ডাটা রিকভারি কি এবং কীভাবে কাজ করে?

আমাদের প্রত্যেককেই ডাটা লসের সাথে মকাবেলা করতে হয়—যখন প্রশ্ন আসে হার্ডড্রাইভ ফেইল হওয়া বা ডাটা করাপশন হয়ে যাওয়া বা যখন আমরা ভুলবশত কোন ফাইল ডিলিট করে ফেলি। আর এভাবেই যদি আপনি কখনো কোন গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হারিয়ে থাকেন তবে, নিশ্চয় ডাটা রিকভারি সম্পর্কে শুনেছেন। আজকের আলোচনা করবো এটি কীভাবে কাজ করে, এটা কতটা কার্যকর এবং সকল ধরনের ডাটা রিকভার করা সম্ভব কিনা সেই ব্যাপার গুলো নিয়ে। তো চলুন সবকিছু খুঁজে বের করা যাক।

ডাটা হারিয়ে ফেলা এবং ডাটা রিকভারি

অনেকভাবে আপনার মূল্যবান ডাটা হারিয়ে যেতে পারে—ভুলবশত ফাইল ডিলিট হয়ে গেলে, হার্ডড্রাইভ অকেজো হয়ে গেলে, সফটওয়্যারে কোন ত্রুটি থাকলে, ডাটা করাপশন হয়ে গেলে, হ্যাকিং এর কবলে পড়লে, এমনকি সাধারন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া থেকেও ডাটা লস ঘটতে পারে। প্রায় যেকোনো ডাটা লস থেকে ডাটা রিকভার করা সম্ভব। অনেক সময় তো ধ্বংস হওয়া বিমান থেকেও হার্ডড্রাইভ নিয়ে এসে বিশেষজ্ঞরা ডাটা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

আপনার হারিয়ে যাওয়া ডাটা গুলো যদি কোন হার্ডড্রাইভ, সলিড-স্টেট ড্রাইভ, পেনড্রাইভ, বা যেকোনো মিডিয়া স্টোরেজের সাথে জড়িত থাকে তবে সেই ডাটা গুলোকে উদ্ধার করার জন্য আপনি কোন বিশেষজ্ঞকে ভাড়া করতে পারেন কিংবা কিছু টাকা খরচ করে ভালো ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার কিনে আপনার হারানো ডাটা ফিরে পেতে পারেন।

তবে একটি কথা মাথায় রাখা প্রয়োজনীয় যে, সবসময় কিন্তু ডাটা রিকভার করা সম্ভব হয় না—অনেক সময় সিস্টেম এতোটাই অকেজো হয়ে পড়তে পারে, যেখান থেকে কোন ডাটা পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব। যাই হোক, বর্তমানের ডাটা রিকভার প্রযুক্তি প্রচণ্ড বিপ্লব অর্জন করেছে, উদাহরণ স্বরূপ; Kroll Ontrack, নামক এক অস্ট্রেলিয়ান ডাটা-রকভারি কোম্পানি যারা ৯৯% যেকোনো হার্ডড্রাইভ থেকে ডাটা পুনরুদ্ধার করার নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে।

ডাটা রিকভারি কীভাবে কাজ করে?

বিভিন্নভাবে হারিয়ে যাওয়া ডাটা গুলোকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব, এটি নির্ভর করে আপনার ডাটা গুলো কীভাবে হারিয়েছিল তার উপরে। নিচে আমি কিছু কমন ডাটা লস ফ্যাক্টর গুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, আপনার আরো কোন ফ্যাক্টর জানা থাকলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

ফাইল ডিলিট

মজার এবং ভালো ব্যাপার হলো, আপনি যখন কোন ফাইল ড্রাইভ থেকে ডিলিট করে দেন সেটি তখনও আপনার ড্রাইভে থেকেই যায়, এবং ততোক্ষণ পর্যন্ত থাকে যতক্ষণ না আরেকটি ফাইল এসে সেটির উপর প্রতিস্থাপিত না হয়। অর্থাৎ যদি আপনি ভুলবশত ডিলিট করা ফাইলটি পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করেন তবে আপনার ফাইলটি ফিরে পাবার সুযোগ অনেক বেড়ে যায়। ডিলিট হওয়া ফাইল গুলো পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে আপনি কোন ভালো ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। গুগল করলে এমন বহুত সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। এদের কোন গুলো ফ্রী আবার কোন গুলো টাকা দিয়ে কিনতে হবে। এই সফটওয়্যার গুলো অনেক জটিল অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে ড্রাইভে পড়ে থাকা পুরাতন ডাটা গুলো খোঁজার চেষ্টা করে এবং ডিলিট হওয়া ফাইল গুলোর ফিজিক্যাল লোকেশন অনুমান করে। যদি সফটওয়্যার সঠিক লোকেশন অনুমান করতে সক্ষম হয়, তবে নিঃসন্দেহে আপনি ফাইল ফিরে পেয়ে যাবেন। আর যদি অনুমান না করতে পারে, তবে আপনার ভাগ্য খারাপ!

যাই হোক, ফাইল ডিলিট হয়ে যাওয়ার পরে আপনার কম্পিউটারের সাথে যেকোনো কিছু কার্যকলাপ আপনার ডাটাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলার জন্য দায়ী হতে পারে। কেনোনা এতে নতুন ফাইল ওভাররাইট হওয়ার সুযোগ থাকে। এমনকি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করলেও আপনার পুরাতন বা হারিয়ে যাওয়া ক্যাশ ফাইল বা কুকিজ গুলো ওভাররাইট হয়ে যেতে পারে, ফলে আর সেগুলো ফিরে পাবেন না। ফাইল রিকভারি সফটওয়্যার গুলো শুধু সেই ফাইল গুলোকেই পুনরুদ্ধার করতে পারে যা ওভাররাইট হয়নি।

আবার ডিলিট হওয়া ফাইল কতটা দ্রুত ফিরে পাবেন বা ফিরে পাবার সুযোগ কতটুকু এটা অনেক সময় নির্ভর করে আপনার ফাইল সিস্টেমের উপরে। উদাহরণ স্বরূপ; উইন্ডোজ এনটিএফএস (NTFS) ফাইল সিস্টেম কোন ফাইল ডিলিট হওয়ার পরেও সেই ফাইলটির বিবরণী তথ্য সংরক্ষিত রাখে, ফলে যেকোনো রিকভারি সফটওয়্যারের কাছে ফাইলটি খুঁজে পাওয়া অনেক সুবিধা জনক হয়ে যায়। অন্যান্য ফাইল সিস্টেম যেমন- ইউটিএফ (UTF) বা এফএটি (FAT) কোন ফাইল ডিলিট হওয়ার সাথে সাথে তার বিবরণী তথ্য গুলোকেও ধ্বংস করে দেয়, ফলে রিকভারি সফটওয়্যারের কাছে ফাইলটি খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে উঠে।

ফাইল করাপশন

যদি আপনার কম্পিউটারে বারবার ম্যাসেজ আসতে শুরু করে “আপনার হার্ডড্রাইভ করাপ্টেড হয়ে গেছে” তো আপনি জানেন এটি কতো দুঃস্বপ্নের ব্যাপার। তবে চিন্তার কোন কারন নেই—কেনোনা এখনো আপনার ডাটা গুলো পুনরুদ্ধারিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রথমে আপনার হার্ডড্রাইভটি অন্য একটি কম্পিউটারের সাথে লাগানোর প্রয়োজন পড়বে, যদি চেক করে দেখেন যে শুধু ঐ ড্রাইভটির অপারেটিং সিস্টেম করাপ্টেড হয়েছে তবে অনেক সহজেই বাকি ডাটা গুলো কপি করে নিতে পারবেন।

কিন্তু আসল সমস্যা তখন হতে পারে যদি হার্ডড্রাইভের পার্টিশন টেবিল করাপ্টেড হয়ে যায়। তবে লিনাক্স ব্যবহার করে করাপ্টেড পার্টিশন টেবিল ঠিক করা সম্ভব। যদি আপনারা চান তবে এই ব্যাপারে আমি একটি টিউটোরিয়াল বানিয়ে দিতে পারি। যদি আপনি সফলভাবে পার্টিশন টেবিল ঠিক করতে পারেন, তবে সহজেই করাপ্টেড ডাটা গুলো ফেরত পেতে পারেন। যদি না পড়েন, তবে এখনো পার্টিশন টেবিল থেকে যথেষ্ট তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন, যদিও এটি নির্ভর করে করাপ্টেড হওয়ার স্তরের উপর।

এখন যদি রিকভার করা ফাইল গুলো করাপ্টেড হয় তবে ফাইল রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে সেগুলোকে ব্যবহার যোগ্য করা সম্ভব। সফটওয়্যার হার্ডড্রাইভ থেকে ফাইল গুলো খোঁজার সময় সেগুলোর আগের ভার্সন পাওয়ার চেষ্টা করবে, ফলে রিকভার হওয়া ফাইল গুলো ব্যবহার যোগ্য হতে পারে। পার্টিশন টেবিল ঠিক করতে পারলে প্রায় বেশিরভাগ সময়ই সকল ডাটা ফেরত পাওয়া যায়।

ফাইল সিস্টেম ফরম্যাট বা ফাইল ধ্বংস

ফাইল ডিলিট করার মতোই সিস্টেম ফরম্যাটিং এ ফাইলটির বিবরণী তথ্য ধ্বংস করে দেওয়া হয়, কিন্তু ফাইলটি যতক্ষণ না ওভাররাইট হয় তখন সেটি ফিজিক্যালি অবস্থান করে। তবে আগেই বলেছি ডিলিট হওয়া ফাইল অনেকটাই নির্ভর করে এর ফাইল সিস্টেমের উপরে। যেমন ধরুন, এফএটি ফাইল সিস্টেমে কোন বড় ডাটা ডিলিট করে দিলে ড্রাইভের সেই অংশকে সম্পূর্ণ জিরো দ্বারা ওভাররাইট করে দেয়, ফলে আগের ফাইলটি ফিরে পাওয়া অনেক মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এনটিএফএস ফাইল সিস্টেম কোন ফাইল রিকভার করা প্রচণ্ড সহজ হয়ে থাকে।

যদি কোন ফাইল ধ্বংস হয়ে যায় তবে সেটি ফিরে পাবার ক্ষেত্রে নির্ভর করে ফাইলটি ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার উপরে। যদি ফাইল রিকভারি সফটওয়্যার ক্ষতিগ্রস্থ ফাইলটি থেকে যথেষ্ট তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তবে ধ্বংস হওয়া ফাইলটি ব্যাবহারের যোগ্য হতে পারে। তারপরও ফাইল রিকভারি সফটওয়্যার আগের ফাইলটি অর্থাৎ ধ্বংস হওয়ার আগের ভার্সনটি খোঁজার চেষ্টা করে, যদি খুঁজে পায়, তবে সত্যি আপনার ভাগ্য খুব ভালো।

ফিজিক্যাল হার্ডড্রাইভ ড্যামেজ

ডিলিট হওয়া বা ফরম্যাটিং হওয়া ফাইল বা করাপ্টেড ফাইল রিকভার করা এক কথা আর সম্পূর্ণ ফিজিক্যালি ধ্বংস হওয়া হার্ডড্রাইভ থেকে ফাইল রিকভার করা আরেক কথা। এই অবস্থায় কোন সস্তা ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার বা টেকনিক্যাল জ্ঞান তেমন কোন কাজে লাগতে পারবে না, এর চেয়ে উত্তম হবে আপনি ড্রাইভটি কোন বিশেষজ্ঞের হাতে দিয়ে দেওয়া।

ধ্বংস হওয়া ড্রাইভটিকে নিরাপদে খোলে অনেক কঠিন কাজ। শুধু মাত্র বিশেষজ্ঞরায় এটি করতে পারেন, তারা একটি বধ্য এবং অত্যন্ত পরিষ্কার রুমে এই কাজটি সম্পূর্ণ করে থাকেন। এই রুমটি অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের হয়ে থাকে এবং সকল প্রকারের প্রাকৃতিক দূষণ মুক্ত হয়ে থাকে। এই অবস্থায় একটি সামান্য ধূলিকণাও হার্ডড্রাইভটিকে সম্পূর্ণ অকেজো করতে পারে। আবার স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটিও ড্রাইভটিকে ধ্বংস করতে পারে। একারণে এই রুমের পরিবেশ এবং বিশেষজ্ঞদের কাপড় চোপড় এক বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে কম স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদিত হয়।

অনেকভাবে একটি হার্ডড্রাইভ ফিজিক্যালি ড্যামেজ হতে পারে। অনেক সময় শুধু হয়তো ড্রাইভটির কন্ট্রোলার বোর্ড বা হেড ড্যামেজ হয়। এই অবস্থায় এগুলোকে পরিবর্তন করে ড্রাইভটি রিপেয়ার করা যেতে পারে। কিন্তু এই পরিবর্তন গুলো করাতে বা যেকোনো গুরুতর ড্যামেজ থেকে ড্রাইভটিকে সারাতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া উচিৎ।

বিশেষজ্ঞগন বিভিন্ন ধাপে একের পর এক অনুসরন করে আপনার ড্রাইভটি ফিক্স করানোর চেষ্টা করে। প্রথমে এর ফিজিক্যালি ড্যামেজ ঠিক করে এবং পরে ড্রাইভটি রান করিয়ে এথেকে স্পেশাল সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডাটা গুলোকে রিকভার করানোর চেষ্টা করে। এই সম্পূর্ণ প্রসেসটি একটি নিয়ন্ত্রিত কক্ষে করা হয়। বিশেষজ্ঞ দ্বারা ডাটা রিকভার করালে আপনার কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ পড়তে পারে। তবে অনেক নতুন কোম্পানি বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে।

সলিড স্টেট ড্রাইভ রিকভারি

দিনের পরে দিন সলিড স্টেট ড্রাইভ গুলো আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এখনকার নতুন আলট্রাবুক গুলোতে সলিড স্টেট ড্রাইভ থাকছে প্রধান চমক হিসেবে। এসএসডি থেকে ডাটা রিকভার করা যেকোনো ট্র্যাডিশনাল হার্ডড্রাইভ থেকে অনেক সহজ এবং কার্যকরী। ডিলিট হওয়া বা ফরম্যাট হওয়া ডাটা রিকভারি করার প্রসেস এখানেও একই।

তবে ফিজিক্যালি ড্যামেজ হওয়া সলিড স্টেট ড্রাইভ থেকে ডাটা রিকভার করা অনেক ব্যয়বহুল কাজ—কেনোনা এই প্রযুক্তি এখনো নতুন। একবার কোন সলিড স্টেট ড্রাইভ ফিজিক্যালি ড্যামেজ হলে ৪-৫ হাজার ডলার লাগতে পারে, ঠিক করতে। তবে হয়তো ভবিষ্যতে এর খরচ অনেক কমতে পারে।

কখনোয় ডাটা না হারানোর টিপস

ফাইল রিকভারি সফটওয়্যার বা বিশেষজ্ঞরা হয়তো আপনার হারিয়ে হাওয়া মূল্যবান ডাটা ফেরত পেতে সাহায্য করবে, কিন্তু এই প্রসেস গুলো ঝুঁকি পূর্ণ, সময় সাপেক্ষ, এবং ব্যয়বহুল। তাই ডাটা হারানোর ঝুঁকি না নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি ডাটা গুলোর জন্য একসাথে অনেক ব্যাকআপ রাখা প্রয়োজন। আপনি ক্লাউড ডাটা ব্যাকআপ সার্ভিস গ্রহন করতে পারে, নিজের বাড়িতে হার্ডড্রাইভ ব্যাকআপ গ্রহন করতে পারেন।

আপনার ড্রাইভগুলোকে অঙ্কাঙ্খিত পাওয়ার কাট থেকে বাচিয়ে রাখুন এবং ভুলবশত ফাইল ডিলিট করা বা সিস্টেম ফরম্যাট করা থেকে সাবধান থাকুন।

শেষ কথা

আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। যদি কোন মূল্যবান ডাটা হারিয়ে ফেলেন তবে অন্তত এতোটুকু জানবেন যে আপনাকে কি করতে হবে। আপনি কি কখনো কোন ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন বা কোন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়েছেন? আপনার অভিজ্ঞতা নিচে আমাদের সাথে কমেন্ট করে শেয়ার করতে পারেন। আপনার মতে বেস্ট ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার কোনটি, আমাদের কমেন্ট করে জানান।

/Image Credit: Shutterstock

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories