কোন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাঝখানে ল্যাপটপ হঠাৎ করে শাটডাউন হয়ে যাওয়া সত্যি অনেক বিরক্তিকর ব্যাপার। আর তার উপরে যদি এই শাটডাউন সমস্যা লাগাতার বারবার হতে থাকে তাহলে তো রাগে ল্যাপটপ তুলেই ছুঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে। তবে অনেক সময় আপনার ল্যাপটপের কোনই দোষ থাকে না, বরং নিচের কিছু কারণে এরকম সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এই আর্টিকেলে কিছু কারণ উল্লেখ্য করা হলো এবং তাদের ট্রাবলশুটিং ও দিয়ে দেওয়া হলো, হতে পারে ল্যাপটপ হঠাৎ করে বারবার শাটডাউন হওয়া থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন এবার!
ল্যাপটপ অত্যন্ত গরম হয়ে যাওয়া
ল্যাপটপ কোন ওয়ার্নিং ছাড়ায় ধপাস করে অফ হয়ে যাওয়ার একটি মোক্ষম কারণ হতে পারে এই অত্যন্ত গরম হয়ে যাওয়া। এখন বেশ কিছু কারণে আপনার ল্যাপটপ ওভার হিটিং প্রবলেম ফেস করতে পারে। হতে পারে আপনার ল্যাপটপের ফ্যানে ধুলা ময়লা জমেছে, হতে পারে আপনি সিপিইউ ওভার ক্লকিং করেছেন, বা বিছানা বা বালিশের উপরে রেখে বেশি সময় ধরে ল্যাপটপ ইউজ করলেও মেশিন অত্যন্ত গরম হয়ে যেতে পারে!
প্রথমত, আপনার ল্যাপটপ যে অত্যন্ত বেশি গরম হচ্ছে সেটা কিভাবে বুঝবেন? ওকে, ল্যাপটপের পাশের কোনার দিক দিয়ে হাত নিয়ে যান, বিশেষ করে যেদিকে ফ্যানের গ্রিল লাগানো রয়েছে। যদি হাতে নর্মাল তাপমাত্রা ফিল করেন সেক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কোনই কারণ নেই, যদি গরম অনেক বেশি অনুভূত হয় হাতে জোরে ছাঁকা লাগে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সমস্যা রয়েছে!
এই অবস্থায়, সাথে সাথে ল্যাপটপটি অফ করে ফেলুন, অবশ্যই কাপড়ের উপরে বা নরম বিছানায় রেখে ল্যাপটপ ইউজ করবেন না, এতে ফ্যান যথেষ্ট পরিমাণে গরম হাওয়া বাইরে পাম্প করতে ব্যর্থ হবে। টেবিলের মতো ফ্ল্যাট সার্ফেসে ল্যাপটপটি রাখবেন। গরম ল্যাপটপটি শাটডাউন করার পরে ল্যাপটপটি উলটে পেছনের দিকে দেখুন কোন ময়লা জমেছে কিনা, প্রয়োজনে স্ক্রু ড্রাইভার ইউজ করে পেছনের ঢাকনা খুলুন এবং ফ্যান থেকে ধুলো গুলো সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। আপনি চাইলে কম্পিউটার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ও ইউজ করে ফ্যান থেকে ময়লা ধুলা বের করে ফেলতে পারেন।
ল্যাপটপ অত্যন্ত গরম হয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে হিট সিঙ্ক নষ্ট হয়ে যাওয়া। যদি হিট সিঙ্ক ড্যামেজ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেটা রিপ্লেস করুন। আর হ্যাঁ, সরাসরি সূর্যের আলোতে ল্যাপটপ ইউজ করবেন না, এতে ওভার হিটিং ইস্যু হতে পারে। যদি আপনার ল্যাপটপ ফ্যান থেকে জোরে শব্দ শুনতে পান, বুঝবেন “ডাল মেই কুছ কালা হ্যায়”!
হার্ডওয়্যার সমস্যা
হার্ডওয়্যার জনিত সমস্যার কারণে ও ল্যাপটপ হঠাৎ করে বারবার শাটডাউন হয়ে যেতে পারে বা ব্লু স্ক্রীন অফ ডেথ সমস্যা তৈরি করতে পারে। হয়তো নতুন মডেম কিনেছেন, যেটার হার্ডওয়্যার সমস্যা রয়েছে, তারপর থেকেই হতে পারে ল্যাপটপ বারবার শাটডাউন হচ্ছে।
উইন্ডোজ ১০ পিসিতে সার্চবারে গিয়ে টাইপ করুন “Device Manager” — ডিভাইজ ম্যানেজার থেকে সহজেই আপনার ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট থাকা সকল ডিভাইজ গুলোর লিস্ট দেখতে পাবেন। আপনার ল্যাপটপের আসল কিছু কিছু যন্ত্রপাতি যেমন; হার্ড ড্রাইভ, র্যাম, প্রসেসর, ক্যামেরা, ইউএসবি কন্ট্রোলার — চেক করে দেখুন সকল হার্ডওয়্যার গুলো স্ট্যাটাস “this device is working properly.” শো করছে কিনা!
যদি রিসেন্টলি নতুন কোন হার্ডওয়্যার বা ডিভাইজ পিসিতে যুক্ত করে থাকেন সেক্ষেত্রে চেক করে দেখুন সেটাই আপনার ল্যাপটপ বারবার শাটডাউন হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কিনা। যদি মাদারবোর্ড বা র্যাম বা সিপিইউ তে কোন সমস্যা থাকে; নিজে থেকে মাতব্বরি করার দরকার নেই, আপনার ল্যাপটপ সার্ভিস সেন্টার নিয়ে যান। বিশেষ করে নতুন ল্যাপটপ নিজে থেকে হার্ডওয়্যার ফিক্স করার চেষ্টা না করায় বেটার।
ডিভাইজ ড্রাইভার সমস্যা
আপনার পিসিতে কি ডিভাইজ ড্রাইভার গুলো নিজে থেকেই আপডেট হ্যান্ডেল করে? — সেক্ষেত্রে আপনার পিসি হঠাৎ করে রিস্টার্ট নিয়ে নিতে পারে। অনেক ড্রাইভার আপডেট হওয়ার পরে হার্ডওয়্যারের সাথে ঠিক মতো কাজ করার জন্য উইন্ডোজ পিসি রিস্টার্ট করার দরকার পরে। তবে পিসি রিস্টার্ট নেওয়ার আগে বেশিরভাগ সময় আপনাকে ওয়ার্নিং জানায়, তবে অনেক সময় ওয়ার্নিং না দিয়েও পিসি রিস্টার্ট নিয়ে নিতে পারে।
Driver Talent — একটি ফ্রি এবং অত্যন্ত উপযোগী একটি টুল, যেটা আপনার পিসির সকল ড্রাইভার গুলোকে আপডেটেড রাখে এবং সঠিক ড্রাইভার ইউজ করতে আপনাকে সাহায্য করে। সাথে অলমোস্ট যেকোনো ড্রাইভার জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এই সফটওয়্যারটি মারাত্মক উপকারী রুপে কাজ করে। তাছাড়া উইন্ডোজ পিসিতে যেকোনো ড্রাইভার খুঁজে পাওয়া এবং ইন্সটল করার জন্য এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন!
ম্যালওয়্যার
হ্যাঁ, ম্যালওয়্যার দ্বারা আপনার ল্যাপটপ আক্রান্ত হওয়ার ফলেও বারবার হঠাৎ করে শাটডাউন সমস্যা ঘটতে পারে। শুধু এটাই নয়, ম্যালওয়্যার আক্রমনে আরো অনেক বড় বড় সমস্যা ও ঘটতে পারে আপনার পিসির সাথে। উইন্ডোজ ডিফেন্ডার এসকল প্রবলেম হ্যান্ডেল করার জন্য যথেষ্ট নয়, আপনাকে একটি ভালো পেইড অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম সাথে একটি সেকেন্ডারি অ্যান্টি ম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম ইউজ করতে হবে। সাথে অবশ্যই ভাইরাস ডাটাবেস সর্বদা আপডেটেড রাখতে হবে, তবেই আপনি ভালো প্রোটেকশন পেতে পারবেন!
আমি পার্সোনাল ভাবে অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে ইসেট ও অ্যান্টিম্যালওয়্যার হিসেবে ম্যালওয়্যারবাইটস ইউজ করি। তবে বাজারে আরো ভালো অ্যান্টিভাইরাস টুল রয়েছে সেগুলোকেও ইউজ করতে পারেন!
ল্যাপটপ হঠাৎ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া তাও আবার বিনা নোটিশ দিয়েই, সত্যিই অনেক ঝামেলার জিনিষ। আপনি হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছেন না, হয়তো মুভি দেখছেন তারপরেও ল্যাপটপ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিরক্তির সৃষ্টি করতে পারে।
যাইহোক, আপনি কি রিসেন্টলি এরকম কোন সমস্যায় পড়েছেন? কিভাবে আপনার ল্যাপটপকে ভূতুরে শাটডাউন হওয়া থেকে রক্ষা করেছিলেন? আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন!
WiREBD এখন ইউটিউবে, নিয়মিত টেক/বিজ্ঞান/লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও গুলো পেতে WiREBD ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুণ! জাস্ট, youtube.com/wirebd — এই লিংকে চলে যান এবং সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুণ!
Image: Shutterstock
Thanks tahmid vai, kaje lagbe,jene rakhlam ar ki.
Bro Please suggest me a best data recovery software name?
EaseUS ইউজ করে দেখো, ভালোই!
টার্বো বোস্ট Technology এর মাধ্যমে কিভাবে প্রসেসর এর ক্লক স্পিড বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে জানতে চাই। আমার প্রসেসর হলো Corei7-8700. আমার প্রসেসরের বেস ক্লক স্পিড হলো 3.20. সর্বোচ্চ হলো 4.60. আমি যখন ক্লক স্পিড চেক করি তখন বেস ক্লক স্পিড 3.20 দেখায়। পরবর্তীতে জানতে পারলাম যে, টার্বো বোস্ট টেকনোলজি ব্যবহার করে প্রসেসর এর ক্লক স্পিড বৃদ্ধি করা যাবে। এখন কিভাবে করা যাবে সে বিষয়ে পূর্নাঙ্গ ধারণা দিলে কৃতার্থ হবো।
এ ব্যাপারে দ্রুত একটি পুরনাঙ্গ আর্টিকেল প্রকাশ করার চেষ্টা করবো!
Intel Optane Memory Module সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। এটা ব্যবহারের উপকারিতা কি? তাছাড়া বর্তমানে M.2 NVMe ssd কি Intel Optane Memory Module সে বিষয়েও আলোচনা করবেন অবশ্যই।
ইনটেল অপটেন মেমোরি নিয়ে পূর্বে থেকে আর্টিকেল রয়েছে, আপনাকে সাহায্য করতে পারে;
https://wirebd.com/article/2884
আমার উইন্ডোজ ১০ এ ডিস্ক ইউজেস বার বার হাই হয়ে যাচ্ছে।কি করতে পারতে পারি এক্তু জানাবেন