WiREBD
  • সম্পর্কে
  • রিসোর্স
  • ক্লাউড
সাবস্ক্রাইব
WiREBD

লেটেস্ট

ট্রেন্ডিং

ক্যাটাগরি

টেক নিউজ

প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

উইন্ডোজ

লিনাক্স

অ্যান্ড্রয়েড

ইন্টারনেট

সাইবার সিকিউরিটি

হার্ডওয়্যার

নেটওয়ার্কিং

প্রোগ্রামিং

৫টি সেরা

এথিক্যাল হ্যাকিং

ওয়ার্ডপ্রেস

কুইক টেক

ক্লাউড কম্পিউটিং

টিউটোরিয়াল

কিভাবে?

বিজ্ঞান

রিভিউ

ওয়েব হোস্টিং

সফটওয়্যার ও অ্যাপস

অনলাইন সার্ভিস

Home কম্পিউটিং

রুট ফোল্ডার বা রুট ডিরেক্টরি কি? — বিস্তারিত ব্যাখ্যা!

তাহমিদ বোরহানbyতাহমিদ বোরহান
10/01/2022
in কম্পিউটিং, প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
0
রুট ফোল্ডার বা রুট ডিরেক্টরি কি? — বিস্তারিত ব্যাখ্যা!

যদিও উইন্ডোজ ইউজারদের এই শব্দটি বেশি শুনতে হয় না, কিন্তু লিনাক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেম গুলো ব্যবহার করলে “রুট” শব্দটি হাজারো বার শোনার প্রয়োজন পড়বে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন রুট করা আর রুট ফোল্ডার বা রুট ডিরেক্টরি হুবহু এক জিনিষ না হলেও এদের বেসিক আইডিয়াটি সম্পূর্ণই এক। অ্যান্ড্রয়েড রুট করার অর্থ হচ্ছে একবারে লো লেভেলে পারমিশনের উপর কন্ট্রোল পাওয়া। কিন্তু রুট ফোল্ডার মানে হচ্ছে, কোন পার্টিশনের সর্বোচ্চ ডিরেক্টরি। মানে সহজ করে বলতে গেলে, ফোনের মেমোরি কার্ড ফাইল ম্যানেজারে ওপেন করার সময় প্রথমেই যে ডিরেক্টরি দেখতে পান, সেটাই রুট ডিরেক্টরি। কোন ফাইল রুটে কপি করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে সরাসরি মেমোরি কার্ডে কপি করে দেওয়া, মানে কোন ফোল্ডারে যেতে হবে না।

ADVERTISEMENT

রুট ডিরেক্টরি যেকোনো ড্রাইভের বা যেকোনো ডিস্ক পার্টিশনের সকল ফোল্ডার এবং যেকোনো ফাইল ধারণ করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ দেখতে গেলে আপনার উইন্ডোজ কম্পিউটারের রুট ডিরেক্টরি “C:\”। আপনার হার্ড ড্রাইভে যদি একাধিক পার্টিশন থাকে, তবে প্রত্যেকটি পার্টিশন ড্রাইভের এক একটি আলাদা রুট ডিরেক্টরি রয়েছে, যেমনঃ “E:\”, “F:\” ইত্যাদি। যদি আপনার কম্পিউটারে ডিভিডি ড্রাইভ থাকে, তো সেটার রুট সাধারণত “D:\” (তবে আলাদা ড্রাইভ লেটারও থাকতে পারে) হয়ে থাকে। এভাবে প্রত্যেকটি ডিস্কে বা এমন কোন মিডিয়া যেখানে ডিজিটাল ডাটা রাখা হয়, অবশ্যই রুট ফোল্ডার থাকে, এবং হ্যাঁ, ওয়েবসাইটেরও রুট ফোল্ডার রয়েছে।


রুট ফোল্ডার এর উদাহরণ

যদিও এই সম্পূর্ণ বিষয়টি একেবারেই কঠিন কোন ব্যাপার নয়, তারপরেও আরোবেশি পরিষ্কার করার জন্য চলুন সম্ভাব্য সকল উদাহরণ থেকে জ্ঞান নেওয়া যাক। এতোক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেচেন,রুট ডিরেক্টরি হচ্ছে কোন ড্রাইভের একদম শুরুর ডিরেক্টরি। কিন্তু এই ব্যাপারটা সবসময় কিন্তু এক থাকে না। ধরুন আপনার পিসিতে মোজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার ইন্সটল করা রয়েছে, তাহলে সেটা “C:\Program Files\Mozilla Firefox\Folder” — এরকম ডিরেক্টরির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে। এখন ধরুন আপনার ব্রাউজারটির সাথে কোন সমস্যা হয়েছে এবং অনলাইন কোন টিউটোরিয়ালে বলা রয়েছে ফায়ারফক্স রুট ফোল্ডারে আপনাকে অমুক ফাইলটি এডিট করতে হবে, তাহলে সেটা আপনি কোথায় খুজবেন?

দেখুন, এক্ষেত্রে রুট ফোল্ডার কিন্তু “C:\” নয়, কেনোনা সেখানে হাজারো আলাদা ফোল্ডার রয়েছে, এখানে রুট ডিরেক্টরি হবে “\Mozilla Firefox\” — কেনোনা এই ডিরেক্টরিতে ফায়ারফক্সের আরো সকল ফোল্ডার বা ফাইল গুলো ধারণকৃত রয়েছে। তো বুঝলেন, ড্রাইভের রুট ফোল্ডার আলাদা এবং যেকোনো আলাদা সফটওয়্যার বা সার্ভিসের রুট আলাদা হতে পারে। আবার যদি বলা হয়, আপনার সকল কম্পিউটার প্রোগ্রাম গুলোর রুট ফোল্ডার কি, সেক্ষেত্রে উত্তর হবে, “C:\Program Files\” — কেনোনা এর মধ্যে কম্পিউটারের সকল প্রোগ্রাম ফাইল এবং ফোল্ডার গুলো রয়েছে। এইভাবে এই রুল সকল ডিরেক্টরির উপর অ্যাপ্লাই হয়, আপনি ফোল্ডারের কোন অংশকে টার্গেট করছেন, সে অনুসারে তার রুট ফোল্ডার আলাদা আলাদা হতে পারে। বুঝাতে পাড়লাম তো?

ওয়েবসাইট রুট ডিরেক্টরি

উপরের দিকেই বললাম, ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেও রুট ডিরেক্টরি বলে একটা টার্ম আছে। ওয়েব সার্ভার সাধারণত আপনার ফিজিক্যাল কম্পিউটারের মতোই হয়ে থাকে এবং এর মধ্যে ফিজিক্যাল ভাবে ডিরেক্টরিতে পেজ স্টোর করা থাকে, যখন আপনি নির্দিষ্ট কোন পেজ অ্যাক্সেস করতে চান, তখন নির্দিষ্ট কোন ডিরেক্টরি ভিজিট করা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। যখন আপনি কোন ওয়েবসাইটের আসল অ্যাড্রেস প্রবেশ করান, সে মুহূর্তে আপনি ওয়েবসাইটির হোমপেজ বা রুট ডিরেক্টরিতে অবস্থান করেন।

তবে যেমন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা রুট ফোল্ডার থাকতে পারে, ঠিক ওয়েব সার্ভারের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়। কোন সাইটের প্রাইমারী ডোমেইন প্রবেশ করানোর মাধ্যমে আপনি ঐ ওয়েব সার্ভারের রুট ডিরেক্টরিতে চলে যান না, আপনি আসলে ঐ সার্ভারে থেকে ওয়েবসাইট’টির রুট ডিরেক্টরিতে প্রবেশ করেন। একটি ওয়েব সার্ভারে একসাথে একাধিক ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের রুট ফোল্ডার আলাদা আলাদা হবে। অ্যাপাচি (Apache) (এটি একটি ওয়েব সার্ভার প্রোগ্রাম, যেমন উইন্ডোজ কম্পিউটার, তেমন সার্ভারের ক্ষেত্রে অ্যাপাচি সার্ভার) সার্ভারে কোন ওয়েবসাইটের রুট ডিরেক্টরি “public_html“ হয়ে থাকে এবং প্রাইমারী ডোমেইনকে ঐ ফোল্ডারেই টার্গেট করে রাখা হয়। মানে আপনি সাইট হোমপেজ ভিজিট করার সময় প্রথমত “public_html” ডিরেক্টরি থেকে কনটেন্ট দেখতে পান।

এরপরে যেকোনো এইচটিএমএল পেজ দেখেতে চাইলে মানে ব্রাউজ করতে চাইলে আপনাকে ঐ ডিরেক্টরিতে প্রবেশ করতে হয়। মনে করুণ, ঐ সাইট’টির ইমেজ ফোল্ডারে থাকা একটি ইমেজ ব্রাউজ করতে চাচ্ছেন, যেটা ফিজিক্যালি “public_html/image/techubs-logo.png” ডিরেক্টরিতে রয়েছে, তাহলে ডোমেইন স্ট্র্যাকচারও কিছুটা এমন হবেঃ “sitename.com/image/techubs-logo.png”। এইচটিএমএল পেজ ব্রাউজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সার্ভারে বা ওয়েব সাইট ডিরেক্টরিতে পেজটি ফিজিক্যালভাবে থাকতে হয়, মানে “public_html/about/about-us.html” তারপরেই সেটা “sitename.com/about/about-us.html” লিঙ্ক থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। কিন্তু পিএইচপি সাইট গুলোর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি আলাদা হয়ে থাকে। কোন ওয়ার্ডপ্রেস সাইট থেকে যদি “sitename.com/about” পেজটি ভিজিট করেন, এর মানে কিন্তু এই নয় ওয়েবসাইট ফোল্ডারে ঐ পেজটি ফিজিক্যালভাবে রয়েছে। ওয়ার্ডপ্রেসের মতো ব্লগ পাবলিশিং সফটওয়্যার গুলো নিজে থেকে ভার্চুয়াল ডিরেক্টরি তৈরি করে, সেখানে কোন ফিজিক্যাল পেজ থাকার দরকার হয় না।


প্রত্যেকটি অপারেটিং সিস্টেমের রুট ডিরেক্টরি আলাদা হয়ে থাকে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে “C:\” সাধারণত রুট হয়, কিন্তু লিনাক্স বা ইউনিক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেম গুলোতে “\root” নামের ডিরেক্টরি থাকে, যখন আপনি ঐ সিস্টেমে রুট ইউজার হিসেবে লগইন করেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে রুট ফোল্ডারে কাজের ফাইল গুলো থাকে, কিন্তু আলাদা অপারেটিং সিস্টেমে, নির্দিষ্ট কাজের জন্য আলাদা আলাদা রুট থাকে।

আশা করছি, আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেকবেশি সাহায্য পূর্ণ ছিল এবং আপনি রুট ফোল্ডার বা রুট ডিরেক্টরি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। এর পরবর্তী কোন আর্টিকেলে লিনাক্সের রুট ডিরেক্টরি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে একটি পুরনাঙ্গ আর্টিকেল লিখে ফেলবো। আর এই বিষয় নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন করতে আমাকে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Images: Shutterstock.com

Tags: কম্পিউটিংরুট ডিরেক্টরিরুট ফোল্ডার
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
তাহমিদ বোরহান

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি! সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Post
আর্কাইভ ফাইল কি? ZIP, RAR, 7z, TAR, GZ — ইত্যাদি ফাইল বৃত্তান্ত!

আর্কাইভ ফাইল কি? ZIP, RAR, 7z, TAR, GZ — ইত্যাদি ফাইল বৃত্তান্ত!

  • যোগাযোগ
  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • আমাদের জন্য লিখুন
© 2015-2021 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • টেক নিউজ
  • মোবাইল ও পিসি
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • উইন্ডোজ
    • লিনাক্স
    • ইন্টারনেট
    • সাইবার সিকিউরিটি
    • নেটওয়ার্কিং
    • হার্ডওয়্যার
    • প্রোগ্রামিং
  • সিরিজ
    • কুইক টেক
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ৫ টি বেস্ট
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • রিভিউ
    • ওয়েব হোস্টিং
    • সফটওয়্যার ও অ্যাপস
    • অনলাইন সার্ভিস
  • আরো
    • প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
    • কিভাবে
    • টিউটোরিয়াল
    • বিজ্ঞান