WiREBD
  • সম্পর্কে
  • রিসোর্স
  • ক্লাউড
সাবস্ক্রাইব
WiREBD

লেটেস্ট

ট্রেন্ডিং

ক্যাটাগরি

টেক নিউজ

প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

উইন্ডোজ

লিনাক্স

অ্যান্ড্রয়েড

ইন্টারনেট

সাইবার সিকিউরিটি

হার্ডওয়্যার

নেটওয়ার্কিং

প্রোগ্রামিং

৫টি সেরা

এথিক্যাল হ্যাকিং

ওয়ার্ডপ্রেস

কুইক টেক

ক্লাউড কম্পিউটিং

টিউটোরিয়াল

কিভাবে?

বিজ্ঞান

রিভিউ

ওয়েব হোস্টিং

সফটওয়্যার ও অ্যাপস

অনলাইন সার্ভিস

Home প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

ওয়েটওয়্যার কি? হিন্টস : বায়োলজি + সফটওয়্যার + হার্ডওয়্যার!

তাহমিদ বোরহানbyতাহমিদ বোরহান
10/01/2022
in প্রযুক্তি ব্যাখ্যা, সফটওয়্যার ও অ্যাপস, হার্ডওয়্যার
0
ওয়েটওয়্যার কি? হিন্টস : বায়োলজি + সফটওয়্যার + হার্ডওয়্যার!

কম্পিউটার বা প্রায় সকল প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইজের দুইটি প্রধান অংশ রয়েছে, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার, রাইট? — হার্ডওয়্যার হচ্ছে কোন ডিভাইজের ফিজিক্যাল যন্ত্রপাতি আর সফটওয়্যার বা ফার্মওয়্যার হচ্ছে ভার্চুয়াল কন্ট্রোলার, যেগুলো সাধারণত হার্ডওয়্যার গুলোকে কন্ট্রোল করার জন্য তৈরি বা ব্যবহার করা হয়। আমরা জানি, সফটওয়্যার শুধু মেশিন কন্ট্রোল করে, কিন্তু আরেক টাইপের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার রয়েছে, যেগুলো আসলে জীবন্ত প্রাণীদের কন্ট্রোল করতে পারে, আর একেই ওয়েটওয়্যার (Wetware) বা লাইভওয়্যার (Livewire) বা মিটওয়্যার (Meatware) বা অনেক সময় একে বায়োহ্যাকিং (BioHacking) বলা হয়ে থাকে।

ADVERTISEMENT

তবে, সত্যিই কি কোন সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার জীবন্ত প্রাণীদের কন্ট্রোল করতে পারে? যদি করতে পারে, তাহলে কিভাবে? বা এর প্র্যাক্টিক্যাল উপকারিতা গুলো কি কি হতে পারে? — ওয়েটওয়্যার নিয়ে বেসিক সকল বিষয় গুলোর উপর এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


ওয়েটওয়্যার

কোন সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যখন কোন জীবন্ত প্রাণীর দেহে ফিট করা থাকবে, সেটাকেই ওয়েটওয়্যার হিসেবে গণ্য করা হবে। আপনি অনেকটা ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি এবং অগমেন্টেড রিয়্যালিটির উদাহরণ নিতে পারেন, এখানে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার মিলে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরি করে, কিন্তু এখানে আপনি সেই ভার্চুয়াল দুনিয়াকে ফিজিক্যাল মনে করেন। মানে এখানে ভার্চুয়াল এবং ফিজিক্যাল দুই বিষয়ই একত্রে জড়িত রয়েছে।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার যখন আমাদের ব্রেইন, কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, বা চামড়ার নিচে ফিট করিয়ে দেওয়া হয়, এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার যখন আমাদের চিন্তাভাবনা বা ডিএনএ এর উপর কন্ট্রোল নেয়, সেক্ষেত্রে সেটাকে ওয়েটওয়্যার বলা হয়। একে বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও বলা হয়ে থাকে, বিশেষ করে এই ধরনের ডিভাইজ রোগব্যাধি থেকে আরোগ্য বা মস্তিষ্ক কন্ট্রোল করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের ব্রেইনের মধ্যে সর্বদা লাখো কোটি প্রসেস চলতে থাকে যেগুলো সম্পর্কে আমরা আমরা কখনই জানতে বা বুঝতে পারি না। আপনি যখন চোখে কিছু দেখেন বা কানে কিছু শোনের সেক্ষেত্রে আপনার চোখ বা কান অনেক কম ভূমিকা পালন করে, বাকী প্রসেসিং গুলো আপনার মস্তিষ্কই সম্পূর্ণ করে, কিন্তু আপনি সেই প্রসেসিং সম্পর্কে কখনই জানতে পারেন না। ওয়েটওয়্যার সেই অজানা প্রসেসিং গুলোর উপর কন্ট্রোল নিতে পারে এবং আমাদের জন্য নতুন নতুন সম্ভবনার সৃষ্টি করতে পারে।

ওয়েটওয়্যারের ব্যবহার

ওয়েটওয়্যারের নানান প্রকারের ব্যবহার এবং এর অনেক সম্ভবনা কল্পনা করা যেতে পারে। কল্পনা করে দেখুন, আপনার চোখের কথা, আসলে চোখ কিন্তু কোন কিছু দেখে না, মস্তিস্কের সাহায্য ছাড়া আপনি কিছুই দেখতে পাবেন না। যখন আপনি কিছু দেখেন, আপনার মস্তিষ্কে প্রত্যেকবারে ইউনিক ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল তৈরি হয়, আর সেই সিগন্যাল গুলো প্রসেস করেই ব্রেইনে ইমেজ তৈরি হয়। এখন চিন্তা করে দেখুন, কোনভাবে আমরা সেই ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালকে ডিকোড করে ফেললাম এবং একই স্ট্র্যাকচারের হুবহু নকল সিগন্যাল তৈরি করলাম, এখন যদি সেই সিগন্যালের মধ্যে কোন ইমেজ এনকোড করে মস্তিষ্কে সেন্ড করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের সিগন্যালে এনকোড করা ইমেজ অবশ্যই মস্তিষ্ক দেখতে পাবে।

এভাবে ক্যামেরা ব্যবহার করে ইমেজ তৈরি করা যেতে পারে এবং নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার মাথায় মধ্যে ফিট করে দেওয়া যেতে পারে যেখানে বিশেষ টাইপের সফটওয়্যার থাকবে যেটা মস্তিষ্কের হুবহু ইলেকট্রিক সিগন্যাল জেনারেট করে মস্তিষ্কে সেন্ড করে দেবে, এতে অন্ধ ব্যাক্তি চোখের সাহায্য ছাড়ায় দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেতে পারবে। আমার চিন্তা করে দেখুন কোন প্যারালাইসিস রোগীর কথা, যখন কারো কোন অঙ্গে প্যারালাইসিস হয়, আসলে সেই অঙ্গ কিন্তু নস্ট হয়ে যায় না, বরং মস্তিষ্ক থেকে ঐ অঙ্গের কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে যায়। এখন কোন ডিভাইজ ব্যবহার করে, সেটাকে ফিজিক্যালভাবে মস্তিষ্কে ফিট করে যদি ঐ অঙ্গকে নির্দেশ করে কাজ করানো যায়, সেটা হবে ওয়েটওয়্যারের ব্যবহার।

আমাদের মস্তিষ্ক অনেক ক্রিটিক্যাল একটি জিনিষ, আমাদের প্রত্যেকটি অনুভূতিতে মস্তিষ্কে ইউনিক ওয়েভ তৈরি হয়, প্রত্যেকটি কাজে মস্তিষ্কে ইউনিক পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। মানুষের রাগ, খুশি, চিন্তা, ভয় পাওয়া সকলের উপর ভিত্তি করে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ আলাদা আলাদাভাবে রিয়াক্ট করে থাকে। যদি কোন ডিভাইজ লাগিয়ে সেই ওয়েভ গুলোকে ক্যাপচার করে কম্পিউটারে এনালাইসিস করা হয়, সেক্ষেত্রে আমরা সহজেই বুঝে যেতে পারবো কোন বিষয়কে কন্ট্রোল করলে ঠিক কি করতে হবে। এমনকি এখনই আমাদের কাছে এমন ডিভাইজ রয়েছে যেগুলো শুধু মস্তিষ্ক স্ক্যান করা নয়, বরং মস্তিষ্ক থেকে কম্যান্ড গ্রহণ করে কম্পিউটার কন্ট্রোল করা যেতে পারে। ব্রেইন প্রিন্ট আর্টিকেলটিতে আমি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

শুধু তাই নয়, সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে বায়োলজিক্যাল দেহের জিনস এডিট করা যেতে পারে, ডিএনএ স্ট্র্যাকচার পরিবর্তন করা যেতে পারে এবং কোন রোগব্যাধিকে রিমুভ করা যেতে পারে, আর এটিও ওয়েটওয়্যারের উদাহরণ। ওয়েটওয়্যার ব্যবহার করে ডিএনএ এর মধ্যে সম্পূর্ণ নতুন ফিচার যুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে। মস্তিষ্কের মধ্যে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার যুক্ত করে ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস বানানো যেতে পারে, যেটা আর্টিফিশিয়াল অঙ্গ গুলোকে পরিচালনা করতে পারে। শুধু এই নয়, বর্তমানে মানুষের ডিএনএ এর মধ্যে কম্পিউটার ডাটা স্টোর করার পদ্ধতি আবিস্কার করে ফেলা হয়েছে, এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।


ওয়েটওয়্যারকে মূলত ম্যান-মিডল-অবজেক্ট বলতে পারেন, যেখানে মানুষ বা বায়োলোজিক্যাল শরীরের সাথে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের সম্পর্ক থাকে আর কি। আপনি ন্যানোটেকনোলজির উদাহরণ নিতে পারেন, যেখানে ন্যানোবটকে মানুষের শরীরের সেলের মধ্যে প্ল্যান্ট করিয়ে দেওয়া যায় এবং এদের আকার ব্যাকটেরিয়া থেকেও ছোট হতে পারে। ন্যানোবট ব্যবহার করে নানান প্রকারের অসুখের নিরাময় করা যেতে পারে।

আবার এমন ডিভাইজের কথা কল্পনা করে দেখুন, যেটা আপনার চামড়ার নিচে না আঙুলের ভেতরে প্ল্যান্ট করা থাকতে পারে, তারপরে কোন কিছু আনলক করতে, আইডি ভেরিফাই করতে, বা পেমেন্ট করতে আর কিছুই করতে হবে না, সবকিছু কন্টাক্টলেস হয়ে যাবে। আপনার শরীরের মধ্যে রিমোট ড্রাগ ডেলিভারি ডিভাইজ লাগিয়ে নেওয়া যাবে, যেতে ডাক্তারেরা দূর থেকেই যখন প্রয়োজন আপনাকে ঔষধ প্রদান করতে পারবে।

Images: Shutterstock.com

Tags: ওয়েটওয়্যারটেকটেক চিন্তাপ্রজুক্তিপ্রযুক্তিফিউচার টেক
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
তাহমিদ বোরহান

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি! সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Post
গুগলের দারুন ৭ টি টুলস! যা প্রতিদিন আপনার নানা কাজে লাগবে

গুগলের দারুন ৭ টি টুলস! যা প্রতিদিন আপনার নানা কাজে লাগবে

  • যোগাযোগ
  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • আমাদের জন্য লিখুন
© 2015-2021 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • টেক নিউজ
  • মোবাইল ও পিসি
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • উইন্ডোজ
    • লিনাক্স
    • ইন্টারনেট
    • সাইবার সিকিউরিটি
    • নেটওয়ার্কিং
    • হার্ডওয়্যার
    • প্রোগ্রামিং
  • সিরিজ
    • কুইক টেক
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ৫ টি বেস্ট
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • রিভিউ
    • ওয়েব হোস্টিং
    • সফটওয়্যার ও অ্যাপস
    • অনলাইন সার্ভিস
  • আরো
    • প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
    • কিভাবে
    • টিউটোরিয়াল
    • বিজ্ঞান