৫ টি বেস্ট জিমেইল অলটারনেটিভ

বর্তমানে যেহেতু অধিকাংশ স্মার্টফোন ইউজাররাই অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করেন এবং ইন্টারনেট ইউজারদের প্রায় সবাই গুগল ইকোসিস্টেমের সাথে জড়িয়ে গিয়েছেন, তাই এখন যেকোনো অনলাইন সার্ভিস বা সফটওয়্যার সার্ভিসের ক্ষেত্রে গুগলের নামই সবার প্রথমে আসে। বর্তমানে ইমেইল সেন্ড করার কাজে গুগলের ইমেইল সার্ভিস Gmail সবথেকে জনপ্রিয় এবং সবথেকে বেশি ব্যাবহার করা হয়। অধিকাংশ অ্যাভারেজ ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন ইউজাররাই ইমেইল বলতে বর্তমানে জিমেইলকেই বুঝে থাকেন। এমনকি অনেক নতুন ইন্টারনেট ইউজাররা জানেনই না যে জিমেইল ছাড়াও আরো অনেক ইমেইল সার্ভিস রয়েছে যার থেকে আপনি ইমেইল অ্যড্রেস পেতে পারেন এবং ইমেইল সেন্ড করতে পারেন।

আজকে জিমেইলের এমন ৫ টি অলটারনেটিভ নিয়েই কথা বলতে চলেছি যেগুলো আপনি চাইলে ব্যাবহার করতে পারেন। আগেই বলছি, এগুলো শুধুই জিমেইলের কয়েকটি অলটারনেটিভ। আপনি যদি কোনো কারণে গুগল ইকোসিস্টেমের বাইরে বের হতে চান, তাহলে এগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। তবে সত্যি কথা বলতে, এগুলোর কোনোটাই ফিচারস এবং সিমপ্লিসিটির দিক থেকে জিমেইলের থেকে বেটার নয়। যাইহোক, আর ভুমিকা না করে সরাসরি মেইন টপিকে আসা যাক!

এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ

Proton Mail

প্রোটন মেইল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং বর্তমানে এটি সবদিক থেকেই জিমেইলের অন্যতম একটি বেস্ট অলটারনেটিভ। ওপেন-সোর্স প্রোটন ভিপিএন কোম্পানিরই আরেকটি প্রোডাক্ট হচ্ছে এই প্রোটন মেইল। প্রোটন মেইলের সবথেকে বড় ফোকাস হচ্ছে ইউজার প্রাইভেসি। প্রাইভেসি ফোকাসড ইমেইল সার্ভিস হওয়ার জন্যই মুলত এটি জনপ্রিয়। প্রোটন মেইলের সকল সার্ভার সুইজারল্যান্ডে থাকায় সকল ইউজার ডাটা স্ট্রিক্ট Swiss Privacy Law এর অধীনে নিরাপদ থাকে।

প্রাইভেসি ফোকাসড ইমেইল সার্ভিস হওয়ায় প্রোটন মেইলের মাধ্যমে ইউজাররা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ইমেইল সেন্ড করতে পারেন যার সাহায্যে নিশ্চিত করা হয় যে, সেন্ডার এবং রিসিভার ছাড়া আর কেউ ইমেইলটি পড়তে পারবে না। তাছাড়া প্রোটন মেইলে আরও কিছু ইউনিক ফিচারস আছে যেগুলো অন্যান্য ইমেইল প্রোভাইডারে নেই। যেমন- সেল্ফ ডেস্ট্রাক্টিং এবং পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড ইমেইল।

প্রোটন মেইলের সকল নতুন ইউজার বিনামূল্যে ৫০০ এমবি স্টোরেজ ব্যাবহার করতে পারেন এবং প্রিমিয়াম প্ল্যানে আপগ্রেড করে তাদের স্টোরেজ লিমিট বাড়িয়ে নিতে পারেন। আপনি যদি ক্যাজুয়াল ইমেইল ইউজার হয়ে থাকেন এবং ইমেইলের মাধ্যমে ফাইল শেয়ারিং না করেন, তাহলে ইমেইলের জন্য ৫০০ এমনি স্টোরেজ আপনার জন্য যথেষ্টই হবে।

আর প্রোটন মেইল আপনি ওয়েব থেকেও ব্যাবহার করতে পারবেন এবং চাইলে আপনার স্মার্টফোনে এটির ন্যাটিভ অ্যাপও ব্যাবহার করতে পারবেন। প্রোটনমেইলের ওয়েব ইন্টারফেস এবং অ্যাপের ইন্টারফেসও খুবই ক্লিন। যদি জিমেইল থেকে প্রোটন মেইলে সুইচ করতে চান, সেক্ষেত্রে জিমেইলের সব ইম্পর্ট্যান্ট ডাটা ইমপোর্ট করে নেওয়ার জন্য একটি বিল্ট-ইন টুলও দেয় প্রোটন মেইল। গুগলের ইকোসিস্টেম থেকে বেরিয়ে যদি একটি প্রাইভেসি ফোকাসড ইমেইল সার্ভিস ব্যাবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে প্রোটন মেইল বেস্ট চয়েজ হতে পারে।

PROTONMAIL

Zoho Mail

Zoho একটি ভারতীয় সফটওয়্যার সার্ভিস কোম্পানি যাদের মেইন কাস্টোমার হচ্ছে বিজনেস। Zoho শুধুমাত্র ইমেইল সার্ভিসই প্রোভাইড করে না, বরং বিজনেস রিলেটেড আরও অনেক সফটওয়্যার যেমন অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার, ইনভয়েস সফটওয়্যার ইত্যাদিও তৈরী করে থাকে। এইসকল বিজনেস সল্যুশনের পাশাপাশি Zoho একটি সিকিওর ইমেইল সার্ভিসও দিয়ে থাকে যা আপনি ব্যাবহার করতে পারেন।

জিমেইলে এবং অন্যান্য সব মেইনস্ট্রিম ইমেইল সার্ভিসে আপনি যেসব সুবিধা পাবেন, তার প্রায় সবকিছুই আপনি Zoho Mail এ পাবেন। Zoho Mail এর ইনফ্রাস্ট্রকচারেও আছে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, যার সাহায্যে সেন্ডার এবং রিসিভারের ইমেইলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও Zoho Mail এ আরও অনেক ইফেক্টিভ সিকিউরিটি প্র‍্যাকটিস আছে, যেগুলো অন্যান্য অধিকাংশ ইমেইল সার্ভিসে নেই। যেমন- টাচ আইডির সাহায্যে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, সেল্ফ ডেসট্রাকটিং ইমেইল, পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড ইমেইল ইত্যাদি।

এছাড়াও আপনি চাইলে সম্পুর্ন বিনামুল্যে তাদের বিজনেস ইমেইল সার্ভিস ব্যাবহার করতে পারবেন যেখানে আপনি নিজের পারচেজ করা কাস্টম ডোমেইন নেম কানেক্ট করতে পারবেন। Zoho Mail এর পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট এবং বিজনেস অ্যাকাউন্ট, দুই ক্ষেত্রেই আপনি ৫ জিবি স্টোরেজ সম্পুর্ণ বিনামূল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন যা একজন ইন্ডিভিজুয়াল বা ছোট বিজনেসগুলোর জন্য যথেষ্টই বলা যায়। আপনি চাইলে তাদের পেইড প্ল্যানে সাবস্ক্রাইব করে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত ইমেইল স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

প্রোটন মেইলের মতো Zoho Mail ও ক্রস প্লাটফর্ম। অর্থাৎ, এটি আপনি ওয়েব ইন্টারফেসেও ব্যাবহার করতে পারবেন এবং চাইলে স্মার্টফোনে এটির ন্যাটিভ অ্যাপও ইন্সটল করে ব্যাবহার করতে পারবেন। আমি নিজেও আগে Zoho Mail ব্যাবহার করেছি এবং তাদের ইমেইল ইনবক্সের ওয়েব ইন্টারফেসটি আমার কাছে তুলনামূলকভাবে সবথেকে ভালো লেগেছে।

ZOHO MAIL

Outlook Mail

এটি অলরেডি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ইমেইল সার্ভিস যা টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের তৈরী। মাইক্রোসফটের ইমেইল সার্ভিস Hotmail বেশ জনপ্রিয় ছিলো। আগের এই Hotmail কেই রিব্র‍্যান্ড করে Outlook নাম দেওয়া হয়েছে। তবে মাইক্রোসফটের প্রোডাক্ট হলেও এখনও জিমেইল ইউজারদের একটি বড় অংশ জানেনই না যে মাইক্রোসফটেরও একটি ইমেইল সার্ভিস আছে। ফিচারসের দিক থেকে Outlook একেবারেই জিমেইলের মতোই। তবে জিমেইল গুগলের প্রোডাক্ট হওয়ায় গুগলের অন্যান্য সার্ভিসের সাথে যেমন এটির টাইট ইন্টাগ্রেশন আছে, তেমনি Outlook মাইক্রোসফটের প্রোডাক্ট হওয়ায় মাইক্রোসফটের অন্যান্য প্রোডাক্ট, যেমন- অফিস, পাওয়ারপয়েন্ট, ওয়াননোট ইত্যাদির সাথে এটির টাইট ইন্টাগ্রেশন রয়েছে।

আর, Outlook এর ইমেইল টেমপ্লেটে আপনি এমন অনেক ইনপুট এলিমেন্ট পাবেন যেগুলো অন্যান্য ইমেইল সার্ভিসে পাবেন না। যেমন- ইমেইল টেবিল অ্যাড করা, টেক্সট বক্স অ্যাড করা এবং অন্যান্য অনেক রিচ এইচটিএমএল এডিটিং ফিচারস পাবেন Outlook ইমেইলে। Outlook ইমেইল আপনার মাইক্রোসফটের অ্যাকাউন্টের সাথে থাকা ফ্রি ৫ জিবি স্টোরেজটিই ব্যাবহার করে। তাই Outlook ইমেইলে আপনি ৫ জিবি পর্যন্ত ফ্রি স্টোরেজ পাবেন। তবে Onedrive স্টোরেজ আপগ্রেড করলে সর্বোচ্চ ২ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ পেতে পারেন। আর, মাইক্রোসফটের সার্ভিস হওয়ায় এটিও অবশ্যই ক্রস প্লাটফর্ম সাপোর্টেড। Outlook ইমেইলের জন্য ওয়েব ক্লায়েন্টের পাশাপাশি ন্যাটিভ মোবাইল অ্যাপস, UWP অ্যাপ সবকিছুই ইউজ করতে পারবেন।

আপনি যদি মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমে থাকেন, অর্থাৎ আরও অনেক মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস অ্যাক্টিভলি ব্যবহার করেন প্রত্যেকদিন, তাহলে আপনার জন্য প্রাইমারি ইমেইল হিসেবে আউটলুক ইমেইল ব্যাবহার করাই সবথেক বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যেহেতু, আউটলুক মেইলের থেকে বেটার মাইক্রোসফট অফিস সুইট ইন্টাগ্রেশন আপনি অন্য কোনো ইমেইল ক্লায়েন্টে পাবেন না। আর মাইক্রোসফট এর অ্যাপ হওয়ায় আউটলুকের সব অ্যাপসেই ফ্লুয়েন্ট ডিজাইন গাইডলাইন ব্যবহার করা হয়েছে। তাই সকল প্লাটফর্মেই আউটলুক মেইলের অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেস খুবই সুন্দর এবং মিনিমাল।

OUTLOOK MAIL

Yahoo Mail

ইমেইলের দুনিয়ায় অন্যতম একটি পুরনো এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম হচ্ছে Yahoo Mail। জিমেইল এত বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়ার অনেক আগে থেকেই Yahoo মেইল জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু গুগলের জনপ্রিয়তা বা জিমেইলের ইউজার বাড়ার সাথে সাথে Yahoo মেইলের ইউজার এবং পপুলারিটি কমছে এবং বর্তমানে আর কেউ Yahoo কে তাদের প্রাইমারি ইমেইল হিসেবে ব্যাবহার করেন না বললেই চলে। কিন্তু এখনো যা অনেকেই জানেন না তা হচ্ছে, ইমেইল সার্ভিস হিসেবে এখনো Yahoo এর বেশ কিছু অ্যাডভান্টেজ এবং ফিচারস আছে যেগুলো অন্যান্য অধিকাংশ ইমেইল সার্ভিসে নেই।

এর মধ্যে অন্যতম একটি ফিচার হচ্ছে হিউজ স্টোরেজ স্পেস। Yahoo সকল নতুন ইউজারদের ১ টেরাবাইট ইমেইল স্টোরেজ বিনামূল্যে দিয়ে থাকে, যা আমার জানামতে এখন অন্য কোন ইমেইল প্রোভাইডার দেয় না। অন্যান্য অধিকাংশ ইমেইল সার্ভিসে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ চাইলে আপনাকে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ ইউএস ডলার থেকে শুরু করে ৫০ ইউএস ডলার পর্যন্তও গুনতে হতে পারে। কিন্তু Yahoo মেইলে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ আপনি সম্পূর্ণ বিনামুল্যে পাবেন। আরেকটি ভালো ব্যাপার হচ্ছে, ইনবক্স থিমিং বা কাস্টোমাইজ করার জন্য বেস্ট হচ্ছে Yahoo। Yahoo তে নিজের মতো করে আপনার ইনবক্সের ওয়েব ইন্টারফেসের কালার স্কিম এবং থিম কাস্টোমাইজ করে নিতে পারবেন, যা অন্যান্য ইমেইল সার্ভিসে খুবই লিমিটেড।

তবে এসব অ্যাডভান্টেজের পাশাপাশি Yahoo মেইলের কয়েকটি ডাউনসাইডও আছে। প্রথমত  Yahoo এর স্প্যাম ইমেইল ডিটেক্ট করার AI অন্যান্য ইমেইল সার্ভিসের তুলনায় কিছুটা দুর্বল। আর Yahoo এর ইনবক্স ইন্টারফেসে অনেক অ্যাডস দেখে থাকবেন আপনি, যেগুলো অনেকসময় বেশ বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমার মতে, ১ টেরাবাইট ফ্রি স্টোরেজ কনসিডার করলে এসব অ্যাডস সহ্য করাই যায়, যদিও তা ইউজারের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আর অন্যান্য ইমেইল সার্ভিসের মতোই Yahoo মেইলের জন্যও আপনি ওয়েব ইন্টারফেসের পাশাপাশি ন্যাটিভ মোবাইল অ্যাপস পাবেন।

YAHOO MAIL

Yandex Mail

রাশিয়ান টেক কোম্পানি Yandex কে চেনেনা এমন ইন্টারনেট ইউজার খুব কমই আছে। গুগল ফটোস ফ্রি ব্যাকআপ সুবিধা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরে Yandex Disk এর ইউজার বেশ অনেকটাই বেড়েছে, যেহেতু তারা এখনো ফ্রি ফুল রেজুলেশন ইমেজ ব্যাকআপ করার সুবিধা দিচ্ছে। যাইহোক, তবে আপনি হয়তো জানেন না যে, Yandex তাদের অন্যান্য সব সার্ভিসের পাশাপাশি ইমেইল সার্ভিসও দিয়ে থাকে, যার নাম Yandex Mail। সত্যি কথা বলতে, জিমেইল, ইয়াহু, আউটলুক এসব ইমেইলে যা যা সুবিধা আছে এবং ফিচারস আছে, তার সবকিছুই Yandex মেইলেও আছে। এখানে নতুন কোন এক্সট্রাঅর্ডিনারি ফিচার আপনি খুঁজে পাবেন না।

তবে Yandex মেইলের ইউজার তুলনামুলকভাবে অনেকটা কম হওয়ায়, এখানে আপনি যে সুবিধা পাবেন তা হচ্ছে, অনেক ছোট ছোট নামের ইমেইল ফাঁকা পাবেন। এর ফলে Yandex Mail থেকে সহজেই ছোটখাটো একটি ক্লিন ইমেইল অ্যাড্রেস নিয়ে নিতে পারবেন যা বলতে ও লিখতে সুবিধা হয়। উদাহরনস্বরূপ, আপনার নাম যদি হয় Tahmid, হয়তো আপনি জিমেইলে [email protected] এমন ইমেইল ফাঁকা পাওয়ার চান্স নেই বললেই চলে, যেহেতু জিমেইলের ইউজার অনেক বেশি। কিন্তু Yandex মেইলে আপনি এমন অনেক ছোট ছোট নাম এখনো ফাঁকা পাবেন।

এছাড়া Yandex Mail আপনাকে ফ্রি ইউজার হিসেবে খুব সম্ভবত ১০ জিবি পর্যন্ত ইমেইল স্টোরেজ ফ্রি দেবে। ক্যাজুয়াল ইমেইল ইউজার হলে ১০ জিবি স্টোরেজ যথেষ্ট বলেই মনে হয় আমার। আর অন্যান্য ইমেইলের মতো এটিও ক্রস প্লাটফর্ম, অর্থাৎ আপনি এটি ওয়েব অ্যাপ এবং ন্যাটিভ মোবাইল অ্যাপ দুইভাবেই ব্যাবহার করতে পারবেন। যদিও এক্সট্রা তেমন কোন ফিচার নেই, যদি ছোট এবং ক্লিন ইমেইল অ্যাড্রেস পাওয়ার জন্য ব্যাবহার করতে চান, তাহলে করতেই পারেন!

YANDEX MAIL


 

About the author

সিয়াম

Add comment

Categories