https://apkgoogle.net/
WiREBD
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও
No Result
View All Result
WiREBD
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও
No Result
View All Result
WiREBD
No Result
View All Result

দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব | WWW | কীভাবে কাজ করে?

তাহমিদ বোরহান by তাহমিদ বোরহান
November 1, 2017
in ইন্টারনেট, প্রযুক্তি
0 0
37
দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব
0
SHARES
Share on FacebookShare on Twitter

২০ থেকে ৩০ বছর আগে, আপনার যখন কোন তথ্য খোঁজার প্রয়োজন পড়তো—তখন চলে যেতেন কোন বইয়ের লাইব্রেরী আর সেখানে প্রায় যেকোনো বিষয়ের উপর তথ্য পাওয়া যেতো। কিন্তু আজকের দিনে আমরা কি করছি—বসে পড়ি কোন কম্পিউটার ডিভাইজের সামনে আর অনলাইনের সাথে যুক্ত হয়ে যেকোনো তথ্য খুঁজে বেড় করি, যা পৃথিবীর যেকোনো লাইব্রেরী থেকে অনেক বেশি পাওয়ারফুল। আপনি প্রায় যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময়, যেকোনো অবস্থায় এই তথ্য গুলো অ্যাক্সেস করতে পারেন—আর এটিই হলো দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। বর্তমানে আমরা ওয়েবের উপর এতোটাই বেশি নির্ভরশীল যে, আমরা ওয়েব ছাড়া বাঁচতে পারবো না। যাই হোক, এইতো মাত্র ২০ বছরের আগের কথা—যখন ওয়েব উদ্ভাবিত হয়েছিলো। কিন্তু অনেক কম সময়ের মধ্যে এটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়। তো চলুন বন্ধুরা, দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সম্পর্কে সকল জানা-অজানা তথ্যের খোঁজ করতে আরম্ভ করি।

ওয়েব এবং নেটের মধ্যে পার্থক্য কি?

ওয়েব এবং নেটের মধ্যে পার্থক্য

অনেকেই মনে করেন ওয়েব এবং ইন্টারনেট হলো একই বিষয়। আর যতক্ষণ আপনি এই ব্যাপারটি সম্পর্কে পরিষ্কার না হতে পারবেন, ততোক্ষণ পোস্টটির সামনে এগোনো সম্ভব হবে না। তাই চলুন আগে এই বিষয়টি ভালকরে জেনে নেওয়া যাক।

দ্যা ইন্টারনেট—হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কম্পিউটারের একটি সুবিশাল নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটে অনেক কাজ হতে পারে (এগুলোকে অ্যাপ্লিকেশন বলা হয়) এবং ওয়েব হলো তার মধ্যে একটি কাজ। যখন আপনি কাওকে কোন ইমেইল পাঠান, তখন আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন—কেনোনা আপনার ম্যাসেজটি একটি সংযোগের মাধ্যম দিয়ে অন্য কম্পিউটারে গিয়ে পৌছাচ্ছে। আবার আপনি যখন কারো সাথে চ্যাট করছেন তখনও আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন—কেনোনা আপনার ম্যাসেজ বারবার নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে প্রেরন এবং গ্রহন হচ্ছে। কিন্তু আপনি যখন আপনার ব্লগ আপডেট করেন বা গুগলে কোনকিছু অনুসন্ধান করেন, তখন আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ওয়েব। ইন্টারনেট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমার লেখা “ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে?” আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো পৃথিবী জুড়ে টেক্সট পেজস, ডিজিটাল ফটোগ্রাফস, মিউজিক ফাইলস, ভিডিওস, এবং এনিমেশনের এক বিরাট সম্ভার, যা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করতে পারেন। দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর সবচাইতে স্পেশাল বিষয়টি হলো, এর প্রত্যেকটি তথ্য একে অপরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত থাকে। ওয়েব তৈরির সবচাইতে বেসিক উপকরন হলো টেক্সট পেজ (যেমন এই পেজটি), যা ওয়েবপেজ নামেও পরিচিত। একটি কম্পিউটারে থাকা অনেকগুলো ওয়েবপেজ সংগ্রহমালাকে বলা হয় ওয়েবসাইট। প্রত্যেকটি ওয়েবপেজে (সাথে এই পেজটিও) হাইলাইট করা বাক্যাংশ থাকে যাকে লিঙ্কস বলা হয় (অথবা হাইপার টেক্সট লিঙ্কস)। যেকোনো লিঙ্কে ক্লিক করার মাধ্যমে আরেকটি ওয়েবপেজে প্রবেশ করা যায়, আর এভাবে এই প্রক্রিয়াটি চলতেই থাকে।

কীভাবে কম্পিউটাররা একে অপরের সাথে একই ভাষায় কথা বলে?

কীভাবে কম্পিউটাররা একে অপরের সাথে একই ভাষায় কথা বলে

ইন্টারনেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো—ইন্টারনেটে থাকা প্রত্যেকটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে পারে। আর এটাই হলো ইন্টারনেটের সবচাইতে খাস ব্যাপার। যদি পেছনের দিনের কম্পিউটার গুলোর দিকে ফিরে দেখা যায়, ১৯৬০, ১৯৭০, ১৯৮০ সালের কম্পিউটার গুলো নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করার ক্ষমতা ছিল বিরল ঘটনা। প্রত্যেকটি মেশিন আলাদা আলাদা প্রস্তুতকারী কোম্পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত ছিল এবং কেউই অন্য মেশিনের ভাষা বুঝতে সক্ষম ছিল না। ১৯৭০ সালের দিকের ব্যাক্তিগত কম্পিউটার গুলোর একটি সাধারন প্রোগ্রাম চালানর মতোও ক্ষমতা ছিল না। প্রত্যেকটি কম্পিউটার শুধু সেই প্রোগ্রাম গুলোই চালাতে পারতো যা বিশেষভাবে তাদের জন্য লেখা হতো। ইমেইল এবং চ্যাটের মতো জিনিষ গুলো ছিল তখন অসম্ভব।

কিন্তু ১৯৮০ সালের দিকে আইবিএম নামক একটি বৃহৎ কম্পিউটার কোম্পানি তাদের নতুন ব্যাক্তিগত কম্পিউটার উদ্ভবনের জন্য বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। বেশিরভাগ মানুষ তাদের কম্পিউটার ক্লোন করে নেন এবং খুব শীঘ্রই বেশিরভাগ ব্যাক্তিগত কম্পিউটার একই পদ্ধতিতে কাজ করতে আরম্ভ করে দেয়। এর পরে মাইক্রোসফট তাদের একটি সফটওয়্যার উদ্ভবন করে যার নাম হলো উইন্ডোজ। আইবিএম কম্পিউটার গুলোতে উইন্ডোজ চালু করানোর ফলে সকল কম্পিউটার গুলো একই প্রোগ্রামে চালানো সম্ভব হয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন কম্পিউটার গুলোর একে অপরের সাথে কথা বলা এতটাও সহজ ছিল না। যেমন ব্যাক্তিগত কম্পিউটারের সাথে বড় কম্পিউটার মেশিন গুলো এবং বিজ্ঞানের গবেষণার কম্পিউটার গুলো সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতো না। তাহলে কীভাবে এই বিভিন্ন ভাষার কম্পিউটার গুলোর একে অপরের সাথে কথা বলানো সম্ভব হয়েছিল?

এই বিরাট সমস্যার সমাধান ঘটান একজন ইংরেজ কম্পিউটার বিজ্ঞানিক—যার নাম টিম বার্নারস-লী। ১৯৮০ সালের দিকে তিনি একটি ইউরোপিয়ান পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারে কাজ করতেন, যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আগত ব্যাক্তিরা কাজ করতো এবং প্রত্যেকেই আলাদা ভাষার বেমানান কম্পিউটার দিয়ে কাজ করতো। ফলে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে তাদের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তথ্য গুলো শেয়ার করা সম্ভব ছিলনা। কারন তাদের কম্পিউটার গুলো একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম ছিল না। আর তখনই টিম বার্নারস-লী এক আশ্চর্য আবিষ্কার করলেন, যার ফলে প্রত্যেকটি কম্পিউটারের মাঝে কথা বলানো সম্ভব হলো।

এইচটিটিপি (HTTP) এবং এইচটিএমএল (HTML) এর মধ্যে পার্থক্য কি?

এইচটিএমএল

যাই হোক, পূর্বের কম্পিউটার গুলো অনেক বেমানান ছিল এবং তারা ASCII (American Standard Code for Information Interchange) পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষন করে রাখতো। আর একে “plain text” নামেও জানা যেতো। ASCII তে 0-255 নাম্বার গুলো বিভিন্ন অক্ষর, নাম্বার, এবং কীবোর্ড অক্ষর যেমন A, B, C, 1, 2, 3, %, &, এবং @ এর রুপান্তর হিসেবে কাজ করে। টিম বার্নারস-লী ASCII এর দুইটি বেসিক সিস্টেম ব্যবহার করে যা কম্পিউটার পরিভাষায় প্রোটোকল বলা হয়। এরপর তার ল্যাবের সকল কম্পিউটার এই দুই নিয়ম অনুসরন করাতে লাগলো এবং তিনি উপলব্ধি করলেন যে, কম্পিউটার গুলো তাদের মধ্যে সহজেই তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম হয়েছিলো।

তিনি প্রথম নিয়মটিকে নাম দিলেন এইচটিটিপি (হাইপার টেক্সট ট্র্যান্সফার প্রোটোকল) (HTTP)। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে দুইটি কম্পিউটার তাদের মাঝে কিছু আলাপ করে যেকোনো তথ্য বিনিময় করতে পারে। একটি কম্পিউটার (যাকে ক্লায়েন্ট বলা হয়, এবং যে প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কাজ করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলা হয়) আরেকটি কম্পিউটারের (যাকে সার্ভার বা ওয়েব সার্ভার বলা হয়ে থাকে) কাছে কোন তথ্য চেয়ে জিজ্ঞাসা করে একটি সাধারন ম্যাসেজের রূপে। এরপরে ক্লায়েন্ট এবং  সার্ভার একে অপরের সাথে কয়েক সেকেন্ড চ্যাট করে, ব্রাউজার সার্ভারের কাছে কোন তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে এবং সার্ভার যদি তা খুঁজে পায় তবে তা ব্রাউজারকে পাঠিয়ে দেয়। ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভারের মধ্যে এই এইচটিটিপি আলাপ অনেকটা “খাবারের টেবিলে লবণ পাস করার মতো”। অনেক সময় আপনার লবনের প্রয়োজন পড়ে এবং আপনি টেবিলে বসা অন্য কাউকে লবণদানিটি পাস করতে বলেন আর সে বলে “এই নাও তোমার লবণদানিটি”। এইচটিটিপি এই একইভাবে কাজ করে, এটি এমন একটি ভাষা যা প্রত্যেকটি কম্পিউটার জানে, এবং এর মাধ্যমে আলাপ করে কম্পিউটার গুলো একে অপরেরর সাথে ফাইলস শেয়ার করে।

এইচটিটিপির মাধ্যমে কোন ফাইলট কম্পিউটারের কাছে আসলে সেই ফাইলটিকে প্রদর্শন করানোর জন্য অবশ্যয় কম্পিউটারকে সেই ফাইলটি চিনতে হয়। তাই এখানে টিম বার্নারস-লী তার জিনিয়াস হওয়ার আরেকটি উদাহরণ দেখিয়েছেন। তিনি তথ্য শেয়ার করার জন্য একটি কমন ভাষার ব্যবহার করে যা এইচটিএমএল (HTML) নামে পরিচিত। এইচটিএমএল ASCII সিস্টেমের উপর নির্ভর, তাই যেকোনো কম্পিউটার এটি বুঝতে পারে। এইচটিএমএল এ রয়েছে কিছু স্পেশাল কোড যা ট্যাগ নামে পরিচিত। ওয়েব ব্রাউজার এই ট্যাগ গুলো পড়ে এবং বোল্ড ফন্ট, ইটালিক, হেড লাইনস, টেবিল, এবং ইমেজেস পরিদর্শন করে। আপনি চাইলে আমার এই ওয়েবপেজটির গোপন এইচটিএমএল কোড গুলো দেখতে পারেন। আপনার ওয়েব ব্রাউজার থেকে পেজটির উপরে View page source অপশনটিতে ক্লিক করুন, ব্যাস আপনি দেখতে পেয়ে যাবেন।

View page source

এইচটিটিপি (HTTP) এবং এইচটিএমএল (HTML) হলো ঐ সিস্টেম যার উপর নির্ভর হয়ে দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কাজ করে। এইচটিটিপি হলো একটি সাধারন উপায়—যার মাধ্যমে কম্পিউটার গুলো একে অন্যের কাছে ওয়েবপেজ চেয়ে অনুরোধ করে এবং এইচটিএমএল হলো সেই ওয়েবপেজ যা সকল কম্পিউটার পড়তে পারে এবং প্রদর্শন করতে পারে। আশা করি এই ব্যাপারে আর বুঝতে কোন অসুবিধা নেই। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে তা কমেন্টে বলতে পারেন।

যখন ওয়েব ব্রাউজার সার্ভারের সাথে সম্পর্ক করে

ওয়েব ব্রাউজার (ক্লায়েন্ট) এবং সার্ভার একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করতে না তো ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে আর নাইবা বাংলা ভাষা ব্যবহার করে—এরা ব্যবহার করে এইচটিটিপি ভাষা। আপনি যখন এই পেজটি আপনার ব্রাউজারে লোড করেছেন তখন আপনার ওয়েব ব্রাউজার এবং সার্ভারের মধ্যে কি কথা হয়েছিলো তা নিচে দেখুন।

» ওয়েব ব্রাউজার যা জিজ্ঞেস করেছিলো

GET /world-wide-web-explained HTTP/1.1
Host: wirebd.com,
User-Agent: Mozilla/5.0 (Windows NT 10.0; WOW64; rv:47.0) Gecko/20100101 Firefox/47.0
Accept: text/html,application/xhtml+xml,application/xml;q=0.9,*/*;q=0.8,
Accept-Language: en-gb,en;q=0.5,
Accept-Encoding: gzip,deflate,
Accept-Charset: ISO-8859-1,utf-8;q=0.7,*;q=0.7,
Keep-Alive: 300,
Connection: keep-alive,

» সার্ভার যা রিপ্লাই করেছিলো

HTTP/1.1 200 OK
Date: Mon, 08 Aug 2016 04:38:02 GMT
Server: nginx
Content-Encoding: gzip
Content-Type text/html; charset=UTF-8
Location https://wirebd.com/world-wide-web-explained

এই ম্যাসেজ গুলোর মানে নিশ্চয় জানতে চাইবেন? এখানে ব্রাউজার বর্ণনা করছে যে সফটওয়্যারের নাম ফায়ারফক্স (ফায়ারফক্স হিডেন ফিচারস)। আমি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম রান করছি। তাছাড়া ব্রাউজার বঝাচ্ছে যে সে কি ধরনের ফাইলস সমর্থন করে এবং কোন ভাষা সমর্থন করবে। তাছাড়া আরো বোঝানো হচ্ছে কোন কম্প্রেস করা ফাইল এটি সমর্থন করবে (যেমন gzip)। এবং বোঝানো হচ্ছে (/world-wide-web-explained) এই পেজটি ব্রাউজারের প্রয়োজন। ব্রাউজারের উত্তরে সার্ভার বলছে যে সে nginx সফটওয়্যার ব্যবহার করে এবং সে একটি কমপ্রেসড (ডাটা কম্প্রেসন কি?) ফাইল পাঠাচ্ছে (gzip)। তাছাড়া সার্ভার আরো বোঝাচ্ছে যে সে  text/html ফাইল পাঠাচ্ছে আর যা UTF-8 দ্বারা তৈরি।

এইচটিটিপি স্ট্যাটাস কোড

সার্ভার রিপ্লাই করার প্রথমেই দেখতে পারছেন যে, HTTP/1.1 200 OK ম্যাসেজটি পাঠিয়েছে। “200” হলো স্ট্যাটাস কোড—যার মানে সার্ভার বোঝাচ্ছে ব্রাউজার থেকে রিকোয়েস্ট করা ফাইলটি খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সার্ভার আরো কোড প্রদান করতে পারে। যেমন- যদি কোন ওয়েবপেজ বা ফাইল খুঁজে না পাওয়া যায় তবে সার্ভার 404 “Not Found” কোড পাঠিয়ে দেয়। আবার যদি কোন ওয়েবপেজ এক লিঙ্ক থেকে আরেক লিঙ্কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তখন 301 “Permanently moved” কোড সেন্ড করে। সার্ভার যদি ঠিক করার জন্য ডাউন থাকে তবে 503 “Service Unavailable” কোড পাঠিয়ে দেয় এবং ব্রাউজার তখন বুঝে যায় যে তাকে আবার ট্রাই করা প্রয়োজন।

ইউআরএল কি? | URL

ইউআরএল কি?

টিম বার্নারস-লী আরেকটি ব্রিলিয়ান্ট উপায় তার মাথায় ভেবে রেখেছিলেন—সেটি হলো যেকোনো কম্পিউটার থেকে যেকোনো কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষিত করা। তিনি মন্তব্য করেন যে, প্রত্যেকটি ওয়েবপেজের একটি আলাদা নাম থাকা দরকার (যেমন প্রত্যেকটি ঠিকানার জন্য আলাদা জিপ কোড থাকে), আর একেই ইউআরএল (URL) (a Universal or Uniform Resource Locator) বলে। ইউআরএল হলো কোন পেজের ঠিকানা যা, এই মুহূর্তে আপনি ব্রাউজারের বারে দেখতে পাচ্ছেন।

এই পেজের অ্যাড্রেসটি বা ইউআরএল হলো- https://wirebd.com/world-wide-web-explained/

চলুন এক সেকেন্ডে এর আসল মানেটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি…

  • “https” হলো “http” এর সিকিউর ভার্সন যাই হোক সে এক আলাদা বিষয়। “http” মানে হলো দুইটি কম্পিউটার এই প্রসেস ব্যবহার করে একে অপরের সাথে তথ্য বিনিময় করে।
  • wirebd.com হলো একটি ঠিকানা বা আমার কম্পিউটারের ডোমেইন নাম।
  • /world-wide-web-explained হলো সেই পেজ যা এখন আপনি আমার ওয়েব সার্ভার থেকে পড়ছেন।

আর এই সকল বিষয় গুলোকে একত্রিত করে দিলে এটি কম্পিউটারকে বুঝতে সাহায্য করবে যে, অনুরোধ করা পেজটি কোন স্থানে আছে, কি পদ্ধতি ব্যবহার করে তা বিনিময় করা যাবে এবং কীভাবে পেজটি প্রদর্শন করা যাবে। আর ঠিক এভাবেই দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কাজ করে।

কীভাবে আপনার নিজের ওয়েবসাইট সেট করবেন?

কীভাবে আপনার নিজের ওয়েবসাইট সেট করবেন?

একজন বিখ্যাত অ্যামেরিকান পাবলিশার “বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন” একদা বলেছিলেন যে, জীবনে দুটি জিনিষ অত্যাবশ্যক, একটি হলো মৃত্যু এবং আরেকটি ট্যাক্স পে করা। কিন্তু আজকের দিনে সেই লিস্টে—ওয়েবসাইট যুক্ত করা প্রয়োজনীয়। কেনোনা আজ বিজনেস থেকে শুরু করে, ব্যাক্তিগত জীবনের জন্যও একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজনীয়। আজকের দিনে একটি ওয়েবসাইট অনেক শক্তিশালী একটি হাতিয়ার হতে পারে (টেলিভিশন থেকেও শক্তিশালী)। মানুষ এখন তাদের ব্যাক্তিগত জীবনের সকল খবরা খবর ইন্টারনেটে পাবলিশ করতে পছন্দ করে, নিজেদের ছবি, বিয়ের ছবি, কোন বিশেষ মুহূর্তের ছবি ওয়েবে সংরক্ষিত রাখতে পছন্দ করে (যেমন ফেসবুক ও টুইটার)। আপনি যদি মনে করেন যে, এসব থেকে আপনি পিছিয়ে রয়েছেন তবে এখনই সময় এসেছে আপনার নতুন একটি ওয়েবসাইট সেট করার। কিন্তু কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

» ওয়েবসাইট কি?

যেকোনো কারো জমা করে রাখা তথ্য যা আপনি যখন ইচ্ছা তখন অ্যাক্সেস করতে পারেন এবং যা সকল পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত থাকে বেসিক ভাষায় তাকে ওয়েবসাইট বলে। আপনি যদি কোন ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন, তবে জানেন যে আপনার তৈরি করা ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা সিভি ফাইল বারবার অ্যাক্সেস করার জন্য আপনার কম্পিউটারের কোন ফোল্ডার বা ডিরেক্টরিতে সেভ করে রাখতে হয়। ওয়েবসাইটেও সকল ডকুমেন্ট গুলো একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডার বা ডিরেক্টরিতে সেভ করা থাকে, আর তা যেকোনো কেউ অ্যাক্সেস করতে পারে কোন প্রকারের বিশেষ পারমিশন ছাড়ায়। যে কম্পিউটারে ওয়েবসাইট কোন ডিরেক্টরিতে সেভ থাকে সেই কম্পিউটারকে সার্ভার বলা হয়। ওয়েবসাইটের মূল ডকুমেন্ট হলো এর টেক্সট পেজ। কিন্তু তাছাড়াও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ডকুমেন্ট (যেমন- ফটোগ্রাফ গুলো জেপ্যাক ফরম্যাটে, বিভিন্ন আর্ট ওয়ার্ক গুলো জিফ এবং পিএনজি ফরম্যাটে সেভ করা থাকে) সংরক্ষিত করা থাকে। অর্থাৎ বেসিক ভাবে ওয়েবসাইটে কোন তথ্য টেক্সট আকারে লেখা থাকে এবং সে তথ্য গুলোকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন গ্রাফিক্স সুন্দর ভাবে সজ্জিত করা থাকে (যেমন ওয়্যারবিডি!)—এবং সেগুলোকে একত্রে এমন একটি ফোল্ডারে রাখা হয় যা সকলে অ্যাক্সেস করতে পারে। আশা করছি ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে গেছেন।

» ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য আপনার কি প্রয়োজন?

তাত্ত্বিকভাবে বলতে গেলে আপনি আপনার টেবিলে থাকা কম্পিউটারটিতেই আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন, এবং সমগ্র পৃথিবীর কাছে তা অ্যাক্সেস অ্যাবলও করতে পারেন। আর এই সবকিছু করার জন্য আপনার কম্পিউটারের সিস্টেমে কিছু নির্দিষ্ট পরিবর্তন আনতে হবে এবং আপনার ইন্টারনেট কানেকশান যাতে ইঙ্কামিং ট্র্যাফিক গ্রহন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে—আর আপনার কম্পিউটারকে ইন্টারনেট থাকা সকল সার্ভারের সাথে রেজিস্টার করতে হবে যাতে সার্ভার গুলো বুঝতে পারে যে আপনার ওয়েবসাইটটিকে ঠিক কথায় খুঁজতে হবে।

কিন্তু এখানে তিনটি প্রধান কারন রয়েছে, যার ফলে আপনি কখনোয় আপনার ওয়েবসাইট আপনার নিজের কম্পিউটারে হোস্ট করতে চাইবেন না। প্রথমত, আপনি আর নিজের কাজে কম্পিউটারটিকে ব্যবহার করতে পারবেন না। কেনোনা আপনার কম্পিউটার অন্য সকলের রিকুয়েস্ট পূরণ করতেই সর্বদা ব্যাস্ত থাকবে। দ্বিতীয়ত, আপনার কম্পিউটারকে সপ্তাহে ৭ দিন এবং দিনের ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট কানেকশানের সাথে চালু করে রাখতে হবে—যা আপনি কখনোয় চাইবেন না। এবং তৃতীয়ত, আপনার কম্পিউটার যদি পাবলিক করে দেন তবে হ্যাকাররা আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ  করে অন্যান্য ফোল্ডার বা ডিরেক্টরি অ্যাক্সেস করে ফেলতে পারে, এতে আপনার নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নষ্ট হবে।

তাই মানুষ ব্যাস্তবিক ভাবে তাদের ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য কোন কোম্পানি থেকে কম্পিউটার ভাড়া নিয়ে থাকেন। আর এই কম্পিউটার গুলো কোন বড় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার বা আইএসপি নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। এর মানে হলো টাকার বিনিময়ে কেউ আপনার ওয়েবসাইট তার নিজের কম্পিউটারে হোস্ট করার সুযোগ করে দেয়। সাধারনত, আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট সেটআপ করতে চান তাহলে, আপনাকে যেকোনো একটি হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করার প্রয়োজন পড়ে। হোস্টিং প্যাকেজ হলো আপনার এবং আইএসপি এর মধ্যে একটি বেসিক কন্ট্রাক্ট যেখানে বর্ণিত থাকে—আপনি কত টাকার বিনিময়ে কতোখানি ডিস্ক স্পেস এবং ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতে পারবেন (ব্যান্ডউইথ হলো একটি নির্দিষ্ট পরিমান, যা নির্দেশ করে প্রতিমাসে ঠিক কতোখানি তথ্য ইউজাররা আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাক্সেস করতে পারবে)।

হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করার পড়ে আইএসপি আপনাকে একটি ডিফল্ট ডিরেক্টরি প্রদান করে যেমন “www.largewebhostingisp.com/yoursite4321” কিন্তু এই ডিরেক্টরিটি একদমই মনে রাখার জন্য সহজ নয়। তাই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি সহজে মনে রাখার জন্য নাম নির্বাচন করতে হবে—যাকে ডোমেইন নেম বলা হয়ে থাকে। ডোমেইন নেম হলো একটি সাধারন মনে রাখার জন্য সহজ অ্যাড্রেস যা ইউজাররা সহজেই মনে রাখতে পারে। ডোমেইন নেমকে কাজ করানোর জন্য একে আপনার আইএসপি থেকে দেওয়া ডিফল্ট ডিরেক্টরি বা আইপি তে পয়েন্ট করাতে হয় (যেমন- www.largewebhostingisp.com/yoursite4321)। সুতরাং ইউজাররা যখন তাদের ব্রাউজার অ্যাড্রেস বারে আপনার ডোমেইন নেম প্রবেশ করাবে—তখন তারা আসল অ্যাড্রেসে বা ডিরেক্টরিতে বা আইপিতে চলে যাবে, আর এই প্রসেস সকল সিনের মধ্যে গোপন থাকে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে−তাই আপনার চিন্তা করার কোন কারন নেই।

কিছু কিছু আইএসপি ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য ফ্রেন্ডলি সিস্টেম দিয়ে থাকে—যেখানে হোস্টিং প্যাকেজ এবং ডোমেইন নেম একসাথে সেটআপ করা যায়। এবং তাদের একটি বাৎসরিক ফী প্রদান করার মাধ্যমে এসকল সার্ভিস অ্যাক্সেস করা যায়, সাধারন ৩,০০০-৬,০০০ টাকা খরচ করে একটি সাধারন ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব। যখন আপনি কোন ডোমেইন নেম কেনেন তখন আপনাকে সেই ডোমেইন নেমের বৈধ মালিক বানিয়ে দেওয়া হয়—এবং আপনার সকল তথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষিত করে রাখা হয়, যাকে হুইজ বলা হয়। আর এই জন্যই একই নাম আরেকজন ব্যাক্তি আবার কিনতে পারে না।

কীভাবে আপনি ওয়েবপেজ তৈরি করবেন?

ডোমেইন নেম এবং ওয়েব হোস্টিং সেটআপ করা পাঁচ মিনিটের সমান কাজ। কিন্তু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে—কেনোনা এখানে আপনার অনেক তথ্য লেখার প্রয়োজন পড়বে (আপনি যে তথ্য গুলো সংরক্ষিত রাখতে চান), আপনাকে একটি চমৎকার পেজ লে-আউট তৈরি করার প্রয়োজন পড়বে এবং আপনার তথ্য গুলোকে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ফটোগ্রাফ খোঁজার প্রয়োজন পড়বে। যাই হোক, সাধারনত তিনটি উপায়ে আপনি কোন ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারবেন।

» র‍্যো এইচটিএমএল (Raw HTML)

কোন ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য বেসিকভাবে নোটপ্যাড বা ওয়ার্ডপ্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে—যা উইন্ডোজে ডিফল্টভাবে থাকে, এখানে ইচ্ছা মতো কোডিং করার মাধ্যমে ইচ্ছা মতো ওয়েবপেজ তৈরি করা সম্ভব। আর এভাবে আপনি অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে, কোন ওয়েবপেজ ঠিক কীভাবে কাজ করে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ওয়েবপেজ তৈরি করা একটু মুশকিলের কাজ—যদি আপনার সঠিক কোড জানা না থাকে তবে আপনি ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারবেন না। একেকটা ওয়েবপেজ তৈরি করার চেয়ে আপনি রেডিমেড পেজ থেকে ওয়েবপেজ ইচ্ছামতো সাজিয়ে নিতে পারেন—আর একে বলা হয়ে থাকে ট্যামপ্লেট। ট্যামপ্লেট হলো আগে থেকেই ডিজাইন করে থাকা একটি এইচটিএমএল ফাইল, যেখানে আপনার তথ্য প্রবেশ করাতে পারবেন। আর এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ইনস্ট্যান্ট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু ট্যামপ্লেট ব্যাবহারে অসুবিধা হলো আপনার সাইটটি আরো হাজার সাইটের মতো দেখতে হয়ে যাবে।

» WYSIWYG ইডিটর

ওয়েবপেজ তৈরি করার আরেকটি পদ্ধতি হলো কোন পেজ ইডিটর প্রোগ্রাম ব্যবহার করা, যা পেজ তৈরি করার জন্য গোপনে কোডিং করে। আর এই প্রোগ্রাম গুলোকে বলা হয়ে থাকে WYSIWYG (what you see is what you get) ইডিটর, কেনোনা এখানে আপনি ইচ্ছা মতো লে-আউট তৈরি করতে পারবেন, এবং সকল কোড আপনার পেছনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। অনেক জনপ্রিয় প্রোগ্রাম যেমন- ড্রিমওয়েভার ঠিক একই উপায়ে কাজ করে। তাছাড়া বেশিরভাগ ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ওপেন অফিস, ইত্যাদি আপনাকে কোন টেক্সট ডকুমেন্টকে সরাসরি ওয়েবপেজ কনভার্ট করার সুবিধা প্রদান করে থাকে, তাও মাত্র কয়েকটা মাউস ক্লিক করার মাধ্যমে।

» কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)

ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য সর্বশেষ পদ্ধতিটি হলো কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) ব্যবহার করে তৈরি করা। এই পদ্ধতি সকল টেকনিক্যাল বিষয় গুলোকে একপাশে রেখে আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে সাহায্য করে। আপনি খুব সহজেই কোন পেজ ট্যামপ্লেট তৈরি করতে পারবেন এবং ভিজুয়াল পরিবর্তনের মাধ্যমে যেকোনো স্টাইল সেট করতে পারবেন—আর একে বলা হয়ে থাকে থিমস। আপনি সহজেই যেকোনো পেজ এবং পোস্ট তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার সাইটে পাবলিশ করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস, ড্রুপাল, জুমলা ইত্যাদি সিএমএস গুলো একই পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার সাইটে অনেক প্রকারের এক্সট্রা ফাংশন যুক্ত করতে পারেন—আর একে বলা হয়ে থাকে প্ল্যাগিন্স।

কীভাবে আপনার ওয়েবপেজ গুলো আপলোড করবেন?

একবার ওয়েবপেজ তৈরি করা হয়ে গেলে এবং ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা হয়ে গেলে, এখন প্রয়োজন পড়বে আপনার ওয়েবপেজ গুলো ওয়েব সার্ভারে আপলোড করার। ওয়েবপেজ গুলো ওয়েব সার্ভারে এফটিপি (FTP) (ফাইল ট্র্যান্সফার প্রোটোকল) ব্যবহার করে আপলোড করা হয়ে থাকে। এই প্রসেসটি অনেক সহজ, অনেকটা আপনার কম্পিউটারের একটি ফোল্ডার হতে আরেকটি ফোল্ডারে ফাইল কপি করার মতো। ওয়েবপেজ গুলো আপলোড করার সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইট কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাবলিক ভাবে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে। আপনি ইচ্ছা মতো যেকোনো ওয়েবপেজ ইডিট করতে পারবেন। কোন প্রকারের ভুল এড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনার সম্পূর্ণ সাইটটি আপনার কম্পিউটারে ব্যাকআপ করে রাখতে পারেন। এতে আপনার সার্ভার ক্রাস করলেও আপনার তথ্য গুলো হারানোর ভয় থাকবে না।

কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রমোট করবেন?

এসইও


WiREBD এখন ইউটিউবে, নিয়মিত টেক/বিজ্ঞান/লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও গুলো পেতে WiREBD ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুণ! জাস্ট, youtube.com/wirebd — এই লিংকে চলে যান এবং সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুণ!

আপনি অবশ্যই চাইবেন যে, অনেক মানুষ আপনার ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাক। তাই অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার সাইটের লিঙ্ক শেয়ার করার প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটটি নিবন্ধন করাতে হবে যেমন- গুগল, ইয়াহু, বিং, এবং আরো ডজন খানেক সার্চ ইঞ্জিন। কিছু সময়ের মধ্যে বা পরে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার সাইটটি গ্রহন করবে, যদি অন্যান্য সাইটে আপনার লিঙ্কটি এড করানো থাকে। কারন গুগলের রোবট সর্বদা সকল সাইট ভিসিট করতে থাকে নতুন কনটেন্ট গুলো ইনডেক্স করানোর জন্য।

শেষ কথা

তো মোটামুটি এই ছিল আজকের বিষয় গুলো। আপনি যদি ভালোভাবে বুঝতে এবং জানতে চান যে কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় বা কীভাবে কাজ করে তবে সর্বউত্তম উপায় হলো নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দেখা। আপনি আপনার কম্পিউটারে ওয়েবপেজ গুলো হোস্ট করে সহজেই সাইট বানাতে পারেন এবং আপনি যদি প্রফেশনাল কিছু ভেবে থাকেন তবে ভালো আইএসপি থেকে হোস্ট এবং ডোমেইন কিনে সাইট বানাতে পারেন। আপনি যদি চান তবে আমাকে মেইল করতে পারেন, আমি আপনাকে সাজেস্ট করে দেবো। আপনার যেকোনো প্রশ্নে চাইলে নিচে কমেন্টও করতে পারেন। আর পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে ওয়্যারবিডি এর সাথে আপনার ভালোবাসা বজায় রাখুন। ধন্যবাদ বন্ধুরা 🙂

Tags: এইচটিএমএলএইচটিটিপিওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবওয়েবপেজওয়েবসাইট কি?কীভাবে ওয়েবপেজ বানাবেন?কীভাবে ওয়েবসাইট বানাবেন?ডোমেইন কি?দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব
Previous Post

রেডিও এবং ডিজিটাল রেডিও | কীভাবে কাজ করে? | এএম, এফএম রেডিও

Next Post

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার কীভাবে আপনার পাসওয়ার্ড নিরাপদে রাখে?

তাহমিদ বোরহান

তাহমিদ বোরহান

প্রযুক্তির জটিল টার্মগুলো কি আপনাকে বিভ্রান্ত করছে? কিছুতেই কি আপনার মস্তিষ্কে পাল্লা পড়ছে না? তাহলে বন্ধু, আপনি এবার সঠিক জায়গায় এসেছেন—কেনোনা এখানে আমি প্রযুক্তির সকল জটিল বিষয় গুলো ভাঙ্গিয়ে সহজ পানির মতো উপস্থাপন করার চেষ্টা করি, যাতে সকলে সহজেই সকল টেক টার্ম গুলো বুঝতে পারে।

Next Post
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার কীভাবে আপনার পাসওয়ার্ড নিরাপদে রাখে?

Comments 37

  1. অর্নব says:
    4 years ago

    ভাই আজকের পোস্ট যে কত ভালো লেগেছে তা বলে বোঝানোর মতো ক্ষমতা নেই। এতো বিস্তারিত পোস্ট এবং এতো তথ্য বহুল পোস্ট বাংলাতে আর কোথাও আছে বলে আমার কখনোই মনে হয় না। আপনি সর্বদায় রক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। ভাই আজ আপনার জন্য আমাদের প্রযুক্তি জ্ঞান অনেক খানি বেড়ে গেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে বুঝতে সিখেচি, জানতে শিখেছি, ভালবাসতে সেখেচি। আপনার অসাধারণ কাজে আমরা সকলেই মগ্ধ। এই ব্লগ বাংলা প্রযুক্তি চর্চার বড় এক হাতিয়ারে পরিণত হোক এটাই কামনা করি। আমার জানা মতে কোন বইয়ে এতো বিস্তারিত আলোচনা এতো সহজ করে থাকে না। আর কি বলবো খুঁজে পাচ্ছি না 🙂
    আপনাকে মেইল করেছি…………… জবাব পাবো আশা করছি!

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      লম্বা চৌরা কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ 🙂 🙂 সর্বদা আমাদের সাথেই থাকুন, আশা করছি আরো অনেক কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে সক্ষম হবো 🙂
      হ্যাঁ, মেইল পেয়েছিলাম, এবং রিপ্লাই পেয়ে গেছেন আশা করছি 😀

      Reply
  2. হাবিব বাসার says:
    4 years ago

    এতদিন যত আবল সাইট ঘেঁটে প্রযুক্তির তো হারিকেন-ও শিখিনী শুধু সময় বরবাদ করেছি। আজ চোখ খুল্ল– কতটা গাধা ছিলাম। এখানে প্রত্যেকটা বিষয়কে একদম পানির মতো করিয়ে সহজ করা হয়, আমি তা দেখে সন্তুষ্ট। ভাই ইংরেজি ত মাথা নষ্ট করে- ব্যাট আপনি যে সহজ বাংলাই পোস্ট করেন তা কেউ করেনা। অনেক কিছু জানলাম– আর অনেক কিছু জানতে হবে। ধন্যবাদ

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      আরো অনেক কিছু জানতে অবশ্যই আমাদের নিয়মিত ভিসিট করুন 🙂 ধন্যবাদ ভাই 😀

      Reply
  3. রিয়ান সাব্বির says:
    4 years ago

    অসাধারণ 🙂 🙂 😀 😀 <3

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      😀

      Reply
  4. Anirban Dutta says:
    4 years ago

    Comment korar kono bhasha nei bhai! Asha kori amar expression bujhe jaben. Ei sob process FREE te kora jabe ki? Total process ta? Bhalo thakben bhai.

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ অনির্বাণ ভাই 🙂 হ্যাঁ, আপনি চাইলে ফ্রী ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। যেমন গুগল ব্লগার ব্যবহার করে বা ওয়েবলী ব্যবহার করে। অথবা অনেক ফ্রী হোস্ট রয়েছে যা আপনার সাইট ফ্রী হোস্ট করতে সাহায্য করবে। আপনি ফ্রী .tk, .cf, .ml, .gq ইত্যাদি ডোমেইন নিতে পারেন। কিন্তু এই ফ্রী ব্যবহার করে প্রফেশনাল কিছু করা সম্ভব হবে না। তবে প্র্যাকটিসের জন্য করতে পারেন 🙂
      আরো কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই জানাবেন 🙂 আপনাকে সাহায্য করতে খুশি বোধ করবো 🙂

      Reply
  5. ইমদাদুল ইসলাম says:
    4 years ago

    ফ্রী হোস্ট ব্যবহার করে কি প্রো সাইট বানানো যাই না? কি কি সমস্যা হতে পারে বা সুবিধা পেতে পারি? বিস্তারিত জানাবেন দয়া করে। ফ্রী হোস্ট যেমনঃ ooowebhost. আগাম ধন্যবাদ

    Reply
    • Sayed Pappu says:
      4 years ago

      ভাইয়া ফ্রি সাইট যখন তখন ব্যান হয়ে যাবার ভয় থাকে তাছাড়া প্রো সাইটে যেমন ট্রাফিক থাকে সেটা ফ্রি কেন পেইড সার্ভারো নিতে পারবে না।
      আশা করি বুঝেছেন।

      Reply
      • তাহমিদ বোরহান says:
        4 years ago

        @ সায়েদ পাপ্পু— ইমদাদুল ইসলাম ভাইকে হেল্প করার জন্য ধন্যবাদ 🙂

        Reply
  6. জোবায়ের সিকদার says:
    4 years ago

    খুব মজাদার একটি টপিক ছিল……… অনেক বিস্তারিত…… অনেক মৌলিক,… অনেক জ্ঞানে সম্ম্রিধ্য… অসংখ্য ধন্যবাদ

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      🙂

      Reply
  7. প্রদিপ মন্ডল says:
    4 years ago

    very nice post

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      🙂

      Reply
  8. Anato says:
    4 years ago

    GOOD JOB! IT’S VERY ACCURATE!!

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      থ্যাংকস 🙂

      Reply
  9. দিপু says:
    4 years ago

    এবার টিভি এবং স্যাটালাইট নিয়ে একটা পোস্ট চাই। ধন্যবাদ দাদা 🙂

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ 🙂 হ্যাঁ অবশ্যই আপনার অনুরোধটি রাখা হবে, দয়া করে সাথেই থাকবেন 🙂

      Reply
  10. নিয়াজ আকবর says:
    4 years ago

    অসাধারণ সৃজনশীল টিউন করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা টিউন আমার খুব ভালো লাগে। আপনার বোঝানোর কৌশল অসাধারন। কঠিন যেকোনো টেককে সহজ করতে আপনি উস্তাদ। উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আপনার জ্ঞান এভাবেই আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করে যান। আমরা আছি আপনার পাশে।

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      আপনার মতামত জেনে অনেক ভালো লাগলো 🙂

      Reply
  11. Roni Ronit says:
    4 years ago

    ♦♦♦ ek kothai oshadharon ♥♥♥
    Vai wordpress use kore kivabe site banano jai seta niye porbo vittik post korun. Ete amader onkr upokare asbe.

    ★Thanks★

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      খুব শীঘ্রই আসছে ভাই 🙂
      ধন্যবাদ 🙂

      Reply
  12. Sayed Pappu says:
    4 years ago

    বিদ্যুতিক গোলাযোগের কারণে বোরহান ভাই আজ কোন পোষ্ট করতে পারেনি।তাই আমারা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। 🙁
    সংযোগ আসা মাত্রই আপনারা নতুন পোষ্ট পাবেন।টেকহাবস এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ,টেকহাবস এর সাথেই থাকুন। 😉

    Reply
    • অর্নব says:
      4 years ago

      হা হা হা……… আমি দুই দিন যাবত অস্থির হয়ে ভিসিট করেই চলেছি 🙂

      Reply
      • Sayed Pappu says:
        4 years ago

        আমরা দুঃখিত।

        Reply
    • দিপু says:
      4 years ago

      ব্যাপার না ভাই! সাথেই আছি।

      Reply
  13. Rezvi says:
    4 years ago

    wooew!!!! very nice!!!!

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      ধন্যবাদ 🙂

      Reply
  14. Md Monirul Islam says:
    4 years ago

    আসসালামু আলাইকুম,
    অসাধারণ একটি ওয়েব সাইট। দ্বিতীয়টি মনে হয় নেই। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আপনি যেন মানুষকে আরও ভালো কিছু দিতে পারেন।

    Reply
  15. MD.Riyaz says:
    4 years ago

    awesome, i love it.

    Reply
  16. Emam says:
    4 years ago

    “অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম।

    Reply
  17. ফেরদৌস করিম says:
    4 years ago

    ভাই আপনি তো বিরাট হৃদয়ের মানুষ। আল্লাহ আপনাকে আরও জ্ঞান দান করুন।

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      4 years ago

      আপনার কমেন্ট পড়ে মনটা মুগ্ধ হয়ে গেলো। আপনাদের এরকম ভালোবাসায় তো আমার বুক চৌরা করে দেয় এবং আমাকে আরো বেশিবেশি পোস্ট লিখতে অনুপ্রেরণা যোগায়।
      আশা করবো সাথেই থাকবেন 🙂

      Reply
  18. Abdullah al kafi says:
    4 years ago

    অসাধারণ পোস্ট

    Reply
  19. ঈশাত says:
    3 months ago

    ভালোবাসি আপনাকে ভাই

    Reply
    • তাহমিদ বোরহান says:
      3 months ago

      ❤️

      Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ADVERTISEMENT
  • আমাদের সম্পর্কে
  • গোপনীয়তা ও নীতিমালা
  • কমেন্ট পলিসি
  • ওয়্যারবিডি টীম
© 2020 WiREBD Made With ❤️
No Result
View All Result
  • সিরিজ
    • এথিক্যাল হ্যাকিং
    • ক্লাউড কম্পিউটিং
    • ওয়ার্ডপ্রেস
    • কুইক টেক
    • ৫টি সেরা
    • টেক লাইফ হ্যাক
    • বেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যার
    • বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
    • বেস্ট ওয়েবসাইট
  • নিউজ
    • টেক নিউজ
    • বিজ্ঞান নিউজ
  • লাইফ
  • টেক
  • বিজ্ঞান
  • ক্যাটাগরি
  • গেমিং
  • ভিডিও

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In