ম্যাক বনাম উইন্ডোজ পিসি | আপনার কোনটি কেনা উচিৎ?

বন্ধুরা আপনি এতোদিন যতো ম্যাক বনাম পিসি পোস্ট পড়েছেন বা ভিডিও দেখেছেন সেগুলো সাধারনত এক পক্ষ হয়ে থাকে। অনেক মানুষ বলে ম্যাক সবার বেস্ট আবার অনেকে বলে উইন্ডোজ পিসি সবচেয়ে বেস্ট। কিন্তু আমার মতে যেটি আপনার প্রয়োজন সঠিকভাবে মেটাতে পারবে, সেটিই বেস্ট। তাই আজকের এই তুলনাটি কোন এক পক্ষে নেওয়া হবে না। বরং আপনার প্রয়োজন অনুসারে তুলনা করা হবে যে ম্যাক আপনার জন্য উত্তম? না, উইন্ডোজ পিসি? আমি আপনাদের কম্পিউটিং চাহিদার কথা মাথায় রেখে কিছু পয়েন্ট তৈরি করেছি, যার ভিত্তিতে আজকের তুলনাটি সম্পূর্ণ করবো। এবং সাথে সাথে কিছু ভুল ধারণাকেও আপনাদের মন থেকে টেনে বেড় করার চেষ্টা করবো। চলুন অনেক হয়েছে ভূমিকা এবার বিস্তারিত বিষয়ের দিকে এগোনো যাক।


ভারাইটি (Variety)

 

দেখুন সর্বপ্রথমে যে পয়েন্টটি আসে তা হলো ভারাইটি। এবং ভারাইটির দিকে দেখতে গেলে বলতেই হয় যে ভারাইটিতে উইন্ডোজ পিসি সবার আগে। আপনার বাজেট অনুসারে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ২,৩ লাখ পর্যন্ত আপনার চাহিদা অনুসারে যে কোন একটি উইন্ডোজ পিসি কিনতে পারেন অথবা বানিয়ে নিতে পারেন। আপনি ল্যাপটপ কিনতে পারেন, ট্যাবলেট কিনতে পারেন, কাস্টম পিসি বানাতে পারেন, অর্থাৎ আপনার যা ইচ্ছা। এবং বেশির ভাগ সময়ই আপনি যদি পরবর্তীতে চান তবে আপনার পিসির হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করতে পারবেন। এই বিষয় গুলো অবশ্যই উইন্ডোজ পিসির ক্ষেত্রে একটি বিরাট সুবিধা।

কিন্তু ম্যাক এ আপনি পাবেন কিছু লিমিটেড মডেল যা অ্যাপেল আপনাকে বানিয়ে দেয়। যেমন; ম্যাক বুক, ম্যাক বুক এয়ার, ম্যাক বুক প্রো, আই ম্যাক, ম্যাক প্রো, ম্যাক মিনি ইত্যাদি। তাছাড়া একবার যেকোনো মডেল কিনে ফেললেন তো ফেললেন পরে সিস্টেম আপগ্রেড করার অপশন একদম সীমিত পাবেন। এবং মাত্র কিছু মডেলেই আপগ্রেড করার অপশন পাবেন। তো এই অবস্থায় ভারাইটির জন্য অবশ্যই উইন্ডোজ পিসি বেশি সুবিধা জনক।

সফটওয়্যার স্ট্যাবিলিটি (Software Stability)

 

দ্বিতীয় যে পয়েন্টটি সাজিয়েছি তা হলো সফটওয়্যার স্ট্যাবিলিটি। এবং এই পয়েন্টে ম্যাক ব্যাবহারে অনেক সুবিধা রয়েছে। অ্যাপেল যেহেতু নিজেই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার প্রস্তুত করে তাই ম্যাকের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার টিউনিং অনেক ভালো হয়ে থাকে। সিস্টেম অনেক ফাস্ট থাকে এবং ক্র্যাশ অনেক কম হয়ে থাকে। আপনি ম্যাক অফ করেন, না করেন, সবসময় লাগাতার কাজ করতে থাকেন যা ইচ্ছা এতে আপনাকে ম্যাক কখনই সমস্যায় ফেলবে না। এবং প্রত্যেকবারই আপনি সকল টাস্ক স্মুথ ভাবে করতে পারবেন। আপনি হেভি টাস্ক করুন আর নরমাল টাস্ক ম্যাক কিন্তু আপনাকে সবসময়ই স্ট্যাবিলিটির অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

কিন্তু এই বিষয়টি উইন্ডোজ পিসির ক্ষেত্রে ঘটে না। মাইক্রোসফট মূলত একটি সফটওয়্যার কোম্পানি। তারা উইন্ডোজ তো বানিয়ে দিয়েছেন কিন্তু অনেক প্রস্তুতকারক কোম্পানি আছে যেমন এইচপি, ডেল, আসুস, লেনোভো ইত্যাদি ব্র্যান্ড রয়েছে এবং সবার কাছে আলাদা আলদা মডেল রয়েছে। তো উইন্ডোজ সবার সাথে ঠিকঠাক ভাবে টিউনিং করতে পারে না। কারন কোন কোন কোম্পানির হার্ডওয়্যার একদম বাজে হয়ে থাকে। অনেকে এক্ষেত্রে উইন্ডোজকে দোষ দিয়ে থাকে কিন্তু আসল দোষটি হলো তার পিসির প্রস্তুতকারী কোম্পানির। বিভিন্ন প্রস্তুতকারী দ্বারা উইন্ডোজ পিসি প্রস্তুত হওয়ার জন্য উইন্ডোজকে ঠিকঠাক মতো চলতে বিভিন্ন ড্রাইভারের প্রয়োজন পরে। তো এই জন্য উইন্ডোজ পিসি ম্যাকের মতো এতো ফাস্ট হয় না এবং কাজ করতে করতে অনেক সময় ক্র্যাশ করে। এমনকি মাইক্রোসফটের যে সার্ফেস প্রো ৪ রয়েছে সেটিও সফটওয়্যার স্ট্যাবিলিটির দিক থেকে যেকোনো ম্যাকের কাছে হার মানবে। তো সফটওয়্যার স্ট্যাবিলিটির দিক থেকে ম্যাক কিনলে আপনি বেশি সুবিধা পাবেন।

ইউজেস (Usage)

 

ইউজেসের ক্ষেত্রে আপনি যদি গেম খেলার কথা ভাবেন তবে আমি বলবো চোখ বন্ধ করে কোন উইন্ডোজ পিসি কিনে ফেলুন। ম্যাকে আপনি গেমিং করতে পারবেন না। ম্যাকের যে গেমিং পারফর্মেন্স পাবেন তা একদম বেকার হবে। তো গেমিং এর জন্য আপনার জন্য উত্তম হবে একটি কাস্টম পিসি। অথবা আপনি যেকোনো ভালো উইন্ডোজ ল্যাপটপ দিয়েও গেমিং করতে পারবেন।

কিন্তু আপনার ইউজেস চাহিদা যদি অডিও ভিডিও প্রোডাকশন করার হয়ে থাকে অথবা আপনি যদি কোন মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন তবে এই অবস্থায় আমার পরামর্শ হলো আপনি যদি পারেন তো একটি ম্যাক কিনে ফেলুন। কেনোনা অডিও ভিডিও প্রোডাকশনে আপনি ম্যাকে হাই এন্ড পারফর্মেন্স পাবেন। তাছাড়া অ্যাপেলের কিছু নিজস্ব সফটওয়্যার রয়েছে তার টিউনিংও খুব ভালো দেখতে পাবেন। হয়তো অনেক কম টাকা খরচ করে ম্যাক বুক প্রো বা আই ম্যাকের সমতুল্য পারফর্মেন্স ওয়ালা উইন্ডোজ পিসি বিল্ড করতে পারবেন। কিন্তু যদি কথা বলি ক্র্যাশ বিহিন স্মুথ পারফর্মেন্স এর কথা তবে হয়তো তা ম্যাকের মতো উইন্ডোজ পিসিতে দেখতে পাবেন না। আপনি উদাহরণ স্বরূপ কোন বড় ইন্ডাস্ট্রিতে চলে যান, সেখানে বেশির ভাগ সময়ই ম্যাক বুক প্রো বা আই ম্যাক ইত্যাদি ব্যবহার করতে দেখে থাকবেন। সেখানে আপনি কখনই একটি উইন্ডোজ পিসি ব্যবহার করতে হয়তো দেখতে পাবেন না। তো এই অবস্থায় উইন্ডোজ পিসির জন্য গেমিং এর বেশি সুবিধা রয়েছে এবং মিডিয়া প্রোডাকশনের জন্য ম্যাক উত্তম।

ভাইরাস আক্রমণ (Virus Attack)

 

অনেক মানুষের মনে ভুল ধারণা থাকে ভাইরাস আক্রমণ নিয়ে। এবং তারা মনে করেন যে ম্যাক কখনই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়না। এই কথাটি একদমই সত্যি নয়। ম্যাকেও ভাইরাস আক্রমণ হয়। কিন্তু উইন্ডোজ পিসির তুলনায় অনেক কম। আপনি যদি ম্যাকে কোন এন্টিভাইরাস ব্যবহার নাও করেন তারপরও আপনি হয়তো নিরাপদ থাকতে পারবেন। কেনোনা উইন্ডোজ এর হাতে মার্কেটের ৯৯% শেয়ার রয়েছে। তো এই অবস্থায় যখন কোন হ্যাকার ভাইরাস তৈরি করে তখন সে সবসময় ভাইরাস তৈরি করে পিসির জন্য। কেনোনা বেশি ব্যবহারকারীকে আক্রান্ত করানো মানে বেশি মুনাফা। ম্যাক তেমন বেশি ব্যবহারকারী ব্যবহার করে থাকে না, তাই হ্যাকার ম্যাকের জন্য তেমন ভাইরাস বানিয়ে থাকে না।

সফটওয়্যার (Software)

 

যারা ম্যাক কেনার কথা চিন্তা করেন তাদের প্রায় প্রত্যেকের মাথায় যে প্রশ্নটি সবার আগে এসে থাকে তা হলো সফটওয়্যার নিয়ে। অনেক মনে করেন ম্যাকের জন্য তো আলাদা সফটওয়্যার এবং উইন্ডোজ পিসির জন্য আলাদা সফটওয়্যার। দেখুন টেনশন করার আগে জেনে নিন, যতো গুলো বড় ডেভেলপার রয়েছে যেমন অ্যাডোবি, অটো ডেস্ক, এমনকি মাইক্রোসফট অফিস ইত্যাদির সকল সফটওয়্যার ম্যাক এনং উইন্ডোজ পিসি এই দুই প্লাটফর্ম এর জন্যই কিন্তু পাওয়া যায়। এমন সমস্যা অনেক কম হয়ে থাকে যে কোন বড় ডেভেলপারের সফটওয়্যার শুধু ম্যাকের জন্য রয়েছে বা শুধু উইন্ডোজের জন্য রয়েছে।

আপনি প্রায় সবসময় দেখতে পাবেন যে আপনার সকল প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ম্যাক এবং পিসি উভয়ের জন্যই প্রাপ্য রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় কিছু ছোট ইউটিলিটিস থাকে যা হয়তো উইন্ডোজ পিসির জন্য পাওয়া যায় কিন্তু ম্যাকের জন্য একই ইউটিলিটি পাওয়া যায় না। এই ক্ষেত্রে হতে পারে ম্যাকের জন্য আপনাকে কোন বিকল্প ইউটিলিটি খুঁজতে হবে। কিন্তু এমনটা কখনই নয় যে কোন সফটওয়্যার উইন্ডোজ পিসিতে চালাচ্ছেন কিন্তু সেটা ম্যাকের জন্য একদমই পাবেন না। অ্যাপেলের যেসব এক্সক্লুসিভ সফটওয়্যার রয়েছে ম্যাকের জন্য সেগুলো বাদে যেকোনো বড় সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানির সকল সফটওয়্যার ম্যাক এবং পিসি উভয়ের জন্যই পাবেন।

ডুয়াল বুট ম্যাক (Dual Boot)

অনেকে মনে করে থাকেন যে যদি আমি একটি ম্যাক কিনে নেয় তবে সেখানে উইন্ডোজও ব্যবহার করতে পারবো ডুয়াল বুট করে। জি হাঁ! অবশ্যই আপনি তা করতে পারবেন। কিন্তু আমি আপনাকে এটা করার পরামর্শ দেবো না। কেনোনা হাঁ আপনি যদিও উইন্ডোজ ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু উইন্ডোজ ম্যাকে খুব ভালো পারফর্মেন্স দেবে না। আর যদি দেয় তবেও যখন দুই ওএস একসাথে ব্যবহার করবেন তখন আপনার সিস্টেম ধিরেধিরে কচ্ছপ হয়ে পড়বে এবং এক সময় পুরা সিস্টেম বেকার পারফর্মেন্স দেওয়া শুরু করবে।

আবার একই ভাবে অনেকে ভেবে থাকেন যে একটি কাস্টম পিসি তৈরি করে সেখানে ডুয়াল বুটে ম্যাক এবং উইন্ডোজ দুটোই একসাথে চালাবেন। হাঁ আপনি এটাও করতে পারেন। কিন্তু একটি কাস্টম পিসিতে ম্যাকের যে পারফর্মেন্স পাবেন তা কখনই আসল ম্যাক বুক বা আই ম্যাকের মতো হবে না। এবং এখানেও সমস্যা আছে, আপনি অফিসিয়াল সফটওয়্যার আপডেট পাবেন না। ফলে আপনাকে বারবার ফরম্যাট করে সবকিছু আপডেট করতে হবে। তো আমার মতে যদি আপনার ম্যাক কেনার প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই একটি প্রোপার ম্যাক কিনুন অথবা উইন্ডোজ প্রয়োজন হলে একটি প্রপার উইন্ডোজ পিসি বিল্ড করুন বা কিনুন।

দাম (Price)

 

বন্ধুরা এবার চলে এসেছি একদম আসল পয়েন্টে, আর তা হলো দাম। দামের দিক থেকে অনেক মানুষ মনে করেন যে ম্যাক অনেক বেশি দামী। হাঁ অনেক সময় আমিও এটি মনে করি। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। হাঁ শুরুর দিকে লখ্য করলে দেখতে পাবেন যে ম্যাকের দাম ৫০-৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। যেখানে ১০-১৫ হাজার টাকা দিয়ে উইন্ডোজ পিসি পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন সার্ফেস প্রো ৪, এলিয়েন ভিআর ইত্যাদির কথা তবে এগুলো ম্যাকের চেয়েও বেশি দামী। তো এমনটা একদমই নয় যে উইন্ডোজে সবকিছু সস্তা এবং ম্যাকে দামী। আসলে দামী হওয়াটা নির্ভর করে আপনি কি কনফিগারেশন কিনছেন অথবা আপনি কোন মডেল কিনছেন তার উপর। তো এই অবস্থায় কিছু পর্যায়ে উইন্ডোজ বেশি দামী আবার কিছু পর্যায়ে ম্যাক বেশি দামী।

তাছাড়া আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি, অ্যাপেলের ২৭ ইঞ্চি ৫কে যে আই ম্যাক রয়েছে তার যে দাম তার প্রায় একই দামে ডেল এর শুধু ২৭ ইঞ্চি ৫কে মনিটর কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু চিন্তা করেন দেখুন প্রায় একই দামে আপনি মনিটর এর বদলে একটি সম্পূর্ণ হাই এন্ড ম্যাক কম্পিউটার কিনতে পারছেন যদি আপনি নেন অ্যাপেলের ২৭ ইঞ্চি ৫কে আই ম্যাক। কিন্তু আবার আপনি যদি বলেন অ্যাপেল ম্যাক বুক প্রো এর কথা তবে সেটি একটি আলট্রা দামী ডিভাইজ। এবং ঐ দামের মধ্যে আপনি যদি একটি পিসি তৈরি করেন তবে এর চেয়ে ২ অথবা ৩ গুন বেশি পাওয়ারফুল সিস্টেম বানাতে পারবেন। তো কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে এবং কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হতে পারে।

শেষ কথা

তো এই ছিল তুলনা করার মতো কিছু পয়েন্ট। এছাড়া তেমন আর কিছু নেই তুলনা করার মতো। আমার বাক্তিগত সকল মতামত এখানে শেয়ার করেছি। আপনি যদি ম্যাক ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে আপনি উইন্ডোজ ব্যবহার করে দেখতে পারেন সেখানে কোন নতুন অভিজ্ঞতা হতে পারে। আবার আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে আপনি ম্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আসলে এটি কোন যুদ্ধ নয় যে উইন্ডোজ ভালো না ম্যাক ভালো। প্রত্যেকটি ব্যবহারকারীর জন্য যে কম্পিউটার তাদের কাজ করে দিতে পারবে সেটাই তাদের জন্য সেরা। আর আপনি যদি গেমিং করেন তবে তো আর বুদ্ধি নেয়, উইন্ডোজেই থাকতে হবে। সত্যি বলতে কেউ যে কারো থেকে সর্বউত্তম সেটা বলা যাবে না। কিন্তু সেটা আপনি বলতে পারবেন আপনার কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে। আশা করছি বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটি আপনার অসাধারন লেগেছে। তাই জলদি জলদি শেয়ার করে ফেলুন। এবং যেকোনো মতামত প্রকাশে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানান।

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories