ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন কি? ৪জি+ নেটওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত!

আপনারা সবাই নিশ্চয় ৪জির ক্রেজি ফাস্ট ইন্টারনেট স্পীড উপভোগ করছেন, রাইট? হেহে, জাস্ট কিডিং 😂 বাংলাদেশের ৪জি যে কতো ফাস্ট সেটা সবারই অভিজ্ঞতা রয়েছে! আমাদের দেশে কোন টেকনোলজি শুধু নাম মাত্র সুবিধা নিয়ে হাজির হয়, সবাই এক দৌড়ের মধ্যে থাকে, কে আগে কোন টেকনোলজি অফার করবে। তারপরে আর উন্নতি আনা হয় না। ফলে আমাদের ৪জি দেওয়ার নামে অপারেটর রা ২জি ধরিয়ে রাখে।

৪জির আসল স্পীড কিন্তু আরো বেশি হওয়ার কথা, তবে আমাদের যে গড় স্পীড প্রোভাইড করা হয় সেটার অংকটা হতাশা জনক ভাবে অনেক কম। আমি এখানে শুধু মোবাইল অপারেটরদের একা দোষারোপ করবো না, কেননা এর পেছনে সরকারেরও বিশেষ হাত রয়েছে। প্রথমত সরকার অপারেটরদের কোয়ালিটি সার্ভিস দেওয়ার জন্য ফোর্স করছে না। দ্বিতীয়ত টেলিকম সেক্টরে ট্যাক্স/ভ্যাটের পরিমাণ আকাশ ছোয়া। প্রচণ্ড দামী হওয়ায় অপারেটররা পর্যাপ্ত পরিমাণে স্পেক্ট্রাম কিনতে পারে না, ফলে আমাদের ভুগতে হচ্ছে স্লো ৩জি/৪জি, আর কল ড্রপের মত সমস্যা গুলো নিয়ে।

যাইহোক, আমাদের স্লো নেটের কান্না আরেকদিন কোন আর্টিকেলে সবাই একসাথে গলা মিলিয়ে কাদা যাবে, আপাতত আজকে আলোচনা করা যাক ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন (Carrier Aggregation) সিস্টেম নিয়ে। আমরা জানবো, এটা কিভাবে আরো বেটার ৪জি এক্সপেরিয়েন্স দিতে সক্ষম!


ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন কি? — নানান টেকনিক্যাল টার্ম গুলোর মতো এর নামের বিশ্লেষণ কিন্তু এর নামের মধ্যেই রয়েছে। ইংরেজিতে আগ্রেগেশন শব্দের অর্থ “একীকরণ” করা বোঝাই। মানে একাধিক ক্যারিয়ার একীকরণ করার টেকনোলজিকেই ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন বলা হয়। কিন্তু ওয়েট, ব্যাপারটা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন নিয়ে আরো অনেক আলোচনা করার বাকি রয়েছে। যদিও ব্যাপার গুলো অনেকটাই টেকনিক্যাল, কিন্তু সৌভাগ্যবশত এটা ওয়্যারবিডি, আমরা খুব কম টেকনিক্যাল টার্ম ব্যাবহার করে সবকিছু পানির মত সহজ করার চেষ্টা করি এখানে!

যাইহোক, আমাদের আগে জানতে হবে আপনার ফোন কিভাবে ৪জি টেকনোলজি ব্যাবহার করে। বাংলাদেশে মূলত তিনটি ব্যান্ড ব্যাবহার করে ৪জি সেবা প্রদান করতে দেখতে পাওয়া যায়। 900Mhz, 1800Mhz, এবং 2100Mhz — ৪জি কিন্তু অনেক গুলো ব্যান্ড সাপোর্ট করে যেগুলো কিন্তু পূর্বের ২জি বা ৩জি টেকনোলজিতে সাপোর্ট দেখা যেতো না। এই জন্যই এর নাম LTE বা Long Term Evolution বলা হয়ে থাকে। যাতে নানান ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এই সেবা দেওয়া যায়।

পূর্বে মোবাইল অপারেটররা ৯০০ মেগাহার্জ এবং সম্ভবত ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড ব্যাবহার করে ২জি বা জিএসএম সেবা প্রদান করছিলো। কিন্তু ৩জি আসার সময় তাদের ২১০০ মেগাহার্জ এডপ্ট করতে হয়। কিন্তু ৪জি সেবার জন্য আলাদা নির্দিষ্ট কোন ব্যান্ড ব্যাবহারের দরকার নেই, এটা নানান ব্যান্ড সাপোর্ট করে, ফলে এক্সিস্টিং ব্যান্ড গুলো থেকেই ৪জি সেবা প্রদান করা সম্ভব।

৪জির ব্যান্ড সাপোর্ট সত্যিই অতুলনীয়, আমাদের দেশের মূলত ৩টি ব্যান্ড ব্যাবহার করে ৪জি প্রদান করলেও এটা আরো অনেক ব্যান্ড সাপোর্ট করে। যেমন – 1900Mhz, 1700Mhz, 2600Mhz, 1500Mhz, আরো আরো অনেক ব্যান্ড। বিস্তারিত এখানে দেখে নিতে পারেন।

তো সাধারণত কি হয়, ধরুন, আপনার অপারেটর 1800Mhz ব্যান্ড ব্যাবহার করে ৪জি সেবা প্রদান করছে, এখন আপনার ফোন 1800Mhz ব্যান্ডের সাথে যুক্ত হয়ে আপনাকে ৪জি এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করবে, সিম্পল। আবার অনেক অপারেটর যেমন রবি/এয়ারটেল একই সাথে 900Mhz এবং 1800Mhz দুই ব্যান্ড ব্যাবহার করেই ৪জি সেবা দেয়। ৯০০ মেগাহার্জ বিশেষ করে লং কভারেজ প্রদান করে এবং ১৮০০ মেগাহার্জ হাই ডাটা স্পীড প্রদান করে। কিন্তু ১৮০০ মেগাহার্জ এর কভারেজ এরিয়া কম হয়ে থাকে। — এটা ওয়্যারলেস টেকনোলজির এক বিশেষ ধর্ম, ফ্রিকোয়েন্সি যতো কম রেঞ্জ ততো বেশি আর ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ালে স্পীড তো বাড়ে বাট রেঞ্জ কমে যায়। ধরুন, একটা তার আপনি সোজা করে রাখলে সেটা বেশি বড় সাইজের হবে কিন্তু তার টি যতবেশি পেঁচাবেন যতবেশি ছোট হয়ে যাবে, সিম্পল!

এখন হয় কি, আপনি রুমের মধ্যে থাকলে ১৮০০ মেগাহার্জ সিগন্যাল অনেক কম পায় ফলে ফোন ৯০০ মেগাহার্জ এর সাথে কানেক্টেড হয়ে যায়। যেহেতু মোবাইল ডিভাইস গুলোকে বানানো হয় বেটার সিগন্যাল রিসিভ করার জন্য। আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন, আপনার লোকেশনে ৪জি দুর্বল হলে ফোন স্বয়ংক্রিয় ৩জি বা ২জি মুডে চলে যায়। ফোন সর্বদা বেটার সিগন্যাল পাওয়া নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করে।

এখন আপনার ফোন কিন্তু এক সময়ে হয় ৯০০ ব্যান্ড ব্যাবহার করে ৪জি নিচ্ছে বা ১৮০০ ব্যান্ড ব্যাবহার করছে, যেখানে যেটার সিগন্যাল বেশি শক্তিশালী পাচ্ছে আর কি। কিন্তু এরকম হলে কেমন হয়? ধরুন, আপনার ফোন যদি একই সাথে ১৮০০ + ৯০০ ব্যান্ড এর সাথে কানেক্ট হতে পারে তাহলে কিন্তু ডাবল চ্যানেল পাচ্ছে, ফলে কভারেজ আর স্পীড আগের তুলনায় আরো বেশি পাওয়া সম্ভব রাইট?

হ্যাঁ ঠিক এই ধারণার উপরেই কাজ করে ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন সিস্টেম। এক সময়ে কেবল একটি ব্যান্ড এর সাথে যুক্ত না থেকে একাধিক ব্যান্ড বা একাধিক ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত থেকে আরো বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করানোর যে টেকনিক একেই ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন বলে। আপনার ফোন, দুটি বা আরো বেশি ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত থাকতে পারে, এক্ষেত্রে ব্যান্ড গুলো সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে বা একই ব্যান্ড এ একাধিক ক্যারিয়ারে কানেক্টেড থাকতে পারে। সহজ ভাষায় বলতে, এটা একই সাথে দুই তিনটা ইন্টারনেট কানেকশন ব্যাবহার করার মত ব্যাপার। সেক্ষেত্রে বুঝতেই পারছেন স্পীড হাই হবে।

৪জি+ নেটওয়ার্ক

ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন টেকনিক ব্যাবহার করে আরো বেটার ৪জি এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করা সম্ভব। সাধারণত এক সিঙ্গেল ৪জি ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ২০ মেগাহার্জ পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ প্রদান করানো যায়। কিন্তু ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন এর মাধ্যমে মোট ৫টি পর্যন্ত ক্যারিয়ার ব্যাবহার করা যেতে পারে ফলে ব্যান্ডউইথ ১০০ মেগাহার্জ পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে। এভাবে তৈরি করা হয় এক আপডেটেড ৪জি নেটওয়ার্ক যেটাকে ৪জি+ বা এলটিই+ নেটওয়ার্কও বলা হয়ে থাকে।

ধরুন আপনি সিঙ্গেল চ্যানেল এ ১৮০০ ব্যান্ডের ৪জি ব্যাবহার করছিলেন, যেখানে সর্বোচ্চ ২০ মেগাহার্জ পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ সাপোর্ট করবে। ধরুন আপনি এতে ১০০ মেগাবিটের স্পীড পাচ্ছিলেন (যদিও আমাদের জন্য এটা কল্পনা, তাই মনে মনেই ধরতে বললাম)। এখন ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন এর মাধ্যমে আরো দুটি ক্যারিয়ারে আপনাকে কানেক্ট করলে ২-৩ গুন স্পীড অনায়াসে সরবরাহ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ৩টি লিংক থেকে ব্যান্ডউইথ কনজিয়ম করতে পারবেন।

মূলত দুইভাবে ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন করা যেতে পারে। প্রথমটা কে Intra-band Carrier Aggregation বলা হয়, এখানে সিঙ্গেল ব্যান্ড ব্যাবহার করে সেই ব্যান্ডকে সর্বোচ্চ দুইটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, তবে সিগন্যাল বেশ প্রশস্ত হতে হয়। বেশিরভাগ অপারেটররা এটাই ইমপ্লিমেন্ট করতে চায় কেননা এটা সেটাপ করা অনেক সহজ সাথে ব্যয় কম করতে হয়। জাস্ট একটা সিঙ্গেল ট্রানসিভার থেকেই সিগন্যাল প্রদান করানো যায়।

একইভাবে আরেকটি সিস্টেম রয়েছে যেটা সামান্য আলাদা, এখানেও সেম ব্যান্ড ব্যাবহার করে কাজ করানো হয় কিন্তু পৃথক ট্রানসিভার থেকে সেম ব্যান্ডের সিগন্যাল সেন্ড করা হয়, কেননা সেম ব্যান্ড হওয়ার পরেও এরা সিঙ্গেল সিঙ্গেল ক্যারিয়ার হিসেবে আচরণ করে। এই সিস্টেম তৈরি করা একটু কমপ্লেক্স সাথে ব্যয় ও বেশি হয়।

দ্বিতীয় সিস্টেমটি হচ্ছে Inter-band non-contiguous, এতে সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা ব্যান্ডের ট্রানসিভার থেকে আলাদা আলাদা ব্যান্ড এর সিগন্যাল সেন্ড করা। কোনটা ৯০০ মেগাহার্জ সিগন্যাল কোনটা ১৮০০ আবার কোনটা ২১০০ মেগাহার্জ সিগন্যাল সেন্ড করে। এ ধরনের সিস্টেম অনেক বেশি কমপ্লেক্স কিন্তু এর কর্মদক্ষতা একটু বেশি। সাথে অপারেটরদের আরো বেশি চ্যালেঞ্জ এর মোকাবেলা করতে হয় যেহেতু আলাদা আলাদা ট্রানসিভার এর দরকার পরে।

কিভাবে ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন ব্যাবহার করবেন?

বুঝলাম যে ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন এর মাধ্যমে স্লো ৪জি স্পীড ঠিক করা সম্ভব। কিন্তু সেটা কিভাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে? — এখন এই ক্ষেত্রে দুইদিক থেকেই সাপোর্ট থাকতে হবে। প্রথমত আপনার মোবাইল অপারেটর কে ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন সাপোর্ট করতে হবে, মানে তাদেরকে ৪জি+ নেটওয়ার্ক সরবরাহ করাতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনার ফোন ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন সাপোর্টেড বা (CA) সাপোর্টেড হতে হবে।

ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন সাপোর্ট করা একটি হার্ডওয়্যার জনিত ব্যাপার। আপনার ফোনের চিপ থেকেই এটার সমর্থন থাকা জরুরী। যদি তা না থাকে আপনি কোন সফটওয়্যার ব্যাবহার করে ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন এনাবল করতে পারবেন না। আপনার ফোন যদি খুব বেশি পুরাতন না হয়ে থাকে তাহলে ৪জি+ সাপোর্ট করার কথা। যদি ফোনের স্পেসিফিকেশন এ LTE-A, বা CAT6 LTE এগুলো উল্লেখ্য করা থাকে তো আপনার ফোন ৪জি+ সাপোর্টেড।

এখন আপনাকে জানতে হবে যে আপনার অপারেটর ৪জি+ সাপোর্ট করছে কিনা। আমার জানা মতে গ্রামীনফোন এবং বাংলালিংক শুধু ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৪জি সরবরাহ করে। বাংলালিংক এর কথা জানি না তবে গ্রামীনফোন কোন কোন এলাকায় ৪জি+ সাপোর্ট করে। অপরদিকে, রবি/এয়ারটেল ৯০০ মেগাহার্জ এবং ১৮০০ মেগাহার্জ উভয় ব্যান্ডের ৪জি সমর্থন করে। পূর্বে এরা ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন সাপোর্ট করতো কিন্তু এখন দেখি সিঙ্গেল ব্যান্ড ৪জির উপরে কাজ করে। তবে কোন কোন এলাকায় এখনো ৪জি+ সাপোর্ট করতে দেখেছি।

আপনি নিজে থেকেই খুব সহজে চেক করতে পারবেন, আপনার অপারেটর ৪জি+ সাপোর্ট করে কিনা। মূলত অনেক ফোনে ৪জি+ আইকন ই শো করে। তবে Netmonster নামক এক অ্যাপ থেকে সহজেই জানতে পারবেন আপনার অপারেটর কোন ব্যান্ড ৪জি প্রদান করছে আর তাদের ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন সাপোর্ট রয়েছে কিনা।

উপরের স্ক্রিনশট টি আমার রুম থেকে নেওয়া যেখানে শুধু ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এর সিগন্যাল পাওয়া যায়। এখানে আমার অপারেটর এয়ারটেল সিঙ্গেল ব্যান্ড ৪জি দিয়ে রেখেছে সাথে কোন ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন সাপোর্ট নেই। যদি সাপোর্ট করতো তাহলে নিচের স্ক্রিনশটের মতো দেখা যেতো, 1800+900 সাথে ফোনের স্ট্যাটাস বারে 2CC লেখা উঠবে বা 3CC লেখা উঠবে।

তো এই ছিলো ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন এবং ৪জি+ নেটওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। হ্যাঁ আমি অনেক কিছুই এখানে স্কিপ করে গেছি, তবে বেসিক বুঝাতে যা যা লাগে সবই বুঝিয়ে দিলাম। ক্যারিয়ার আগ্রেগেশন এর মত ব্যাপার একটি আর্টিকেলে আবদ্ধ করা সম্ভব নয় আর অনেক টেকনিক্যাল টার্ম গুলোও চলে আসবে যেগুলো বুঝাতে আলাদা আলাদা আর্টিকেল লেখার দরকার পড়বে। সহজ ভাষায় এখানে পুরো ধারণাটাই পেয়ে যাবেন। তবে কারো যদি আরো বিস্তারিত তথ্যের দরকার পড়ে, আপনি এই লিংকটি দেখতে পারেন।

Images: Shutterstock.com

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

1 comment

Categories