ফেসবুক কত বড়? ফেসবুক নিয়ে বিস্তারিত ইতিহাস

মানুষ স্বভাবগত ভাবে সামাজিক প্রাণী। প্রাকিতিক ভাবেই প্রায় আমাদের মধ্যে সকলেই একে অপরের সম্পর্কে বেশি বেশি জানতে পছন্দ করি। এবং আমরা সেটাই অনুসরন এবং অনুকরন করতে পছন্দ করি যেটা সামাজিক ভাবে আমাদের চারপাশে ঘটে থাকে। একটি বিখ্যাত গবেষণায় এটি প্রমানিতও হয়েছে। একটি গবেষণায় রাস্তার মধ্যে একটি মানুষ দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার দেখা দেখি আশপাশের সকল মানুষ আকাশের দিকে তাকাতে আরম্ভ করে দেয়। এবং মনে করে নিশ্চয় সেখানে কিছু চমকপ্রদ জিনিস অপেক্ষা করছে। কারন আমরা ভাবি যে, একসাথে অনেক মানুষ কখনোয় ভুল হতে পারে না। মানুষের এই স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যই ফেসবুক নামক এই অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়াটির উন্নতির মূল চাবি কাঠি। আজকের এই পোস্ট টে সেই বাক্তিটি এবং সেই ওয়েবসাইটটি নিয়ে আলোচনা করা হবে যা, পৃথিবীর যোগাযোগ ইতিহাস সম্পূর্ণ রূপে পাল্টে দিয়েছে। এবং তারপর আমরা ফেসবুক নিয়ে কিছু অসাধারন ফ্যাক্ট সম্পর্কে জানবো। এবং পরিশেষে জানবো সমাজের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে। সুতরাং আজকের পোস্টটে অনেক মজা পেতে চলেছেন, তো কথা না বাড়িয়ে গভীরে সাঁতার কাঁটা শুরু করা যাক।


ফেসবুক উদ্ভবনের ইতিহাস

 

১৯৯০ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে ইন্টারনেটকে নতুন অর্থনীতি হিসেবে দেখা হয়। ইন্টারনেট কোম্পানি গুলোকে তাদের মানের শেষে শুধু ডট কম যুক্ত করার জন্য অনেক ডলার খরচ করতে হতো। যদিও তাদের কাছে ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জনের কোন ফ্রেস আইডিয়া ছিল না। ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট পাবলিক হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সাইট টির নাম ছিল দ্যা গ্লোব ডট কম (theglobe.com)। কোম্পানিটি এর প্রথম দিনেই ৬০৬% শেয়ার মূল্য অর্জন করে। কিন্তু ঠিক পরের বছরেই কোম্পানিটি এর ৯৫% মূল্য হারিয়ে ফেলেছিল। কোম্পানিটির পতনের মূল কারন ছিল এরা অনেক নিয়মকানুন এবং প্লান পছন্দ করত এবং তা সাইটটির উপর চাপিয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া তারা পাবলিক হওয়ার সাথে সাথেই পার্টি করতে অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছিল কোন প্রকার কাজ না করেই। কোম্পানিটি প্রমান করেছিলো যে তাদের ধারনাটি একদম নতুন এবং বিশুদ্ধ ছিল। কিন্তু ধারনাটিকে বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজন ছিল একটি শক্তিশালী সংবেদনশীল পথের। যদি কেও মানুষের স্বভাবগত আচরণকে কাজে লাগিয়ে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারতো তবে সোশ্যাল মিডিয়া বিশাল হতে পারতো।

এমন সময় মার্ক জুকার বার্গ নামক এক উজ্জ্বল তরুন সামনে আসে। তিনি প্রোগ্রামিং এর দিক থেকে বাবার চেয়ে নেতৃত্বে ছিলেন। এবং তার স্কুল এর মাঝামাঝি সময়েই সফটওয়্যার ডিজাইন করা এবং সফটওয়্যার তৈরি করার উপর আয়ত্ত এনে ফেলেছিলেন। হাইস্কুলে পড়ার সময় মার্ক একটি মিডিয়া প্লেয়ার তৈরি করেন যার নাম ছিল “synapse”। এই মিডিয়া প্লেয়ারটি মিউজিক শোনার অভ্যাস অনুসরন করে মিউজিক উপদেশ দিতে পারতো। কিন্তু synapse মিডিয়া প্লেয়ার এমন একটি ধারণা ছিল যা মাইক্রোসফট এবং অন্যান্য বৈশ্বিক প্লেয়ার কোম্পানি গুলো আগেই অর্জন করেছিলো। সুতরাং এটি দিয়ে বাজার ধরা সম্ভব ছিল না, এবং তিনি আরো বড় মোকাবেলার সম্মুখীন হতে চাইছিলেন। এই সময়ের মধ্যে মার্ক হাইস্কুল শেষ করেন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। হার্ভার্ডে তিনি একজন মৌসুমিক প্রোগ্রামার ছিলেন। এবং তিনি ফেস ম্যাস নামক একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এবং এটি মুলত হট অর নট এর একটি সংস্করণ ছিল, সাথে ভোটিং এবং রাঙ্কিং করার সিস্টেম যুক্ত ছিল। ফেস ম্যাস তৈরি হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই হার্ভার্ডের সিস্টেম ক্রাস হয়ে গিয়েছিল। এবং ছাত্রছাত্রীরা ইন্টারনেট দিয়ে সেটি অ্যাক্সেস করতে পারছিলো না।

এই সময়ের মধ্যে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বিতীয় প্রজন্ম উড়ান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়েছিলো। মাইস্পেস (myspace.com) এবং ফ্রেন্ডসটার (friendster.com) তাদের গন্তব্য ছুঁয়ে ফেলেছিল। জানুয়ারি ২০০৪ এর দিকে মার্ক তার নতুন সাইট এর জন্য প্রোগ্রাম লিখতে গুরু করেন। এবং নতুন সাইট টির নাম করণ করা হয় দ্যা ফেসবুক নামে, এবং পরবর্তীতে এর নাম শুধু ফেসবুক রাখা হয়। ফেব্রুয়ারি ৪, ২০০৪ এ মার্ক দ্যা ফেসবুক চালু করেন। আর এর পরের ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা।

বর্তমান দিনে ফেসবুক ও ফেসবুক নিয়ে কিছু মজাদার তথ্য

 

বর্তমান দিনে ফেসবুক কে শুধু মাত্র একটি অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক হিসেবে ভাবা হয় না। বর্তমানে ফেসবুক একটি অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকেও অনেক বেশি কিছু। একটি গবেষণায় জানা গেছে ২০১৮ সালের মধ্যে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কটি প্রায় ৮০% ইউজার হারাবে। কোম্পানিটির কাছে কোন চয়েজ থাকবে না যদি কোম্পানিটি নতুন কিছু না করতে পারে। যাই হোক এই বিষয় নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে, এখন কথা বলা যাক ফেসবুক আসলে কত বড় তা নিয়ে। এবং চলুন এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কটির সম্পর্কে কিছু মজাদার তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

  • ইন্টারনেট জগতে পৃথিবীর মধ্যে গুগলের পরে এটি দ্বিতীয় নম্বর সাইট। এবং তৃতীয়ত আসে ইউটিউব। বর্তমানে প্রতিমাসে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কটির ১.৩ বিলিয়ন একটিভ ইউজার রয়েছে। প্রত্যেক ২০ মিনিটে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কটিতে ১০ লক্ষ লিঙ্ক শেয়ার করা হয়, ২ মিলিয়ন ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো হয়, ৩ মিলিয়ন ম্যাসেজ পাঠানো হয়। ফেসবুকের জীবনকালে এই পর্যন্ত ১ শত বিলিয়ন ফ্রেন্ড কানেকশন, ১.৩ ট্রিলিয়ন লাইকস এবং ২৫০ বিলিয়ন ফটো শেয়ার করা হয়েছে। চিন্তা করুন ফেসবুক যদি একটি দেশ হতো তো কত বড় হতো!
  • আসলে আমরা যেটাকে লাইক বাটন হিসেবে চিনি, কিন্তু আসলে ফেসবুক ইঞ্জিনিয়াররা একে Awesome বাটন হিসেবে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন।
  • ঠিক আছে, এখন প্রশ্ন হলো বর্তমানে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কটির অর্থনৈতিক মূল্য কত? বর্তমানে ফেসবুকের অর্থনৈতিক মূল্য ২ শত বিলিয়ন ডলারস। এবং এই মূল্য ইবেয় (ebay.com), ইয়াহু (yahoo.com), গ্রুপ অন (groupon.com), লিঙ্কডইন (linkedin.com), নেট ফ্লিক্স (netflix.com), পান্ডোরা (pandora.com) এর একত্র মুল্যের দ্বিগুণ।
  • ২০০৯ সালে অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে দ্যা ওয়ার্ড অফ দ্যা ইয়ার ছিল আনফ্রেন্ড (Unfreind)।

ফেসবুক ফিজিক্যাল সাইট বা ডাটা সেন্টার

ফেসবুক ডাটা সেন্টার নিয়ে কথা বলার আগে চলুন দেখে নিন এই ভিডিওটি এবং ঘুরে আসুন এর ডাটা সেন্টারটি

ফেসবুকের ডাটা সেন্টারটি আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কম্পিউটিং এর একটি আদর্শ। ডাটা সেন্টারটির আয়তন প্রায় ৩ টি ফুটবল মাঠের সমান। এবং প্রায় ২১ মিলিয়ন ফিট ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে গঠিত।  ডাটা সেন্টারে প্রতিদিন প্রায় কয়েক শত সার্ভার যুক্ত করা হয় এবং এদের এক একটি সার্ভারে ৫০০ টেরাবাইট স্টোরেজ থাকে। এবং সর্বপ্রথম কম্পিউটার থেকে এই স্টোরেজ প্রায় ১৩০ বিলিয়ন গুন বেশি। প্রতিদিন এই ডাটা সেন্টারটি ১০০ পেটাবাইটস ফটোস এবং ভিডিওস সংরক্ষন করে। এই ডাটা সেন্টারটিতে যেন কখনো বিদ্যুৎ ফেল না করে তার জন্য সবসময় ১৪৩ মেগাওয়াটস জেনারেটর সর্বদা প্রস্তুত থাকে।

ফেসবুকের আরো কিছু গল্প

 

সুতরাং এতো ক্ষণে আমরা জানলাম যে ফেসবুক কর্পোরেশন এখন অনেক বড় একটি কোম্পানি। কোম্পানিটি জন্ম নেওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত অনেক কিছু অর্জন করেছে। এবার চলুন কোম্পানিটির কিছু অর্জন এর উপর দৃষ্টি পাত করা যাক। আপনারা অনেকেই জানেন যে ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নিয়েছে। তাছাড়া মার্চ ২৫, ২০১৪ তে এই কোম্পানিটি ওকিউলাস ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি) প্রযুক্তিটি কিনে নেন। এবং এটি এই কোম্পানিটির জন্য অনেক বড় একটি অর্জন।

অবশ্যই ফেসবুক ফটো শেয়ারিং করার জন্য বেশি জনপ্রিয়, এবং এখনো পর্যন্ত ফটো শেয়ারিং এ এটি সবচেয়ে বড় সাইট। এখন ধিরেধিরে আপনি লখ্য করছেন যে এই সাইট টি ভিডিও শেয়ারিং এর জন্যও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এবং আমার মতে পরবর্তী প্রজন্মে এই সাইট টি ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি শেয়ারিং এর দিকে ঝুঁকে পরবে। ইতি মধ্যে কোম্পানিটি ঘোষণা করেছে যে তারা সামনের দিনে নিউজ ফিডে থ্রিডি ভিডিও সমর্থন করবে। এবং ইউজারগন তাদের নিউজ ফিডে লাইভ ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি উপভোগ করতে পারবে। মার্চ ২৭, ২০১৪ তে ফেসবুক একটি কোম্পানি ক্রয় করে যেটা High-altitude Unmanned aerial vehicle এর উপর বিশেষত্ব রাখে। এই কোম্পানিটিকে কেনার মূল উদ্দেশ্য হলো ইন্টারনেট ডট অরগ (internet.org)। তাছাড়াও এই কোম্পানিটি আরো অনেক কোম্পানি নিজের নামে করে নিয়েছে। তাদের মধ্যে ফিটনেস ট্র্যাকিং, স্পিস রিকগনেশন অন্যতম। বর্তমানে ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ভিডিওতে কোন গেম খেলা হচ্ছে তা নির্ধারণ করতে সক্ষম। এটা অনেকটাই মানুষের মতো কাজ করে থাকে। এটি ইউজারকে রেকোমেন্ড ভিডিও দেখাতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ আপনি যদি ফুটবল খেলার ভিডিও বেশি দেখেন তবে ফেসবুক আপনাকে অন্যান্য ফুটবল খেলার ভিডিও রেকোমেন্ড করতে পারবে।

ফেসবুকের এই পর্যন্ত সকল অর্জন নিচ থেকে এক নজরে দেখে নিতে পারেন;

 

সমাজের উপর ফেসবুকের প্রভাব

 

এখন কথা বলা যাক সমাজের উপর এর প্রভাব নিয়ে। কয়েক বছর ধরে ফেসবুক সমাজের উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে আসছে। আবার অনেকেই বলে যে ফেসবুক মাইন্ড হাইজ্যাক করে আসছে। হাঁ, এর ব্যবহার করার জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি অনেকে এর উপর আসক্ত হয়ে পড়ছে। যার ফলে আমাদের বাস্তব জীবনের সব কিছু ভার্চুয়াল জগতের সাথে বদলা বদলি হয়ে যাচ্ছে। যেখানে শুধু মাত্র ছুটি অথবা সামাজিক যোগাযোগ সাইট বা মোবাইল ফোন দিয়ে নয়। বরং কোনো কিছু তৈরি করা, শেখা, কাজ করা, দৌড়ানো, খেলাধুলা করা ইত্যাদি দিয়ে আমাদের জীবনকে বৈচিত্র্যময় করা প্রয়োজন। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত মতামত অনুসারে ফেসবুক এতটাও খারাপ জিনিস না। আমি মনে করি ফেসবুক আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে লাগাতার সংযুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কিন্তু মেডিক্যাল সায়েন্স অনুসারে ভার্চুয়াল সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের মস্তিস্কের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। মানুষের মস্তিস্কে Learn Empathy নামক একটি অংশ থাকে। যখন আমরা নতুন কিছু করি বা আমাদের বাস্তব জীবন থেকে নতুন কিছু শিখি তখন এই মস্তিস্কের Learn Empathy তে রেসপন্স হয়। কিন্তু গবেষণার ফলে জানা গেছে যে, অত্যাধিক মাত্রায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা আমাদের মস্তিস্কের Learn Empathy কে কাজ করা থেকে বিরত রাখে। কিন্তু মস্তিস্কের এই কাজ গুলো সক্রিয় থাকা অনেক বেশি জরুরী। কেনোনা এর ফলেই আমরা একে অপরের অনুভূতি গুলো বুঝতে পারি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে পারি। ফেসবুক সেটাকে বিকাশে বাধা গ্রস্থ করতে পারে।

শেষ কথা

শেষ কথাতে এটাই বলবো যে পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষ সর্বদা একে অপরের সংস্পর্শে এতোটা কাছে কখনোয় আসেনি, যতটা কাছে ফেসবুক এনে দিয়েছে। এই সুবিশাল কোম্পানিটি এবং এর বিশাল ডাটা সেন্টার আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের একে অপরের পাশাপাশি রাখতে অপরিসীম সাহায্য করে যাচ্ছে। এটি ব্যাবহারে অনেক সহজ এবং অনেক সস্তা। একবার ভেবে দেখুন মাত্র একটি কলেজের তরুন ও তার ফ্রেস আইডিয়া গোটা পৃথিবীর যোগাযোগ মাধ্যমই পাল্টে ফেলেছে। সুতরাং আপনার কাছেও যদি এমন ফ্রেস আইডিয়া থেকে থাকে তবে এক্ষুনি পদক্ষেপ গ্রহন করে তা বাস্তবায়িত করে ফেলুন। কে জানে, হয়তো আপনার এই নতুন আইডিয়া হয়তো বদলে দেবে পৃথিবীর নতুন কোন ইতিহাস। আমার মতে ফেসবুক হয়তো সারা জীবন থাকবে না, কিন্তু এটি সত্যিই নতুন ইতিহাস গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি আজকের এই পোস্ট আপনাদের অনেক, অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাই অনেক বেশি বেশি করে শেয়ার করুন। এবং নিয়মিত ভিসিট করতে থাকুন।

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories