টুল। শুধু অডিও রেকর্ড নয়, এটি অডিও এডিট, মিক্স, নয়েজ দুর করা, অডিওকে এনহ্যান্স করা সহ অনেক কাজে লাগানো যেতে পারে। আমার ইউটিউব ভিডিও এর অডিও এডিট করার জন্য এই টুলটি সবসময়ই ব্যাবহার করে থাকি।

ফটো এডিটর

ফটো এডিট করার জন্য প্রফেশনাল এডিটর হতে হবে না, আপনার নিজের প্রয়োজনেও আপনাকে এডিট করতে হতে পারে তাই কম্পিউটারে এডিটর সফটওয়্যার থাকা আবশ্যক। উইন্ডোজ কম্পিউটার হলে অ্যাডবি ফটোশপ এর দ্বিতীয় আর কিছুই নাই, যদিও লিনাক্সেও ফটোশপ ইউজ করা যায়, কিন্তু অনেক ফ্রী সলিউশন রয়েছে যেগুলোকে এই লিস্টে আমি আগে রাখবো।

গিম্প

লিনাক্সে ফটো এডিট করার প্রসঙ্গ উঠবে আর গিম্প বাদ পড়বে এমনটা কি হতে পারে নাকি? গিম্প ওপেন সোর্স, ফুল ফিচার্ড এবং অবশ্যই ফ্রী প্রফেশনাল একটি সফটওয়্যার। এতে আপনি অনেক টুলস পেয়ে যাবেন যাদের কাজে লাগিয়ে ইমেজকে অসাধারণ লুক দিতে পারবেন। অ্যাডোবি ফটোশপ হয়তো একটু সোজা বা বলতে পারেন আপনার ফটোশপের সাথে অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে, কিন্তু প্রায় আপনি যেকোনো টাইপের ফটো এডিট এই গিম্প দিয়েও করতে পারবেন। পূর্বে যেকোনো ফটো এডিটর ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা থাকলে গিম্প ইউজ করতে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

ক্রিটা

এটি মূলত একটি পেইন্টিং টুল কিন্তু এতে আপনি ফটো ও এডিট করতে পারবেন, তাছাড়া এতে অনেক অ্যাডভান্স টুলস রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে অসাধারণভাবে এডিট সম্পূর্ণ করা যেতে পারে।

কমিউনিকেশন

কমিউনিকেশনের জন্য লিনাক্সে রয়েছে স্ক্যাইপ এবং গুগল হাংআউটস। লিনাক্সের জন্য স্ক্যাইপের ব্র্যান্ড নিউ ডেক্সটপ ক্ল্যায়েন্ট রয়েছে, তাই লিনাক্সে স্ক্যাইপ ইউজ করতে আপনার কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আপনারা অবশ্যই আগে থেকেই জানেন এটি সরচাইতে জনপ্রিয় চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম এবং অনেকে প্রধান বিজনেস সলিউসন হিসেবে স্ক্যাইপই ব্যবহার করে।

তাছাড়া লিনাক্সের জন্য রয়েছে নানান ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং ক্লায়েন্ট, যেমন পিডগিন, ফ্রানয, র‍্যামবক্স – ইত্যাদি এরা একসাথে অনেক চ্যাট প্ল্যাটফর্মকে সাপোর্ট করে থাকে। তাছাড়া সফটওয়্যার গুলোকে সেটআপ করে নেওয়া পানির মতো সহজ। আপনি গুগল টক, ইয়াহু এমনকি আইআরসি সিস্টেমেও এই ক্লায়েন্ট গুলোতে ম্যাসেজিং করতে পারবেন।

একটি সিঙ্গেল আর্টিকেলে সকল সফটওয়্যার গুলোকে লিপিবদ্ধ করানো সম্ভব নয়, কিন্তু নতুন ইউজারদের জন্য প্রাথমিকভাবে অবশ্যই এই লিনাক্স অ্যাপলিকেশন গুলো বেশ কাজের। আপনি কোন ডিস্ট্র ব্যবহার করছেন সে অনুসারে সফটওয়্যার গুলোর ইন্সটলেশন প্রসেস আলাদা আলাদা হবে। আবার অনেক সফটওয়্যার আগে থেকেই আপনার লিনাক্স ফ্লেভারে ইন্সটল করা রয়েছে হয়তো। আপনি চাইলে এই সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করে দেখতে পারেন, যদি ভালো না লাগে আন-ইন্সটল করে দিতে পারেন। নেক্সট আরো আর্টিকেল আসবে যেখানে আরো লিনাক্স প্যাক শেয়ার করবো আর কোনটা না হয় কোনটা কাজে লেগে যাবেই আপনার!

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories