আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিভাবে বেস্ট ল্যাপটপ কিনবেন?

আজকের দিনে কম্পিউটিং এর গুরুত্ব নিয়ে নিশ্চয় আলোচনা করার তেমন একটা প্রয়োজনীয়তা নেই, কিন্তু কোন ধরণের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে হবে, আপনার কাজের সাথে সেটি মানানসই হবে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা করা আবশ্যক। নতুন ল্যাপটপ কেনা কিন্তু সহজ কোন কাজ নয়, বাজারে শতশত মডেল রয়েছে এবং ল্যাপটপ কেনার সময় বহু টার্ম রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ না করলে বেস্ট ল্যাপটপ কেনা সম্ভব হবে না। আমার কাছে প্রতিনিয়ত অনেক কমেন্ট, ইমেইল, আর ফেসবুকে ম্যাসেজ করে সবাই প্রশ্ন করে, “আমার অমুক কাজের জন্য কোন ল্যাপটপটি বেস্ট হবে? আমার এতো টাকা আছে, কোন ল্যাপটপটি কিনব?” —ইনটেল প্রসেসর নিয়ে লেখা একটি পোস্টের কমেন্ট সংখ্যা দেখলেই বুঝতে পারবেন, এই প্রকারের প্রশ্ন আমার কাছে কতোপরিমানে জানতে চাওয়া হয়

যাই হোক, বাজারে শতশত মডেল ল্যাপটপ রয়েছে এবং লো বাজেট থেকে শুরু করে অনেক দামী ল্যাপটপ লভ্য রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি ল্যাপটপের সাথে কোন টাইপের টাস্ক সম্পূর্ণ করতে চাচ্ছেন, সে অনুসারে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে। এই আর্টিকেলে আমি বিশাল সব টেকনিক্যাল টার্ম আপনার সামনে তুলে ধরে আপনাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা মোটেও করবো না! সহজ কিছু টিপস নিচে প্রদান করবো, এতে আপনার নতুন ল্যাপটপ কেনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সাহায্য করবে। যদি তারপরেও কোন সমস্যা থেকে যায় বা আপনি সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তো নিচের কমেন্ট সেকশন সর্বদাই খোলা রয়েছে।

অপারেটিং সিস্টেম পছন্দ করুণ!

ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কেনার সময় সবচাইতে প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে আপনি এতে কোন অপারেটিং সিস্টেম রান করাতে চান। অবশ্যই বেশিরভাগ মানুষ তাদের কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম রান করানোর চিন্তা করবে, তো এক্ষেত্রে আপনি উইন্ডোজ ল্যাপটপ কেনার কথায় ভাববেন। কিন্তু আপনি চাইলে ম্যাকও কিনতে পারেন, কেনোনা ম্যাকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়। সাথে অন্যান্য ল্যাপটপ গুলোর তুলনায় ম্যাক অনেকবেশি স্টাইলিশ আর লাইটওয়েট হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বাজেটেরও এক বিশাল প্রশ্ন থাকে, কেনোনা ম্যাক অত্যন্ত দামী কম্পিউটার হয়ে থাকে, আপনার আপনার এতো বাজেট থাকলেও আপনি চাইলে আলাদা উইন্ডোজ কম্পিউটার কিনতে পারে, এতে আরো পাওয়ারফুল কম্পিউটার পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি লিনাক্স ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন, তো যেকোনো বেসিক ল্যাপটপেই আপনি লিনাক্স এর ডিস্ট্র গুলোকে ব্যবহার করতে পারবেন। লিনাক্স অনেক লাইটওয়েট হয়ে থাকে, তাই পুরাতন কম্পিউটার গুলোতেও ল্যাগিং প্রবলেম ছারায় লিনাক্স চলতে পারে। ডেক্সটপ ব্যবহার করার জন্য লিনাক্স মিন্ট, উবুন্টু, বা ফেডোরা ব্যবহার করতে পারেন আর নেটওয়ার্কিং বা অ্যাডভান্স কাজ করার জন্য কালি লিনাক্স বেস্ট হবে।

যাই হোক, একবার আপনার পছন্দের অপারেটিং সিস্টেম পছন্দ করার পরে সামনের স্টেপের দিকে এগোতে হবে। আর হ্যাঁ, তার আগে উইন্ডোজ বনাম ম্যাকের তুলনা মুলক পোস্টটি পড়ে নিতে ভুলবেন না!

আপনার বাজেট নির্ধারণ

যেকোনো জিনিষ কেনার ক্ষেত্রে বাজেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এখানে প্রশ্ন আসে আপনার প্রয়োজন কেমন এবং সেই অনুসারে আপনার কাছে বাজেট রয়েছে কিনা। তবে চিন্তার তেমন একটা কারণ নেই, কেনোনা উইন্ডোজ ল্যাপটপ যেকোনো বাজেটের মধ্যে কিনতে পাওয়া যায়। আপনার বাজেট যদি লো হয় এবং কাজের চাহিদাও যদি খুব কম্পিউটিং ডিম্যান্ড না করে, সেক্ষেত্রে নেটবুক গুলো কিনতে পারেন। নেটবুক গুলো সবচাইতে ছোট আকারের এবং সস্তা ল্যাপটপ হয়ে থাকে। যদিও এদের কম্পিউটিং পাওয়ার বেসিক লেভেলের হয়, কিন্তু ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারে কাজ করার জন্য এগুলো বেস্ট হয়ে থাকে, আর আকারে ছোট হওয়ার জন্য এদের পোর্টাবিলিটি অসাধারণ হয়ে থাকে।

আপনার বাজেট যদি মোটামুটি হয়, মানে ৩০-৩৫ হাজারের উপরে, সেক্ষেত্রে এই বাজেটের মধ্যে অনেক ল্যাপটপ মডেল বাজারে লভ্য রয়েছে। ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারে কাজ করা, হালকা ফটোশপ, হালকা ভিডিও এডিটও করতে পারবেন —আসলে সকল ল্যাপটপেই ফটোশপ বা ভিডিও এডিট করা যায় টেকনিক্যালি, কিন্তু পারফর্মেন্স বা কাজ করতে কতোটা সময় লাগবে, এটাই হচ্ছে মূল ব্যাপার। এই বাজেট ল্যাপটপ গুলোকে একটু পুরাতন জেনারেশন প্রসেসর লাগানো থাকে, তবে ইনটেল কোর আই৩ কিনলে লেটেস্ট জেনারেশন প্রসেসরই পেয়ে যেতে পারেন। সাধারণত এই ল্যাপটপ গুলোর স্ক্রীন সাইজ ১৫.৬ ইঞ্চি হয়ে থাকে। একই মডেল ১৪ ইঞ্চি বা তার ছোট পেয়ে যেতে পারেন, বিশেষ করে স্ক্রীন সাইজ অনুসারে দাম কমবেশি হয় না। যদিও আরো পাতলা এবং স্টাইলিশ ল্যাপটপ প্রয়োজনীয় হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ভালো বাজেট থাকতে হবে।

যদি আপনার বাজেট ভালো হয়, ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে ল্যাপটপ কিনতে চান, সেক্ষেত্রে অনেক ভালো মডেল ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন, যেখানে সকল প্রকারের কম্পিউটিং ডিম্যান্ড মেটানো যাবে। যদিও আলট্রা হাই কনফিগারেশন পাবেন না, কিন্তু তারপরেও কাজকর্মে তেমন কোন অসুবিধাও হবে না। এই বাজেটের মধ্যে ইনটেল কোর আই৫ লেটেস্ট জেনারেশন পেয়ে যাবেন, অনেক মডেলে আই৭ এর লেটেস্ট জেনারেশন মডেল প্রসেসর পেয়ে যাবেন। র‍্যাম ৮জিবি পাবেন এবং ডেডিকেটেড জিপিইউ ও থাকবে এই বাজেট ল্যাপটপ গুলোতে। হার্ডড্রাইভ ১ টিবি পেয়ে যাবেন এবং স্ক্রীন রেজুলেসন ১০৮০পি (১৯২০x১০৮০) আর ১৫.৬ ইঞ্চি স্ক্রীন সাইজ থেকে ১৪, ১৩, ১২ যেকোনো স্ক্রীন সাইজ পেয়ে যেতে পারেন।

এখন ধরুন, আপনার বাজেট একেবারেই অগুনতি, ৮০ হাজার থেকে শুরু করে লাখের উপর যদি বাজেট হয়, অবশ্যই সুপার স্টাইলিশ, পাতলা, সুপার ব্যাটারি লাইফ, আলট্রা হাই পারফর্মেন্স ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন—আর যেটাকে বলতে পারে গেমিং ল্যাপটপ। যদি ডেক্সটপ পিসির রিপ্লেস হিসেবে ল্যাপটপ কেনার কথা চিন্তা করেন, তো বড় ডিসপ্লে আর দৈত্যাকার সাইজের ল্যাপটপও কিনতে পাবেন এই বাজেটে, যেমন- এসার প্রিডিটর ১৭।

আপনার টাস্ক

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনার প্রয়োজন, আপনি ঠিক কোন কাজের জন্য ল্যাপটপ কেনার কথা কল্পনা করছেন। উপরের প্যারাগ্রাফ থেকে অবশ্যই জানলেন, কোন বাজেটের মধ্যে কোন ধরণের ল্যাপটপ পেতে পারবেন, এখন ম্যাচ করানোর সময়, সেটা সত্যিই আপনার চাহিদা মেটাতে সক্ষম কিনা। দেখুন সকল কাজের জন্য কিন্তু ভালো কনফিগারেশন ল্যাপটপ প্রয়োজনীয় নয়। আপনি জাস্ট ইমেইল চেক আর মাল্টিমিডিয়ার জন্য কোন ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন, অবশ্যই আপনার হাই কনফিগারেশনের কোন প্রয়োজন পড়বে না। নিচে কিছু টাস্ক অনুসারে ল্যাপটপ সাজেস্ট করলাম;

মাল্টিমিডিয়া, মুভি, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ;— অনেকেই শুধু মাল্টিমিডিয়ার জন্য বা মুভি দেখার জন্য ল্যাপটপ কিনে থাকেন। হয়তো হালকা ইন্টারনেট ব্রাউজিংও করেন, এক্ষেত্রে একেবারেই বিশাল বাজেটের কোনই প্রয়োজন নেই। আপনার ল্যাপটপে কোন প্রসেসর রয়েছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ টার্ম নয় এখানে। তবে আজকের যেকোনো বেসিক ল্যাপটপেই অন্তত কোর আই৩ থাকে, যেটা আপনার কাজের জন্য যথেষ্ট। তবে হ্যাঁ, মাল্টিমিডিয়ার জন্য অবশ্যই ল্যাপটপ স্ক্রীন একটু বড় হলে বেশি ভালো, সাথে অবশ্যই ১৯২০x১০৮০ রেজুলেসন হওয়া প্রয়োজনীয়। স্ক্রীন সাইজ, আমি ১৫.৬ ইঞ্চিকে রেকমেন্ড করবো। আর হ্যাঁ, অবশ্যই হার্ডড্রাইভ বড় নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বেসিক মডেল ল্যাপটপ গুলোতেও এখন ১ টেরাবাইট স্পেস আরামে পেয়ে যাওয়া যায়, তবে আরো বড় হার্ডড্রাইভ থাকলে সেই মডেল কিনতে পারেন, কিংবা এক্সটার্ন্যাল হার্ডড্রাইভে টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন। অবশ্যই আপনার ল্যাপটপে ডিভিডি প্লেয়ার থাকতে হবে, ব্লুরে প্লেয়ার থাকলে সেটা আরো উপযুক্ত হবে, বিশেষ করে মুভি দেখার ক্ষেত্রে। র‍্যাম ৪জিবি সাথেই পেয়ে যাবেন, আপগ্রেড করার বা আরো বড় র‍্যামের দরকারই পড়বে না।

পোর্টেবল কাজ ;— আপনি যদি অনেকবেশি ট্রাভেল করেন, কিংবা যেখানেই যান এমন কিছু কাজ আপনাকে করতেই হবে, যার জন্য ল্যাপটপ প্রয়োজনীয়, যেমন- ব্লগিং —সেক্ষেত্রে অবশ্যই একটি লাইটওয়েট এবং গ্রেট ব্যাটারি লাইফ ওয়ালা ল্যাপটপ কিনতে হবে। আপনার কাজ গুলোতে যদি খুব বেশি কম্পিউটিং ডিম্যান্ড না থাকে, বেসিক মডেল বা কম বাজেট ল্যাপটপ দিয়েই আপনার কাজ হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই ছোট সাইজ এবং বেশি ব্যাটারি লাইফ এখানে অত্যন্ত বেশি প্রয়োজনীয়!

হেভি টাস্ক, গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়া প্রসেসিং  বা গেমিং ;— এই পর্যায়ে আপনার কম্পিউটিং ডিম্যান্ড সবচাইতে হাই লেভেলের। আপনাকে অবশ্যই হাই কনফিগারের একটি ল্যাপটপ পছন্দ করতে হবে, যেটার বাজেট ৫০-৮০ হাজার পর্যন্ত পড়ে যেতে পারে। অবশ্যই বেটার প্রসেসর প্রয়োজনীয় হবে, যেমন ইনটেল কোর আই৭, র‍্যাম এক্ষেত্রে ৪জিবিতে কখনোই হবেনা, ৮ জিবি বেস্ট হবে তবে আরো বড় র‍্যাম হলে ভিডিও এডিট বা গ্রাফিক্স সফটওয়্যার গুলোকে রান করাতে সুবিধা হবে। হার্ডড্রাইভের পাশাপাশি ল্যাপটপে এসএসডি থাকতে হবে, এতে ভালো স্পীড পাওয়া যাবে। আর অবশ্যই ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স ইউনিক থাকতে হবে।

ব্যালেন্স বাজেট এবং পারফর্মেন্স ;— আপনি যদি মোটামুটি সকল কাজ করতে চান এবং বাজেটের মধ্যেও ব্যালেন্স রাখতে চান, অবশ্যই ভালো স্পেসিফিকেশনের দিকে নজর রাখতে হবে। আপনার ল্যাপটপ প্রসেসর অবশ্যই কমপক্ষে কোর আই৫ লেটেস্ট জেনারেশন এবং ভালো মডেলের হতে হবে। ৪জিবি র‍্যাম দিয়ে আপাতত কাজ চলে যাবে, কিন্তু ৮ জিবি আমি রেকমেন্ড করবো। অনেক মডেলে ডিডিকেটেড জিপিইউ হয়তো নেই, তবে লক্ষ্য রাখবেন ইন্টিগ্রেটেড জিপিইউ  যেন মোটামুটি পাওয়ারফুল হয়। হার্ডড্রাইভ ১ টেরাবাইট পেয়েই যাবেন, স্ক্রীন সাইজ আপনার প্রয়োজন অনুসারে কিনতে পারেন কিন্তু রেজুলেসন অবশ্যই ১৯২০x১০৮০ রেকমেন্ড করবো। ৪০-৫০ হাজারের মধ্যে আপনি এই টাইপের ল্যাপটপ পেয়ে যেতে পারেন।

ল্যাপটপ রিভিউ

তো বাজেট আর ল্যাপটপ কনফিগ সম্পর্কে ধারণা হয়ে গেলো, এবার দরকার পড়বে অনলাইন সার্চ করা, যেখানে ল্যাপটপ দাম এবং বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন গুলো পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ থেকে র‍্যায়ান্স কম্পিউটার, গ্লোবাল ব্র্যান্ড, স্টারটেক —ইত্যাদি সাইট গুলো চেক করতে পারেন, এতে সঠিক দামের আন্দাজ পেয়ে যাবেন। দাম জেনে যাওয়ার পরে মডেল নাম্বার দেখে যেকোনো অনলাইন সাইট থেকেই স্পেসিফিকেশন দেখে নেওয়া যাবে। এবার সব কিছু পছন্দ হয়ে গেলে কেনার পূর্বে অবশ্যই ল্যাপটপটি শপ থেকে ফিজিক্যালি দেখে আসুন এবং তার পূর্বে অবশ্যই অনলাইন থেকে ইউজার রিভিউ দেখে নিন। কনজিউমার সার্চ এর মতো সাইট গুলোতে অনেক কাস্টমার রিভিউ পেয়ে যাবেন, যেগুলো দেখে জানতে পারবেন, আপনার পছন্দের ল্যাপটপটি কেনার পরে কার কি রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে।


আশা করছি এই আর্টিকেল থেকে নতুন ল্যাপটপ কেনার ব্যাপারে আপনার মোটামুটি ভালো ধারণা হয়ে গেছে। এখনো কনফিউজ? চিন্তার কোন কারণ নেই, জাস্ট নিচে কমেন্ট করে আমাকে প্রশ্ন সাবমিট করুণ, আমি যতোদ্রুত সম্ভব আপনাকে উত্তর করার চেষ্টা করবো। সাথে আরো কোন সাজেশন থাকলে সেগুলোও নিচে মেনশন করুণ!

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories