৫টি সেরা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার : ঝামেলা বিহীন অনলাইন সিকিউরিটি!

আমার একাধিক সিকিউরিটি আর্টিকেল গুলোতে কমন ব্যাপার গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সকল সাইটে অবশ্যই আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, কেননা কোনভাবে হ্যাকার যদি আপনার একটি সাইটের ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড জেনে যায় সেক্ষেত্রে ঐ ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আলাদা সাইট গুলোতেও লগইন করার চেষ্টা করতে পারে। তাই এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি আলাদা আলাদা সাইটে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। কিন্তু এতো আলাদা পাসওয়ার্ড গুলোকে মনে রাখাও তো আরেক প্যারা! — আর এখানেই শুরু হয় পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এর কাজ!

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ বা ব্রাউজার এক্সটেনশন সেটি আপনার সকল পাসওয়ার্ড গুলো মনে রাখবে এবং প্রয়োজনীয় সাইটে প্রবেশ করার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় পাসওয়ার্ড ফিল করবে। আপনাকে জাস্ট একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে, আর আপনার সকল সাইটের পাসওয়ার্ড গুলো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার মনে রাখবে। যাইহোক, পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।


সহজেই কমপ্লেক্স পাসওয়ার্ড তৈরি

কমপ্লেক্স পাসওয়ার্ড তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা আপনার পাসওয়ার্ড যদি কমপ্লেক্স হয়, হ্যাকার কোন সাইটের ডাটাবেজ হ্যাক করার পরেও হয়তো সে আপনার পাসওয়ার্ডটি ক্র্যাক করতে পারবেনা। কেননা ডাটাবেজে পাসওয়ার্ড গুলো এনক্রিপ্টেড অবস্থায় থাকে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই বেশ সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি, কেননা সেগুলো আমাদের মনে রাখতে সুবিধা হয়। অনেকে তো নিজের নাম বা পার্সোনাল কিছু কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড তৈরি করে, যেটা কম্পিউটার তো দূরের কথা সামান্য কিছু গেস করলেই খুলে ফেলা সম্ভব।

বেস্ট পাসওয়ার্ড হচ্ছে লম্বা পাসওয়ার্ড তৈরি করা, ছোট হাতের বড় হাতের লেটার ইউজ করা, নাম্বার ইউজ করা, এবং স্পেশাল ক্যারেকটার ইউজ করা যেমন- (!@#$%^&*_)। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ইউজ করলে এরকম লম্বা আর শক্তিশালী পাসওয়ার্ড মাত্র এক ক্লিকেই জেনারেট করা সম্ভব। আর পাসওয়ার্ড তো আপনাকে মনে রাখতে হচ্ছে না, তাই না? মনে তো রাখবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার, তো আপনার সমস্যা কিসের?

ফিশিং থেকে মুক্তি

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করার আরেকটি বড় উপকারিতা হচ্ছে ফিশিং থেকে মুক্ত থাকা। ফিশিং ম্যাথড ইউজ করে সহজেই হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ডটি হাতিয়ে নিতে পারে। তারা মেইল করে বা কোন ভাবে আপনাকে লিংক সেন্ড করে। কিন্তু লিংকটি হয়ে থাকে ফেইক ওয়েবসাইটের, যেখানে লগইন পেজটি হুবহু দেখতে আসল সাইটের মতো হতে পারে। আপনি ভুল করে সেখানে পাসওয়ার্ড প্রবেশ করিয়ে দিলেই কাজ শেষ, হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ডটি সহজেই পেয়ে যাবে।

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার গুলো লিংক দেখে কাজ করে। আপনি যে সাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন সে সাইটের লিংক মনে রাখে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার, তারপরে যদি হুবহু দেখতেও আলাদা সাইট হয়ে থাকে কিন্তু লিংক যদি ম্যাচ না করে সেক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড ফিল করার সাজেস্ট প্রদান করে না পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। এতে আপনাকে বুঝে নিতে হবে এইটা ফিশিং সাইট, আসল সাইট নয়!

যে ফিচার গুলো পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের থাকতেই হবে!

বর্তমান মার্কেটে অনেক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার রয়েছে, তাদের অনেক ফিচার রয়েছে যেগুলো অনেক কাজে লাগতে পারে। কিন্তু একটি আদর্শ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যারের কিছু নির্দিষ্ট সিকিউরিটি ফিচার থাকা প্রয়োজনীয়, যেগুলো না থাকলে চলবেই না! আমি এই আর্টিকেলে মাত্র ৫টি সেরা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ফিচার করেছি, কিন্তু হয়তো বা আপনার ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড ম্যানেজারটি এই লিস্টে নেই, তাহলে কি সেটা ব্যবহার করা বাদ দিয়ে দেবেন? না, যদি এই ফিচার গুলো থাকে অবশ্যই আপনি যেকোনো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ইউজ করতে পারেন।

এনক্রিপটেড স্টোরেজ

অনেক সময় পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের ডাটাবেজও হ্যাক হয়ে যেতে পারে। আর এটা আরো অনেক বেশি ভয়ংকর, কেননা এখানে এক সাথে হ্যাকার আপনার সকল পাসওয়ার্ড গুলো পেয়ে যেতে পারে। তাই একটি আদর্শ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে অবশ্যই সিকিউর এনক্রিপটেড পাসওয়ার্ড স্টোরেজ সিস্টেম থাকতে হবে। যদি সহজ বাংলায় বলি, একটি শক্তিশালী সিন্দুকের মধ্যে আপনার পাসওয়ার্ড গুলো স্টোর করা থাকতে হবে (এনক্রিপশন ম্যাথোড ইউজ করে) যাতে হ্যাকার সেটা সহজেই ক্র্যাক না করতে পারে।

মাস্টার পাসওয়ার্ড

আপনার পাসওয়ার্ড ম্যানেজার তো আপনার সকল সাইটের লগইন/পাসওয়ার্ড মনে রাখবে, কিন্তু আপনাকেও একটি পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে। ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অবশ্যই মাস্টার পাসওয়ার্ড সেট করার অপশন প্রদান করবে। আপনাকে জাস্ট শক্তিশালী একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে আর সেটা দ্বারা পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের সকল পাসওয়ার্ড গুলো আক্সেস করা যাবে। কেবল একটি পাসওয়ার্ড মনে রাখা অবশ্যই ডজন পাসওয়ার্ড মনে রাখা থেকে অনেক সহজ, তাই না?

সহজ ইন্টারফেস

একটি আদর্শ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের ইউজার ইন্টারফেস অবশ্যই সহজ হতে হবে, যাতে যেকোনো ইউজার কোন প্রকারের ঝামেলা ছাড়ায় ইউজ করতে পারে। অবশ্যই সাথে যথেষ্ট সিকিউর হতে হবে ম্যানেজারটিকে, সাথে পাসওয়ার্ড প্রবেশ করানোর সময় সিকিউর ডিক্রিপ্ট ম্যাথড ইউজ করতে হবে। অবশ্যই পাসওয়ার্ড ম্যানেজারটিতে ভালো সার্চ করার অপশন থাকতে হবে, যাতে প্রয়োজনে সহজেই সার্চ করে কোন প্রয়োজনীয় ক্রেডিনশিয়াল খুঁজে পাওয়া যায়।

আলাদা কিছু ফিচার যেগুলো থাকলে উপকারি

উপরের ফিচার গুলো অবশ্যই থাকতেই হবে, এতে কোন মাফ নেই। কিন্তু একটি আদর্শ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে আরো ফিচার থাকা জরুরী, যে গুলো বিশেষ করে আপনার লাইফকে আরো সহজ করবে। চলুন ফিচার গুলোর দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক…

ইমপোর্ট/এক্সপোর্ট

কোন কারণে আপনার পাসওয়ার্ড ম্যানেজার পরিবর্তন করার ইচ্ছা হলো, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বর্তমান ম্যানেজারটি এক্সপোর্ট সুবিধা প্রদান করতে হবে, এতে সহজেই নতুন পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে আপনার ডাটা গুলো ইমপোর্ট করতে পারবেন, আর ইউজ করা রিজম করতে পারবেন।

ব্রাউজার সাপোর্ট

ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার গুলোর অবশ্যই ব্রাউজার এক্সটেনশন সাপোর্ট থাকে। এগুলো প্রায় যেকোনো জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারের সাথে কাজ করতে পারে এবং ব্রাউজার থেকে ডাইরেক্ট পাসওয়ার্ড সেভ ও ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড ইনপুট করতে পারে। শুধু পাসওয়ার্ড মনে রাখা নয়, অনেক মডার্ন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ওয়েব পেজে ইনপুট করা ফর্ম গুলো ও মনে রাখতে পারে। সেগুলোকে সেভ করতে পারে এবং পরে ফিল করতে পারে।

একাধিক অ্যাকাউন্ট

ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার একই ওয়েবসাইটের বা সার্ভিসের উপর তৈরি করা একাধিক অ্যাকাউন্ট মনে রাখা এবং হ্যান্ডেল করতে পারে। ধরুন, আপনার ৫টি গুগল আইডি রয়েছে, এখন গুগলের সাইন-ইন পেজে প্রবেশ করলে আপনাকে অ্যাকাউন্ট চয়েজ দেখানো হবে!

পাসওয়ার্ড জেনারেটর

আপনি যখন নতুন কোন ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন, একটি উন্নতমানের পাসওয়ার্ড ম্যানেজার নিজে থেকেই সিকিউর ও অনেক শক্তিশালী পাসওয়ার্ড জেনারেট করার ক্ষমতা রাখবে। আপনাকে কিছুই করতে হবে না, পাসওয়ার্ড ম্যানেজার নিজে থেকেই র‍্যান্ডম পাসওয়ার্ড জেনারেট করবে এবং বসিয়ে দেবে সাথে পাসওয়ার্ডটি স্টোর ও করে নেবে। আপনাকে শুধু মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে ব্যাস!

2FA সাপোর্ট

এক্সট্রা সিকিউরিটির জন্য অবশ্যই একটি উন্নত পাসওয়ার্ড ম্যানেজারকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিস্টেম প্রদান করতে হবে। প্রথমে আপনি মাস্টার পাসওয়ার্ড প্রবেশ করালেন তারপরে আলাদা ডিভাইজ বা অ্যাপ থেকে একটি পিন প্রবেশ করালেন এভাবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার লগইন করলেন। বা আপনার পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপটি যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাপোর্ট করে সেটাও বেটার হতে পারে।

৫টি সেরা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার

LastPass

আমার জানা মতে বেস্ট এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার হচ্ছে LastPass। এটি আলাদা আলাদা ডিভাইজ গুলো মধ্যে পাসওয়ার্ড সিঙ্ক করতে পারে সাথে টু-ফাক্টর অথেনটিকেশন সাপোর্ট করে। এটি দুর্বল পাসওয়ার্ড ডিটেক্ট করে আপনাকে নোটিফাই করতে পারে এবং সিকিউরিটি চেকআপ করতে পারে। এটি প্রায় সকল প্ল্যাটফর্মে ইউজ করা যেতে পারে। Windows, Mac, Android, Linux, iOS, Windows Phone — তাছাড়া সকল জনপ্রিয় ব্রাউজার এক্সটেশন রয়েছে লাস্টপাস এর!

Dashlane

Dashlane — পাসওয়ার্ড ম্যানেজারটি ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট পাসওয়ার্ড ম্যানেজার যেটা অনেক বেশি জনপ্রিয়। এর সবচাইতে ভালো ব্যাপার হচ্ছে, ড্যাশলেন ইউজ করা অনেক সহজ এবং এর ইউজার ইন্টারফেস অনেক মারাত্মক ভালো। একটি উন্নত পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যারে যা যা থাকা প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই এতে পাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া এতে কিছু আলাদা ফিচার ও রয়েছে যেগুলো অনেক পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে দেখা যায়না। আপনি ইমারজেন্সি কন্টাক্ট অ্যাড করতে পারবেন, আর তারা আপনার পাসওয়ার্ড ডাটাবেজের নির্দিষ্ট অংশ আক্সেস করতে পারবে। যদিও এই ফিচার লাস্টপাসেও পেয়ে যাবেন বর্তমানে!

KeePass

KeePass — মূলত একটি বেসিক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার, যেখানে একটি সাধারণ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের কোর ফিচার গুলো মজুদ রয়েছে। সাথে এটি প্লাগইন সাপোর্ট করে, প্লাগিন ব্যবহার করে আপনি একাধিক ফিচার যুক্ত করতে পারবেন।

শুধু এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজারটি একা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সাপোর্ট করে, আলাদা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার থেকে ডাটা ইমপোর্ট/এক্সপোর্ট করতে পারে, কিন্তু সকল ডিভাইজ গুলোর মধ্যে পাসওয়ার্ড সিঙ্ক বা ব্রাউজার থেকে স্বয়ংক্রিয় পাসওয়ার্ড ক্যাপচার করার জন্য আলাদা প্লাগইন ব্যবহার করতে হবে।

এটি Android, Linux, Mac, এবং Windows এর জন্য লভ্য!

1Password

আপনি কোন প্ল্যাটফর্ম ইউজ করেন এটা ম্যাটার না, বহুদিন যাবত 1Password — MacOS এবং iOS এর উপর রাজত্ব করে এসেছে। সাথে যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমেই এর নিউ ফিচার গুলো কাজ করে, তাই এটা একেবারেই ম্যাটার করে না আপনি কোন ওএস ইউজ করেন। এতে সকল প্রয়োজনীয় ফিচার গুলো তো রয়েছেই সাথে ট্র্যাভেল মুড রয়েছে। আপনি যখন ট্র্যাভেলে থাকবেন এটি আপনার ডিভাইজ থেকে সেন্সিটিভ ডাটা গুলো রিমুভ করে দেবে এবং প্রয়োজনে যেকোনো সময় সেগুলোকে রিস্টোর করা যেতে পারে।

Chrome Password Manager

আপনি ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করলে অবশ্যই হয়তো খেয়াল করে থাকবেন ক্রোমের নিজস্ব পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। এটি যেকোনো পাসওয়ার্ড সেভ করতে পারে যাতে আপনি পরবর্তীতে তা ব্যবহার করতে পারেন। আপনার সেভ করা পাসওয়ার্ড গুলো ক্লাউডে স্টোর করা থাকে, এবং গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সেগুলোকে আক্সেস করা যেতে পারে।

যদিও এটা ক্রোমের ফিচার কিন্তু আলাদা ব্রাউজার গুলো থেকেও এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার আক্সেস করা যেতে পারে। জাস্ট এই লিংকে ক্লিক করলেই চলে যেতে পারবেন আপনার ক্রোম পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের সিন্দুকে!

গুগল ক্রোম ব্রাউজার প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেমের জন্যই লভ্য! ডাউনলোড করার জন্য এই লিংকে প্রবেশ করতে পারেন।


তো এই ছিল আজকের আর্টিকেলে আর নিঃসন্দেহে বলতে পারেন এটি জাস্ট ৫টি সেরা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এর লিস্ট থেকেও অনেক বেশি কিছু ছিল। আমি পার্সোনালভাবে LastPass ইউজ করি, কেননা ফ্রি ইউজের জন্য আমার কাছে এটাই বেস্ট পাসওয়ার্ড ম্যানেজার মনে হয়েছে। আপনি কোনটি ইউজ করেন, আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন!

/Image Credit: Shutterstock

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

1 comment

Categories