উইন্ডোজ ফোন কেন ব্যর্থ হয়েছিলো? আসল কারণ গুলো জানা আছে কি?

২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মাঝের দিকের সময়টা মনে আছে, যখন অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনের পাশাপাশি মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন নামেও কিছু একটার অস্তিত্ব ছিলো? উইন্ডোজ ফোনের শুরুর দিকে যখন নোকিয়া লুমিয়া ডিভাইসগুলো এসেছিলো উইন্ডোজ ফোন  ৮ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে, তখন মাইক্রোসফট খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি এর অবিশ্বাস্যরকম লিমিটেশন, হাই প্রাইস, অ্যাপ-গ্যাপ এবং আনস্ট্যাবল ওএস এর কারনে।

বাইরের দেশগুলোতে কিছুটা সাড়া পেলেও, বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার মতো দেশগুলোতে এসব নোকিয়া লুমিয়া ডিভাইসগুলো বিক্রি হয়নি বললেই চলে। তবে এর প্রায় ১ বছর পরে মাইক্রোসফট কিছুটা ইম্প্রুভড বিজনেস প্ল্যান, নিজেদের ব্র্যান্ডিং এর আন্ডারে নতুন ডিভাইস ফ্যামিলি এবং উইন্ডোজ ফোন ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আবার স্মার্টফোনের বাজার ধরার চেষ্টা করে।

তবে অবশেষে মাইক্রোসফট আবারও ব্যার্থ হয়। কিন্তু ঠিক কি কারনে? কি ভুল ছিলো মাইক্রোসফটের? মাইক্রোসফটের কি আদৌ সাকসেসফুল হওয়ার কোন চান্স ছিলো? আজকে এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা যাক।


ব্যাক হিস্টোরি

একটু আগে থেকেই শুরু করা যাক। আমরা সবসময়ই দেখে এসেছি যে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন পৃথিবীর সবথেকে সাকসেসফুল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজ ফোন বাজারে রিলিজ হওয়ার বেশ কয়েক মাস পরেও উইন্ডোজ ফোন শুধুমাত্র স্মার্টফোন বাজারের প্রায় ১% কভার করতে পেরেছিলো যদি খুব বেশি বলা হয়।

যদিও এরপরে উইন্ডোজ ফোনের মার্কেট শেয়ার সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা বেড়েছিলো, তবে সেটাও খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিমানে নয়। প্রথমদিকে, অর্থাৎ উইন্ডোজ ফোন যখন প্রথম প্রথম বাজারে এসেছিলো, তখন স্মার্টফোন বাজারের ৮৪% ই ছিলো অ্যান্ড্রয়েডের দখলে। তাই প্রথমদিকেই উইন্ডোজ ফোনকে বাজারে এনে গ্রাহকদের কাছে কয়েকটি ইউনিটও সেল করা মাইক্রোসফটের কাছে ছিলো একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আমরা যদি আরও পেছনে যাই, তাহলে অনেকটা ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আপনি যদি ২০০৭-২০০৮ এর স্মার্টফোন মার্কেটের দিকে তাকান, যখন স্মার্টফোন বা সেইসময়ের টাচস্ক্রিন ফোন হাতে গোনা কয়েকটিই ছিলো, তখন মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ মোবাইল ওএস ছিলো সবথেকে বেশি ব্যাবহার করা এবং সবথেকে বেশি জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।

উইন্ডোজ ফোন এবং উইন্ডোজ মোবাইলকে একই ভেবে ভুল করবেন না, কারন এই দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। তবে উইন্ডোজ মোবাইল যখন এতই জনপ্রিয় ছিল, তাহলে কেন অ্যান্ড্রয়েড সেটির জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে সবথেকে সাকসেসফুল মোবাইল ওএস হয়ে গেল? কারনটি খুবই সহজ।

উইন্ডোজ মোবাইল ওএস ডিভাইসে ইমপ্লিমেন্ট করার জন্য মাইক্রোসফট ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারারদের মোটামোটি ভালো পরিমানের অ্যামাউন্ট চার্জ করতো, যেখানে অ্যান্ড্রয়েড ছিলো সম্পূর্ণ ফ্রি। এর ফলে যা হলো তা হচ্ছে, ফোন ম্যানুফ্যাকচারাররা অ্যান্ড্রয়েডের দিকে ঝুঁকে পড়লো এবং উইন্ডোজ মোবাইলের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সংখ্যা অবিশ্বাস্যরকম বেড়ে যেতে থাকলো।

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বেড়ে যেতে শুরু করলে অ্যাপ ডেভেলপাররাও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য তাদের অ্যাপগুলো তৈরি করতে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়লো। বাকিটা তো ধারণা করতে পারছেনই।

উইন্ডোজ ফোন

এরপর ২০১০ এর দিকে যখন অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন, স্মার্টফোন বাজারের প্রায় পুরোটাই দখল করতে শুরু করছে, তখনই মাইক্রোসফট সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদেরকে এই স্মার্টফোন বিজনেস নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে এবং তাদেরকে নতুন একটি ইউনিক এবং সলিড বিজনেস স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এগোতে হবে। তখনই মুলত তারা উইন্ডোজ ফোন ওএসটির ব্যাপারে ভাবে।

প্রথমত তারা উইন্ডোজ ফোন ৭ নিয়েই তাদের যাত্রা শুরু করলো। তবে সত্যি কথা বলতে তখন এই ওএসটি শুধুমাত্র একটি ভিত্তিহীন হাস্যকর মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। অবিশ্বাস্যরকম লিমিটেশন, হাতে গোনা কয়েকটি অ্যাপস, হাই প্রাইস ট্যাগ, আনরেসপনসিভ পারফরমেন্স, সবকিছু মিলিয়ে আসলে অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন ছেড়ে এই ওএসটি ব্যাবহার করার একটাও কারন ছিলো না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবারও মাইক্রোসফট গুরুতরভাবে ফেইল করলো।

এরপর মাইক্রোসফট ভেবেছিলো যে নোকিয়া ব্র্যান্ডিং এর আন্ডারে যদি তারা উইন্ডোজ ফোনগুলো রিলিজ করে, তাহলে হয়তো তারা গ্রাহকদের আরেকটু বেশি আকৃষ্ট করতে পারবে। কারন, আমরা সবাই জানি যে উপযুক্ত কিছু কারনেই সব মোবাইল ইউজারদেরই নোকিয়া নামটির প্রতি কিছুটা সফট কর্নার আছে যা অনেক ক্ষেত্রে ইউজারকে শুধুমাত্র ফোনটির নামের কারনে ফোনটি কিনতে বা ব্যাবহার করতে বাধ্যও করতে পারে।

তাই এবার মাইক্রোসফট কয়েকটি নোকিয়া উইন্ডোজ ফোন রিলিজ করলো নোকিয়া লুমিয়া নামে। ফ্ল্যাগশিপ লুমিয়া ৯৩০, লুমিয়া ১৫২০ থেকে শুরু করে মিডরেঞ্জ লুমিয়া ৮৩০, ৬৩০ ইত্যাদি অনেকগুলো মডেলই তারা মার্কেটে রিলিজ করলো। এবার তারা উইন্ডোজ ফোন ৭ থেকে তাদের ডিভাইসগুলোকে উইন্ডোজ ফোন ৮ এবং কয়েক মাস পরে উইন্ডোজ ফোন ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমেও আপগ্রেড করলো। নতুন অনেক ভালো ভালো ফিচারসও অ্যাড করলো এবং সাথে তখনকার সময়ের এককথায় বেস্ট ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্টানাও অ্যাড করলো উইন্ডোজ ফোন ৮.১ এ।

কিন্তু এতকিছুর পরেও মাইক্রোসফট ডেভেলপারদেরকে আগ্রহী করতে পারলো না এই অপারেটিং সিস্টেমটির পেছনে সময় ব্যায় করতে এবং ইউজারদেরকেও আগ্রহী করতে পারলো না অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন ছেড়ে উইন্ডোজ ফোন এবং উইন্ডোজ ফোন ওএস ব্যাবহার করতে।

কয়েকটি মেজর অ্যাপ ডেভেলপার যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এরা উইন্ডোজ ফোনের জন্য অ্যাপ ডেভেলপ করতে আগ্রহী হলেও অধিকাংশ অ্যাপ ডেভেলপাররাই আর উইন্ডোজ ফোনের পেছনে সময় ব্যায় করতে চাইলো না। কারন তখন উইন্ডোজ ফোন ইউজার ছিলো মাত্র ১%। তখন মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন এমন এক সমস্যায় পড়লো যেটিকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় Chicken and Egg সিচুয়েশন বলা হয়।

এখানে অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে মুরগী এবং অ্যাপস হচ্ছে ডিম। অপারেটিং সিস্টেমের ইউজার বেশি না হলে ডেভেলপাররা ওই ওএস এর জন্য অ্যাপ বানাবে না এবং যদি যথেষ্ট পরিমান অ্যাপ না থাকে তাহলে অপারেটিং সিস্টেমটি কেউ ইউজও করতে চাইবে না।

এরপর মাইক্রোসফট ভেবেছিলো সাউথ এশিয়ান দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার মতো দেশে তারা যদি কম দামে কয়েকটি লুমিয়া ডিভাইস রিলিজ করতে পারে তাহলে হয়তো তারা কিছুটা সাকসেসফুলও হতে পারে।

এবার তারা নোকিয়া ব্র্যান্ডিং বাদ দিয়ে নিজেদের নামে অর্থাৎ মাইক্রোসফট লুমিয়া নামে কয়েকটি মিডরেঞ্জ এবং বাজেট উইন্ডোজ ফোন রিলিজ করলো এশিয়ান মার্কেটে। কমদামে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন পাওয়া যাচ্ছে এই কারনে ২০১৮-২০১৫ এর দিকে এটি নিয়ে বেশ হাইপও তৈরি হয়েছিলো এশিয়ান মার্কেটে।

এইসময় মাইক্রোসফট বেশ ভালো পরিমান উইন্ডোজ ফোন বিক্রি করতে পেরেছিলো। মার্কেট শেয়ার কিছুটা বেড়েও গিয়েছিলো তাদের। তবে অ্যাপের স্বল্পতার কারনে তারা আবারও ইউজার হারাতে শুরু করলো। তখন ওয়িন্দওজ ফোন ৮.১ এ ফেসবুকের নিজের তৈরি অফিশিয়াল কোন ফেসবুক অ্যাপও ছিলো না।

এছাড়া তখনকার জনপ্রিয় গেম ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস, জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ইমো এবং এই ধরনের আরও অনেক অ্যাপই এভেইলেবল ছিলো না উইন্ডোজ ফোনে। তখন নতুন কিছু ডেভেলপার উইন্ডোজ ফোনের জন্য কোয়ালিটি অ্যাপ কিছু তৈরি করলেও, মেজর অ্যাপ ডেভেলপারদের কোনরকম আগ্রহই ছিলো না উইন্ডোজ ফোনের ব্যাপারে।

উইন্ডোজ ১০ মোবাইল

এবার এই সিচুয়েশনের সল্যুশন হিসেবে মাইক্রোসফট নিয়ে আসলো উইন্ডোজ ফোনগুলোর জন্য একটি মেজর আপডেট, উইন্ডোজ ১০ মোবাইল। উইন্ডোজ ১০ মোবাইলের সাথে মাইক্রোসফট আনলো ইউনিভার্সাল উইন্ডোজ অ্যাপস (UWP) যার মুল লক্ষ্য ছিলো উইন্ডোজ ফোন ১০ এর জন্য অ্যাপ ডেভেলপ করাটা ডেভেলপারদের জন্য অনেকটা সহজ করে দেওয়া।

মাইক্রোসফট মুলত এমন ব্যাবস্থা করেছিলো যে অ্যাপ ডেভেলপাররা উইন্ডোজ ১০ এর জন্য যেসকল ইউনিভার্সাল অ্যাপস তৈরি করবে সেই সব অ্যাপস একইসাথে উইন্ডোজ ১০ পিসি, ট্যাবলেট এবং উইন্ডোজ ফোনে একইসাথে রান করবে। এর জন্য ডেভেলপারদেরকে উইন্ডোজ ফোন ১০ এর জন্য আলাদাভাবে কোন অ্যাপ ডেভেলপ করতে হবেনা। কিন্তু মাইক্রোসফটের এই স্ট্র্যাটেজিও কোন কাজে আসলো না। এরপরও ডেভেলপাররা উইন্ডোজ ফোনের জন্য অ্যাপ ডেভেলপ করতে আগ্রহ দেখালো না।

এরপর মাইক্রোসফট যা করলো তা হচ্ছে, অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ উইন্ডোজ ফোনে যাতে ডেভেলপাররা সহজেই পোর্ট করতে পারে তার ব্যাবস্থা করলো। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ উইন্ডোজ ফোনে পোর্ট করার জন্য প্রোজেক্ট অ্যাস্টোরিয়া এবং আইফোনের অ্যাপ উইন্ডোজ ফোনে পোর্ট করার জন্য প্রোজেক্ট আইল্যান্ডউড নামের দুটি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করা শুরু করলো যার সাহায্যে যেকোনো ডেভেলপার তাদের আগে থেকে তৈরি করা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অ্যাপগুলো খুব সহজেই উইন্ডোজ ফোনে পোর্ট করতে পারবে।

এই প্রোজেক্টটিকে ব্যাবহার করতে দেখা গেছে শুধুমাত্র ফেসবুক কর্পোরেশনকে। উইন্ডোজ ফোন ১০ এর অফিশিয়াল ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার অ্যাপ ছিলো একেবারেই ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারের আইওএস এর হুবুহু পোর্ট বা কপি। যার ফলে অ্যাপগুলো ভালোভাবে রানও করতো না।

মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ ফোন ১০ আপডেটটিকে প্রায় ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে Beta পর্যায়ে রেখেছিলো। তখনকার সময়ে স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন ১০ ছিলো সবথেকে আনস্ট্যাবল ওএস।

উইন্ডোজ ফোন ১০ এতটাই আনস্ট্যাবল এবং ল্যাগি ছিলো যে, একজন সাধারন স্মার্টফোন ইউজারও এটিকে শান্তিতে ব্যাবহার করতে পারবে না। স্কেলিং প্রবলেম, কনস্ট্যান্ট রিবুট, নেটওয়ার্ক প্রবলেম, অ্যাপ ফোর্স ক্লোজ, ল্যাগ, স্টাটারিং, গ্রাফিক্স ল্যাগ ইত্যাদি এমন কোন ইস্যু নেই যা উইন্ডোজ ফোন ১০ এ ছিলোনা। তার ওপর অ্যাপ-গ্যাপ তো ছিলোই।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ মোবাইলের সাথে দুইটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনও রিলিজ করেছিলো, লুমিয়া ৯৫০ এবং ৯৫০ এক্সেল। তবে এই ফোনদুটিও বাজারে কোনরকম সাড়া ফেলতে পারেনি এর ল্যাগি পারফরমেন্স, Beta সফটওয়্যার,খারাপ সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েন্স এবং অ্যাপ-গ্যাপের কারনে।

এই ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনদুটিতে হাই এন্ড স্পেসিফিকেশন থাকার পরেও, হাই এন্ড গেম তো দুরের কথা, বেসিক লো এন্ড গেমস এবং অ্যাপসও ভালোভাবে রান করতো না।

ডেভেলপাররা অনেকটা ভেবেই নিয়েছিলো যে মাইক্রোসফট যাই করুক, তারা উইন্ডোজ ফোনের জন্য কিছুই করবেনা কখনো। তবে এমনও কিছু ডেভেলপার ছিলো যারা শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত উইন্ডোজ ফোনকে সাপোর্ট করে গেছে। যেমন- WhatsApp এবং GameLoft।

তবে প্রায় ১ বছরের ডেভেলপমেন্টের পরেও যখন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোনকে ব্যাবহার করার যোগ্য করে তুলতে পারেনি, তখন সত্যিই ইউজারদের এবং যারা উইন্ডোজ ফোনের ফ্যান ছিলো, তাদের এটির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না।

এবং অবশেষে গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ এর শেষের দিকে মাইক্রোসফট নিজেও বুঝতে পারে যে তাদের এই উইন্ডোজ ফোন প্রোজেক্টটি বৃথা এবং শুধুমাত্র সময় এবং অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই তারাও অবশেষে অফিশিয়ালি উইন্ডোজ ফোন প্রোজেক্টটিড় ইতি টেনে দেয়।

#RIP_Windowsphone

এই ছিলো মাইক্রোসফট, উইন্ডোজ ফোন এবং একটি ব্যার্থতার গল্প। যদি এমন কেউ এই লেখাটি পড়ে থাকেন যে এখনো উইন্ডোজ ফোনের ফ্যান, তাহলে এখানে খারাপ কিছু নেই। আমিও স্বীকার করি যে উইন্ডোজ ফোনে ভালো লাগার মতোও অনেক কিছুই ছিলো। আমিও একসময় উইন্ডোজ ফোনের ফ্যান ছিলাম। যাইহোক, আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটিও আপনাদের ভালো লেগেছে। কোন ধরনের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।
Images: Shutterstock.com

About the author

সিয়াম

Add comment

Categories