প্রো ব্লগিং সিরিজ : সঠিকভাবে একটি সফল ব্লগ লেখার ৫টি সহজ উপায়!

আমার মতে আজকের দিনে প্রত্যেকের ব্লগ থাকা প্রয়োজনীয়, জ্ঞান অর্জন করা, নিজের জানা জিনিষ দুনিয়ার সাথে শেয়ার করা, নতুন আইডিয়া উদ্ভবিত করা — এসকল কাজের জন্য ব্লগের থেকে গ্রেট প্ল্যাটফর্ম আর কিছুই হতে পারে না। ইউটিউবও অনেক গ্রেট প্ল্যাটফর্ম কিন্তু যারা পড়তে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ব্লগ থেকে অন্যতম আর কিছুই নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গ্রেট ব্লগ লিখা, যেটা আমাদের দেশের জন্য সবচাইতে বেশি প্রয়োজনীয়। বাইরের দেশ গুলোতে ব্লগিং আরো এবং আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে, কিন্তু অপরদিকে আমাদের দেশে “ব্লগ কি” এই সংজ্ঞায় জানা নেই মানুষের কাছে, রাইটিং তো দূরের কথা।

আপনার কাছে হয়তো আইডিয়া রয়েছে, শেয়ার করার জন্য ভালো জ্ঞান ও রয়েছে, কিন্তু মনের মধ্যে থাকা জ্ঞান আর সেগুলোকে শব্দে পরিণত করে ব্লগে লেখা দুইটি ভিন্য ব্যাপার। মুখে অনেকে অনেক সুন্দর করে বুঝাতে পারলেও লিখে সেটাকে বুঝাতে হিমশিম খেয়ে যান। আর একটি সফল ব্লগ তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে অনেক টেকনিক জানতে হবে, আপনার লেখাতে আপনার রিডারদের আকৃষ্ট করতে হবে, যাতে তারা পরবর্তীতে আপনার পোস্ট পড়ার জন্য এবং কিছু জ্ঞান ও আইডিয়া নেওয়ার জন্য আবার ব্লগে ফেরত আসে।

নিচে কিছু সহজ পদ্ধতি শেয়ার করলাম, যেগুলো একটি সফল ব্লগ লিখতে বা একজন সফল ব্লগার হয়ে উঠতে আপনাকে সাহায্য করবে। এটি একটি সিরিজ আর্টিকেল, “প্রো ব্লগিং সিরিজ” নিয়মিত অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনিও শুরু থেকে একজন প্রো ব্লগার হয়ে উঠতে পারবেন!

১। ভালো পোস্ট টাইটেল তৈরি করুণ

বাংলাতে একটা কথা আছে, “আগে দর্শনধারী তারপর গুণ বিচারী” — অনুরুপভাবে বলতে গেলে, আপনার ব্লগ পোস্ট টাইটেলই প্রথম মনোযোগ ধরাতে সাহায্য করে। একটি ভালো পোস্ট টাইটেল পোস্টটির হিউজ ভিউ পাওয়ার প্রধান কারন হতে পারে। পোস্ট টাইটেল লেখার অনেক গুরুত্ব রয়েছে, প্রথমত এটিই সেই প্রধান জিনিষ যেটা দেখে রিডার আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে আগ্রহি হবে। ইন্টারনেটে অবশ্যই এক টপিক হাজারো বা লাখোবার রিপিট হয়, কিন্তু একটি ইউনিক টাইটেল সম্পূর্ণ পোস্টটিকে ইউনিক বানাতে পারে। তাছাড়া সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভালো রাঙ্ক পাওয়ার জন্য ভালো এবং টেকনিক অনুসরণ করা টাইটেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করান!

এমন পোস্ট টাইটেল তৈরি করুণ, যেটা এক নজরে দেখেই ঐ টপিকের উপর রিডারের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে। আমি যেটা লক্ষ্য করেছি, টাইটেলের মধ্যে কৌতুহল রেখে দিন, কেননা মানুষ কৌতুহল বেশি পছন্দ করে, আর এই জানার ইচ্ছা থেকেই রিডার টাইটেল লিংক ক্লিক করে ব্লগ পোস্টটি পড়বে। আমি বলছি না যে, একেবারে সোজা-সাপটা টাইটেল কাজ করবে না, অবশ্যই, আমি নিজেও পূর্বে সোজা- সাপটা পোস্ট টাইটেল লিখতাম, কিন্তু টাইলের মধ্যে কৌতুহল রাখলে বা কোন প্রশ্ন রেখে দিলে একে যেমন টাইটেলটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে যায় অপরদিকে অনেকের মনোযোগ গ্রহণ করানো যায়। আর হ্যাঁ, ছোট টাইটেল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন, এতে সহজেই মানুষের নজরে আসবে। তবে টাইটেল কতোটা লম্বা করবেন, সেক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিনের কথাও মাথায় রাখতে হবে, যদি অনেক বড় টাইটেল লিখেন সেক্ষেত্রে সার্চ এ টাইটেল সম্পূর্ণ আসবে না, এতে ট্র্যাফিক হারাতে পারেন।

লোভনীয় টাইটেল বা ক্লিক বেইট করা যাবে না

ব্লগের ক্ষেত্রেও এটি দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু ইউটিউবে এই সমস্যা ব্যাপক হারে রয়েছে — “লোভনীয় টাইটেল” মানে টাইটেলে বলা থাকে এক কিন্তু কনটেন্টে তথ্য থাকে আরেক। এরকম টাইটেল তৈরি থেকে বিরত থাকতে হবে, হয়তো ক্লিক বেইটিং করে কিছু সাময়িক রিডার পাবেন, কিন্তু চিন্তা করে দেখুন আপনি নিজে রিডার হলে কি করতেন? আপনি টাইটেল দেখে ক্লিক করলেন কিন্তু ভেতরে আপনার প্রয়োজনের কিছুই খুঁজে পেলেন না, এতে আপনি ভুলেও হয়তো ঐ ব্লগ আর দ্বিতীয়বার ভিজিট করবেন না। লোভনীয় টাইটেল ব্লগের উন্নতির চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে থাকে। অনেকে হয়তো বলবেন, ইউটিউবে এই কাজ করে অনেকেই সফল হয়েছে, তবে জেনে রাখুন ইউটিউব আর ব্লগ এক জিনিষ নয়।

এসইও ঠিক রাখতে হবে

ব্লগের ভিজিটরই ব্লগের প্রধান প্রান, ভিজিটর ছাড়া ব্লগের কোন মূল্যই নেই। অনেক পদ্ধতিতে ব্লগে ট্র্যাফিক ড্রাইভ করানো গেলেও সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ট্র্যাফিক পাওয়ার প্রধান এবং গ্রেট সোর্স। টাইটেলে কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, আপনি যে কী-ওয়ার্ডকে ফোকাস করতে চান অবশ্যই সেটা টাইটেলের সামনের দিকে রাখার চেষ্টা করুণ, এতে অনেক সার্চ ট্র্যাফিক পেতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় কী-ওয়ার্ড, টাইটেলে ব্যবহার না করায় উত্তম।

২। গ্রেট ব্লগ পোস্ট তৈরি করুণ

ব্লগিং এ সফল হওয়ার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে গ্রেট ব্লগ পোস্ট তৈরি করা, আপনার পোস্টই আপনার ব্লগের সব কিছু। পোস্ট নেই তো ব্লগই নেই, আর পোস্ট কতোটা কোয়ালিটি ফুল সেটার উপরই নির্ভর করে আপনার ব্লগ কতোটা মান সম্পন্ন। শুধু ব্লগ পোস্ট লিখে ফেললেন আর হয়ে গেলো এরকম ব্যাপার নেই এখানে, বিশেষ করে যদি ব্লগিং এ সফল হওয়ার চিন্তা করেন সেক্ষেত্রে অনেক টেকনিক এবং আপনার গোল ফিক্স করতে হবে। এলোমেলো ব্লগ পোস্ট করে কখনোই সফল হতে পারবেন না। নিচে কিছু প্রো টিপস শেয়ার করলাম, যেগুলো গ্রেট কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য আপনাকে হিউজ সাহায্য করবে, তবে এখানেই শেষ নয়, আরো ডেডিকেটেড আর্টিকেল আসবে সামনে, যেখানে পোস্ট রাইটিং নিয়েই একমাত্র আলোচনা করা হবে।

আপনার গোল ফিক্স করুণ

অবশ্যই প্রত্যেকটি ব্লগ নির্দিষ্ট পাঠকবর্গদের টার্গেট করে তৈরি করা। আপনি একটি ব্লগ পোস্ট লেখার আগে অবশ্যই ভেবে দেখবেন আপনি কেন পোস্টটি লিখছেন, কোন টপিক কভার করতে চাচ্ছেন, আপনার রিডার ঐ পোস্টটি থেকে কি আশা করতে পারে, কোন কোন টাইপের রিডার ঐ পোস্টটি পড়তে পারে এবং কেন পড়বে। — এগুলো বিষয় মাথায় রেখে পোস্ট তৈরি করলে সেটা সফল হতে বাধ্য। আপনার পাঠকবর্গদের উপর ভিত্তি করেই আপনাকে পোস্টের ধরণ শুরু করতে হবে, আপনি সিরিয়াসভাবে টপিক কভার করবেন নাকি মজা ঠাট্টা করে টপিক কভার করবেন।

লেখায় নিজের সততা বজায় রাখুন

ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে শুধু লেখক এবং পাঠকের মধ্যে জ্ঞানের আদান প্রদানই মূল উদ্দেশ্য নয়, একে অপরের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করা এবং কমিউনিটি বিল্ড করাও প্রধান উদ্দেশ্য। আপনার পাঠক যদি আপনার উপর ভরসা না করে, সেক্ষেত্রে আপনার পোস্ট সফল হবে না, তাই অবশ্যই সৎ থাকতে হবে। আপনার মনের কথা গুলো খুলে প্রকাশ করুণ এবং সত্য বলুন, পাঠকদের আপন করার চেষ্টা করুণ এবং গ্রেট কমিউনিটি তৈরি করুণ, কমিউনিটি তৈরি, একটি ব্লগকে অনেক সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

ক্রেডিট দিতে শিখুন

ব্লগিং অনেক সময় সাপেক্ষ জিনিষ, এটা মোটেও পানির মতো কাজ নয়। আপনাকে যথেষ্ট সময় এবং টেকনিক প্রদান করতে হয় তবেই আপনি সফল ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। অনেক সময়, সময় বাঁচানোর খাতিরে মূল পোস্টে কম লিখে লিংক দিয়ে ভরে ফেলা হয়, যেটা অনেক রিডারের কাছে বিরক্তিকর বাবার হতে পারে। তাছাড়া আপনি নিজে সবকিছু জানেন না, এটা পরম সত্য কথা, তাই আলাদা ব্লগ/ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্ট নেওয়ার প্রয়োজন পরে। কিন্তু কপিরাইট আইনের কথা মাথায় রাখতে হবে, যদি কোন লেখা অন্য কোন ব্লগের হয় অবশ্যই সেটাকে ক্রেডিট লিংক দিতে হবে। তাছাড়া আমি কখনোই কোন ব্লগ থেকে কপি পেস্ট করার জন্য রেকমেন্ড করবো না, আপনি কন্টেন্টটি থেকে আইডিয়া নিয়ে নিজের মতো লিখতে পারেন, কিন্তু অবশ্যই মূল কন্টেন্ট দাতাকে ক্রেডিট দিতে হবে।

ছোট প্যারাগ্রাফ তৈরি করুণ

একটি সাজানো গোছানো ব্লগ পোস্ট যেমন দেখতে অনেক সুন্দর লাগে, অপরদিকে সাজানো পোস্ট থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। অবশ্যই পোস্টটিকে স্টেপ বাই স্টেপ সাজিয়ে লিখুন, আর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এবং এসইও এর খাতিরে পোস্টে হেডিং, সাব-হেডিং – ইত্যাদি ব্যবহার করুণ। অনেক বেশি তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট আকারে বড় হবে এটাই স্বাভাবিক, তবে বড় পোস্টের ক্ষেত্রে প্যারাগ্রাফ গুলো ছোটছোট করার চেষ্টা করুণ, সাথে এমন টেকনিক ইউজ করুণ, যাতে পোস্টের প্রথম দিকের কিছু প্যারাগ্রাফ পড়লেই বেসিক ধারণা নেওয়া হয়ে যাবে আর বিস্তারিত জানার জন্য সম্পূর্ণ পোস্ট পড়তে হবে। এতে কম ধৈর্যের পাঠকও আপনার পোস্ট থেকে কিছু বেসিক আইডিয়া নিতে পারবে। প্যারাগ্রাফ বড় বড় আকারের হলে বিশাল এক টেক্সট জঙ্গল মনে হয়।

৩। ব্লগ ফরম্যাটিং

একটি সফল ব্লগ তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সম্পূর্ণ ব্লগটিকে সুন্দরভাবে সাজানোর প্রয়োজন পড়বে। আগের যুগের বিশ্রী টাইপের দেখতে ওয়েবসাইট গুলোর যুগ শেষ, সুন্দর সাইট ডিজাইন ভিজিটরের মনোযোগ আকৃষ্ট করে। ব্লগের ন্যাভিগেশন সিস্টেম অনেক সহজ তৈরি করা প্রয়োজনীয়, যাতে সহজেই যেকোনো কন্টেন্ট ডিস্কভার করা যেতে পারে। অবশ্যই আপনার ব্লগকে রেস্পন্সিভ ডিজাইন দিতে হবে, মানে সকল স্ক্রীন থেকেই রিডাররা যেন গ্রেট রিডিং এক্সপেরিয়েন্স পেতে পারে।

পোস্ট ফরম্যাটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, এটি নিশ্চিত করে আপনার পোস্টটির লুক কেমন হবে। পোস্টের শুরুতে টাইটেল থাকবে, মানে পোস্ট টাইটেল, তারপরে পোস্টটি পাবলিশ করার ডেট, লেখকের নাম, সঠিক জায়গায় সঠিক ইমেজ ব্যবহার করতে হবে, সঠিক লিংক দিতে হবে যাতে রিডার আরো কন্টেন্ট ডিস্কভার করতে পারে এবং পোস্ট শেষে থাকবে কমেন্ট সেকশন, কেননা আলোচনা না করা গেলে সেটাকে ব্লগ বলা যাবে না।

আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস বা যেকোনো টাইপের সিএমএস দিয়ে ব্লগ তৈরি করেন, সেক্ষেত্রে পোস্ট ফরম্যাটিং নিয়ে বিশেষ চিন্তা করতে হবে না, কেননা থিমেই বিল্ডইন পোস্ট ফরম্যাট সাপোর্ট পেয়ে যাবেন। শুধু আপনাকে চেক করতে হবে সকল প্রয়োজনীয় ফরম্যাট গুলো থিমে সাপোর্ট রয়েছে কিনা।

৪।  ব্লগ পোস্ট বিষয়বস্তু পরিবর্তন করুন

বড় বড় ব্লগ গুলো নানান টাইপের টপিক কভার করে থাকে, কিন্তু আপনি যদি আপনার ব্লগের সিঙ্গেল রাইটার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অনেক টাইপের টপিক কভার করা মুশকিল। তবে কোন নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির উপরই অনেক টাইপ তৈরি করা যেতে পারে। যেমন ধরুন আপনি প্রযুক্তি ব্যাখ্যা করার উপর আর্টিকেল লিখেন, এখন যদি প্রতিদিন একই স্টাইলের ঢালা পোস্ট করেন, আপনার রিডার’রা বোরিং ফিল করবে, আপনি চাইলে একটু আলাদা আলাদা স্টাইলে কাজ করতে পারেন।

আপনি লিস্ট স্টাইলের পোস্ট তৈরি করতে পারেন, ধরুন ৫টি কারণে আপনি অমুক টেক পছন্দ করবেন, ৫টি অমুক টেক যেটা আপনার ব্যবহার করা উচিৎ, ১০টি কারণে তমুক টেক থেকে বিরত থাকুন, ইত্যাদি, তাছাড়া আজকের এই পোস্টটিও লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন লিস্ট স্টাইলের। আর পোস্টটি পড়ে কতোটা মজা লাগছে সেটার আপনি নিজেই প্রমান দিতে পারবেন।

“কিভাবে” এই টাইপ পোস্ট তৈরি করুণ, মানুষ “কিভাবে করবো” এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকে, যদি পোস্ট পেয়ে যায়, “কিভাবে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করবো” – তাহলে আগে ঐটাই ক্লিক করবে। তাছাড়া ব্লগে আপনি যেকোনো কিছু রিভিউ ও করতে পারেন, গাজেট রিভিউ, বুক রিভিউ, যেকোনো প্রোডাক্ট রিভিউ, ওয়েবসাইট রিভিউ, অ্যাপ রিভিউ, এগুলো আপনার পাঠকের ব্লগের প্রতি মনোযোগ ধারন করে রাখতে সাহায্য করবে। আরো অনেক অনেক আইডিয়া রয়েছে, এই সিরিজের সামনের পোস্ট গুলোতে সেগুলো শেয়ার করবো।

৫। ফ্রেশ কন্টেন্ট আইডিয়া তৈরি করতে শিখুন

একই টাইপের কন্টেন্ট আর একই বিষয়ের উপর লিখতে লিখতে আপনার রিডারদের বোর করে মেরে ফেলা থেকে বিরত থাকুন। নতুন নতুন টপিক খুঁজে বের করতে শিখুন, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রেগুলার ব্লগারদের প্রতিদিন নতুন নতুন কন্টেন্ট খুঁজে বের করা। ফ্রেশ আইডিয়া খুঁজে পাওয়া আবার এতোটাও কঠিন নয় যদি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা যায়। সবার আগে, মাথায় কোন আইডিয়া আশা মাত্র সেটা লিখে রাখুন, আমি অনেক বার অনেক কুল আইডিয়া পেয়েছি কিন্তু মানুষের স্বভাবগত কারণে সেগুলোকে ভুলে যেতে হয়েছে।

আপনার টপিক রিলেটেড আলাদা ওয়েবসাইট গুলোকে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন, তাদের আইডিয়া কপি করতে বলবো না, কিন্তু সেই আইডিয়া থেকেও অনেক সময় নিজের নতুন আইডিয়া বা একটু ভিন্ন কিছু মাথায় এসে যেতে পারে। সাথে আপনার রিডারদের থেকে আইডিয়া নিতে পারেন, তাদের জিজ্ঞাস করতে পারেন তারা কোন কন্টেন্ট চাইছেন, এভাবেও অনেক টপিক পেয়ে যাবেন। তাছাড়া গুগল অ্যানালাইটিক্স চেক করুণ, দেখুন কোন কন্টেন্ট গুলো ভালো রাঙ্ক করেছে আপনার ব্লগে, তারপরে আরো ঐ টাইপ কন্টেন্ট লিখতে পারেন। তাছাড়া বর্তমানে কি ট্রেন্ড টপিক যাচ্ছে সেগুলোকেও অনুসরণ করে নতুন আইডিয়া জেনারেট করতে পারেন।

ব্লগিং শুধু লেখালিখি নয়, ব্লগিং ভালোবাসার আরেকটি নাম। আপনার কন্টেন্ট গুলো ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করুণ, আর বিশ্বাস করুণ আপনার রিডার’রাও আপনার কন্টেন্ট ভালবাসবে। হ্যাঁ, সফল ব্লগিং করতে অবশ্যই টেকনিক প্রয়োজনীয় আর সে জন্য ওয়্যারবিডি রয়েছে আমি রয়েছি, আপনি শুধু ভালোবাসায় আর ভালো লাগায় মনোযোগী হোন। চলুন সকলে একত্রে বাংলাদেশে ব্লগিংকে অন্য লেভেল প্রদান করি!

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories