বিলিয়ন কিলোমিটার যাত্রার কাহিনী! — ভয়েজার ১ [স্পেসের সবচাইতে দূরত্বে মানুষের পাঠানো অবজেক্ট!]

এই মহাবিশ্ব আমাদের কল্পনার চাইতেও অনেক বেশি বড়, আর কোন স্কেলেই একে মাপা সম্ভব নয় কেননা মহাবিশ্ব প্রত্যেক সেকেন্ডে আরো বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হয়ে উঠছে। মহাবিশ্বের সাথে তুলনা করতে গিয়ে যদি আমাদের বর্তমান টেকনোলোজির কথা চিন্তা করি সেক্ষেত্রে মহাবিশ্ব এক্সপ্লোর তো পরের কথা, আমরা আমাদের সৌরজগতই পার হতে পারবো না। মানুষের তৈরি অনেক স্পেস ক্র্যাফট মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, এদের ভয়েজার  (Voyager) সবচাইতে অন্যতম। ভয়েজার ১ আমাদের এমন কিছু দেখিয়েছে, বুঝিয়েছে যেগুলোর কল্পনাও ছিল না আমাদের। পৃথিবী থেকে সৌরজগতের প্রত্যেকটি গ্রহের হাই রেজুলেশন ফটো কেবল ভয়েজারের বদৌলতেই সম্ভব হয়েছিল।

৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এই মহাকাশযানটি অফুরন্ত স্পেসের দিকে ছুটে চলছে, আর বিজ্ঞানীদের জন্য আশার চেয়েও বেশি কিছু তথ্য এখনো প্রভাইড করেই চলেছে। এই আর্টিকেলটি থেকে ভয়েজার ১ স্পেস প্রোবটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আসলে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকে জানতে হলে পূর্বে আমাদের চারপাশের পরিবেশ আর মহাবিশ্বকে জানতে হবে। ওয়্যারবিডিের নিয়মিত বিজ্ঞান সিরিজে আপনাকে স্বাগতম। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চমৎকৃত হতে আরম্ভ শুরু করা যাক…


ভয়েজার ১

মহাকাশে মানুষের তৈরি অনেক প্রকারের যান রয়েছে, তাদের প্রধান দুইটি ধরন হচ্ছে, একটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এবং আরেক টাইপের যান পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না। যে রোবটিক মহাকাশ যান গুলো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না, সেগুলোকে স্পেস প্রোব (Space Probe) বলা হয়। তাহলে বুঝতেই পাড়ছেন, ভয়েজার কোন আর্টিফিশিয়াল স্যাটেলাইট নয়, বরং একটি স্পেস প্রোব। ১৯৭৭ সালে প্রোবটিকে পৃথিবী থেকে মহাকাশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আর আজ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যাত্রা অতিক্রম করে প্রোবটি পৃথিবী থেকে প্রায় ২১ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর যানটি ১৭ কিলোমিটার/সেকেন্ড স্পীডে ছুটে চলে আজ পৃথিবী থেকে প্রায় ১৪১ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট (Astronomical Unit) দূরে রয়েছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব অনুসারে অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট মাপা হয়, এখানে একবার সূর্য থেকে পৃথিবীর সমান দূরত্ব (১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার) অতিক্রম করলে ১ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট

আমাদের সোলার সিস্টেমের সকল দৈত্যাকার গ্রহ গুলোকে অতিক্রম করার পরেও (বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন) প্রোবটি এখনো টিকে রয়েছে এবং মহাকাশের দিকে চলমান রয়েছে, কিন্তু এখানে সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রোবটি এখনো আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছে এবং প্রতিনিয়ত ডাটা সেন্ড করেই চলেছে।

