WiREBD
  • সম্পর্কে
  • রিসোর্স
  • ক্লাউড
সাবস্ক্রাইব
WiREBD

লেটেস্ট

ট্রেন্ডিং

ক্যাটাগরি

টেক নিউজ

প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

উইন্ডোজ

লিনাক্স

অ্যান্ড্রয়েড

ইন্টারনেট

সাইবার সিকিউরিটি

হার্ডওয়্যার

নেটওয়ার্কিং

প্রোগ্রামিং

৫টি সেরা

এথিক্যাল হ্যাকিং

ওয়ার্ডপ্রেস

কুইক টেক

ক্লাউড কম্পিউটিং

টিউটোরিয়াল

কিভাবে?

বিজ্ঞান

রিভিউ

ওয়েব হোস্টিং

সফটওয়্যার ও অ্যাপস

অনলাইন সার্ভিস

Home উইন্ডোজ

এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কিভাবে কাজ করে? জি-সিঙ্ক Vs ফ্রী-সিঙ্ক! [ওয়্যারবিডি ব্যাখ্যা!]

সিয়ামbyসিয়াম
11/01/2022
in উইন্ডোজ, কম্পিউটিং
0
এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কিভাবে কাজ করে? জি-সিঙ্ক Vs ফ্রী-সিঙ্ক! [ওয়্যারবিডি ব্যাখ্যা!]

আপনি যদি পিসিতে অনেক বেশি গেম খেলে থাকেন এবং এনভিডিয়ার একটি এক্সটার্নাল জিপিইউ ব্যাবহার করেন গেম খেলার সময় তাহলে খুব সম্ভবত আপনি জি-সিঙ্ক টেকনোলজির কথা অনেকবার শুনেছেন এখন পর্যন্ত। কিন্তু আসলে এই এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কি এবং এর দরকারই বা কি? আজকে বিষয়টি নিয়েই ছোট করে আলোচনা করবো।

ADVERTISEMENT

আমরা সবাই প্রায় কমবেশি মনিটর এবং জিপিইউ এর ব্যাপারে জানি। আমরা সবাই এটাও জানি যে প্রত্যেকটি মনিটরের প্রত্যেকটি ডিসপ্লের আলাদা আলাদা রিফ্রেশ রেট থাকে। এখনকার প্রায় ৯০% মনিটর ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের হয়ে থাকে। অর্থাৎ, মনিটরগুলো প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার রিফ্রেশ হয়। অথবা এগুলো প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৬০ টি করে ফ্রেম চেঞ্জ করতে পারে বললেও ভুল হবেনা।

এবার আসি জিপিইউ এর কথায়। বাজারে অনেক ধরনের জিপিইউ পাওয়া যায়। প্রত্যেকটিই আলাদা আলাদা রকম পাওয়ারফুল হওয়ায় প্রত্যেকের রেন্ডার স্পিডেরও অনেক তফাত আছে। উদাহরণস্বরূপ, হাই এন্ড এনভিডিয়া জিপিইউগুলো যেমন জিটিএক্স ১০৭০, ১০৮০ বা ১০৮০ টিআই ইত্যাদি জিপিইউ অনেক হাই ফ্রেম রেটে গেম রেন্ডার করতে পারে। যেমন, ৮০ বা ১০০ এফপিএস। কিন্তু একটু মিড রেঞ্জের জিপিইউ যেমন, জিটিএক্স ১০৩০ বা ১০৫০ ইত্যাদি আরেকটু কম ফ্রেম রেটে গেম রেন্ডার করে। যেমন, ৪০ বা ৬০ এফপিএস। কিন্তু এখানেই সমস্যাটি তৈরী হয়। বর্তমান সময়ে ৬০ এফপিএস রিফ্রেশ রেটের থেকে বেশি রেটের মনিটর খুব বেশি পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও সেগুলোর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই সবাই এই ধরণের হয় রিফ্রেশ রেটের মনিটর এফোর্ড করতেও পারেন না। কিন্তু প্রধান সমস্যাটি কি হয় এবং সেটি ফিক্স করতে এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কিভাবে কাজ করে, তা নিচে আলোচনা করছি।


এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক কি?

ধরুন, আপনার কাছে যে মনিটরটি বা যে ডিসপ্লেটি আছে সেটি অন্যদের মতোই ৬০ এফপিএস রিফ্রেশ রেটের। তার মানে আপনার মনিটরটি প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার রিফ্রেশ হতে পারে বা ৬০ টি নতুন ফ্রেম নিতে পারে। এর বেশি পারেনা। আর আপনার পিসিতে যে জিপিইউ আছে, সেটি কোনো একটি হাই এন্ড জিপিইউ যেমন, জিটিএক্স ১০৭০ অথবা ১০৮০ ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে আপনার জিপিইউ অধিকাংশ গেম খেলার সময়ই সেই গেমটি ৬০ এফপিএস এর অনেক বেশি রেটে রেন্ডার করবে। এবার  ভেবে দেখুন, আপনার মনিটর প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি ফ্রেমের বেশি সাপোর্ট করছে না, তবে আপনার জিপিইউ প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি ফ্রেমের বেশি রেন্ডার করছে যাতে আপনার মনিটর সেটি দেখতে পারে। ঠিক এই অবস্থায় যে সমস্যাটি হয় সেটি হচ্ছে স্ক্রিন টিয়ারিং। এসময় আপনার মনিটর যেহেতু প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টির বেশি ফ্রেম পাচ্ছে কিন্তু সাপোর্ট না করার কারণে তা দেখতে পারছে না, তাই প্রত্যেকবার এটিকে ১ টির বেশি ফ্রেম বা একটির বেশি ছবিকে আলাদাভাবে দেখতে হচ্ছে। এর ফলেই ঘটে স্ক্রিন টিয়ারিং। স্ক্রিন টিয়ারিং বলতে, স্ক্রিন এর মাঝ বরাবর একটি কাটা দাগ বা একটি ছবি কেটে গিয়ে তার মাঝখানে পরের ফ্রেমটির ছবি চলে আসা- এমন অনেক ধরণের টিয়ারিং হতে পারে, যেটি অবশ্যই সম্পূর্ণ গেমিং এক্সপেরিএন্সকে খারাপ করে দিতে যথেষ্ট। এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক হচ্ছে এনভিডিয়ার এমন একটি ফিচার যেটি হাই এন্ড জিপিইউগুলোকে স্লো ডাউন করে দেয় যাতে সেগুলো তাদের সর্বোচ্চ শক্তিতে গেম রেন্ডার না করে কিছুটা কম ফ্রেম রেটে রেন্ডার করে বা আরো ভালোভাবে বলতে হলে, মনিটর সর্বোচ্চ যে রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে সেই রেটে রেন্ডার করে, যাতে মনিটর সেটি ভালোভাবেই সাপোর্ট করে এবং কোনো ধরণের স্ক্রিন  টিয়ারিং না হয়।

খানে আরো একটি সমস্যা আছে। এখনকার নতুন যেসব হাই এন্ড গেমস বা খুব বেশি জিপিইউ ইনটেনসিভ যেসব গেমস আছে, সেগুলো অনেকসময় হয় এন্ড জিপিইউতেও ৬০ এফপিএস এর বেশি রেটে রেন্ডার হতে পারেনা। তখন যদি এই জি-সিঙ্ক টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, তখন পূর্বে বলা সমস্যার বিপরীত ঘটে যাবে। তখন দেখা যাবে, আপনার মনিটর ৬০ ফ্রেমস পার সেকেন্ড সাপোর্ট করলেও আপনার জিপিইউ সম্পূর্ণ ৬০ এফপিএস প্রোভাইড করতে পারছে না, কারণ গেমটি অনেক বেশি গ্রাফিক্স ইনটেনসিভ। তখন জি-সিঙ্ক অন করা থাকলে আপনার মনিটরকে ফ্রেমস শো করার জন্য আরো অপেক্ষা করে থাকতে হবে। তখন আবার স্ক্রিন টিয়ারিং এর জায়গায় শুরু হবে স্টাটারিং এবং ল্যাগ। কিন্তু এই সমস্যাটির সমাধান দেয় এএমডির ফ্রী-সিঙ্ক।

এএমডি ফ্রী-সিঙ্ক কি এবং জি-সিঙ্কের সাথে পার্থক্য কি?

টেকনিক্যালি ফ্রী-সিঙ্ক এবং এনভিডিয়ার জি-সিঙ্ক একই কাজ করে থাকে, যেটি হচ্ছে জিপিইউ এবং মনিটরের ফ্রেম রেটের মধ্যে মিল রাখা যাতে কোনো গেমে স্ক্রিন টিয়ারিং না ঘটে। কিন্তু এএমডি এটি আরেকটু অন্যভাবে করে। যদিও টেকনিক্যালি এটিও হাই এন্ড জিপিইউগুলোকে স্লো ডাউন করে দেয়, তবে এটি সবসময় মনিটরের ফ্রেম রেট অনুযায়ী স্লো ডাউন করেনা।  এটি যা করে তা হচ্ছে, এটি এডাপ্টিভ সিঙ্ক স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে, যেগুলো থার্ড পার্টি স্কেলার এর কাছে এভেইলেবল থাকে। যেখানে এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক শুধুমাত্র এনভিডিয়ার তৈরী স্কেলার মডিউলে কাজ করে যেটি মনিটর ম্যানুফ্যাকচারার এর কাছে এনভিডিয়া সেল করে । যার ফলে, এএমডির ফ্রী-সিঙ্ক এনভিডিয়ার জি-সিঙ্কের তুলনায় আরো বেশি কম্পিটেবল মনিটরে কাজ করে।  কিন্তু এনভিডিয়ার জি-সিঙ্ক শুধুমাত্র সেসব মনিটরেই কাজ করবে যেগুলোতে এনভিডিয়ার এই স্কেলার মডিউলটি আছে বা এনভিডিয়া যাদের কাছে এটি সেল করেছে। এছাড়া এএমডি এডাপ্টিভ সিংক স্ট্যান্ডার্ড ফলো করার কারণে, ফ্রী-সিঙ্ক জিপিইউকে শুধুমাত্র মনিটরের রিফ্রেশ রেট অনুযায়ী স্লো ডাউন করেনা। বরং, এমন একটি ফ্রেম রেটে স্লো ডাউন করতে পারে, যেটি মনিটর এবং জিপিইউ দুটির জন্যই ভালো। যার ফলে হয় এন্ড গেম, লো এন্ড গেম দুই ক্ষেত্রেই পারফর্মেন্স ইম্প্রুভ হয়।

শেষ করার আগে, আপনার যদি এনভিডিয়া এবং এএমডির মধ্যে কোন জিপিইউটি ভালো এবং আপনার কোনটি নেওয়া উচিত হবে এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন-

→ এএমডি Vs. এনভিডিয়া | নেক্সট জিপিইউ কোন কোম্পানির কিনবেন?

এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক হচ্ছে এনভিডিয়ার এমন একটি ফিচার যেটি হাই এন্ড জিপিইউগুলোকে স্লো ডাউন করে দেয় যাতে সেগুলো তাদের সর্বোচ্চ শক্তিতে গেম রেন্ডার না করে কিছুটা কম ফ্রেম রেটে রেন্ডার করে বা আরো ভালোভাবে বলতে হলে, মনিটর সর্বোচ্চ যে রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে সেই রেটে রেন্ডার করে, যাতে মনিটর সেটি ভালোভাবেই সাপোর্ট করে এবং কোনো ধরণের স্ক্রিন  টিয়ারিং না হয়। এএমডি এডাপ্টিভ সিংক স্ট্যান্ডার্ড ফলো করার কারণে, ফ্রী-সিঙ্ক জিপিইউকে শুধুমাত্র মনিটরের রিফ্রেশ রেট অনুযায়ী স্লো ডাউন করেনা। বরং, এমন একটি ফ্রেম রেটে স্লো ডাউন করতে পারে, যেটি মনিটর এবং জিপিইউ দুটির জন্যই ভালো। যার ফলে হয় এন্ড গেম, লো এন্ড গেম দুই ক্ষেত্রেই পারফর্মেন্স ইম্প্রুভ হয়।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো ধরণের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।

Images: Shutterstock.com

Tags: এনভিডিয়াকম্পিউটিংগ্রাফিক্স কার্ডজিপিইউপ্রযুক্তিহার্ডওয়্যার
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
সিয়াম

সিয়াম

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Post
বিলিয়ন কিলোমিটার যাত্রার কাহিনী! — ভয়েজার ১ [স্পেসের সবচাইতে দূরত্বে মানুষের পাঠানো অবজেক্ট!]

বিলিয়ন কিলোমিটার যাত্রার কাহিনী! — ভয়েজার ১ [স্পেসের সবচাইতে দূরত্বে মানুষের পাঠানো অবজেক্ট!]

  • যোগাযোগ
  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • আমাদের জন্য লিখুন
© 2015-2021 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • টেক নিউজ
  • মোবাইল ও পিসি
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • উইন্ডোজ
    • লিনাক্স
    • ইন্টারনেট
    • সাইবার সিকিউরিটি
    • নেটওয়ার্কিং
    • হার্ডওয়্যার
    • প্রোগ্রামিং
  • সিরিজ
    • কুইক টেক
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ৫ টি বেস্ট
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • রিভিউ
    • ওয়েব হোস্টিং
    • সফটওয়্যার ও অ্যাপস
    • অনলাইন সার্ভিস
  • আরো
    • প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
    • কিভাবে
    • টিউটোরিয়াল
    • বিজ্ঞান