WiREBD
  • সম্পর্কে
  • রিসোর্স
  • ক্লাউড
সাবস্ক্রাইব
WiREBD

লেটেস্ট

ট্রেন্ডিং

ক্যাটাগরি

টেক নিউজ

প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

উইন্ডোজ

লিনাক্স

অ্যান্ড্রয়েড

ইন্টারনেট

সাইবার সিকিউরিটি

হার্ডওয়্যার

নেটওয়ার্কিং

প্রোগ্রামিং

৫টি সেরা

এথিক্যাল হ্যাকিং

ওয়ার্ডপ্রেস

কুইক টেক

ক্লাউড কম্পিউটিং

টিউটোরিয়াল

কিভাবে?

বিজ্ঞান

রিভিউ

ওয়েব হোস্টিং

সফটওয়্যার ও অ্যাপস

অনলাইন সার্ভিস

Home প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

স্যাটেলাইট ফোন : কিভাবে কাজ করে? এর সুবিধা-অসুবিধা কি? [বিস্তারিত!]

সিয়ামbyসিয়াম
11/01/2022
in প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
0
স্যাটেলাইট ফোন : কিভাবে কাজ করে? এর সুবিধা-অসুবিধা কি? [বিস্তারিত!]

আপনি যদি অনেক বেশি টিভি দেখেন বা অনেক বেশি ইংলিশ মুভি দেখেন, তাহলে হয়তো অনেক মুভি সিনে অনেকবার দেখেছেন যে কেউ অনেক পুরাতন দিনের ফোনের মতো দেখতে একটি ফোন ব্যবহার করে কারো সাথে কথা বলছে এবং পাহাড়-পর্বত, জঙ্গল, মরুভুমি যেকোনো জায়গা থেকে কথা বলতে পারছে কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই। খেয়াল করলে দেখবেন, যুদ্ধ নিয়ে তৈরী বা আর্মি বা সেনাবাহিনীদের নিয়ে তৈরী মুভিগুলোতে এই ধরণের ফোন অনেক বেশি দেখা যায়। কিন্তু আপনি যদি মনে করে থাকেন যে ওই ধরণের ফোনগুলো শুধুমাত্র মুভিতেই দেখা যায় এবং বাস্তব জীবনে নেই, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ভুল। এই ফোনগুলোই হচ্ছে স্যাটেলাইট ফোন। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে এই স্যাটেলাইট ফোন এবগ এটি কিভাবে কাজ করে ও এটির সুবিধা অসুবিধা কি এবং কেনই বা আমরা এই ফোনগুলো প্রত্যেকদিন ব্যবহার করিনা বা করতে পারিনা। প্রথমেই জানা যাক,

ADVERTISEMENT

স্যাটেলাইট ফোন কি?

প্রথমে জানা যাক, আমরা সবাই সাধারণভাবে যেসব ফোন ব্যবহার করি, সেগুলো কিভাবে কাজ করে। আমরা প্রায় সবাই জানি যে আমাদের সাধারণ সেল ফোনগুলোক কাজ করার জন্য দরকার হয় সেলফোন টাওয়ার। আমাদের মোবাইল ফোনগুলো তার ক্যারিয়ারের নির্দিষ্ট সেল টাওয়ারের সাথে সবসময় কানেক্টেড থাকে এবং আমাদেরকে ভয়েস এবং ডেটা সার্ভিস প্রদান করে। সেলফোনগুলো সবসময়ই তার সবথেকে নিকটস্থ টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড থেকে কাজ করে। আর এই সেলফোন টাওয়ারগুলো সবসময়ই স্থির। তাই পৃথিবীর অনেক জায়গায় কোনো ক্যারিয়ারের নেটওয়ার্ক নেই বা টাওয়ার নেই। যেমন, আপনি যদি প্রত্যন্ত কোনো গ্রামে যান বা কোনো গভীর জঙ্গলে যান, অথবা কোনো উঁচু পর্বতে ওঠেন কিংবা বিস্তর কোনো মরুভূমিতে যান বা মোটকথা, এমন কোনো জায়গায় যান যেখানে সেলফোন টাওয়ারের কোনো কভারেজ নেই বা সেলফোন টাওয়ার নেই, সেখানে আপনার সেলফোনটি কোনো ধরণের নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারবে না। কারণ, সেসব জায়গায় কোনো সেলফোন টাওয়ার নেই। তাই এসবজায়গায় আপনার ফোনটির প্রায় সব ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন অচল হয়ে যাবে। যার ফলে আপনি কোনো কল করতে পারবেন না, ধরতে পারবেন না এবং আক্ষরিক অর্থেই কারো সাথে কন্টাক্ট করতে পারবেন না।

 

এখানেই চলে আসে স্যাটেলাইট ফোনের ব্যাপারটি। স্যাটেলাইট ফোন হচ্ছে সেই ধরণের ফোনগুলো যেগুলো আমাদের টিপিকাল সেলফোন টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড থাকেনা। নাম শুনে এতক্ষনে নিশ্চই ধারণা করতে পেরেছেন যে, এটি স্যাটেলাইটের সাথে কানেক্টেড থাকে। স্যাটেলাইট কি এটা নিশ্চই আমরা সবাই জানি। স্যাটেলাইটগুলো আমাদের সেলফোন টাওয়ারের মতো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেনা। স্যাটেলাইটগুলো আকাশ থেকে আমাদের পৃথিবীর চারদিকে সর্বক্ষণ ঘুরতে থাকে। তাই এই স্যাটেলাইটগুলোর কোনো নির্দিষ্ট রেঞ্জ বা নির্দিষ্ট কোনো কভারেজ এরিয়া নেই। এটি যেহেতু সারা পৃথিবীকেই আবর্তন করতে থাকে, তাই এটির কভারেজ পৃথিবীর প্রত্যেকটি কোনায় কোনায় আছে।

স্যাটেলাইট ফোনের সুবিধা কি?

স্যাটেলাইট ফোনের সুবিধা কি এবং এটি ব্যবহার করার এডভ্যান্টেজগুলো কি কি তা নিশ্চই আপনি এতক্ষনে কিছুটা হলেও ধারণা করতে পারছেন। এই ফোনগুলো যেহেতু সেলফোন টাওয়ারের পরিবর্তে সরাসরি আকাশে থাকা স্যাটেলাইটের সাথে কানেক্টেড থাকে, তাই এটির কোনো নির্দিষ্ট রেঞ্জ নেই এবং কভারেজ এরিয়া নেই। আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই থাকুন না কেন, আপনি এর কভারেজ এরিয়ার মধ্যেই থাকবেন। স্যাটেলাইট ফোনের কভারেজ এরিয়া থেকে বের হতে হলে আপনাকে মূলত পৃথিবীর বাইরে বেরিয়ে যেতে হবে।  আপনি যতক্ষণ পৃথিবীর ভেতরে আছেন, আপনি এই ফোনের নেটওয়ার্ক কভারেজের মধ্যেই আছেন।  এটাই হচ্ছে স্যাটেলাইট ফোনের সবথেকে বড় এবং একমাত্র সুবিধা। আপনি কোনো বিশাল সমুদ্রের বুকেই থাকুন, বা কোনো গহীন জঙ্গলে কিংবা কোনো পর্বতের চুড়ায়, আপনি যেকোনো সময়ই এই ফোন ব্যবহার করতে পারবেন এবং ব্যবহার করে মানুষের সাথে কথাও বলতে পারবেন। আর কখনো যে স্যাটেলাইটটি সাথে ফোনটি কানেক্টেড আছে সেই স্যাটেলাইটটি আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার ফলে যদি আপনি নেটওয়ার্ক হারান, তবুও কোনোরকম চিন্তা নেই। কারণ, স্যাটেলাইটগুলো সবসময়ই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। আপনি এখন নেটওয়ার্ক না পেলেও আরো কয়েক মিনিট পরে অবশ্যই পাবেন।

আমরা কেন প্রতিদিন স্যাটেলাইট ফোনই ব্যবহার করিনা?

এবার আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন যে, স্যাটেলাইট ফোন যখন এতই ভালো এবং এটি ব্যবহার করার এটি যখন সুযোগ-সুবিধা, তাহলে কেন আমরা এই ধরণের স্যাটেলাইটে কানেক্টেড থাকা স্মার্টফোনই সবসময় ব্যবহার করিনা? কেনই বা আমরা এতো ভালো একটি অল্টারনেটিভ বাদ দিয়ে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ইত্যাদি নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ারের ওপরে ডিপেন্ড করে থাকি?

এর অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথম কারণ হিসেবে বলা যায়, স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারের এক্সপেন্স। অর্থাৎ দাম। প্রথমত এই ধরণের স্যাটেলাইট ফোনের মডেলগুলোর দাম সাধারণ ফোনের তুলনায় অনেক বেশি। স্যাটেলাইট ফোনগুলোর দাম এতই বেশি যে এটি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য এফোর্ড করা প্রায় অসম্ভব। হয়তো একটি স্যাটেলাইট ফোন কিনতে গেলে বাংলাদেশী টাকায় ২-৩ লক্ষ টাকার বেশি দাম পড়ে যাবে। আর শুধু তাই না। ২ বা ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে আপনি যে একটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন বা এই ধরণের কিছুও পাবেন, তা না। স্যাটেলাইট ফোনগুলো মূলত এখন থেকে আরো ১০-১৫ বছর আগের ফোনের মডেলগুলোর মতো। আপনি স্যাটেলাইট ফোনে শুধুমাত্র কল করা এবং কল রিসিভ করা ছাড়া আর মূলত তেমন কিছুই করতে পারবেন না।

 

ফোনের দাম যদি আপনার কাছে কোনো ইস্যু না হয় তাহলে তারপরে চলে আসে কল রেটের ব্যাপারটি। সেলফোনে আমরা যে কল রেটে সবার সাথে কথা বলি, যেমন ৩০ পয়সা মিনিট বা ৬০ পয়সা মিনিট, আপনি স্যাটেলাইট ফোনে কখনোই তেমন কল রেট পাবেন না। স্যাটেলাইট ফোনে কথা বলার কল রেট সাধারণ সেল ফোনের অনেক গুন বেশি। কারণ, এসব স্যাটেলাইট আকাশে লঞ্চ করা অনেক এক্সপেন্সিভ এবং স্যাটেলাইটগুলোতে যেসব ব্যান্ডউইডথ থাকে সেগুলোও যথেষ্ট লিমিটেড। তাই এই ব্যান্ডউইডথ যখন আপনি কথা বলার কাজে ব্যবহার করছেন, তখন অবশ্যই আপনাকে অনেক বেশি দাম দিতে হবে। হয়তো দেখা যাবে বাংলাদেশী টাকায় ৫০০ টাকা প্রতি মিনিট হিসেবে কথা বলতে হচ্ছে আপনাকে। আপনি যদি এতটাই বড়লোক হন যে এটাও আপনার কাছে কোনো ইস্যু না হয়, তাহলে তারপরের প্রবলেমটি হচ্ছে লেটেন্সি এবং ল্যাগ। আমরা আমাদের সাধারন সেলফোনে যেমন যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষন কোনো ধরণের লেট ছাড়াই ইনস্ট্যান্ট রেস্পন্স পাই এবং কথা চালিয়ে যেতে পারি, স্যাটেলাইট ফোনে এমনটা হয়না। দেখা যাবে যে, আপনি একটি কথা বলার পরে ওপর প্রান্তে আরো ২-৩ সেকেন্ড পরে আপনার কথা পৌঁছাবে, আবার ওপর প্রান্তে কথা বললে আপনার কাছে পৌঁছাতে আরো ৩-৪ সেকেন্ড লেগে যাবে। এই ধরণের সব সমস্যার কারণে  স্যাটেলাইট ফোন প্রাইমারি ফোন হিসেবে প্রত্যেকদিন ব্যবহার করার মতো কোনো ফোন নয় এবং এইসব প্রবলেমের কারণে এই ফোন ডেইলি লাইফে ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব। আর এছাড়াও আরো একটি সমস্যা হচ্ছে, পৃথিবীর সব দেশের সরকার তাদের সাধারণ জনগণকে এই স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করার পারমিশন দেয়না।

এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে এই স্যাটেলাইট ফোন কে ব্যবহার করে তাহলে? আসলে স্যাটেলাইট ফোন কে ব্যবহার করবে বা কাকে ব্যবহার করার পারমিশন দেওয়া হবে তার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। অনেক দেশের আর্মি বা সেনাবাহিনীদের ক্যাপ্টেইন, বা বিমানের পাইলট অথবা কোনো জাহাজের ক্যাপ্টেইন বা এই ধরণের আরো বড় পদের অনেক কর্মকর্তারা এই ধরণের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে থাকেন। মূলত স্যাটেলাইট ফোন তারাই ব্যবহার করেন যাদের পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় থেকে মানুষের সাথে কন্টাক্ট রাখতে পাড়ার দরকার বা কথা বলার দরকার হয়। আর নিশ্চিতভাবেই স্যাটেলাইট ফোন আপনার বা আমার মতো সাধারণ মানুষের জন্য নয়।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো ধরণের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।

Images: Shutterstock.com

Tags: টেক চিন্তাটেকনোলজিপ্রযুক্তিমোবাইলস্যাটেলাইটস্যাটেলাইট ফোন
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
সিয়াম

সিয়াম

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Post
সেলফ হিলিং ম্যাটেরিয়াল | এটা কি সম্ভব, কোন ম্যাটেরিয়াল নিজের ক্ষত নিজেই সাড়াতে পাড়বে?

সেলফ হিলিং ম্যাটেরিয়াল | এটা কি সম্ভব, কোন ম্যাটেরিয়াল নিজের ক্ষত নিজেই সাড়াতে পাড়বে?

  • যোগাযোগ
  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • আমাদের জন্য লিখুন
© 2015-2021 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • টেক নিউজ
  • মোবাইল ও পিসি
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • উইন্ডোজ
    • লিনাক্স
    • ইন্টারনেট
    • সাইবার সিকিউরিটি
    • নেটওয়ার্কিং
    • হার্ডওয়্যার
    • প্রোগ্রামিং
  • সিরিজ
    • কুইক টেক
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ৫ টি বেস্ট
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • রিভিউ
    • ওয়েব হোস্টিং
    • সফটওয়্যার ও অ্যাপস
    • অনলাইন সার্ভিস
  • আরো
    • প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
    • কিভাবে
    • টিউটোরিয়াল
    • বিজ্ঞান