https://apkgoogle.net/
WiREBD
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও
No Result
View All Result
WiREBD
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও
No Result
View All Result
WiREBD
No Result
View All Result

ইন্টারনেট কি মানুষের মস্তিষ্কের মতোই? ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ব্রেইন?

তাহমিদ বোরহান by তাহমিদ বোরহান
September 9, 2017
in কম্পিউটিং, টেক চিন্তা
0 0
9
ইন্টারনেট বনাম ব্রেইন
0
SHARES
Share on FacebookShare on Twitter

আমাদের ব্রেইন কম্পিউটারের মতো, অথবা কম্পিউটার মানুষের ব্রেইনের মতো—এই উদাহরণ মানুষদের অনেক বার দিতে শুনে থাকবেন হয়তো। যখন কোন অত্যাধুনিক জিনিষ আমরা আবিষ্কার করেছি, সবসময় আমরা তাকে আমাদের ব্রেইনের সাথে তুলনা করেছি। তবে মানুষের ব্রেইন আজকের সুপার কম্পিউটার গুলো থেকে অনেক বেশি ইনটেলিজেন্ট আর জটিল সেটা আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে লেখা আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনে ছিলাম। তবে আজকের কম্পিউটার গুলোকে মানুষের ব্রেইনের মতো কাজ করানোর জন্য ধিরেধিরে গড়ে তোলা হচ্ছে—মেশিন লার্নিং আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তারই প্রচেষ্টা। তবে কম্পিউটারের পরে মানুষের এখন প্রশ্ন, সাড়া পৃথিবী জুড়ে অনেক মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে, ইন্টারনেটকে কি মানুষের ব্রেইনের মতো কাজ করাতে পাড়ছে? ইন্টারনেট আর আমাদের ব্রেইনের কাজ করার মধ্যে কতোটুকু তুলনা রয়েছে? চলুন ইন্টারনেট বনাম ব্রেইন —এই আর্টিকেলটি থেকে বিস্তারিত তুলনা গুলো জেনে নেওয়া যাক…

ইন্টারনেট বনাম ব্রেইন

এই পর্যায়ে আপনি নিশ্চয় মনে মনে ভাবছেন, “ইন্টারনেট আর মানুষের ব্রেইন’কে তুলনা করার কি রয়েছে?” “এই তুলনা থেকে আমাদের কি হাসিল হবে?” দেখুন, ইন্টারনেট কেন এতো শক্তিশালী? কারণ এটি একটি কোন কম্পিউটার বা একটি কোন অ্যাপ্লিকেশন নয়, কোটিকোটি কম্পিউটারের যুক্ত করা সুবিশাল একটি নেটওয়ার্ক হলো এই ইন্টারনেট, মানুষের ব্রেইনের গঠনও কিন্তু অনেকটা এই রকমই। সম্পূর্ণ বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে অবশ্যই আমাদের প্রথমে মানুষের ব্রেইনের কানেকশন আর ইন্টারনেটের কোর কানেকশনের বিস্তারিত জানতে হবে।

যদি আমাদের ব্রেইনের মধ্যের কানেকশন সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করতে যাই, তো আমাদের ব্রেইন দুইটি গোলার্ধ (Hemispheres) দ্বারা গঠিত, মানে আমাদের ব্রেইনের ফিজিক্যাল দুইটি অংশ রয়েছে যারা করপাস কলসাম (Corpus Callosum) নামের প্যারালেল ক্যাবল দ্বারা একে অপরের সাথে কানেক্টেড রয়েছে। একেকটি গোলার্ধ আবার চারটি করে অঞ্চলে বিভক্ত থাকে, যাকে লোব (Lobes) বলা হয়। স্নায়ুবিজ্ঞানী’দের মতে ব্রেইনের এই বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্ন আচরণ বহন করে। কোন লোব অ্যাকশন প্রসেস করে, কোন লোব মেমোরি’র কাজে লাগে, আবার কোন লোব আবার চোখ থেকে আসা অপটিক্যাল তথ্য গুলোকে প্রসেস করে দেখতে সাহায্য করে, কোন লোব আমাদের জ্ঞান, অনুভূতি ইত্যাদি প্রসেস করে। সাধারণত আপনারা স্কুল কলেজে পড়ে থাকবেন, ডান ব্রেইন আর বাম ব্রেইন সম্পর্কে—যেখানে ডানদিকের ব্রেইন বেশি ক্রিয়েটিভ এবং বামদিকের ব্রেইন লজিক্যাল হয়ে থাকে। যাই হোক, বিষয় গুলোকে যদি আরো বিস্তারিত বুঝাতে যাই তাহলে আপনি খুব দ্রুত বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন, কেনোনা সায়েন্স অনেকটা কনফিউজিং জিনিষ, আর আমি আপনাকে সবকিছু সহজ ভাষায় বুঝাতে চাই। আমরা জানলাম যে আমাদের ব্রেইনের আলাদা আলাদা অংশ রয়েছে এবং এগুলো আলাদা প্রয়োজনীয় প্রসেসে নিজেকে নিয়োজিত রাখে, এবং প্রত্যেকটি ব্রেইন অংশ একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে।

এবারে চলে আসি আমাদের মূল আলোচনায়, অর্থাৎ ইন্টারনেট বনাম ব্রেইন টপিকে; এখানে আমাদের ব্রেইনের সবচাইতে ইন্টারেস্টিং বিষয়টি হচ্ছে আমাদের ব্রেইন কোষ বা যেগুলোকে নিউরন বলা হয়, এরা প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকজন কানেক্টেড রয়েছে এবং একটি জটিল প্যাটার্নে একত্রিত হয়ে কাজ করে। মানে কি বুঝলেন? ব্রেইন বলতে কিন্তু শুধু একটি কোন জিনিষ না যেটা এই সম্পূর্ণ ব্রেইন শব্দটি’কে একটি পাওয়ারফুল জিনিষে পরিনত করেছে। ব্রেইনের মধ্যে বিলিয়ন কানেকশন রয়েছে যারা আলাদা কাজ করে এবং একত্রিত কাজ করে ব্রেইনকে এতো শক্তিশালী বানিয়েছে।

এখন কথা বলি ইন্টারনেট নিয়ে, দেখুন ইন্টারনেট বলতে সহজেই বোঝা যায়, এটি একটি কানেকশন ব্যবস্থা যেটি বিশ্বের কোটি কম্পিউটার গুলোকে ইন্টারকানেক্ট করতে সাহায্য করেছে। শুধু ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নয়, বরং ডাটা আদান প্রদান করার মাধ্যমে যতোকাজ করা সম্ভব যেমন- ইমেইল, ভিওআইপি কল, আইপি টিভি, পিটুপি ফাইল শেয়ারিং, বা এরকম আরো অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালানো সম্ভব। তো ইন্টারনেট’কে কে এতো শক্তিশালী বানাচ্ছে? —অবশ্যই ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড থাকা কোটি কম্পিউটার বা সেলফোন বা যতো ডিভাইজ ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড রয়েছে। যদি কথা বলি ওয়েব নিয়ে, তো সেখানে শতশত মিলিয়ন ওয়েবসাইট রয়েছে, বিলিয়ন লিঙ্ক রয়েছে যেগুলো একে অপরের সাথে কানেক্টেড রয়েছে। যখন আপনাকে কেউ কোন মেইল সেন্ড করে, তখন সেটা কিন্তু সরাসরি আপনার কম্পিউটারে এসে পৌছায় না! বরং মেইলটি প্যাকেটে (খণ্ডিত কম্পিউটার ডাটা) পরিনত হয়ে যায়, যেগুলো বিভিন্ন কম্পিউটার হতে বহন হয়ে আপনার কম্পিউটার পর্যন্ত এসে পৌছায়। এদের মধ্যে কিছু কম্পিউটার সার্ভার হয়ে থাকে আবার কিছু কম্পিউটার ক্লায়েন্ট হয়ে থাকে।

তাহলে ব্রেইন আর ইন্টারনেটের মধ্যে কি সম্পর্ক দেখতে পেলেন? ব্রেইনের প্রত্যেকটি সেল একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে। ইন্টারনেটে প্রত্যেকটি কম্পিউটারও একে অপরের সাথে ইথারনেট ক্যাবল, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, স্যাটেলাইট লিঙ্কের সাহায্যে কানেক্টেড থাকে। ওয়েবে হাইপার লিঙ্ক টেক্সট ব্যবহার করা হয়, যেটা একটি ওয়েবপেজ আরেকটি ওয়েবপেজের সাথে লিঙ্ক করে দেয়। ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকা প্রত্যেকটি কম্পিউটার কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়না, সেভাবে ওয়েবে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়না। গুগল কেন এতো ফেমাস সার্চ ইঞ্জিন বলতে পারেন? —কেনোনা গুগলের একটি বিশেষ অ্যালগরিদম রয়েছে, যেটা ডিটেক্ট করতে পারে কোন পেজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন পেজটি কোন গুরুত্বপূর্ণ। গুগল সেই অ্যালগরিদম অনুসারে ওয়েবসাইট গুলোকে পেজ রাঙ্ক প্রদান করে এবং পেজ রাঙ্ক অনুসারে সার্চ রেজাল্ট প্রদর্শিত করানো হয়ে থাকে।

আমাদের ব্রেইনও কি ঠিক এভাবেই কাজ করে? হ্যাঁ এটা সত্যি যে আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন একটিভিটির সার্কিট আমাদের বিভিন্ন ইমোশনকে কন্ট্রোল করে। আমাদের মধ্যের ভয় বা উত্তেজনা ইমোশন গুলো অনেক কমপ্লেক্স অংশ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, সাথে আমাদের মস্তিষ্কের মেমোরি কিন্তু শুধু একটি অংশেই থাকে না, বরং অনেক গুলো পৃথক অংশ একত্রিত হয়ে আমাদের মেমোরি তৈরি করে। মানে কি বুঝলেন, আমাদের মস্তিস্ক আলাদা আলাদা অংশে আলাদা আলাদা কাজ সম্পূর্ণ করে। এজন্য দেখবেন, মস্তিষ্কের বিশেষ কোন একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বিশেষ কাজের উপর তার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়, যেমন- কারো মেমোরি হয়তো কমে গেছে, কিন্তু সে ঠিকঠাক দেখতে পায়, বা কারো অনুভূতি কমে গেছে কিন্তু মেমোরি ঠিক রয়েছে। তো মস্তিষ্কের কোন বিশেষ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে শুধু ঐ অংশের কাজের উপরই প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু বাকি অংশ এবং সেই অংশের কাজ গুলো ঠিকঠাকই চলে। ব্রেইন যেভাবে প্যারালেলে কাজ করে ঠিক তেমনি নেট বা ওয়েবও একই স্টাইলে কাজ করে, আপনি ইন্টারনেটের যদি বিশাল কোন অংশকে ক্ষতিগ্রস্থও করে দেন, শুধু ঐ অংশেই এর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাবে কিন্তু সম্পূর্ণ ইন্টারনেট অকেজো হয়ে যাবে না। কেনোনা ইন্টারনেটও ব্রেইনের মতো বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন কাজ সম্পূর্ণ করে।

যোগাযোগ

যদি এবার কথা বলি ইন্টারনেট বনাম ব্রেইন এর কানেকশন নিয়ে, তো কানেকশনের দিক থেকে বা তথ্য আদান প্রদানের দিক থেকে ইন্টারনেট আর ব্রেইন অনেকটা একই স্টাইলে কাজ করে। যখন আপনি কোন মেইল সেন্ড করেন, সেটা প্যাকেট আকারে ইন্টারনেটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হতে অতিক্রম হয়ে প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে রিসিভারের কম্পিউটারে গিয়ে পৌছায়। ইন্টারনেটে কোন ডাটা সরাসরি একদম পয়েন্ট টু পয়েন্ট পৌঁছান সম্ভব নয়। যেমন ধরুন আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অ্যামেরিকাতে কোন মেইল সেন্ড করেন, তো কখনোই সেই মেইলটি সরাসরি গিয়ে অ্যামেরিকার কম্পিউটারে পৌঁছাবে না। অবশ্যই মেইলটি অ্যামেরিকার কম্পিউটার আর আপনার কম্পিউটারের মধ্যের আরো লাখো কম্পিউটার অতিক্রম করে তবেই গন্তব্যে পৌঁছাবে।

আমাদের ব্রেইনের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন কাজ সম্পূর্ণ করে, কিন্তু সম্পূর্ণ ব্রেইনকে একসাথে কাজ করার জন্য অবশ্যই প্রত্যেকটি অংশকে প্রত্যেকটি অংশের সাথে ইন্টার-কানেক্টেড থাকতে হয়। অনেক বিজ্ঞানী’দের মতে আমাদের ব্রেইন ইন্টারনেট প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতির মতোই এক অংশ থেকে আরেক অংশে তথ্য গুলোকে সরবরাহ করে থাকে। একটি অংশের তথ্য আরেকটি অংশে পৌছাতে অনেক লিঙ্কের ভেতর দিয়ে ঐ তথ্যটিকে গমন করতে হয়। যদিও ব্রেইনের সমস্ত কিছু কার্যকলাপ একেবারে ১০০% সঠিক করে আমাদের কাছে জানা নেই, তারপরেও বর্তমান জানা তথ্য গুলো থেকে এটাই জানা যায়। তো অবশ্যই ব্রেইন এবং নেট রৈখিক ভাবে কাজ করে।

ক্রিয়াকলাপ

যদিও আমাদের অনেক প্রকারের ক্ষমতা রয়েছে, হয়তো অনেকে অনেক অদ্ভুত চিন্তা করতে পারে আবার অনেকে অসাধারণ ব্লগ পোস্ট লিখতে পারে, কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে আমাদের ব্রেইনের প্রধান ডিজাইন হচ্ছে আমাদের বডিকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য। এখানে ইন্টারনেট বা ওয়েবের কোন শরীর নেয়, ব্যাস এই সিস্টেম এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ডাটা আদান প্রদান করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যদি আলোকপাত করা হয়, ব্রেইন আমাদের শরীরের কোন কোন অংশ নিয়ন্ত্রন করে, তবে এখানে ইন্টারনেট আর ব্রেইন ফাংশনের মধ্যে তুলনা করা সহজ হয়ে যায়। যেমন আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে একটি অংশ থাকে যেটা আমাদের স্মৃতি গুলোকে ধারণ করে, অনুরুপভাবে ইন্টারনেটে ওয়েব হলো ইন্টারনেটের স্মৃতি, সেখানে সম্পূর্ণ নলেজ সেভড থাকে।

কম্পিউটারের মেমোরির মতো আমাদের ব্রেইন শুধু তথ্য সরবরাহ আর জমা নয়, আমাদের ব্রেইনের আরো বিশেষ কাজ হচ্ছে ক্যারেক্টার চেনা, দেখা, শোনা, গন্ধ নেওয়া, স্বাদ গ্রহন করা, অথবা কোন কিছুকে স্পর্শ করা। সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে প্যাটার্ন চিন্তা পারা। আপনার চোখ কিছু দেখতে যতোটা না বেশি ভূমিকা পালন করে তার চেয়ে অনেক বেশি প্রসেস মস্তিষ্কের ভেতরে ঘটে থাকে। যাই হোক, কম্পিউটার গুলো এখন আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক এর সাহায্যে মানুষের মতো প্যাটার্ন মনে রাখতে পারে। মস্তিষ্কের নিউরাল নেটওয়ার্কের মতো কম্পিউটারে লেয়ার বাই লেয়ার প্রসেসিং ইউনিট থাকে, যে ইউনিট গুলো নিউরনের মতো একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে। প্রত্যেকটি প্রসেসিং লিঙ্ক থেকে তথ্য প্রসেস হয়ে আরেক লিঙ্কে গিয়ে পৌছায়, এভাবে বিভিন্ন লিঙ্কের রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার কোন প্যাটার্ন মনে রাখতে পারে।

তো ইন্টারনেট বা ওয়েবও কি নিউরাল নেটওয়ার্কের মতো কাজ করে? হ্যাঁ, ওয়েব সার্ভার গুলো একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে এবং ওয়েবপেজে বিভিন্ন লিঙ্ক একত্রে কানেক্টেড থাকে। কিন্তু কোন লিঙ্কের উপর নির্ভর করে ইন্টারনেট তার ডাটা প্রবাহ পরিবর্তন করে না। ইন্টারনেটে কোন টাইপের ডাটা প্রবাহিত হচ্ছে এর উপর নির্ভর করে ইন্টারনেট কখনোই তার ডাটা ট্রান্সমিট স্টাইল পরিবর্তন করে না। আপনি ফাইল সেন্ড করেন, ভিওআইপি কল করেন, মিডিয়া স্ট্রিম করেন, ইন্টারনেট একইভাবে ডাটা পরিবহন করবে। কিন্তু নিউরাল নেটওয়ার্কে কোন ধরণের তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে তার অনুসারে ডাটা প্রবাহিত হয় এবং এক লিঙ্কের প্রসেস রেজাল্ট অনুসারে আউটপুট সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ইন্টারনেটকে যেকোনো ধরণের ডাটাকে একই নিয়মে একই স্পীডে পরিবহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, একে নেট নিউট্রালিটি ও বলা হয়।

ব্রেইনের বিভিন্ন অংশ ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনার মস্তিস্কে কোন কারণে আঘাতহানে, আপনার কোথায় আঘাত লেগেছে সেই অনুসারে আপনার ব্রেইনের ঐ অংশের কাজের সমস্যা হতে পারে, কিন্তু আলাদা কাজ গুলো ঠিকঠাক চলবে। ঠিক ওয়েবও তেমনি, মনে করুণ ওয়েব থেকে টেকনোলজি ব্লগ গুলো বন্ধ হয়ে গেছে, তাহলে শুধু টেক লাভারদেরই সমস্যা হবে কিন্তু ফ্যাশন বা ফুড বা লাইফ স্টাইল ব্লগ গুলো ঠিকঠাক মতোই কাজ করবে।


আশা করছি এই ব্রেইন আর ইন্টারনেটের মধ্যে তুলনামুলক আর্টিকেলটি থেকে আপনি অনেককিছু জানতে পেড়েছেন। যদিও এটা ভুলে গেলে চলবে না এই তুলনাটি শুধুমাত্র উপমা এবং অনুসন্ধানমূলক টার্মের উপর নির্ভরশীল তাই এতে বিভ্রান্তিকর ব্যাপার কিছু থেকে যেতেই পারে, আর সেগুলোকে নিচে কমেন্ট সেকশনে আলোচনা করার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। তাই আপনার যেকোনো প্রশ্নে অবশ্যই আমাকে নিচে কমেন্ট করুণ!


WiREBD এখন ইউটিউবে, নিয়মিত টেক/বিজ্ঞান/লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও গুলো পেতে WiREBD ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুণ! জাস্ট, youtube.com/wirebd — এই লিংকে চলে যান এবং সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুণ!

ইমেজ ক্রেডিট; Shutterstock

Tags: ইন্টারনেট বনাম ব্রেইনকম্পিউটিংটেকফিউচার টেক
Previous Post

হোম থিয়েটার নিয়ে বিস্তারিত; যে তথ্য গুলো আপনার জানা প্রয়োজনীয়!

Next Post

হেডফোন ভালো সাউন্ড না দেওয়ার পেছনে আপনার স্মার্টফোন দায়ী নয়তো?

তাহমিদ বোরহান

তাহমিদ বোরহান

প্রযুক্তির জটিল টার্মগুলো কি আপনাকে বিভ্রান্ত করছে? কিছুতেই কি আপনার মস্তিষ্কে পাল্লা পড়ছে না? তাহলে বন্ধু, আপনি এবার সঠিক জায়গায় এসেছেন—কেনোনা এখানে আমি প্রযুক্তির সকল জটিল বিষয় গুলো ভাঙ্গিয়ে সহজ পানির মতো উপস্থাপন করার চেষ্টা করি, যাতে সকলে সহজেই সকল টেক টার্ম গুলো বুঝতে পারে।

Next Post
হেডফোন ভালো সাউন্ড না দেওয়ার পেছনে আপনার স্মার্টফোন দায়ী নয়তো?

হেডফোন ভালো সাউন্ড না দেওয়ার পেছনে আপনার স্মার্টফোন দায়ী নয়তো?

Comments 9

  1. Byzid bostami says:
    3 years ago

    Amaizing post ..?

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      3 years ago

      ধন্যবাদ ভাই 🙂

      Reply
  2. Md Ismail says:
    3 years ago

    খুব ভালো লেগেছে আর্টিকেলটি। সুন্দর এবং যুক্তিসংগত ভাবে বুঝিয়েছেন, তার জন্য ম্যানি ম্যানি থ্যাংকস তাহমিদ বোরহান ভাই

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      3 years ago

      আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂

      Reply
  3. তুলিন says:
    3 years ago

    কিভাবে যে এত গভীর চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়ে আসেন কল্পনা করতে পারি না। কিভাবে কেউ এতটা ইউনিক হতে পারে? আমার চিন্তার বাইরে ভাইয়া। অসাধারণ বল্লেও এই পোস্টকে কম বলা হবে!!! ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤

    Reply
  4. Anirban Dutta says:
    3 years ago

    Just Awesome…Wooooooooooooooow!!!!!!!!!!!

    Domain resell or hosting er business korte chai… ei dhoroner business niye ki kora uchit ekti post korun.

    Reply
  5. Siam says:
    3 years ago

    Vaia apnar lekha valo onek. Please write a brief article about graphics card

    Reply
  6. Siam says:
    3 years ago

    Vaia apnar lekha valo onek. Vaia graphics carde jokhon ato processing power taile alada processor ki dorkar

    Reply
  7. Siam says:
    3 years ago

    Vaia apnar lekha valo onek. Vaia graphics carde jokhon ato processing power taile alada processor ki dorkar ?

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ADVERTISEMENT
  • আমাদের সম্পর্কে
  • গোপনীয়তা ও নীতিমালা
  • কমেন্ট পলিসি
  • ওয়্যারবিডি টীম
© 2020 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In