ভয়েজার মিশন

সোলার সিস্টেমের দৈত্যাকার প্ল্যানেট গুলোকে এক্সপ্লোর করার জন্য বিশেষভাবে ভয়েজার মিশন তৈরি করা হয়। ভয়েজার ১ এর যমজ ভাই ভয়েজার ২ কে প্রথমে স্পেসে পাঠানো হয়। আগস্ট ২০, ১৯৭৭ সালে ভয়েজার ২ কে পাঠানোর পরে একই বছর সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখে ভয়েজার ১কে পাঠানো হয়। ভয়েজার ১ এর প্রথম গন্তব্য ছিল বৃহস্পতি গ্রহ বা জুপিটার, যেটা আমাদের সোলার সিস্টেমের সবচাইতে বড় গ্রহ। মার্চ ৫, ১৯৭৯ সালে ভয়েজার ১ জুপিটারে পৌঁছে যায়, আর আমাদের কাছে তথ্য পাঠায় আসলে শনি গ্রহের মতো জুপিটারেরও বেল্ট বা রিং সিস্টেম রয়েছে, সাথে প্রোবটি জুপিটারের বায়ুমন্ডলের উপরের অংশে চলা বিশাল আকৃতির ঝড় সম্পর্কে আমাদের তথ্য সেন্ড করে। জুপিটার মিশনে সবচাইতে বড় আবিস্কার ছিল জুপিটারের চাঁদ গুলো। জুপিটারের চাঁদ আইও (Io) তে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে, এই আগ্নেয়গিরির লাভা অনেক উচ্চতা পর্যন্ত ছুঁড়ে মারে চাঁদটি। জুপিটারের চাঁদ ইউরোপা (Europa) এবং গানিমিড (Ganymede) সার্ফেস পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা অনুমান করতে পেড়েছে, এদের বিশাল মোটা সার্ফেসের ভেতরে বিশাল তরল সমুদ্র রয়েছে।

আমাদের সম্পূর্ণ সৌরজগতের মধ্যে সবচাইতে আশ্চর্যজনক প্ল্যানেট হচ্ছে শনি, পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে আগেই দেখে নিয়েছিলাম এই গ্রহটি দেখতে সম্পূর্ণই আলাদা, এর চার পাশে বিশাল রিং সিস্টেম রয়েছে, যেটা সকল গ্রহ থেকে শনি বা স্যাটার্ন কে আলাদা করে। কিন্তু ১২ নভেম্বর, ১৯৮০ সালে ভয়েজার ১ শনি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যায়। প্রোবটি এই প্রথম আমদের কাছে শনি গ্রহের হাই রেজুলেশন ছবি পৌছিয়ে দেয় যেরকম লুক আমাদের কাছে পূর্বে কখনোই ছিল না। শুধু শনি গ্রহের নয় বরং এর চাঁদ এবং রিং সিস্টেমেরও হাই রেজুলেশন ইমেজ পাঠিয়ে দেয় প্রোবটি। এরপরে প্রোবটি শনির সবচাইতে বড় চাঁদ টাইটানের অত্যন্ত কাছ দিয়ে উড়ে যায়, টাইটান আমাদের সোলার সিস্টেমের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদ এবং একমাত্র চাঁদ যাতে অত্যন্ত ঘন বায়ুমন্ডল রয়েছে। ভয়েজার আবিস্কার করে যে, টাইটানের বায়ুমন্ডল বেশিরভাগ নাইট্রোজেন গ্যাসের তৈরি, আমাদের পৃথিবীর মতো, আর বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব এতোই বেশি যে, স্পেস থেকে টাইটানের সার্ফেস দেখতে পাওয়া অনেক কষ্ট সাধ্যের। টাইটানের সার্ফেস দেখার জন্য বা আরো এক্সপ্লোর করার জন্য স্পেস প্রোব ক্যাসিনির (Cassini) জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তারপরে ভয়েজার ১ শনি গ্রহের বায়ুমন্ডল সম্পর্কিত কিছু ইমেজ সেন্ড করে এবং ২৫ আগস্ট, ১৯৮১ সালে ভয়েজার ২ শনি গ্রহে গিয়ে পৌঁছায় আর গ্রহটি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দেয়। শনির বায়ুমন্ডলের উপরিভাবে যতোটা হিলিয়ামের অস্তিত্ব বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, ভয়েজার ১ নিশ্চিত করে যে ততোটা হিলিয়াম সেখানে নেই। ভয়েজার ২ শনি গ্রহের কেবল ৪১,০০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে যায় আর দুই ভয়েজার মিলে কিছু ইউনিক আবহাওয়া রিপোর্ট আমাদের কাছে সেন্ড করে।

ভয়েজার ১ শনি গ্রহ সম্পর্কে তথ্য গুলো আমাদের কাছে সেন্ড করার পরে এটির মিশন সমাপ্ত হয় এবং অফুরন্ত স্পেসের দিকে এটি এগিয়ে পড়ে। কিন্তু অপরদিকে ভয়েজার ২র এখনো নতুন প্ল্যানেট আবিস্কার করার মিশন ছিল। ভয়েজার ২ এবার শনি গ্রহের গ্রাভিটি থেকে সাহায্য নিয়ে নিজের স্পীড বাড়িয়ে বরফের দুনিয়া ইউরেনাস (Uranus) এবং নেপচুনের (Neptune) দিকে এগিয়ে পড়ে। জানুয়ারি ২৪, ১৯৮৬ সালে ভয়েজার ২ ইউরেনাস এবং আগস্ট ২৫, ১৯৮৯ সালে এটি নেপচুনের সবচাইতে কাছ দিয়ে উড়ে যায়। ভয়েজার ২ ইউরেনাসের রহস্য আর রুপ সর্ব প্রথম বা বলতে পারেন সর্বশেষের মতো আমাদের কাছে উন্মোচন করে। ইউরেনাসের সবচাইতে বড় আকর্ষণ ছিল এর চাঁদ মিরান্ডা (Miranda) যেটার সার্ফেসে বিশাল বিশাল আঁচর রয়েছে। বিজ্ঞানীরা কল্পনা করছেন পূর্বে এই চাঁদটি কোনভাবে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং পরে আবার ভাঙ্গা টুকরা গুলো থেকে নতুনভাবে তৈরি হয়।

ভয়েজার ২ এর শেষ গন্তব্য ছিল নেপচুন, আর মাত্র ৪,৯৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে যায় এই স্পেস প্রোবটি। ভয়েজার ২ এর বদৌলতে ন্যাসা আবিস্কার করে যে, সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমের মধ্যে নেপচুনে সবচাইতে দ্রুততর গতিতে বায়ুমন্ডল প্রভাহিত হয়। নেপচুনের বায়ু গতি জুপিটার থেকেও ৩ গুন বেশি তাছাড়া ভয়েজার ২ আরো ৬টি নতুন চাঁদ আবিস্কার করে এবং আবিস্কার করে নেপচুনের ও রিং সিস্টেম রয়েছে। নেপচুনকে নানানভাবে আবিস্কার করার পরে ভয়েজার ২ ভয়েজার ১ এর মতোই গভির স্পেসের দিকে যাত্রা শুরু করে দেয়।

ভয়েজার মিশনের গন্তব্য অনেক পূর্বেই শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু ভয়েজার এখনো আবিস্কার করা ছেড়ে দেয় নি, এই প্রোব দুইটি এখনো আকাঙ্ক্ষার চেয়ে বেশি কিছু আমাদের প্রদান করেই চলেছে। স্পেস প্রোব দুইটি সূর্য থেকে যতোই দূরে চলে যাচ্ছে এদের চালু রাখতে যে এনার্জির প্রয়োজন, সেটার ততোই ঘাঁটতি দেখা দিচ্ছে। যদিও এখনো স্পেস প্রোব দুইটি পৃথিবীতে সিগন্যাল পাঠাতেই রয়েছে, কিন্তু ন্যাসা কয়েক বছরের মধ্যে ধীরেধীরে সেন্সর গুলো এবং সায়েন্সটিফিক টুল গুলো শাটডাউন করে দেবে, যাতে প্রোব গুলো আরো কিছু পথ অতিক্রম করার এনার্জি পেয়ে যায়। অবশেষে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ভয়েজারের মধ্যে আর এতোটা ইলেক্ট্রিসিটি বজায় থাকবে না, যেটার সাহায্যে স্পেস প্রোবটি কোন প্রকারের অপারেশন চালু রাখতে পারবে।

ভয়েজার সম্পর্কে কিছু মজার ফ্যাক্ট

ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২ সোলার সিস্টেম থেকে যথাক্রমে ৩.৬ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট এবং ৩.৩ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ইউনিট স্পীডে ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। মহাবিশ্বের গভীর পথে যাত্রা আরম্ভ করেও এটি এখনো কতিপয় সায়েন্সটিফিক কাজ করেই চলেছে, এদের মধ্যে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তদন্ত, লো এনার্জি চার্জড পার্টিকেল তদন্ত, কজমিক রে তদন্ত, প্ল্যাজমা তদন্ত, প্ল্যাজমা তরঙ্গ তদন্ত। ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২ উভয়েই বর্তমানে হেলিওস্ফেয়ার (Heliosphere) এক্সপ্লোর করছে, হেলিওস্ফেয়ারকে সহজ ভাষায় বুঝতে বলতে পারেন, এটি সেই অংশ যেখান থেকে সোলার সিস্টেম এবং বাকী স্পেস আলাদা হয়ে যায়। বলতে পারেন আর মাত্র কয়েক বছরের যাত্রার পরে ভয়েজার সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেম ত্যাগ করে নতুন কোন নক্ষত্রের রাজ্যে প্রবেশ করবে।

হেলিওস্ফেয়ার পার হওয়ার পরে ভয়েজারকে অর্ট ক্লাউড (Oort Cloud) অতিক্রম করতে হবে, যেটা পারি দিতে ৩০,০০০ বছর সময় লেগে যাবে। সামনের ৪০,০০০ বছরের মধ্যে ভয়েজার আমাদের থেকে কতিপয় আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র রাজ্য গ্ল্যাইজা ৪৪৫ (Gliese 445) তে পৌঁছে যাবে এবং নক্ষত্রটিকে অত্যন্ত কাছ থেকে এক্সপ্লোর করবে।

সবচাইতে মজার ফ্যাক্ট হচ্ছে, ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২তে গোল্ডেন রেকর্ড রাখা হয়েছে যেটাতে আমাদের দুনিয়ার অস্তিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। এটি একটি ফোনোগ্রাফ রেকর্ড ডিস্ক যেখানে এলিয়েনদের প্রতি মানুষের পাঠানো ম্যাসেজ এনকোড করা রয়েছে। এই রেকর্ড ডিস্কটি সোনার তৈরি আর এতে অনেক টাইপের সাউন্ড এবং ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, যাতে পৃথিবী, মানুষ আর আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে এলিয়েনদের বুঝানো যেতে পারে। প্লেটটির গায়ে হাইড্রোজেনের সংকেত একে দেওয়া হয়েছে, যেটা মহাবিশ্বের সবচাইতে কমন অংশ, যদি কোথাও কোন বুদ্ধিমান এলিয়েন থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ছাড়া হাইড্রোজেন স্ট্র্যাকচার বুঝতে পারবে। সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন সাউন্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবে। গোল্ডেন প্লেট’টিকে অত্যন্ত কয়েক বিলিয়ন বছর টিকে থাকার মতো করেই তৈরি করা হয়েছে।


তো এই ছিল ন্যাসার ভয়েজার মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বেসিক কাহিনী। আশা করছি আর্টিকেলটি থেকে স্পেসের সবচাইতে দূরত্বে মানুষের পাঠানো অবজেক্ট ভয়েজার সম্পর্কে অনেক অজানা জ্ঞান অর্জন করেছেন, আসলে লেখার মতো আরো অনেক কিছু ছিল, কিন্তু একটি সিঙ্গেল আর্টিকেলে এতো কিছু বর্ণনা করা সম্ভব নয়। ওয়্যারবিডিের সাথে নিয়মিত যুক্ত থাকুন, আশা করছি নিয়মিত অনেক টাইপের সায়েন্স বিষয়ক আর্টিকেল গুলো উপভোগ করতে পারবেন। আর এই আর্টিকেলটি কেমন ছিল, সেটা নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর ভয়েজার স্পেস ক্র্যাফট সম্পর্কে আপনি কি মন্তব্য করেন, সবকিছু আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানান।

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories