WiREBD
  • সম্পর্কে
  • রিসোর্স
  • ক্লাউড
সাবস্ক্রাইব
WiREBD

লেটেস্ট

ট্রেন্ডিং

ক্যাটাগরি

টেক নিউজ

প্রযুক্তি ব্যাখ্যা

উইন্ডোজ

লিনাক্স

অ্যান্ড্রয়েড

ইন্টারনেট

সাইবার সিকিউরিটি

হার্ডওয়্যার

নেটওয়ার্কিং

প্রোগ্রামিং

৫টি সেরা

এথিক্যাল হ্যাকিং

ওয়ার্ডপ্রেস

কুইক টেক

ক্লাউড কম্পিউটিং

টিউটোরিয়াল

কিভাবে?

বিজ্ঞান

রিভিউ

ওয়েব হোস্টিং

সফটওয়্যার ও অ্যাপস

অনলাইন সার্ভিস

Home ৫ টি বেস্ট

প্রোগ্রামারদের জন্য ৫ টি বেস্ট কোড এডিটর

সিয়ামbyসিয়াম
13/01/2022
in ৫ টি বেস্ট, প্রোগ্রামিং
0
প্রোগ্রামারদের জন্য ৫ টি বেস্ট কোড এডিটর

আপনি যদি অলরেডি দক্ষ কোডার বা প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার হয়তো আজকের এই পোস্টটি পড়ার কোন দরকার হবে না। তবে যদি আপনি এই হোম-কোয়ারেন্টিনের কারণে এবছর নতুন নতুন প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে থাকেন, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্যই। প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে আপনার কোড এডিটরের চয়েজও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ADVERTISEMENT

কারন, শুধুমাত্র আলাদা আলাদা কোড এডিটর ব্যাবহার করার ফলেও অনেকসময় প্রোগ্রামার হিসেবে আপনার প্রোডাক্টিভিটিতে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন বা ইমপ্রুভমেন্ট খেয়াল করতে পারবেন। হ্যা, শুধুমাত্র কোড এডিটর আপনার লেখা অ্যাকচুয়াল কোডে কোন নতুনত্ব আনবে না, তবে কোড লেখার সময় আপনাকে বিভিন্ন ধরনের নতুন ফিচার দিতে পারে যা আপনার কাজগুলোকে আরও সহজ করতে পারে। আজকে আলোচনা করতে চলেছি ৫ টি বেস্ট কোড এডিটর নিয়ে, যেগুলো আপনি ট্রাই করতে পারেন, যদি আপনি নতুন প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন।

এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ

  • Sublime Text
  • Brackets
  • Visual Studio Code
  • Atom
  • CodeSpaces

Sublime Text

প্রোগ্রামিং এর দুনিয়ায় সবথেকে জনপ্রিয় কোড এডিটরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে Sublime Text 3। এটির ইউজার ইন্টারফেস খুব একটা সুন্দর না, তবে এটির জনপ্রিয়তার মূল কারন হচ্ছে, এই কোড এডিটরটি সবথেকে ফাস্ট এবং সবথেকে লাইটওয়েট। অধিকাংশ জনপ্রিয় কোড এডিটরগুলোই বেশ রিসোর্স হাংরি এবং ভারী হয়ে থাকে। তবে Sublime Text খুবই হালকা একটি এডিটর অ্যাপ, যার ফলে অনেক লো এন্ড সিস্টেমেও এই কোড এডিটরটি খুব ভালোভাবেই রান করে। আপনার যদি খুব ব্যাস্ততার মধ্যে কোন ফাইল ওপেন করে খুব তাড়াতাড়ি কিছু এডিট করে সেভ করার দরকার পড়ে, তাহলে সেক্ষেত্রে Sublime Text ওপেন করাই আপনার জন্য ভালো হবে। কারণ, এটির ফাইল ওপেনিং, ক্লোজিং এবং সেভিং স্পিড সবথেকে ভালো।

এছাড়া Sublime Text কে আপনি নিজের ইচ্ছামত কাস্টোমাইজ করে নিতে পারবেন এর বিভিন্ন ধরনের কমিউনিটি থিম এবং এবং এক্সটেনশনস ব্যাবহার করে। তাই ডিফল্ট ইউজার ইন্টারফেস খুব সাদামাটা হলেও, আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের থিম ব্যাবহার করে ইউজার ইন্টারফেসকে কাস্টোমাইজ করে নিতে পারবেন। Sublime Text এর জন্য আপনি প্রায় আপনার দরকারী সব এক্সটেনশনই পাবেন। তবে Sublime Text ফ্রি নয়। আপনি ফ্রি ডাউনলোড করে ফ্রি ব্যাবহার করতেই পারেন, তবে ৮০ ইউএস ডলার দামের লাইসেন্স কি কেনার জন্য এটি আপনাকে প্রতিদিনই পপআপ রিমাইন্ডার দিতে থাকবে, অনেকটা WinRar এর মতো। এই পপআপ রিমাইন্ডার অনেকসময় অনেকের বিরক্তির কারণ হতে পারে।

Brackets

এটিও অনেকটা Sublime Text এর মতোই খুব সাদামাটা একটি কোড এডিটর, তবে এটির ডিফল্ট ইউজার ইন্টারফেস Sublime এর থেকে বেশি সুন্দর এবং Sublime এর তুলনায় এটি কিছুটা ভারী এবং রিসোর্স হাংরি অ্যাপ। এটি মূলত Adobe এর তৈরি একটি ওপেন-সোর্স এবং ফ্রি কোড এডিটর। তবে, আমার কাছে মনে হয় Brackets এডিটরটি মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। হ্যা, আপনি যেকোনো ল্যাঙ্গুয়েজের কোডই লিখতে পারেন এই লিস্টের সকল কোড এডিটরে, তবে কিছু ফিচারের কারণে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আমার কাছে Brackets এডিটরটিকে সবথেকে ভালো মনে হয়, যদিও সেটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে আপনি Bracket এডিটরে একটি বিল্ট-ইন লাইভ ব্রাউজার প্রিভিউ ফাংশন পাবেন যা আপনার কোডের লাইভ প্রিভিউ ক্রোম ব্রাউজারে রিয়াল-টাইম আপডেট করবে। আপনি এক্সটেনশনস ব্যাবহার করে অন্যান্য কোড এডিটরেও এই ফিচারটি পেতে পাররেন, তবে আমার জানামতে, Brackets এর ন্যাটিভ লাইভ প্রিভিউ ফিচারটির মতো কোন থার্ড পার্টি এক্সটেনশনই এত পারফেক্টলি কাজ করে না। এছাড়া Sublime এর মতো ম্যানুয়াল থিমিং এবং কমিউনিটি এক্সটেনশনস সাপোর্ট তো থাকছেই, যার সাহায্যে Brackets কেও আপনি নিজের ইচ্ছামত সাজিয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার ওয়ার্কফ্লোর জন্য আরও এক্সট্রা ফিচার যোগ করে নিতে পারবেন।

Visual Studio Code

এই এডিটরটির নাম আপনি অবশ্যই শুনে থাকবেন। এটি টেক জায়ান্ট, মাইক্রোসফটের তৈরি একটি ওপেন-সোর্স কোড এডিটর। এটিকে ছোট করে VS Code ও বলা হয়ে থাকে। তবে এটিকে জাস্ট একটি কোড এডিটর না বলে একটি ফুল ফিচারড IDE (Integrated Development Environment) বললেই পারফেক্ট হবে। এটি এই লিস্টের সবথেকে বেশি ফিচার-প্যাকড, সবথেকে বেশি কাস্টোমাইজেবল, সবথেকে ভারী এবং একইসাথে সবথেকে পাওয়ারফুল কোড এডিটর। বর্তমানে VS Code কে যেকোনো ধরনের ডেভেলপমেন্টের ইন্ডাসট্রি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবেই ধরা হয়। অধিকাংশ ইন্টারমেডিয়েট থেকে শুরু করে প্রোফেশনাল ডেভেলপাররা VS Code কেই তাদের গো-টু কোড এডিটর হিসেবে প্রিফার করেন।

ফিচারস এর কথা বলতে গেলে কি আছে জিজ্ঞেস না করে জিজ্ঞেস করতে হয়, কি নেই? ইন্টাগ্রেটেড টার্মিনাল থেকে শুরু করে অলমোস্ট সব ল্যাংগুয়েজের জন্য কোড ডিবাগার, কোড অটো-কম্পলিশন, AI বেজড কোড সাজেশন, হাজার রকমের কমিউনিটি থিমস এবং এক্সটেনশন সাপোর্ট, আইকন প্যাকস, আপনি যা যা এক্সপেক্ট করবেন তার প্রায় সবকিছুই আছে এতে।

তবে আমার কাছে VS Code সবথেকে ভালো লাগে এর মডার্ণ এবং স্লিক ইউজার ইন্টারফেস আর কোড অটোকম্পলিশন সাজেশনগুলোর কারনে। খুব সম্ভবত এই একটাই কোড এডিটর আছে, যেটিকে আপনি একেবারে আপনার মনের মতো করে সাজিয়ে নিয়ে ব্যাবহার করতে পারবেন। তবে একেবারে বিগিনারদের জন্য প্রথমেই VS Code ব্যাবহার করতে রিকমেন্ড করবো না। কারন, VS Code এর ইন্টারফেস এর সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য কিছু লার্নিং কার্ভ আছে, যা বিগিনারদের জন্য কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে।

Atom

এটি Brackets এর মতোই আরেকটি ওপেন-সোর্স কোড এডিটর, যা ডেভেলপ করেছে গিটহাব কর্পোরেশন। মূলত কোডিং এর ক্ষেত্রে Sublime Text এর অ্যাপ্রোচ থেকে অনুপ্রানিত হয়েই গিটহাব Atom নামের এই কোড এডিটরটি ডেভেলপ করেছে। তাই এটির ইউজার ইন্টারফেসের সাথে Sublime Text এর ইউআই এর বেশ মিল খুঁজে পাবেন। তবে VS Code এর মতোই ইলেকট্রন অ্যাপ হওয়ায় এটি Sublime এর থেকে অনেকটাই ভারী এবং রিসোর্স হাংরি।

তবে ফিচারস, কাস্টোমাইজেশন এবং এক্সটেনশনস সাপোর্টের দিক থেকে এটি VS Code ছাড়া আর কোনটির থেকেই কোন অংশে কম যায় না। বরং, আমি যতদূর জানি, VS Code এর পরে সবথেকে বড় কমিউনিটি আছে এই কোড এডিটরটিরই। এটির ইউজার ইন্টারফেসও যথেষ্ট মডার্ন এবং ক্লিন। VS Code এর সব ফিচারস এবং এক্সটেনশনস এই এডিটরে না পেলেও প্রায় ৮০% ফিচারসই এটিতে পাওয়া যায়। যদিও ব্যাক্তিগতভাবে এটি আমার তেমন পছন্দের এডিটর নয়, তবে অনেকেই প্রাইমারিলি Atom ব্যাবহার করেন এবং পছন্দ করেন।

CodeSpaces

এটি একটি আনরিলিজড প্রোডাক্ট। অর্থাৎ, এই এডিটরটি এখনো আন্ডার ডেভেলপমেন্ট রয়েছে, তবে খুব শীঘ্রই এটির পাবলিক রিলিজ করা হবে। এটি হতে চলেছে মাইক্রোসফট এবং গিটহাব এর তৈরি ব্রাউজার বেজড একটি ভার্চুয়াল IDE। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটিকে বলতে পারেন VS Code এর একটি ওয়েব ভার্সন। অর্থাৎ, VS Code কেই একটি ওয়েব অ্যাপে কনভার্ট করে CodeSpaces নামের এই ব্রাউজার বেজড IDE তৈরি করা হবে। এর ফলে ইউজাররা VS Code ডাউনলোড না করেই শুধুমাত্র তাদের ওয়েব ব্রাউজার ব্যাবহার করেই VS Code এর সব ফিচারস উপভোগ করতে পারবেন এবং তাদের ব্রাউজার ব্যাবহার করেই কোড লিখতে পারবেন।

মেজর প্রায় সকল ব্রাউজারেই CodeSpaces এডিটরটি সাপোর্ট করবে। যদিও নিশ্চিত কোন তথ্য জানা যায়নি, তবে VS Code কে ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করলে তা এরপরে আইপ্যাড এবং অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটেও খুব সহজেই ব্যাবহার করা যাবে এমনটাই আশা করা যায়। VS Code এর মতো সম্পূর্ণ একটি IDE কে ওয়েব অ্যাপে কনভার্ট করতে পারলে তা কোডার এবং ডেভেলপারদের কাজকে আরও কয়েক গুন সহজ করে দেবে। আপনি চাইলে আজই CodeSpaces এর Early Access এর জন্য রেজিস্টার করে রাখতে পারেন!

Images: Shutterstock.com

 

Tags: কোড এডিটরকোডিংপ্রোগ্রামিং
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
ADVERTISEMENT
সিয়াম

সিয়াম

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Post
বেস্ট ওয়েবসাইট সিরিজ : ৫ টি প্রয়োজনীয় এবং মজার ওয়েবসাইট [পর্ব-৮]

বেস্ট ওয়েবসাইট সিরিজ : ৫ টি প্রয়োজনীয় এবং মজার ওয়েবসাইট [পর্ব-৮]

  • যোগাযোগ
  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • আমাদের জন্য লিখুন
© 2015-2021 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • টেক নিউজ
  • মোবাইল ও পিসি
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • উইন্ডোজ
    • লিনাক্স
    • ইন্টারনেট
    • সাইবার সিকিউরিটি
    • নেটওয়ার্কিং
    • হার্ডওয়্যার
    • প্রোগ্রামিং
  • সিরিজ
    • কুইক টেক
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ৫ টি বেস্ট
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • রিভিউ
    • ওয়েব হোস্টিং
    • সফটওয়্যার ও অ্যাপস
    • অনলাইন সার্ভিস
  • আরো
    • প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
    • কিভাবে
    • টিউটোরিয়াল
    • বিজ্ঞান